ছিল না গৃহশিক্ষক, মাধ্যমিকে তৃতীয় বীরভূমের কন্যা, কেমন ছিল পুষ্পিতার লড়াই

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পুষ্পিতা বাঁশুড়ি। মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে সে আর মেয়েদের মধ্যে প্রথম পুষ্পিতা। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১ । বীরভূমের ইলামবাজার থানার কামারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পুষ্পিতার এই সাফল্যে গর্বিত তাঁর আত্মীয়স্বজন। গ্রামের বাসিন্দারা।

দারোন্দা হাই স্কুলের বাংলার পার্শ্বশিক্ষক মা তনুশ্রী ঘোষ এবং বিজ্ঞান শাখার গৃহশিক্ষক বাবা সত্যনারায়ণ বাঁশুরি মেয়ের সাফল্যে আপ্লুত। সংবাদমাধ্যমকে পুষ্পিতা বলে, “গৃহশিক্ষক ছাড়াই এত ভাল ফল করব এটা আশা করিনি। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং মা-বাবাকে ছাড়া এই ফল মিলত না।”

পুষ্পিতার কথায়, “খুব ভালো লাগছে এই সাফল্যে। তৃতীয় হব এটা ভাবতে পারিনি। আমার সাফল্যর নেপথ্যে আমার মা-বাবা। স্কুলের শিক্ষকদের অবদান রয়েছে অনেকটাই। আমি প্রতিদিনই স্কুলে যেতাম। আর স্কুলের সময় বাদ দিয়ে প্রায় ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করার চেষ্টা করতাম। ভবিষ্যতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই।”

এবার যারা মাধ্যমিক দিতে চায় তাদের জন্য টিপস দিয়েছে পুষ্পিতা। সে জানিয়েছেন, ভালো করে পড়াশোনা করতে হবে।

পুষ্পিতার মা তনুশ্রী ঘোষ জানিয়েছেন, আমরা আশা করেছিলাম যে ও মাধ্যমিকে একটা ভালো জায়গায় থাকবে। কিন্তু এতটা ভালো করবে এটা ভাবতে পারিনি। ছোট থেকে ওর মধ্য়ে একটা চেষ্টা ছিল যে আমায় কিছু একটা ভালো করতে হবে। ওর চেষ্টার কোনও ত্রুটি ছিল না। একজন প্রাইভেট টিউশনও ছিল না। নিজের চেষ্টাতে করেছে। আমরা যতটা পেরেছি ততটা করেছি। আমার স্কুলের সহকর্মীরাও খুব সহায়তা করেছে। খুব লড়াই করেছে মেয়েটা। মেয়ে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়। তারপর দেখা যাক কী হয়। ইঞ্জিনিরায়িং নিয়ে পড়তে চায়।

প্রথম দফার ভোট মিটতেই উত্তরের ৩ আসনে বিজয় মিছিল তৃণমূলের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তিন কেন্দ্রেই গতবার জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। উত্তরবঙ্গকে কার্যত গড় বলা হয় গেরুয়া শিবিরের। সেই উত্তরবঙ্গের তিনটি কেন্দ্রে আজ নির্বাচন সংগঠিত হয়। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোটের উপর শান্তিতেই ভোট হয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনই। ভোট মেটার পর দেখা গেল, তিন কেন্দ্রেই পালা করে ‘আনন্দ মিছিল’ বা আক্ষরিক অর্থে আগাম বিজয় মিছিলের আয়োজন করা হল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।

অন্যদিকে কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এদিন লাড্ডু খাওয়ালেন দলের কর্মীরা। তাঁরা নিশীথের জয় নিয়ে আশাবাদী। বলেন, “নিশীথ প্রামাণিক এবার জিতছেনই। বিভিন্ন মণ্ডল থেকে যে সমস্ত ইতিবাচক খবর এসেছে, তাতে আমাদের জয় নিশ্চিত।”

সব মিলিয়ে, গণনার আগেই জয়ের দাবি করে ‘বিজয় মিছিলে’ মেতে উঠল কোচবিহার। যদিও কে কার আগে মিছিল বার করবে, তা নিয়ে চাপা চাপানউতর ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোচবিহারের জেলা সভাপতি ঘোষণা করেন, জয় তাঁদেরই হচ্ছে। তাই জয়ের আগাম মিছিল হবে। সন্ধ্যায় মিছিলও করেন তাঁরা। কোচবিহার তৃণমূল জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের কথায়, ‘‘মানুষের রায় আমাদের কাছে পরিষ্কার। প্রতিটি বুথ থেকে আসা রিপোর্ট খুবই ভাল। বিজেপি দেওয়ালের লিখন পড়তে পারছে না। আমরা লিখে দিচ্ছি, কোচবিহারে বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক লক্ষাধিক ভোটে হারছেন। বিজেপি কোনও বিধানসভাতেই লিড পাচ্ছে না। এমনকি কোচবিহার শহরেও আমরা অপ্রত্যাশিত ফলাফল করতে চলেছি।’’

কোচবিহারের বিজেপির সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে কোচবিহারে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল। এ বার তার জবাব দিলেন মানুষ। জয়ের ব্যাপারে আমরা ১০০ শতাংশ আশাবাদী। এ জন্য আমরা মিষ্টিমুখ করলাম, বাজি পোড়ালাম। তৃণমূল বিজয় মিছিল করছে, না পরাজয় মিছিল করছে, সেটা ৪ তারিখে পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’

Rudranil Ghosh: বিজেপিতে টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ! বেসুরো রুদ্রনীল

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এবার বিজেপিতে টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ। বেসুরো রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। অফিসিয়াল গ্রুপ ছাড়া বিজেপির বাকি সব গ্রুপ ‘লেফট’। হঠাৎ কেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে এলেন বিজেপি নেতা? তাই নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। তাহলে কি রঙ বদল করতে চলেছেন রুদ্রনীল? তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনীতিতে। যদিও কী কারণে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন তার ব্যাখ্যা নিজেই দিয়েছেন বিজেপি নেতা।

এখনও পর্যন্ত বাংলার ৩৮ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। যে ৪টি আসনে এখনও বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা হতে বাকি আছে সেগুলি হল- ডায়মন্ড হারবার, আসানসোল, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূম। তবে রুদ্রনীলকে দল প্রার্থী ঘোষণা না করায় আশাভঙ্গ হয়েছে অভিনেতার। তাঁর কণ্ঠে শোনা গিয়েছে কিছুটা অভিমানের সুর। শোনা যাচ্ছে লোকসভায় টিকিট পাওয়ার আশায় ছিলেন রুদ্রনীল। তবে টিকিট না পাওয়ায় মন খারাপ রুদ্রনীলের। কিন্তু, এরজন্য তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেননি বলেই জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন-  বরাহনগর উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী সজল ঘোষ

তাঁকে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাড করা হয়েছিল। যে যেমন পেরেছিল তাঁকে অ্যাড করেছিল। তাতে প্রচুর ভিডিয়ো থাকায় দেখতে দেখতে এক সময় ফোন ভরে যাচ্ছিল। তাই দোলের দিন বাড়িতে থাকার সুযোগ তিনি অবাঞ্ছিত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন। তবে এখনও তিনি দলের ১০ থেকে ১২ টি গুরুত্বপূর্ণ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রয়েছেন বলেই জানিয়েছেন।

টিকিট না পাওয়া নিয়ে কি সত্যিই অসন্তুষ্ট রুদ্রনীল? সেকথাও স্পষ্ট করেছেন বিজেপি নেতা। রুদ্রনীলের কথায়, তিনি দলের নির্দেশে প্রতিনিয়ত কাজ করেছেন। এমনকী ভবানীপুরের মতো কঠিন আসনেও লড়েছেন। তিনি জানান, তাঁর আশা ছিল তিনি লোকসভায় টিকিট পাবেন। কিন্তু, সেই প্রত্যাশা মতো তিনি টিকিট পাননি।

তাহলে কি দল ছেড়ে দিতে চলেছেন রুদ্রনীল? সেই জল্পনা প্রসঙ্গে রুদ্রনীল জানান, তিনি এখনই দল ছেড়ে যেতে চাইছেন না। তবে তার মধ্যে আবার জল্পনা উসকে দিয়ে তিনি জানান, তিনি নতুন কিছু ভাববেন কিনা পরে জানাবেন। তিনি জানান, তিনি বিজেপিতেই আছেন। দলের জন্য সারাদিন কাজ করেন।

একসময় তিনি রাজ্যের বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সংসদের সভাপতি ছিলেন। ২০১৪ এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি ছিলেন তৃণমূলের স্টার ক্যাম্পেনার। কিন্তু, পরবর্তীতে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষেত্রে সুর চড়াতে শোনা গিয়েছিল রুদ্রনীল ঘোষকে। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে ‘বেসুরো’ শোনা গিয়েছিল রুদ্রনীলকে। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব তৈরি হয়। পরে ঘাসফুল শিবির ত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি।

Sajal Ghosh: বরাহনগর উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী সজল ঘোষ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের দুই বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি। বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)। একইসঙ্গে ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনেও প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। ওই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ভাস্কর সরকার।

কিছু দিন আগেই বরানগরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তাপস রায়৷ এর পর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি৷ এবার কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে তাঁকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে বিজেপি৷ অন্যদিকে, বিধায়ক ইদ্রিশ আলির মৃত্যু হওয়ায় মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা আসনটি খালি হয়৷ এই দুই আসনেই আগামী ১ জুন উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন৷

আরো পড়ুন- পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তান, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌবিমান ঘাঁটিতে হামলা

সজল ঘোষ গত পুরভোটে কলকাতা পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন৷ রাজ্য বিজেপির অন্যতম পরিচিত এবং জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি৷ লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা উত্তর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়ার অন্যতম দাবিদারও ছিলেন সজল৷ তবে লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না দিলেও উপনির্বাচনে তরুণ এই নেতাকে সুযোগ দিল দল৷

প্রার্থী হওয়ার পর সজল ঘোষ বলেন, ‘আমার উপরে আস্থা রাখায় দলকে ধন্যবাদ৷ আমার রাজনৈতিক গুরু তাপস রায়৷ তাঁর আশীর্বাদ নিয়েই আমি এগোব৷ উত্তর কলকাতায় আমাদের সংগঠন শক্তিশালী৷ আশা করছি দলকে আমি নিরাশ করব না৷’

ওদিকে বিধায়ক তথা আইনজীবী ইদ্রিশ আলির মৃত্যুতে খালি হয় মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা আসনটি। দীর্ঘ রোগভোগের পর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় তাঁর। ইদ্রিশের প্রয়াণে শূন্য আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছে ভাস্কর সরকারকে।

লোকসভার হিসাবে বরাহনগর আসনটি দমদম কেন্দ্রের অন্তর্গত। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় ও বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত। রয়েছেন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীও।

গোসাবায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, আহত তিন

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের আগে উত্তপ্ত সুন্দরবনের গোসাবা, তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। পাল্টা বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূলের হামলার অভিযোগ পদ্মশিবিরের। ঘটনায় তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। ইতিমধ্যেই দুই বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, দোলের দিন গোসাবা ব্লকের কুমিরমারিতে বুবাই মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে বুবাইয়ের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় ছোট মোল্লাখালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

আরো পড়ুন- কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের প্রতিবাদে, মোদীর বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি আপের, সরগরম দিল্লি

তৃণমূলের অভিযোগ, ছোট মোল্লাখালি অঞ্চলে তৃণমূলের সভাপতি অঙ্কন মণ্ডলকে খুনের চক্রান্ত করে হামলা চালিয়েছে বিজেপি। বিজেপির বিরুদ্ধে সুন্দরবন কোস্টাল থানায় বিজেপির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপ।

বিজেপির অভিযোগ, দোলের দিন, সোমবার বিকেলে বিজেপি কর্মীরা এলাকায় পতাকা, পোস্টার লাগাচ্ছিলেন। সেই সময় তৃণমূলের লোকজন গিয়ে তাঁদের উপর হামলা করে। তৃণমূলের মারে দুই বিজেপি কর্মী জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

Arjun Singh: বিশ্বাসঘাতকতা করেছে দল! ব্যারাকপুরে টিকিট না পেয়ে বিস্ফোরক অর্জুন

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে পার্থ ভৌমিককে প্রার্থী করেছে তৃণমুল। টিকিট না পেয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। ১০ ই মার্চ ব্রিগেডে জনগর্জন সভায় সামনের সারিতে বসে থাকা অর্জুন রীতিমতো অপমানিত বোধ করছেন। তাঁর সাফ কথা, টিকিট পাবেন না জানলে, তিনি তৃণমূলে ফিরতেনই না। তার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে দল।

অর্জুন জানান, তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব৷ ঘনিষ্ঠ মহলে অর্জুন দাবি করেছেন, তাঁকে প্রার্থী করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে৷ শুক্রবার পর্যন্ত তাঁর নামই ব্যারাকপুরের প্রার্থী হিসেবে পাকা হয়েছিল বলেও দাবি করছেন অর্জুন ঘনিষ্ঠরা৷ শেষ পর্যন্ত তাকে টিকিট দেওয়া হয়নি। পার্থ ভোমিককে প্রার্থী করেছে তৃণমুল।

অর্জুন সিং আরও বলেন, ‘আমি মরশুমী ফল নয়, বারো মাসের ফল। সবসময় রাজনীতিতে থাকি,মানুষের সঙ্গে থাকি। মনে আক্ষেপ তো থাকবেই। আমি ব্যারাকপুরের মানুষকে ঠকাইনি। ব্যারাকপুরকে ছেড়ে যাব না, এখানে জন্মেছি, এখানে মরব।’

বিজেপি সূত্রে খবর, অর্জুনের জন্য দলের দরজা খোলা রয়েছে। রবিবার তেমনই এক মৃদু ইঙ্গিত দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, বিজেপি মনে করে না, অর্জুন তৃণমূলে গেছেন! কারণ তার পরিবার তার পুত্র এখনো বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন। তাই তাকে দলে নিতে বিজেপির কোনো বাধা নেই। কিন্তু ব্যারাকপুরে বিজেপি তাকে প্রার্থী করবে কিনা সেটা ঠিক করবে দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে।

তবে দলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, ব্যারাকপুরে তৃণমূল পার্থকে প্রার্থী করায় ‘খুশি’ বিজেপি নেতারা। কারণ, বিজেপি এখনও পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে অর্জুনের ‘বিকল্প’ খুঁজে পায়নি।

কিন্তু অর্জুন সিং কি বিজেপি ডাকলে সাড়া দেবেন? না কি নিজে থেকেই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন? অর্জুনের স্পষ্ট জবাব, ‘‘সবার আগে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলব। তাঁরা যা সিদ্ধান্ত জানাবেন, সেটাই আমার সিদ্ধান্ত।’’

এদিকে অর্জুনের কর্মী-সমর্থকরা যদি তাঁকে বিজেপিতে যেতে বলেন, তাতে অবাক হওয়ার খুব বেশি কিছু থাকবে না। মনে করা হচ্ছে দু’এক দিনের মধ্যেই অর্জুনের পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ জানা যাবে। অর্জুন যে বিজেপিতেই যাবেন, তাও স্পষ্ট করে বলেননি। যদিও তাঁর ঘনিষ্ঠেরা বলছেন, ‘‘তৃণমূল কথা দিয়ে কথা রাখেনি। দাদা তাই বিজেপিতে যেতে তৈরি।’’

রাজনৈতিক মহলের মতে, অর্জুনের বিজেপিতে যাওয়ার কেবল সময়ের অপেক্ষা। দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সবুজ সিগন্যাল এলেই দুই এক দিনের মধ্যেই অর্জুন বিজেপিতে যোগ দেবেন। তখন ব্যারাকপুরে পার্থ বনাম অর্জুনের লড়াই আরো একবার জমে উঠবে। এখন দেখার লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের কোনও বড় পদক্ষেপ করেন কি না, ভাটপাড়ার তথা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।

প্রসঙ্গত গত লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন অর্জুন সিং। ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে অর্জুনকে প্রার্থীও করে বিজেপি। কড়া টক্করের মধ্যে দিয়ে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে ১৪,৮৫৭ ভোটে জয়ী হন অর্জুন সিং। যদিও বিজেপিতে থেকেই নিজের সাংসদ পদের পাঁচ বছর শেষ করেননি তিনি। ২০২২ সালের মে মাসেই ফের তৃণমূলে’ঘর ওয়াপসি’ হয়। তারপর থেকে তৃণমূলেই রয়েছেন তিনি। যদিও খাতায়কলমে তিনি বিজেপি সাংসদই রয়ে গিয়েছেন।

কাঁচরাপাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডে রমরমিয়ে চলছে পুকুর ভরাট, হেলদোল নেই প্রশাসনের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কাঁচরাপাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রকাশ্য দিবালোকে রমরমিয়ে চলছে পুকুর ভরাট। কাউন্সিলারের বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে চলছে পুকুর ভরাট। স্থানীয়দের অভিযোগ, কাউন্সিলার এবং পৌরপ্রধানকে বারবার জানিয়েও তারা কোন ব্যাবস্থা নেননি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যখন বারবার পুকুর ভরাটের (Pond Filling) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলছেন, প্রশাসনিক আধিকারিকদের, ঠিক তখন মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়েই কাঁচরাপাড়া পৌর অঞ্চলের মধ্যে কাউন্সিলারের বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে চলছে পুকুর ভরাট।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কাঁচরাপাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এটি একটি বহু পুরনো পুকুর। এলাকায় এটি সূর্যপুকুর নামে পরিচিত। এক সময় বহু মানুষ এখানে স্নান করতে আসতেন। কিন্তু সিপিএমের রাজত্বকালের পরে নতুন সরকার আসার পরেই জমি মাফিয়াদের দৌরাত্মে পুকুরটি ভরাট হতে থাকে। এখন যদি এই পুকুরটি পুরো ভরাট হয়ে যায় তাহলে এলাকার জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা পুরো বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। এখানে সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু পর্যন্ত জল দাঁড়িয়ে যায়। এখন যদি এই পুকুরটি ভরাট হয়ে যায় তাহলে সেই জল কোথায় যাবে? পৌর প্রশাসন কেন এদিকে নজর দিচ্ছে না? কোন স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে কি?

এদিকে বারবার চিঠি দিয়ে জানানোর পরে পৌরপ্রধান কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। রীতিমত তারা অপমানিত বোধ করছেন।

স্থানীয়রা জানান, এই পুকুরটির ব্যাপারে জানাতে কোথায় না গিয়েছি? থানা, পৌর প্রশাসন, বি এল আরও অফিস কিন্তু কোন সুরাও হচ্ছে না। প্রকাশ্য দিবালোকে কিছু লোক মুখ ঢেকে এসে পুকুর ভরাট করে চলেছে। প্রশাসনের কোন হেল দোল নেই।

এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলার শর্মিষ্ঠা মজুমদারকে প্রশ্ন করা হল, তিনি বলেন বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। স্থানীয় মানুষ লিখিতভাবে আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। পুরো বিষয়টি আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে জানিয়েছি।

আইন কি বলছে?

সম্প্রতি, একটি মামলায় বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট রুখতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তার পরেই এবার জলাভূমি ভরাট নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের মৎস্য দফতর।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জলাভূমি ভরাটের কোনও অভিযোগ পেলেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে। শুধু তাই নয়, এই সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পরেও দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিকরাও কোনও পদক্ষেপ না করলে তাদেরকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া অন্যায়ভাবে কেউ জমির চরিত্র বদল করলেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সম্প্রতি এনিয়ে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জলাভূমির চরিত্র কোনভাবেই বদল করা যাবে না, জলাভূমির চরিত্র বদলের কোনও অভিযোগ পেলেই সেই মুহূর্তে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর ব্যবস্থা না নিলেই ওই সমস্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে রাজ্য সরকার।

কিন্তু, এখন প্রশ্ন হল প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে এই পুকুর ভরাটের কাজ চলছে বহাল তবিয়তে ! কীভাবেই বা এত সাহস পাচ্ছেন আইনভঙ্গকারীরা? তাহলে কি পিছনে প্রভাবশালী কারোর মদত রয়েছে? যে কারণে আইনকে তোয়াক্কা না করে পুকুর ভরাট করতেও হাত কাঁপছে না তাঁদের? এমনই সব প্রশ্ন উঁকি মারতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে । যদিও, পুকুর ভরাটের অভিযোগ সামনে আসতেই চাপে পড়ে শেষ বেআইনি সেই কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ প্রশাসন ।

কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি রেলসফর কমে যাবে ৩ ঘণ্টা, শনিবার নশিপুর সেতুর উদ্বোধন করবেন মোদি

এবার কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি রেলসফর কমে যাবে ৩ ঘণ্টা, ভারতীয় রেল সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদে আজিমগঞ্জ-নশিপুর রেল সেতুর কজা শেষ, শনিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই বহুপ্রতীক্ষিত নশিপুর সেতুর উদ্বোধন করতে চলেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার সকালে নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে নবনির্মিত আজিমগঞ্জ-মুর্শিদাবাদ লাইনের উদ্বোধন করবেন মোদী। যে লাইনের মধ্যেই পড়ছে নশিপুর রেলসেতু। আর ওই সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হলে হাওড়া এবং শিয়ালদা থেকে উত্তরবঙ্গে যেতে আরও কম সময় লাগবে। এখন যা সময় লাগে, তার থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা কমেই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে পৌঁছানো যাবে। সেইসঙ্গে উত্তর ভারতের (দিল্লির মতো) সঙ্গে রেল যোগাযোগ আরও ভালো হয়ে উঠবে। মুর্শিদাবাদের মানুষ সহজেই দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন। তাঁদের ঘুরে-ঘুরে যেতে হবে না। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, নশিপুর সেতুর হাত ধরে মুর্শিদাবাদের আর্থিক উন্নতির পথ প্রশস্ত হবে। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে লাখ-লাখ মানুষের জীবনের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

আর সেই সুফল পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে মুর্শিদাবাদের মানুষকে। তাই যত কাজ এগোচ্ছিল, তত উত্তেজনা বাড়ছিল তাঁদের। শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার নশিপুর রেলসেতু পরিদর্শনে আসেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (ইস্টার্ন সার্কেল) শুভময় মিত্র। সার্বিকভাবে নবনির্মিত আজিমগঞ্জ-মুর্শিদাবাদ লাইনের পরিদর্শনের পাশাপাশি রেলের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে নশিপুর সেতুর খুঁটিনাটি বিষয় খতিয়ে দেখেন। নবনির্মিত লাইনে কেমন কাজ হয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা,তা ভালোভাবে দেখে নেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (ইস্টার্ন সার্কেল)।

তারপর আজিমগঞ্জ-মুর্শিদাবাদ লাইনে ট্রায়াল রানও হয়। ১৪ কোচের প্যাসেঞ্জার ট্রেন নিয়ে সেই ট্রায়াল চালায় রেল। নশিপুর সেতুও দিয়ে ছুটে যায় সেই ট্রেন। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ট্রায়াল রানের সময় ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিবেগ ছুঁয়ে ফেলা হয়। যাত্রীবাহী ট্রেনের ভার সামলাতে কতটা সক্ষম নশিপুর সেতু, ঝাঁকুনি সামলাতে কতটা সক্ষম, তা পরীক্ষা করে দেখেন রেলের কর্তারা। তারপর কয়েকটি পর্যবেক্ষণ যোগ করে নশিপুর রেলসেতুতে যাত্রী পরিবহণ শুরু করার ছাড়পত্র দেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (ইস্টার্ন সার্কেল)।

তারইমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে শনিবার সকালে নশিপুর সেতু গিয়ে ট্রেন চালানোর জন্য সবুজ পতাকা দেখাবেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন করবেন আজিমগঞ্জ-মুর্শিদাবাদ লাইনের। যে লাইন ‘রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা, পণ্য পরিবহণ এবং অর্থনৈতিক ও শিল্পের উন্নতির ক্ষেত্রে সেই লাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে’ বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।

ইটভাটা থেকে নবম শ্রেণীর ছাত্রীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার, ধর্ষণের সন্দেহ

মালদা:- পরিত্যক্ত ইটভাটা থেকে নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। শুক্রবার সন্ধ্যে নাগাদ মৃতদেহ বাসিন্দাদের নজরে আসতেই শোরগোল। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের পুরাতন মালদা ব্লকের ভাবুক অঞ্চলের বিষনপুর এলাকায়।

এদিন সন্ধ্যে নাগাদ বাসিন্দাদের নজরে আসে নাবালিকার রক্তাক্ত মৃতদেহ ইট ভাটায় পড়ে থাকতে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আছে মালদা থানার পুলিশ এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অনুমান ওই নাবালিকাকে প্রথমে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। মাথায় ইটের আঘাত রয়েছে।

রাজ্যের মিড ডে মিল নিয়ে ভুয়সী প্রশংসা কেন্দ্রের, বরাদ্দ ৪ হাজার কোটি

রাজ্যের মিড ডে মিল নিয়ে ভুয়সী প্রশংসা কেন্দ্রের, বাংলার মিড-ডে মিল প্রকল্পকে গোটা দেশে মডেল বানানোর ডাক দিল কেন্দ্র। দিল্লিতে কেন্দ্র-রাজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর কেন্দ্রের আধিকারিকদের স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ, গোটা দেশে বাংলার মডেলই অনুসরণ করা উচিত। রাজ্যের এই সাফল্যের কথা উল্লেখ করে শুক্রবার এক্স হ‌্যান্ডলে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু লেখেন, ‘‘গতকাল দিল্লিতে কেন্দ্র-রাজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মিড ডে মিল প্রোগ্রাম এবং তা চালানোর মডেলকে ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে! মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের সরকারের উন্নয়নের মডেল আরও একবার প্রমাণিত হল।’’

প্রসঙ্গত, মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বারবার সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের সেই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দফায় দফায় মিড-ডে মিল নিয়ে তদন্ত করতে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় দলও। এদিন মন্ত্রী সেই প্রসঙ্গও টেনে আনেন। লেখেন, ‘‘কিছুদিন আগের কেন্দ্রীয় দলের অপপ্রচার এবং বিরোধী কুৎসা আবার একবার ভুল প্রমাণিত হল! অশোকস্তম্ভের তলার লেখাটাই আবার প্রতিষ্ঠিত হল।’’

এখানেই শেষ নয়, বাংলার মিড-ডে মিলের মডেল বিরোধীদের কুৎসা উড়িয়ে যেভাবে প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে তাকে ‘সত্যের জয়’ বলেই অভিহিত করেছেন ব্রাত্য। হ্যাশটাগ দিয়েছেন ‘সত্যমেব জয়তে’।

আরো পড়ুন- লোকসভা ভোটের আগে উত্তপ্ত সন্দেশখালি, তড়িঘড়ি বিশেষ বৈঠক কমিশনের

প্রশংসার পাশাপাশি রাজ্যকে নতুন করে এই খাতে টাকাও বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। মোট চার হাজার কোটি টাকা রাজ্যকে বরাদ্দ করল কেন্দ্র। স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও মিড ডে মিলের ব্যয় নির্মাণে ব্যবহার হবে এই টাকা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিজেপির রাজ্য নেতাদের আপত্তি সত্ত্বেও রাজ্যকে টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। লোকসভা ভোটের আগে এটাই সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়!

আসলে সমগ্র শিক্ষা মিশনের মিড-ডে মিল প্রকল্পকে এমন কায়দায় বাস্তবায়িত করেছে রাজ‌্য যে কর্মসংস্থানের নতুন নতুন দিক খুলে গিয়েছে।

যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের কথাই ধরা যাক। কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে প্রায় তিন হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মহিলা যুক্ত। মহিলারা এতদিন নিজেদের উদ্যোগে হাঁস, মুরগি পালন করতেন। কেউ সবজি ও মাশরুম চাষ‌ করেন। কিন্তু তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি করতে সমস‌্যা হচ্ছিল। পঞ্চায়েত সমিতি মারফৎ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সেই সব উৎপাদিত পণ্য সরাসরি কিনে নিচ্ছে ৪০০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ১৫২টি প্রাথমিক ও ৪৫টি জুনিয়র ও উচ্চ বিদ্যালয়।

মিড ডে মিলের সূত্র ধরে অনেক স্কুল সবজি চাষও শুরু করেছে। যেমন হুগলির গোঘাট হাইস্কুলের কথাই ধরা যাক। এখানকার শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলেই কিচেন গার্ডেন করে মরশুমি সবজি ফলাচ্ছেন। সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে ফলানো সেই সবজি দিয়ে তৈরি মিড-ডে মিল ছাত্র-ছাত্রীদের খাওয়ানো হচ্ছে। এমন উদাহরণ অনেক রয়েছে। রাজ্যের এমন উদ্ভাবনী মনোভাবই প্রশংসিত হয়েছে সচিব পর্যায়ের বৈঠকে। যা নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষ, বাংলার টাকা আটকে রাখা যে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিষয় তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল।

উত্তপ্ত কালিয়াচক, কংগ্রেস তৃনমুল সংঘর্ষে ৩ জনকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা

মালদাঃ—কংগ্রেস তৃণমূলের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কালিয়াচক। শুক্রবার সকালে তৃণমূলের কয়েকজন দুষ্কৃতি হামলা চালায় কংগ্রেস প্রধানের বাড়িতে। কালিয়াচকের সিলামপুর ২ পঞ্চায়েতের প্রধান ফিরোজা বিবির স্বামী নাসিরুদ্দিন শেখ ও দুই ভাইকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। প্রধান ফিরোজা বিবি ও তার স্বামী পঞ্চায়েতের অডিট করাতে কলকাতা গিয়েছিলেন। রাতেই কলকাতা থেকে বাড়ি ফিরে। এদিন সকালে তার বাড়ির সদর দরজায় কয়েকজন কড়া নাড়াই। এবং দরজা খুলতে বলে। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। তৃণমূল দুষ্কৃতীরা প্রধানের স্বামী নাসিরুদ্দিন কে হাসুয়া দিয়ে কোপাতে শুরু করে। তাকে ছুটাতে আসে তার স্ত্রী ও তার দুই ভাই। তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। একের পর এক তিনজনকে কুপিয়ে দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যাই দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাই সিলামপুর গ্রামীন হাসপাতালে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় চিকিৎসোগরা মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেন ।

গুলমার্গের রাস্তায় ক্রিকেট খেলায় মেতেছেন সচিন তেন্ডুলকর! নিমিশে ভাইরাল ভিডিয়ো

সপরিবারে কাশ্মীর সফরে গিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর। ভূস্বর্গে গিয়ে স্ত্রী অঞ্জলি ও মেয়ে সারাকে নিয়ে চুটিয়ে তুষারপাত উপভোগ করেছেন সচিন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া বেশ কিছু ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সকলেই অবাক, একজন তারকা কীভাবে এতটা সাধারণভাবে মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন? যা দৃষ্টান্তও বটে।

সোশ্যাল মিডিয়ার সেই ভিডিয়োয় সচিনকে রাস্তার উপর স্থায়ীন ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়। কাঠের বক্স সাজিয়ে স্টাম্প তৈরি করে ছেলেদের ক্রিকেট খেলতে দেখে সচিন যোগ দেন খেলায়। তিনি বেশ কিছুক্ষণ ব্যাট করেন। ক্যাচ প্র্য়াক্টিসও দেন ফিল্ডারদের। প্রশংসা করেন তাঁদের স্কিলের।

গুলমার্গের ছেলে-ছোকরাদের সঙ্গে সচিনের স্ট্রিট ক্রিকেট খেলার ভিডিয়ো সঙ্গত কারণেই আপ্লুত করে নেটিজেনদের।

https://twitter.com/sachin_rt/status/1760518941938720932/mediaViewer?currentTweet=1760518941938720932&currentTweetUser=sachin_rt&mode=profile

এর আগে সচিন ব্যাট কারখানায় গিয়ে কাশ্মীরি উইলো যাচাই করার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন নিজেই। মাস্টার ব্লাস্টার ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমাকে প্রথম ব্যাটটি দিয়েছিলেন আমার দিদি। সেটি ছিল একট কাশ্মীরি উইলো। এখন আমি এখানে (কাশ্মীরে) রয়েছি। তাই কাশ্মীরি উইলোর সঙ্গে দেখা করা উচিত।’