ইটভাটা থেকে নবম শ্রেণীর ছাত্রীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার, ধর্ষণের সন্দেহ

মালদা:- পরিত্যক্ত ইটভাটা থেকে নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। শুক্রবার সন্ধ্যে নাগাদ মৃতদেহ বাসিন্দাদের নজরে আসতেই শোরগোল। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের পুরাতন মালদা ব্লকের ভাবুক অঞ্চলের বিষনপুর এলাকায়।

এদিন সন্ধ্যে নাগাদ বাসিন্দাদের নজরে আসে নাবালিকার রক্তাক্ত মৃতদেহ ইট ভাটায় পড়ে থাকতে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আছে মালদা থানার পুলিশ এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অনুমান ওই নাবালিকাকে প্রথমে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। মাথায় ইটের আঘাত রয়েছে।

রাজ্যের মিড ডে মিল নিয়ে ভুয়সী প্রশংসা কেন্দ্রের, বরাদ্দ ৪ হাজার কোটি

রাজ্যের মিড ডে মিল নিয়ে ভুয়সী প্রশংসা কেন্দ্রের, বাংলার মিড-ডে মিল প্রকল্পকে গোটা দেশে মডেল বানানোর ডাক দিল কেন্দ্র। দিল্লিতে কেন্দ্র-রাজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর কেন্দ্রের আধিকারিকদের স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ, গোটা দেশে বাংলার মডেলই অনুসরণ করা উচিত। রাজ্যের এই সাফল্যের কথা উল্লেখ করে শুক্রবার এক্স হ‌্যান্ডলে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু লেখেন, ‘‘গতকাল দিল্লিতে কেন্দ্র-রাজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মিড ডে মিল প্রোগ্রাম এবং তা চালানোর মডেলকে ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে! মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের সরকারের উন্নয়নের মডেল আরও একবার প্রমাণিত হল।’’

প্রসঙ্গত, মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বারবার সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের সেই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দফায় দফায় মিড-ডে মিল নিয়ে তদন্ত করতে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় দলও। এদিন মন্ত্রী সেই প্রসঙ্গও টেনে আনেন। লেখেন, ‘‘কিছুদিন আগের কেন্দ্রীয় দলের অপপ্রচার এবং বিরোধী কুৎসা আবার একবার ভুল প্রমাণিত হল! অশোকস্তম্ভের তলার লেখাটাই আবার প্রতিষ্ঠিত হল।’’

এখানেই শেষ নয়, বাংলার মিড-ডে মিলের মডেল বিরোধীদের কুৎসা উড়িয়ে যেভাবে প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে তাকে ‘সত্যের জয়’ বলেই অভিহিত করেছেন ব্রাত্য। হ্যাশটাগ দিয়েছেন ‘সত্যমেব জয়তে’।

আরো পড়ুন- লোকসভা ভোটের আগে উত্তপ্ত সন্দেশখালি, তড়িঘড়ি বিশেষ বৈঠক কমিশনের

প্রশংসার পাশাপাশি রাজ্যকে নতুন করে এই খাতে টাকাও বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। মোট চার হাজার কোটি টাকা রাজ্যকে বরাদ্দ করল কেন্দ্র। স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও মিড ডে মিলের ব্যয় নির্মাণে ব্যবহার হবে এই টাকা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিজেপির রাজ্য নেতাদের আপত্তি সত্ত্বেও রাজ্যকে টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। লোকসভা ভোটের আগে এটাই সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়!

আসলে সমগ্র শিক্ষা মিশনের মিড-ডে মিল প্রকল্পকে এমন কায়দায় বাস্তবায়িত করেছে রাজ‌্য যে কর্মসংস্থানের নতুন নতুন দিক খুলে গিয়েছে।

যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের কথাই ধরা যাক। কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে প্রায় তিন হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মহিলা যুক্ত। মহিলারা এতদিন নিজেদের উদ্যোগে হাঁস, মুরগি পালন করতেন। কেউ সবজি ও মাশরুম চাষ‌ করেন। কিন্তু তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি করতে সমস‌্যা হচ্ছিল। পঞ্চায়েত সমিতি মারফৎ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সেই সব উৎপাদিত পণ্য সরাসরি কিনে নিচ্ছে ৪০০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ১৫২টি প্রাথমিক ও ৪৫টি জুনিয়র ও উচ্চ বিদ্যালয়।

মিড ডে মিলের সূত্র ধরে অনেক স্কুল সবজি চাষও শুরু করেছে। যেমন হুগলির গোঘাট হাইস্কুলের কথাই ধরা যাক। এখানকার শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলেই কিচেন গার্ডেন করে মরশুমি সবজি ফলাচ্ছেন। সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে ফলানো সেই সবজি দিয়ে তৈরি মিড-ডে মিল ছাত্র-ছাত্রীদের খাওয়ানো হচ্ছে। এমন উদাহরণ অনেক রয়েছে। রাজ্যের এমন উদ্ভাবনী মনোভাবই প্রশংসিত হয়েছে সচিব পর্যায়ের বৈঠকে। যা নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষ, বাংলার টাকা আটকে রাখা যে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিষয় তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল।

উত্তপ্ত কালিয়াচক, কংগ্রেস তৃনমুল সংঘর্ষে ৩ জনকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা

মালদাঃ—কংগ্রেস তৃণমূলের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কালিয়াচক। শুক্রবার সকালে তৃণমূলের কয়েকজন দুষ্কৃতি হামলা চালায় কংগ্রেস প্রধানের বাড়িতে। কালিয়াচকের সিলামপুর ২ পঞ্চায়েতের প্রধান ফিরোজা বিবির স্বামী নাসিরুদ্দিন শেখ ও দুই ভাইকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। প্রধান ফিরোজা বিবি ও তার স্বামী পঞ্চায়েতের অডিট করাতে কলকাতা গিয়েছিলেন। রাতেই কলকাতা থেকে বাড়ি ফিরে। এদিন সকালে তার বাড়ির সদর দরজায় কয়েকজন কড়া নাড়াই। এবং দরজা খুলতে বলে। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। তৃণমূল দুষ্কৃতীরা প্রধানের স্বামী নাসিরুদ্দিন কে হাসুয়া দিয়ে কোপাতে শুরু করে। তাকে ছুটাতে আসে তার স্ত্রী ও তার দুই ভাই। তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। একের পর এক তিনজনকে কুপিয়ে দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যাই দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাই সিলামপুর গ্রামীন হাসপাতালে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় চিকিৎসোগরা মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেন ।

গুলমার্গের রাস্তায় ক্রিকেট খেলায় মেতেছেন সচিন তেন্ডুলকর! নিমিশে ভাইরাল ভিডিয়ো

সপরিবারে কাশ্মীর সফরে গিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর। ভূস্বর্গে গিয়ে স্ত্রী অঞ্জলি ও মেয়ে সারাকে নিয়ে চুটিয়ে তুষারপাত উপভোগ করেছেন সচিন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া বেশ কিছু ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সকলেই অবাক, একজন তারকা কীভাবে এতটা সাধারণভাবে মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন? যা দৃষ্টান্তও বটে।

সোশ্যাল মিডিয়ার সেই ভিডিয়োয় সচিনকে রাস্তার উপর স্থায়ীন ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়। কাঠের বক্স সাজিয়ে স্টাম্প তৈরি করে ছেলেদের ক্রিকেট খেলতে দেখে সচিন যোগ দেন খেলায়। তিনি বেশ কিছুক্ষণ ব্যাট করেন। ক্যাচ প্র্য়াক্টিসও দেন ফিল্ডারদের। প্রশংসা করেন তাঁদের স্কিলের।

গুলমার্গের ছেলে-ছোকরাদের সঙ্গে সচিনের স্ট্রিট ক্রিকেট খেলার ভিডিয়ো সঙ্গত কারণেই আপ্লুত করে নেটিজেনদের।

https://twitter.com/sachin_rt/status/1760518941938720932/mediaViewer?currentTweet=1760518941938720932&currentTweetUser=sachin_rt&mode=profile

এর আগে সচিন ব্যাট কারখানায় গিয়ে কাশ্মীরি উইলো যাচাই করার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন নিজেই। মাস্টার ব্লাস্টার ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমাকে প্রথম ব্যাটটি দিয়েছিলেন আমার দিদি। সেটি ছিল একট কাশ্মীরি উইলো। এখন আমি এখানে (কাশ্মীরে) রয়েছি। তাই কাশ্মীরি উইলোর সঙ্গে দেখা করা উচিত।’

ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, তৃণমূল কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে দায়ের FIR

সোমবার কলকাতা কলকাতা পুরসভার বাজেট অধিবেশনে বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে গিয়ে গল্পের ছলে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ভাবাবেগে আঘাত করে বসেন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। এবার সেই মন্তব্যের জেরে নিউমার্কেট থানায় অনন্যার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা। পাশাপাশি হাজরা মোড় থেকে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি পর্যন্ত একটি মিছিলেরও আয়োজন করা হয় ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে। তবে পুলিশের বাধায় এ দিন মিছিল হয়নি। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, মঙ্গলবারের ‘খলিস্তানি’ বিতর্ক থেকে নজর ঘোরাতেই অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় করছে বিজেপি।

রাজ্যে আসছে নতুন প্রকল্প ‘কর্মশ্রী’, রাজ্য বাজেটে বড়সড় সিদ্ধান্ত, উপকৃত হবে লক্ষ লক্ষ পরিবার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য সরকারের শেষ বাজেট। এই বাজেটকে জনমুখী হবে এমনটাই ধারণা করেছিল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। হলটাও তাই। রাজ্যের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিতে বরাদ্দ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মমতা সরকার ‘কর্মশ্রী প্রকল্প’ ঘোষনা করলেন। কেন্দ্রের  ১০০ দিনের প্রকল্পের পাল্টা এই প্রকল্পের ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। নতুন কর্মশ্রী প্রকল্পে ৫০ দিন করে কাজ দেওয়ার ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

লোকসভা ভোটের আগেও রাজ্য সরকার বাজেটে প্রায় কল্পতরু হয়ে উঠল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ৫০০ থেকে বেড়ে ১০০০ টাকা, সরকারি কর্মচারীদের ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি ছাড়াও ঘোষণা হল নতুন প্রকল্পেরও। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, রাজ্য সরকার চালু করছে নয়া প্রকল্প ‘কর্মশ্রী’। এই প্রকল্পে প্রত্যেক জব কার্ড হোল্ডারকে বছরে কমপক্ষে ৫০ দিনের কাজ নিশ্চিত করা হবে।

আরো পড়ুন- লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ৫০০ থেকে বেড়ে ১০০০ টাকা, রাজ্য বাজেটে বিরাট ঘোষণা

একশো দিনের বকেয়া মেটাচ্ছে না কেন্দ্র। রাজ্যের তরফে এনিয়ে একাধিকবার উষ্মা প্রকাশ করা হয়েছে। কেন্দ্রকে একাধিকবার চিঠিও দিয়েছে রাজ্য। কিন্তু বকেয়া আদায় হয়নি। গতমাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বকেয়া মেটানোর জন্য ৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। তার মধ্যে টাকা না মিললে ধরনার ডাকও দেন তিনি। সেই মতো চলতি মাসের শুরু রেড রোডে ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতেও বকেয়া আদায় হয়নি।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বাজেটে শ্রমিকদের জন্য বড়সড় সুখবর দিলেন অর্থমন্ত্রী। জানালেন, MGNREGA প্রকল্পে কেন্দ্র বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ায় ২১ লক্ষ জবকার্ড হোল্ডার শ্রমিক যারা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের বকেয়া মেটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মজুরি প্রদানের কথা বলা হয়েছে। যার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩৭০০ কোটি টাকা। কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের পালটা চালু হচ্ছে কর্মশ্রী প্রকল্প। এতে প্রত্যেক জবকার্ড হোল্ডার বছরে ৫০ দিন নিশ্চিতভাবে কাজ পাবেন। চলতি বছরের মে মাসে শুরু হবে এই প্রকল্প।

কৃষকদের স্বার্থেও একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাজেটে। অন্যান্য শষ্যের মতো আলু চাষের ক্ষেত্রেও বিমার প্রিমিয়াম বাংলা শষ্যবিমা যোজনায় রাজ্য সরকার বহন করবে বলেই জানানো হয়েছে। এর ফলে ২০ লক্ষ আলু চাষি উপকৃত হবেন। এই বিমা খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে উৎসাহ দিতে আগামী ২ বছরে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ২০০০ ফার্ম মেশিনারি হাব হবে। কাস্টম হায়ারিং সেন্টার গঠন করা হবে। এতে ৩০ লক্ষ কৃষক উপকৃত হবেন। এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪৫০ কোটি। লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য বাজেটে খুশি শ্রমিক-কৃষক সকলেই।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ৫০০ থেকে বেড়ে ১০০০ টাকা, রাজ্য বাজেটে বিরাট ঘোষণা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধি করল রাজ্য। বৃহস্পতিবার রাজ্য বাজেটে এই ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

লোকসভা ভোটের আগেও রাজ্য সরকার বাজেটে প্রায় কল্পতরু হয়ে উঠল। ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা করা হল ১ হাজার টাকা। এবং যাঁরা এতদিন ১ হাজার টাকা ভাতা পেতেন, তাঁরা এবার থেকে ১২০০ টাকা ভাতা পাবেন।

আরো পড়ুন- রাজ্যে আসছে নতুন প্রকল্প ‘কর্মশ্রী’, রাজ্য বাজেটে বড়সড় সিদ্ধান্ত, উপকৃত হবে লক্ষ লক্ষ পরিবার

এদিকে, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বাজেট পড়ার মধ্যে ফের বিজেপি পরিষদীয় দল হট্টগোল শুরু করে। উঠে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাঁড়িয়ে বিজেপির উদ্দেশে হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “আমাদের বাজেট পেশ করতে দিন। তার পর আপনারা সমালোচনা করুন। আর যদি ভাবেন, বাজেট পেশই করতে দেবেন না, তা হলে আমরাও সংসদে বাজেট পেশ করতে দেব না।”

এদিকে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আরও চার শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করা হল। বৃহস্পতিবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে সে কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই নিয়ে একই বছরে দু’বার ডিএ বৃদ্ধি করল রাজ্য সরকার। বাজেট অধিবেশনে অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা জানান, আরও চার শতাংশ হারে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধি করা হবে। গত জানুয়ারি মাসেও ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সে বারও চার শতাংশ ডিএ বেড়েছিল।

মালদায় নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর গলা কাটা দেহ উদ্ধার

মালদাঃ নিখোঁজ হওয়া নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার। মালদার (Malda) ইংলিশ বাজারের আম বাজারে এলাকা থেকে উদ্ধার দেহ। গত সোমবার বাড়ির কাছে ইংলিশবাজারের উত্তর বালুচর এলাকা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল পঞ্চম শ্রেণীর ওই নাবালিকা ছাত্রী। সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

মঙ্গলবার বিকেলে সনু কেশরী নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুধবার গভীর রাতে মালদা শহর থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে আম বাজার এলাকা থেকে গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয় ওই নাবালিকা ছাত্রীর। দেহ থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে উদ্ধার হয় নাবালিকার কাটা মুন্ডু। এই ঘটনার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন উত্তর বালুচর এলাকার বাসিন্দারা। আজ সকালে অভিযুক্তের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বাড়ির জিনিসপত্রে। অভিযুক্ত যুবকের ফাঁসির দাবি তুলে সোচ্চার হোন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে ওই নাবালিকাকে কী কারণে অপহরণ করেছিল ওই যুবক, কেনই বা নৃশংসভাবে গলা কেটে খুন করা হল তা এখনও স্পষ্ট নয় পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।

আজ, বৃহস্পতিবার নাবালিকা ছাত্রীর দেহ মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হবে। এদিকে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে পুলিশ। এদিকে ফোয়ারা মোড়ে এলাকাবাসী আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। পুলিশ আছে ফোয়ারা মোড়ে। বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্মীরাও জমায়েত হয়েছেন ফোয়ারা মোড়ে।

কাঁচরাপাড়ায় পর পর তিনটি বিস্ফোরণ! বোমায় উড়ল হাত

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কাঁচরাপাড়ায় পর পর তিনটি বোমা বিস্ফোরণ। আজ, রবিবার দুপুরে কাঁচরাপাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুবোধ রায় সরণিতে একটি কাগজ বিক্রির গোডাউনো রাখা ছিল বোমা। বোমা ফেটে গুরুতর জখম হয়েছেন দু’জন। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। ঘটনাস্থাল থেকে আরও একটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ, দমকল বাহিনী। আগুন নেভানোর কাজ চলছে।

রবিবার সকালে গান্ধী প্রাইমারি স্কুলের পাশে একটি কাগজের গোডাউনে আচমকা পরপর তিনটি বিস্ফোরণ কেঁপে উঠে গোট এলাকা। আগুন ধরে যায় গোডাউনে। ঘর থেকে বেরিয়ে স্থানীয়রা দেখেন রাস্তা ভর্তি রক্ত। গুরুতর জখম অবস্থায় পড়ে দুজন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে গিয়েছে তাঁদের হাত। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বীজপুর থানার পুলিশ। ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শর্মিষ্ঠা মজুমদার-সহ অন্যান্যরা। তড়িঘড়ি আতহদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন বিশালবাহিনী। তবে দোকানের বাইরে থেকে বোমা ছোঁড়া হয়েছে, নাকি দোকানের জিনিসের মধ্যেই মজুত ছিল বোমা, তদন্তে পুলিশ ।

আরো পড়ুন- ইন্ডিয়া জোটে জোর ধাক্কা! ইস্তফা দিয়ে আগামিকাল এনডিএতে নীতীশ?

স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গোডাউনের পাশে বাচ্চাদের স্কুল রয়েছে। পাড়াতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা খেলা ধূলা করে। এদিন রবিবার থাকা স্কুল বন্ধ ছিল। না হলে আরও বড় বিপদ হতে পারত। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

স্থানীয় কাউন্সিলর শর্মিষ্ঠা মজুমদার বলেন, শান্ত কাঁচরাপাড়াকে এভাবে অশান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। কী করে এরকম ঘটনা ঘটল তা বুঝতে পারছি না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

গোটা বিষয় নিয়ে বলেন ব্যারাকপুর লোকসভা সংসদ অর্জুন সিং বলেন, আমিও গোটা বিষয়টি শুনেছি। আমাদের পুলিশ কমিশনার খুব সক্ষম। দ্রুত দোষীরা ধরা পড়বে।

ভাটপাড়া উৎসবে মর্মান্তিক কান্ড! মঞ্চ থেকে পড়ে মৃত্যু নৃত্যশিল্পীর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভাটপাড়া উৎসবে মর্মান্তিক কান্ড! নাচের অনুষ্ঠান সেরে মঞ্চ থেকে নামার সময় আচমকা মৃত্যু হল নৃত্যশিল্পীর। মৃত যুবকের নাম সজল বারুই(২২)। তবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।

আরো পড়ুন- প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য বড় উপহার ম্যাক্রঁর

১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ভাটপাড়া উৎসব । বৃহস্পতিবার রাতে সেখানেই পারফর্ম করতে এসেছিলেন ‘ছন্দকী’ নৃত‍্যকলা কেন্দ্রের শিল্পীরা । দলে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন ছিলেন । তার মধ্যে বছর বাইশের সজলও এসেছিল নৃত্যানুষ্ঠানে পারফর্ম করতে । তাঁর বাড়ি কল‍্যাণীতে । অভিযোগ, নাচের অনুষ্ঠান শেষ করে মঞ্চ থেকে নামার মুহূর্তে হঠাৎই সজলের পায়ে খোলা তারের অংশ জড়িয়ে যায় । তৎক্ষণাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শিল্পী । সেই দৃশ্য দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান অন‍্যান‍্য শিল্পীরা । শুরু হয় হইচই । এরপরই তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ওই নৃত্যশিল্পীকে । ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায় । বন্ধ করে দেওয়া হয় উৎসব । ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।

এদিকে, ঘটনার পর উৎসব কমিটির সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে । এই বিষয়ে উৎসব কমিটির কর্মকর্তা তথা ভাটপাড়া পৌরসভার পৌর-পারিষদ অমিত গুপ্তা বলেন,”প্রথমে দুটি নাচের দলের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর তৃতীয় নাচের দলের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন সজল বাড়ুই । নাচ শেষ করে তিনি মঞ্চ থেকে নামার সময় হঠাৎই পড়ে যান । বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর কথা অনেকেই বলছে । কিন্তু, সেটা হলে তো আরও অনেকের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকত ! সেটা হয়নি । এটা সম্পূর্ণ তদন্তের বিষয় । তবে, এটুকু বলব এই ঘটনায় আমরা সকলেই মর্মাহত । নিহতের পরিবারের পাশে রয়েছি আমরা ।”

পর্যটকদের জন্য সুখবর! দীঘা যাওয়া নিয়ে বড় খবর দিল রেল

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির কাছে দীঘা (Digha) বরাবরই খুব কাছের একটি জায়গা। সপ্তাহান্তের ছুটি হোক কিংবা একদিনের জন্য ঘুরতে যাওয়ার ঠিকানার খোঁজ পড়লেই বাঙালির পছন্দের তালিকায় প্রথমেই উঠে আসে দীঘার নাম। প্রতিদিন দীঘার সমুদ্র সৈকতে ভিড়ও হয় প্রচুর। এবার সেই সব কথা মাথায় রেখে দীঘাগামী এক্সপ্রেস ট্রেনের কোচ বৃদ্ধি করল রেল।

যাত্রীদের ভিড় সামাল দিতেই রেলের এমন সিদ্ধান্ত।‌ শুধুমাত্র দিঘাগামী নয়, উত্তরবঙ্গগামী আরও একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের কোচ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত রেলের।

ইতিমধ্যে দুটি ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ লাগানো হয়েছে। একদিকে যেমন দিঘা যাত্রীদের সুবিধা হল, পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের জন্যও অনেকটাই সুবিধা হল।

আরো পড়ুন- মমতাকে লাগাতার নিশানা! অধীরের কারনে তৃণমূল ছাড়ছে INDIA জোট

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ টাউন- দীঘা- মালদহ টাউন এক্সপ্রেস ট্রেনের সাধারণ কোচ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই ট্রেনে একটি অতিরিক্ত সাধারত দ্বিতীয় শ্রেণীর কোচ বৃদ্ধি হচ্ছে।

১৩৪১৮/13418 মালদহ টাউন – দীঘা – মালদহ টাউন এক্সপ্রেসেরে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে অতিরিক্ত কোচ নিয়ে চলাচল শুরু হবে। অপরদিকে শিয়ালদহ – নিউ আলিপুরদুয়ার – শিয়ালদহ তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেসের এসি কোচ বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে এই ট্রেনেরএকটি অতিরিক্ত এসি-৩ টায়ার কোচ এবং একটি এসি ৩-টায়ার কাম এসি-২ টায়ার কোচ বৃদ্ধি করা হয়েছে । ১৩১৪১/ ১৩১৪২ শিয়ালদহ – নিউ আলিপুরদুয়ার – শিয়ালদহ তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেসে ৩১ জানুয়ারির থেকে নতুন অতিরিক্ত কোচ লাগানো হবে। রেলের এমন সিদ্ধান্তে খুশি যাত্রীরা।

মমতাকে লাগাতার নিশানা! অধীরের কারনে তৃণমূল ছাড়ছে INDIA জোট

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় জোট হবে কী হবে না তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছিল। কিন্তু কংগ্রেসের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি একাই লড়বেন। অর্থাৎ বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট বাংলায় ধাক্কা খেল।

এই পরিস্থিতির জন্য তৃণমূলের নেতারা মূলত অধীরকেই দায়ি করছেন। তাঁদের বক্তব্য, দিল্লিতে যখন জোট নিয়ে আলোচনা চলছে, তখন রাজ্যে লাগাতার মমতাকে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন অধীর। যদি তারপরও ক্ষান্ত হননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। বৃহস্পতিবারও ‘ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রা’-র মঞ্চ থেকে মমতাকে তোপ দেগেছেন।

আরো পড়ুন- পরিবারের অমত! মন্দিরে গাঁটছাড়া বাঁধলেন দুই তরুণী

তৃণমূলের তোপের মুখে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন এদিন তোপ দাগেন, ” পশ্চিবঙ্গে জোট কার্যকরী না হওয়ার জন্য কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী-ই হচ্ছেন কারণ।” ডেরেক আরও বলেন, “ইন্ডিয়া জোট দু’জনকে নিয়ে চিন্তিত। এক, বিজেপি। দুই, অধীর চৌধুরী। মোদী-শাহর কথা শোনা যাচ্ছে অধীর চৌধুরীর গলায়। অধীর চৌধুরী গত ২ বছর ধরে ইডি, সিবিআই নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করে চলেছেন। প্রেস কনফারেন্স করছেন। তাঁর বক্তব্যে শুধুই তৃণমূল বিরোধিতা। জুনে পাটনার বৈঠকের পর ১৮০ দিন অতিবাহিত। আমরা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছি। জোটের সব শর্ত মেনেছি। আসন ভাগাভাগির জন্য তারা ১২ দিন সময় চাইল। আমরা তা-ও দিলাম। এখন ২১০ দিন অতিবাহিত। এরমধ্যে প্রত্যেকদিন অধীর চৌধুরী তৃণমূল ও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে চলেছেন।”

https://x.com/PTI_News/status/1750424405581135887?s=20

যদিও বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার সময় জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এদিন ফের বলেন, “মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সম্মান করি। উনি আমাদের জন্য প্রেরণার স্রোত। ইন্ডিয়া জোটের বড় স্তম্ভ। মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ছাড়া ইন্ডিয়া হতে পারে না।” প্রসঙ্গত, মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, “বাংলায় সব সিটে একাই লড়বে তৃণমূল।” সেই প্রসঙ্গে জয়রাম রমেশ বলেন, “মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সম্মান করি। উনি আমাদের জন্য প্রেরণার স্রোত। ইন্ডিয়া জোটের বড় স্তম্ভ। মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ছাড়া ইন্ডিয়া হতে পারে না। আমি জানি বাংলায় যদি বিজেপিকে হারাতে হয়, তাহলে তৃণমূলের হওয়া অনিবার্য। আর দেশে যদি বিজেপিকে হারাতে হয়, তাহলেও তৃণমূলের থাকা দরকার। আমাদের নেতা খাড়গেজী,সোনিয়া গান্ধীজী,রাহুল গান্ধীজী সবাই ওনাকে সম্মান করে।”

পাশাপাশি জয়রাম রমেশ আরও বলেন, “আর এই যে সিট শেয়ারিং-এর ফর্মুলা চলছে, সেটা নিয়ে কোনও বক্তব্য দেব না। তবে কিছু না কিছু একটা রাস্তা বের করব।” বলেন, “ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি, তার কারণ মমতা বন্দোপাধ্যায় ও আমাদের উদ্দেশ্য একটাই। আর উনি মুখ্যমন্ত্রী, ওনার যদি সময় হয়, তাহলে অবশ্যই যদি আমাদের এই ভারত জোড়ো যাত্রায় আসেন, তাহলে ওনাকে স্বাগত জানাই। এই ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা ওনার বিরুদ্ধে নয়।” প্রসঙ্গত, গতকাল বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ডুমুরজলা হেলিপ্যাডে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় চব্বিশে একলা চলার সাফ বার্তা দিয়ে বলেন, “বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। অল ইন্ডিয়ায় কী করব না করব, সেটা আফটার ইলেকশন ভাবব। বাংলায় জোট নিয়ে আমার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। বাংলায় একা লড়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছি। গোটা দেশে ৩০০ আসনে লড়ুক হাত শিবির।” পাশাপাশি, রাজ্যে ন্যায়যাত্রা প্রসঙ্গেও ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, “বাংলায় যে আসছেন, ইন্ডিয়ার জোট সঙ্গী হিসাবে কি আমাদের জানিয়েছেন যে দিদি আপনার রাজ্যে যাচ্ছি? আমাদের কিছু জানানো হয়নি।”