মুখ্যমন্ত্রীর ধর্নার ৪৮ ঘণ্টা পরেই টাকা পাঠালো কেন্দ্র! কত জেনে নিন?

বকেয়া আদায়ের দাবিতে দু’দিন রেড রোডে বাবাসাহেব আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ধর্না কর্মসূচি শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা মধ্যেই কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পেল রাজ্য। ১০০ দিনের কাজের অর্থ বন্ধ প্রায় দেড় বছর। এ ছাড়াও, আবাস, সড়ক যোজনা-সহ মোট ১০৬টি প্রকল্পে বরাদ্দ বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার, এমনটাই অভিযোগ রাজ্য সরকারের। পাল্টা বিজেপির জবাব, আগে পাওয়া কেন্দ্রীয় সরকারি অর্থের হিসেব দিতে না পারাতেই বরাদ্দ বন্ধ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনও রাজনীতি নেই। এমনই সংঘাতের আবহে একটি প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থ রাজ্যকে দিয়েছে কেন্দ্র।

আরো পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত বাঁকুড়া! বিজেপির বুথ সভাপতিকে কুড়াল দিয়ে কোপ

এই বরাদ্দ এসেছে মিড ডে মিলের জন্য। বরাদ্দ হয়েছে ৬৩৮ কোটি টাকা। যা রাজ্য সরকারের বকেয়ার দাবির কাছে অনেকটাই কম বলে মনে করছে নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্য সরকারের পাওনার পরিমাণ এক লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা। রাজ্যের পাওনার মধ্যেই রয়েছে মিড ডে মিলের বিষয়টিও। নবান্নের একাংশ মনে করছে, গত জানুয়ারি মাসে মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছিল কেন্দ্রীয় সরকারের এক প্রতিনিধিদল। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেই এ বার গত অর্থবর্ষের বকেয়া বরাদ্দ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থ পাঠালেও যে পশ্চিমবঙ্গের মিড ডে মিল পরিষেবা নিয়ে কেন্দ্রীয় নজরদারি চলবে, তা ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্র। কারণ রাজ্যের মিড ডে মিল নিয়ে অডিট চলবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গত মার্চ মাসেই।

মিড ডে মিল নিয়ে বকেয়া বরাদ্দ পাঠালেও, অন্য ক্ষেত্রে বকেয়ার টাকা কবে পাওয়া যাবে তা নিয়ে কোনও সংবাদ নবান্নকে জানায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। এই খাতে রাজ্যের বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। আবার আবাস যোজনায় ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকাও বকেয়া রয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ বকেয়ার বিরুদ্ধেই মুখ্যমন্ত্রী বুধ এবং বৃহস্পতিবার রেড রোডে ধর্না দিয়েছেন। ধর্নার শেষের দিন তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রাজধানী দিল্লিতে গিয়ে ধরনা দেওয়ার। আর সেই হুঁশিয়ারির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অল্প হলেও, রাজ্য পেল তার বকেয়া বরাদ্দের একাংশ।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত বাঁকুড়া! বিজেপির বুথ সভাপতিকে কুড়াল দিয়ে কোপ

পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়া পাত্রসায়ের এলাকা বিজেপির বুথ সভাপতিকে কুড়াল দিয়ে কোপ মারার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বিজেপি নেতা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে। এর পাশাপাশি ওই বিজেপি নেতার পরিবারের অন্যান্য সদস্য মারধর করার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতী ওই শ্যামাপদ বাউরির বাড়িতে চড়াও হয়। এরপরেই তারা লাঠিসোটা, রড, কুড়ুল দিয়ে বিজেপি নেতাকে একের পর এক আক্রমণ করেন। বিজেপির ওই বুথ সভাপতিকে কুড়ুল দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপ মারার পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ব্যাপক মারধর ও বাড়িতে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় বিজেপির বুথ সভাপতিকে প্রথমে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

আরো পড়ুন- মেয়েদের প্রচণ্ড শপিং করার প্রবনতা এক ধরনের মানসিক রোগ! অজানা মানসিক রোগের গল্প অবাক করবে সাধারণ মানুষকে

এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দীবাকর ঘরামি বলেন, ‘বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান তাপস বারির নেতৃত্বে ১০-১২ জন দুষ্কৃতী শ্যামাপদ বাউরিকে মারধোর করেছে। ওই ঘটনা দেখলে শিউরে উঠতে হয়।’ এরপরই তিনি বহুচর্চিত বগটুই কাণ্ড ও লালন শেখের মৃত্যুর উদাহরণ টেনে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘পাত্রসায়র এলাকায় যারা এই ধরণের দুষ্কর্ম করছেন তাঁদের পরিবারের লোকেরা এঁদের শোধরানোর ব্যবস্থা করুন। আর তা না করলে লালন শেখের পরিবারের লোকেদের মতো কান্নাকাটি করতে হবে।’ যদিও এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওরকমভাবেই যুক্ত নয় এমনটাই দাবি তৃণমূলের।

বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত দত্ত জানান, ‘এটা ব্যক্তিগত বিবাদ এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবেই যুক্ত নয়। বিজেপি মিথ্যা প্রচার করছে।’

ট্যাংকারের ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু, রণক্ষেত্র পুরুলিয়া

পুরুলিয়াঃ ট্যাংকারের ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল পুরুলিয়ার (Purulia) মফস্বল থানার চাষ রোড। এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা পুরুলিয়া (Purulia) – রাঁচি ৩২ নম্বর জাতীয় সড়ক (NH32) অবরোধ করে। অবরোধকারীদের দাবি, মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃত ব্যক্তির নাম মনীন্দ্র মাহাত (৪০)। তাঁর বাড়ি পুরুলিয়া মফস্বল থানার সিন্দরি গ্রামে।

মৃত মনীন্দ্র মাহাত এদিন সকালে তাঁর সাইকেল নিয়ে চাষ রোড সংলগ্ন বাজারে এসেছিলেন। পথ দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময়েই একটি ট্যাংকার বেপরোয়া গতিতে এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরেই ক্ষেপে ওঠে স্থানীয় জনতা। জাতীয় সড়ক (NH32) অবরোধ করা হয়। অবরোধের জেরে প্রচুর গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে জাতীয় সড়কে। ঘটনাস্থলে আসে পুরুলিয়ার মফস্বল থানার পুলিশ। আধঘন্টা পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

আরো পড়ুন- কংগ্রেসে ছেড়ে সিপিএমের সদস্য পদ নিন, কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার

মৃতের পরিবারের এক সদস্য প্রদীপ মাহাত বলেন, “মনীন্দ্র মাহাত সম্পর্কে আমার কাকা হন। আমাদের সব সময় কাজের জন্য এই বাজারে আসতে হয়, কাকাও সেই কাজে এসেছিলেন। কিন্তু তার পরিণতি যে এত ভয়াবহ হবে তা কোনোদিন ভাবিনি।” এরপরেই এলাকার ট্রাফিক (Traffic) ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু গাড়িগুলির গতি নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা নেই। পরপর দুর্ঘটনা ঘটে গেলেও পুলিশ প্রশাসনের কোনও হোলদোল নেই যান নিয়ন্ত্রন করার। একটার পর একটা দুর্ঘটনা ঘটে আর পুলিশ এসে শুধুই আশ্বাস দিয়ে চলে যায়।” এদিন পুলিশ আসার আধঘন্টা পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। স্থানীয় মানুষ দুর্ঘটনা রোধ করতে দুর্ঘটনাস্থলে স্পিড ব্রেকার (Speed Breaker) দেওয়ার দাবি করেছেন, কারণ এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে বলে তাঁদের অভিযোগ।

এক বাইকে ১০ জন! দুর্গাপুরে ছোটনের মোটরসাইকেল ঘিরে উৎসাহ

সাধারণ ভাবে একটি মোটরবাইকে (Motor Bike Model) সর্বাধিক দুজন বসতে পারেন, নিদেন পক্ষে তিনজন বসার দৃশ্যও অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু এই বাইকে একসঙ্গে বসেন পারেন ১০ জন ।

আরো পড়ুন- দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে বেজায় ধাক্কা তৃণমূলের, পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদৌ প্রভাব পড়বে?

কোথা থেকে এই অদ্ভুত আইডিয়া?

দুর্গাপুরের গোপালমাঠ এলাকার দুবচুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছোটন। পেশায় তিনি ফুল ব্যবসায়ী। সম্প্রতি সেই ছোটনই তৈরি করেছেন ‘বড় মোটর বাইক’। যাতে বসতে পারবেন অন্তত ১০ জন। নিজের তৈরি সেই মোটর সাইকেল দু’নম্বর জাতীয় সড়কে চালিয়ে সকলকে ইতিমধ্যেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। ওই বাইক চলে ব্যাটারিতে। তাঁর দাবি, এক বার চার্জ দিলে সেই মোটর বাইক চলবে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ। আর এমন যান দামেও সস্তা। ছোটনের বক্তব্য, ওই মোটর সাইকেল তৈরি করতে খরচ হয়েছে মাত্র ১৫ হাজার টাকা।

ছোটনের বক্তব্য, ‘‘আমরা সব বন্ধু মিলে একসঙ্গে ঘুরতে যাব। এমন একটা মোটর বাইক তৈরি করার ইচ্ছা আমার বরাবর ছিল। তখনই এমন বাইক তৈরির কথা আমার মাথায় আসে। সকলের সাহায্যে আমি তৈরি করেছি ওটা।’’ বাইকে রয়েছে ছোট সাউন্ডবক্স, যা মোবাইলের ব্লু টুথ কানেকশনের সঙ্গে জুড়লে বাজবে গানও।

দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে বেজায় ধাক্কা তৃণমূলের, পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদৌ প্রভাব পড়বে?

গ্রাম বাংলায় দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি বেজায় ধাক্কা খাচ্ছে। গ্রামে গ্রামে সাংসদ থেকে বিধায়ক, দলীয় নেতৃত্ব থেকে মন্ত্রীর সামনেই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূতদের। সম্প্রতি একাধিক কর্মসূচি দেখলে মনে হতে পারে সুরক্ষাকবচ ঢিলে পড়েছে। ক্ষোভ-বিক্ষোভ, গ্রামে ঢুকতে বাধা, মন্ত্রীর সামনেই মমতার দূতের গ্রামবাসীকে সপাটে চড় দেখতে পাচ্ছে আমবাঙালি। তবে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদৌ এর কোনও বিরূপ প্রভাব পড়বে? তা কিন্তু লক্ষ টাকার প্রশ্ন।

পূর্ব মেদিনীপুরে দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে বাধা, বীরভূম জেলার দুই তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় ও অসিত মালকে ঘিরে বিক্ষোভ। এই জেলাতেই দলের তরুণতুর্কী নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যকে গ্রামে ঢুকতে বাধা, উত্তর ২৪ পরগনায় খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের সামনেই রাস্তা সারানোর দাবি তোলায় গ্রামবাসীকে চড়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কর্মসূচি ঘিরে একাধিক অস্বস্তিকর ঘটনায় চরম বিভ্রান্তিতে ঘাসফুল শিবির। একদিকে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতিতে প্রাক্তনমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক ব্যক্তি জেলবন্দি, গরুপাচার কাণ্ডে প্রতাপশালী তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল গ্রেফতার। কয়লাপাচার নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্ত করছে। আবাস যোজনায় ভুরি ভুরি তৃণমূল নেতা-নেত্রীর ধনসম্পদ থাকা সত্বেও তালিকায় নাম। নানা ইস্যুতে জেরবারের পর দিদির দূতরা গ্রামে যেতেই নয়া সমস্যা।

আরো পড়ুন- প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে ফাঁসি দিল ইরান

লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের পর কাটমানি প্রসঙ্গে তুলেছিলেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি থেকে পঞ্চায়েতের অনেক কর্তাই গ্রাম ছাড়া হয়েছিলেন। কিন্তু হাতে সময় থাকায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই ক্ষোভ সামলে নেয় তৃণমূল। এবারও রাজ্যের নানা জ্বলন্ত ইস্যুর সময় দিদির দূতরা জনসংযোগ করতে গ্রামে যাচ্ছেন। ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকা সত্বেও কর্মসূচি জারি রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রামবাসীদের প্রতিক্রিয়া যাচাই করে নিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনের সময় হলে সমস্যা বাড়ত। এই ক্ষোভ কতটা নির্বাচনে পড়বে সেটা সব থেকে বড় বিষয়। বিরোধীরা চিৎকার জুড়লেও ভোটবাক্সে কোনও প্রতিক্রিয়া না হলে লাভের লাভের তাদের কিছু হবে না বলেই পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে।

কাটমানির ইস্যুর ধাক্কা পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু সামলাননি, আগের দুবারের থেকে বেশি ভোটে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় বসেছেন। রাজনৈতিক মহল এবার দিদির দূতকে বিক্ষোভ ও কাটমানির সময়কালকে মিলিয়ে দেখছে। পঞ্চায়েত দখলে এই আগাম মানুষের মন বুঝে নেওয়াই তৃণমূল নেত্রীর বিশেষ রণকৌশল বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। অভিজ্ঞ মহলের অভিমত, ভোট ঘোষণার পর এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সামলানো মুশকিল হত। পরিস্থিতি বুঝে নতুন ছক কষার সময় পেল ঘাসফুল শিবির। কাটমানির মতো এই ঝটকা সামলে নেওয়া সম্ভব কিনা সেদিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। বিরোধীরা এই পরিস্থিতি কিভাবে কাজে লাগাবে সেটাও দেখার রয়েছে। তবে এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্য-রাজনীতি পরিস্থিতি যথেষ্ট ঘোরালো হয়ে উঠেছে। শীঘ্রই ময়দানে নেমে হাল ধরতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

ফের বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম, বাড়ল রান্নার গ্যাসের দামও! মধ্যরাত থেকে কার্যকর নতুন দাম

প্রায় তিন মাস পর ফের বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। বাড়ল রান্নার গ্যাসের দামও। সোমবার মধ্যরাত থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে , জানাল পেট্রল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন। পেট্রলের দাম ৮৪ পয়সা বেড়ে দাঁড়াল লিটার প্রতি ১০৫.৫১ টাকা। অন্য দিকে লিটার প্রতি ডিজেলের দাম ৮৩ পয়সা বেড়ে হচ্ছে ৯০.৬২ টাকা। সিলিন্ডার প্রতি রান্নার গ্যাসের দাম ৫০টাকা বেড়ে দাঁড়াল ৯৭৬ টাকা।

আরো পড়ুন- কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে

২৬ দিনে পড়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য রাশিয়ার উপরে পশ্চিমি দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞা বিশ্ব বাজারে তেলের দামকে ১৩৯ ডলারে ঠেলে তুলেছিল। আকাশছোঁয়া অশোধিত তেল বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশ হিসাবে ভারতকে উদ্বেগে রেখেছিল। বিশেষেজ্ঞরা ধরে নিয়েছিলেন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পরই জ্বালানির দাম বাড়ানোর পথে হাঁটবে কেন্দ্র। গত ১০ মার্চ নির্বাচনের ফল বেরনোর পর ভারতের বাজারেও পেট্রল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। অবশেষে সেই পথেই হাঁটল কেন্দ্র।

রবিবার ২০ মার্চ, শিল্পক্ষেত্রে ডিজেলের দাম এক ধাক্কায় লিটারে ২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু পেট্রল পাম্পে ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত ছিল। রবিবার রাজধানী দিল্লিতে পেট্রল পাম্পে এক লিটার ডিজেলের দাম ৮৬ টাকা ৬৭ পয়সা। তবে শিল্পক্ষেত্রে এক লিটার ডিজেলের দাম ১১৫ টাকা। মুম্বইয়ে এই দাম হয়েছে ১২২ টাকা ৫ পয়সা।

বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বাড়ার পরও ২০২১ সালের নভেম্বরের পর সরকার পরিচালিত সংস্থাগুলি পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়ায়নি।

পুরানো সংবাদপত্র দিয়ে খেজুরির যুবক তৈরি করলেন এক অভিনব সংগ্রহশালা

বাংলা হান্ট ডেস্ক;  সংবাদপত্র সমাজ জীবনের দলিল। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে সংবাদপত্র পড়ার রেয়াজ ক্রমশ কমছে। অথচ সংবাদপত্র পড়ার রেওয়াজ একসময় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ছিল। আজ ইন্টারনেটের যুগে আমরা মোবাইল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যমে সংবাদ যতটা সহজে পড়তে পারি, আগে কিন্তু ততটা সহজ ছিল না। দেশ ও বিদেশের সংবাদ পাওয়ার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে বসে থাকতে হত। সাতসকালে সংবাদপত্র পাঠকদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংবাদ কর্মীকে করতে কঠোর পরিশ্রম। আর সেই সংবাদ পড়া হয়ে গেলে সেই সংবাদপত্রের ঠিকানা হত বাড়ির কোন গুরুত্বহীন স্থানে। কিন্তু ফেলে দেওয়ার সংবাদ পত্রের রাশি রাশি তথ্যই ইতিহাস বদলে দেয়। সেই কারণেই পূর্ব মেদিনীপুরে খেজুরির বাসিন্দা ‘মধুসূদন জানা’ পুরোনো খবরের কাগজের নানা কাটিং সংগ্রহ করে তৈরি করেছেন এক সংগ্রহশালা। যার পোশাকি নাম “অমূল্য সম্পদে ভরা খবরের কাগজ”।

এ বিষয়ে যুবকটি বলেন, একজন সাংবাদিক বহু পরিশ্রম করে খবরের সত‍্যতা যাচাই করে খবর সংগ্রহ করে। সেটি বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে প্রিন্ট করে পৌঁছে যায় পাঠক পাঠিকাদের হাতে। সকালে সযত্নে গ্রহন করার পর পরেরদিন সকালে পৌঁছে যায় ডাস্টবিনে। এমন কি খবর কাগজ বিছিয়ে বসা,কাঁচ পরিষ্কার,বোতল পরিষ্কার,ঢোঙা,খাওয়ার টেবিলে বিছানো,দেওয়ালে মাড়ানো। বিভিন্ন কাজে ব‍্যবহার করা হয়। বলা যায়, শিক্ষা সংস্কৃতির মেরুদন্ড হল এই খবরের কাগজ। সেই মূল‍্যহীন কাগজের মধ্যে যে অমূল্য সম্পদ ভরা রয়েছে সেই তথ‍্য গুলি তুলে ধরতে চেয়েছি জনসমক্ষে। খবর কাগজের মধ্যে যে সব তথ‍্য থাকে তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝা যায় সংরক্ষণের মাধ্যমে। এই সংরক্ষণ নিয়ে একটি প্রোজেক্ট তৈরি করেছি দীর্ঘ ৭ বছর ধরে। প্রোজেক্টির নাম “অমূল‍্য সম্পদে ভরা খবরের কাগজ”।

তিনি আরো জানান, “আমার প্রোজেক্টির মূল উদ্দেশ্য, সংবাদের মূল‍্য, সাংবাদিকের মূল‍্য এবং সর্বোপরি খবর কাগজের মূল‍্য সমাজের কাছে বোঝানোর করেছি, যে পত্র পত্রিকার ভিতরে কী অসীম ক্ষমতা সম্পন্ন তথ‍্যচিএ লুকানো থাকে। আমার প্রোজেক্টে বহু পুরোনো প্রায় ৭০_৮০ বছরের খবর কাগজের তথ‍্যচিত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। ৫২ রকমের পত্র পত্রিকার সংবাদ সংগ্রহ করেছি। শুধু তাই নয় ১০ টি ভাষায় পত্র পত্রিকার উপর কাজ করেছি। যে সমস্ত তথ‍্যচিত্র সংগ্রহ করা হয়েছে তার মধ‍্যে কয়েকটি হল
১. জওহরলাল নেহেরুর প্রথম পতকা উত্তলোনের তথ‍্যচিত্র।
২. মহাত্মা গান্ধীর শেষ অনশন ও অসহযোগ আন্দোলনের বৈঠকের তথ‍্যচিত্র ।
৩. ১৮৭৪ সালে কলকাতা দৃশ‍্যের তথ‍্যচিত্র।
৪. কলকাতাতে যেদিন প্রথম ট্রাম চলে তার তথ‍্যচিত্র।
৫. ১৯৫০ সালে প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবেসর তথ‍্যচিত্র।
৬. ক্ষুদিরামের ফাঁসির স্থলের তথ‍্যচিত্র।
৭. ১৯১২ সালে টাইটানিক দৃশ‍্যের তথ‍্যচিত্র।
৮. মাদার টেরিজা যেদিন মারা যায় তার তথ‍্যচিত্র।
৯. প্রথম কার্গিল যুদ্ধ ও প্রথম বিধবা বিবাহের তথ‍্যচিএ।
১০. ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপ,পুলওয়ামা অ‍্যাটাক,নোট বাতিল,ভুজের ভূমিকম্প,বুলবুল, আমফান ইত‍্যাদি।এই রকমের ৯০০টি প্রমাণ পত্র সংরক্ষণ করছি। B4 সাইজের কাগজের উপর খবর কাগজ মাড়িয়ে ল‍্যামিনেশান করেছি।”