Ration Scam: বালুর রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশে পৌঁছে দিত শাহজাহান

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তিন দিন পার হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনো রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) অন্যতম অভিযুক্ত শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করতে পারেনি ইডি। ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে শঙ্কর আঢ্যর মতই গুরুত্ব শাহজাহান শেখ। কারণ তাঁর হাত থেকেই রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়। জেলবন্দি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ট ছিলেন তিনি।

ইডি সূত্রের খবর, শাহজাহান রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে পৌঁছে দিত। মন্ত্রীর টাকা তিনি সরাসরি বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থায় নিয়োগ করতেন।যদিও শঙ্কর আঢ্যর মত তার ফরেক্স কোম্পানি তৈরির প্রয়োজন হয়নি। খুব সহজে শাহজাহান বাংলাদেশে নিয়ে গিয়ে মন্ত্রীর কালো টাকা সাদা করে ফেলতে পারতেন। সূত্রের খবর ইডি শাহজাহানের বিরুদ্ধে পার্ক অ্যান্ড লন্ডারের অভিযোগ করেছে। এর অর্থ শাহজাহান কালো টাকা উপযুক্ত ঠিকানায় পৌঁছে দিত। বালুর টাকা শাহজাহান জলপথে না স্থলপথে পাচার করেছে তাও খতিয়ে দেখছে ইডি।

আরো পড়ুন- বালুর হাত ধরেই হাতেখড়ি! বনগাঁর ত্রাস শঙ্কর আঢ্যর উত্থান যেন সিনেমাকেও হারমানায়

ইডি সূত্রের খবর, ‘মেয়েকে লেখা’ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিঠি থেকেই সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহানের নাম তারা জানতে পেরেছে। তারপর থেকেই শাহজাহানকে নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। শাহজাহান সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য হাতে পাওয়ার পরই সন্দেশখালিতে তার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ওপর চড়াও হয় শাহজাহানের অনুগামীরা। মাথা ফাটে ইডি আধিকারিকের। তারপর থেকেই নিখোঁজ শাহজাহান।

এই শাহজাহান এবং শঙ্কর দু’জনেই জ্যোতিপ্রিয়কে সমান ভাবে সাহায্য করেছেন বলে অনুমান করছেন গোয়েন্দারা। হয়তো তাই শঙ্কর ধরা পড়ার পর প্রমাণ লোপাট করতে নিজের পাঁচটি মোবাইল নষ্ট করেছেন শাহজাহান। এমনকি, নিজের প্রভাব খাটিয়ে বাংলাদেশেও আশ্রয় নিয়েছেন বলে সন্দেহ ইডি গোয়েন্দাদের। যদিও অন্য একটি সূত্র বলছে, শাহজাহান এখনও এ দেশেই আছেন। সীমান্ত লাগোয়া কোনও স্থানে আত্মগোপন করে রয়েছেন।

Ration Scam: বালুর হাত ধরেই হাতেখড়ি! বনগাঁর ত্রাস শঙ্কর আঢ্যর উত্থান যেন সিনেমাকেও হারমানায়

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শঙ্কর। বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তিনি। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকে ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। স্থানীয়দের কথায়, তৃণমূল এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে শঙ্করের দাপট ক্রমশ বাড়তে থাকে।

জতিপ্রিয়র হাত ধরেই রাজনীতির ময়দানে আসেন শঙ্কর। ২০০৫ সালে তিনি প্রথমবার পুরসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই জয়ী হয়েছিলেন তিনি। এদিকে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে কার্যত আঙুল ফুলে কলাগাছ হতে শুরু করে।

বালুর ছত্রছায়াতেই উল্কার গতিতে বনগাঁ শহরে উত্থান ঘটে শঙ্করের। একের পর এক সংগঠনের শীর্ষস্থানে উঠে যান শঙ্কর। বনগাঁ রেডক্রশ সোসাইটি, বনগাঁ মহকুমার ক্রীড়া সংস্থা, ব্য়বসায়ী সংগঠনের শীর্ষপদে চলে যান তিনি। এলাকায় মানুষ ডাকু নামেই চিনতেন শঙ্করকে।

আরো পড়ুন-  আমেরিকায় হিন্দু মন্দিরে হামলা! ‘মোদি একজন জঙ্গি’ দেওয়ালে লিখলেন খালিস্তানি সন্ত্রাসীরা

জ্যোতিপ্রিয়র চিঠিতে শঙ্করের নাম! বনগাঁ জুড়ে শঙ্করের দাপট ছিল প্রশ্নাতীত। বনগাঁয় শঙ্করের একাধিক ব্যবসাও রয়েছে। কলকাতা, বনগাঁ ও পেট্রাপোল সীমান্তে তাঁর বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের অফিস রয়েছে। সেই সংস্থার মাধ্যমেই বালুর টাকা ডলারে কনভার্ট করে বিদেশে পাচার করা হয় বলে দাবি ইডির। বিরোধীদের অভিযোগ, একসময় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ধুর সিন্ডিকেট চালাতেন শঙ্কর। বনগাঁ এবং বাগদায় তাঁর সোনার দোকানও রয়েছে। বনগাঁ শহরে রয়েছে হোটেলও। এর বাইরেও বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্যর বিপুল সম্পত্তি রয়েছে।

পাশাপাশি একাধিক খুনের ঘটনাতেও নাম জড়িয়েছিল দাপুটে নেতার। বনগাঁর বেতাজ বাদশা সেই শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতেই শুক্রবার সকালে হানা দেয় ইডি। শেষে গভীর রাতে শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি। এই শঙ্কর আঢ্যর দিঘায় থ্রি স্টার হোটেল রয়েছে ৷ বনগাঁর খেদাপাড়ায় প্রায় ১০ কোটি টাকা দিয়ে শঙ্কর আঢ্য বাবা হারাধন আঢ্যের নামে হারাধন আঢ্য মেমরিয়াল ইংলিস মিডিয়াম স্কুলও গড়েছে ৷ বনগাঁর বাজার এলাকায় রয়েছে হারাধন আঢ্যর নামে মার্কেট ৷ বনগাঁ থানার সামনে রয়েছে পুল সাইড ইন হোটেল কাম রেস্টুরেন্ট যা পুরসভার ও পূর্ত দফতরের জায়গায় বলে অভিযোগ। শিমুলতলা ও মতিগঞ্জে রয়েছে তিনটি বাড়ি। এছাড়া কলকাতায় ফ্ল্যাট রয়েছে। আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে বিদেশের মাটি দুবাইতেও।

বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের একাধিক সংগঠনেরও মাথায় ছিলেন শঙ্কর। তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যও বনগাঁ পুরসভার চেয়ারপার্সন ছিলেন। বর্তমানে তিনি পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ থেকেই প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন শঙ্কর। কিন্তু দল তাঁকে প্রার্থী না করায়, ভোটের প্রচার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন শঙ্কর। যে কারণে রাজ্যজুড়ে প্রবল তৃণমূল হাওয়াতেও গোষ্ঠীকোন্দলে দীর্ণ বনগাঁয় সবকটি আসনে হারতে হয় দলকে। এরপরই দলের ভিতরে ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়েন শঙ্কর। দলের সব পদ থেকেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Ration Scam Update: ২ হাজার কোটি টাকা দুবাইয়ে পাচার! ১৪ দিন ইডির হেফাজতে শঙ্কর আঢ্য

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রেশন দুর্নীতির তদন্তে (Ration Scam Update) একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য ইডির হাতে । তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এখানেই শেষ নয় ইডির আরও দাবি, বনগাঁ পুসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যর সংস্থার মাধ্যমে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা দুবাই এবং বাংলাদেশে পাচার করা হয়েছে। শঙ্কর আঢ্যর সংস্থার মাধ্যমেই ওই বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার করা হয় বলে দাবি ইডি-র। রেশন দুর্নীতিতে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিঠি থেকেই শঙ্করের নাম সামনে আসে বলে জানিয়েছে ইডি।

ইডির দাবি, “ফরেন কারেন্সি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাঠানো হত। এমন বেশ কিছু সংস্থা রয়েছে শঙ্করের নামে। শঙ্করের পরিচিতি অন্তত এমন ৯০টি কোম্পানি রয়েছে টাকা পরিবর্তন করার জন্য। বর্ডার এলাকায় ওই কোম্পানি চালানো হতো বলে দাবি। এমনকী এই টাকা দুবাইতেও পাঠানো হত।”

আদালতে ইডি দাবি করেছে, “অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা এই সব সংস্থা মারফত বিদেশে পাঠানো হয়েছে। ২ হাজার কোটি টাকা বেআইনি খাদান মালিক ও মাফিয়াদের হাতে রয়েছে। ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। দুবাই এবং বাংলাদেশে বেশিরভাগ টাকা পাঠানো হত।”

আরো পড়ুন- ইতিহাস গড়ল ইসরো! সূর্যের কাছে কক্ষপথে ঢুকে পড়ল ভারতের প্রথম সৌরযান Aditya-L1

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দিনভর তল্লাশির পর রেশন বণ্টন দুর্নীতি কাণ্ডে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি। বনগাঁর এই দাপুটে তৃণমূল নেতাকে নিয়ে ইডি আধিকারিকরা গভীর রাতে তাঁর বাড়ি থেকে বেরনোর সময় ইডি অফিসারদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে জনতার একাংশ। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় সিআরপিএফ জওয়ানরা। রাতেই শঙ্কর আঢ্যকে নিয়ে কলকাতায় রওনা দেন ইডি কর্তারা। শনিবার আদালতে তোলা হলে তাকে ১৪ দিন ইডির হেফাজত দেয় আদালত।

উল্লেখ্য, জতিপ্রিয়র হাত ধরেই একসময় রাজনীতির ময়দানে আসেন শংকর। ২০০৫ সালে প্রথমবার বনগাঁ পুরসভার কাউন্সিলর হন। পরে চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন তিনি। বালুর ছত্রছায়াতেই উল্কার গতিতে বনগাঁ শহরে উত্থান ঘটে শঙ্করের। জ্যোতিপ্রিয়র চিঠিতে শঙ্করের নাম! বনগাঁ জুড়ে শঙ্করের দাপট ছিল প্রশ্নাতীত। শঙ্করের একাধিক ব্যবসাও রয়েছে। কলকাতা, বনগাঁ ও পেট্রাপোল সীমান্তে তাঁর বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের অফিস রয়েছে। সেই সংস্থার মাধ্যমেই বালুর টাকা ডলারে কনভার্ট করে বিদেশে পাচার করা হয় বলে দাবি ইডির। বিরোধীদের অভিযোগ, একসময় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ধুর সিন্ডিকেট চালাতেন শঙ্কর। বনগাঁ এবং বাগদায় তাঁর সোনার দোকানও রয়েছে। বনগাঁ শহরে রয়েছে হোটেলও। এর বাইরেও বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্যর বিপুল সম্পত্তি রয়েছে।

পাশাপাশি একাধিক খুনের ঘটনাতেও নাম জড়িয়েছিল দাপুটে নেতার। বনগাঁর বেতাজ বাদশা সেই শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতেই গতকাল সকালে হানা দেয় ইডি। শেষে গভীর রাতে শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি। এই শঙ্কর আঢ্যর দিঘায় থ্রি স্টার হোটেল রয়েছে ৷ বনগাঁর খেদাপাড়ায় প্রায় ১০ কোটি টাকা দিয়ে শঙ্কর আঢ্য বাবা হারাধন আঢ্যের নামে হারাধন আঢ্য মেমরিয়াল ইংলিস মিডিয়াম স্কুলও গড়েছে ৷ বনগাঁর বাজার এলাকায় রয়েছে হারাধন আঢ্যর নামে মার্কেট ৷ বনগাঁ থানার সামনে রয়েছে পুল সাইড ইন হোটেল কাম রেস্টুরেন্ট যা পুরসভার ও পূর্ত দফতরের জায়গায় বলে অভিযোগ। শিমুলতলা ও মতিগঞ্জে রয়েছে তিনটি বাড়ি। এছাড়া কলকাতায় ফ্ল্যাট রয়েছে। আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে বিদেশের মাটি দুবাইতেও।

বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের একাধিক সংগঠনেরও মাথায় ছিলেন শঙ্কর। তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যও বনগাঁ পুরসভার চেয়ারপার্সন ছিলেন। বর্তমানে তিনি পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ থেকেই প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন শঙ্কর। কিন্তু দল তাঁকে প্রার্থী না করায়, ভোটের প্রচার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন শঙ্কর। যে কারণে রাজ্যজুড়ে প্রবল তৃণমূল হাওয়াতেও গোষ্ঠীকোন্দলে দীর্ণ বনগাঁয় সবকটি আসনে হারতে হয় দলকে। এরপরই দলের ভিতরে ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়েন শঙ্কর। দলের সব পদ থেকেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

ডিভোর্স দিতে না চাওয়ায় নিজেদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার চাপ স্বামীর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী পরকীয়া আসক্ত ছিলেন। স্ত্রীকে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা জানালে কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না মহিলা। তাই তাঁকে বিবাহ বিচ্ছেদ দিতে বাধ্য করার জন্য নিজেদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখাতে শুরু করলেন স্বামী।

ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেলাগাভি এলাকায়। এখানকার ৪৫ বছর বয়সি কিরণ পাতিল নামের ওই ব্যক্তি বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই অন্য এক মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী তাঁকে বিবাহ বিচ্ছেদ দিচ্ছেন না বলে গোপন মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছেন কিরণ। শুধু তাইই নয়। স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করা, এমনকি রাস্তাঘাটে, কর্মক্ষেত্রে গিয়েও স্ত্রীকে নাজেহাল করার কাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

অবশেষে নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। তাঁর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ কিরণ পাতিলকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন অভিযুক্ত ব্যক্তির ফোনে তাঁর স্ত্রীয়ের ঘনিষ্ঠ ও গোপন মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিয়ো দেখতে পান বেলাগাভি থানার সাইবার অপরাধদমন বিভাগের তদন্তকারীরা । ধরার পড়েই প্রথমে থানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কিরণ। পরে বিষাক্ত কিছু খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টাও করেন। তবে, সেই সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয়। চিকিৎসার জন্য তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন- পাব মানেই কি উদ্যম নাচ সাথে পানীয় এবং মিউজিক? সত্যিকারের পাব অর্থে কি বোঝায়? কবে শুরু হল এই সংস্কৃতি?

অঙ্গনওয়াড়ির খিচুড়িতে আস্ত ইঁদুর! চাঞ্চল্য নলহাটিতে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ খিচুড়িতে আস্ত ইঁদুর! তাও আবার সেদ্ধ করা অবস্থায়! সেই খিঁচুড়ি খেয়ে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। ঘটনাটি বীরভূমের নলহাটির কুরুমগ্রামের মহিষপাড়া ৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।

শনিবার সকালে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে ৭৩ জন শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাকে খিচুড়ি পরিবেশন করা হয়। সেই খিচুড়ি খাওয়ার সময় তাতে কেউ ইঁদুরের পা, কেউ ইঁদুরের দেহাংশ দেখতে পান, সেদ্ধ অবস্থায়। অর্থাৎ, পরিবেশনের সময় ইঁদুর পড়েছে এমন নয়। এরপরেই সকলের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা।

জগদ্দলে ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় গ্রেফতার অর্জুন সিং এর ভাইপো

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জগদ্দলে তৃণমূল কর্মীর ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এর ভাইপো। পুলিশের প্রার্থী অনুমান এই খুনের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত অর্জুন সিং এর ভাইপো সঞ্জিত সিং ওরফে পাপ্পু সিং।

গত ২২ নভেম্বর দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করে ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে। সেই খুনের ঘটনায় কয়েকজনকে আগেই গ্রেফতার করেছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের গোয়েন্দা বিভাগ ও জগদ্দল থানার পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ( Arjun Singh) আত্মীয় পাপ্পু সিংকে মূল চক্রী বলে দাবি করেছিলেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। এর জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। তৃ়নমূল বিধায়ক বনাম তৃণমূল সাংসদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এসেছিল প্রকাশ্যে।

আরো পড়ুন- ১ জানুয়ারি থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪% ডিএ! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

গত ২২ নভেম্বর দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব (Jagaddal Vicky Yadav Murder)। জগদ্দলের বিধায়ক সরাসরি দলীয় সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ভাইপোর বিরুদ্ধে ভিকিকে খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন। তাকেই গ্রেফতার করায় উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তীব্র চাঞ্চল্য। পাপ্পুর আইনজীবী জানান যে অন্য একটি মামলায় তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান আধিকারিকরা। তিনি অভিযোগ করেন যে এরপর পুলিশ তাঁর মক্কেলকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করেছে।

ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে বিহারের গরু পাচারের তথ্য পুলিশের হাতে আসে। একাধকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এখনও অনেকেই রয়েছেন পুলিশের নজরে। ডেকে পাঠানো হয় ২২ বছরের হরেরাম সাউকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির ভিতর থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হয় হরেরামের দেহ। এরপর আজ গ্রেফতার হল অর্জুন সিংয়ের ভাইপো। তবে এখনও পর্যন্ত অর্জুন সিংয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

১ জানুয়ারি থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪% ডিএ! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কর্মচারীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখল সরকার। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য আরও ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ জানুয়ারি থেকেই বর্ধিতহারে ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীরা। এখন থেকে মোট ১০ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন রাজ্যের ১৪ লক্ষ সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগী।

এদিন বিকেলে পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে বড়দিনের উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আরও ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য সরকার। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘এর আগে আমরা ১২৫ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছিলাম। তার পর পে কমিশন হয়েছে। চার রকমের পে স্কেল রয়েছে এখন। নতুন পে স্কেলে ৬ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা ইতিমধ্যে দেওয়া হচ্ছে। আজ বড়দিনের বিকেলে ঘোষণা করছি যে ৪ শতাংশ হারে আরও এক কিস্তি ডিএ ১ জানুয়ারি থেকে দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারি কর্মচারী, অধিনস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, স্কুল কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী মিলিয়ে ১৫ লক্ষ কর্মচারী এর সুবিধা পাবেন।’

এই বৃদ্ধির পরও রাজ্যের ডিএ-এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ডিএ-এর ৩৬ শতাংশ পার্থক্য থাকছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বর্ধিত ডিএ-অর দাবিতে আন্দোলনরত সংগ্রামী যৌথমঞ্চের পদাধিকারীরা। এক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষেত্রে ডিএ বাধ্যতামূলক। কিন্তু রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে তা নয়। রাজ্যে ডিএ ঐচ্ছিক।’

আরো পড়ুন- জগদ্দলে ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় গ্রেফতার অর্জুন সিং এর ভাইপো

,বড়দিনের আগে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণাকে রাজ্যসরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের কাছে তাঁর সরকারের ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার গিফট’ বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ফলে সরকারের ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণায় মোটেই খুশি নয় বর্ধিত ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। এই মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেছেন, ‘আমরা ১০ শতাংশ ডিএ-তে খুশি নই। ডিএ সরকারি কর্মীদের হকের দাবি। আমরা আমাদের দাবি আন্দোলন ও আদালতের নির্দেশে আদায় করেই ছাড়ব।

মনে রাখতে হবে, এরপরও ১লা জানুয়ারি থেকে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের থেকে কেন্দ্রের সরকারী কর্মীরা ৩৬ শতাংশ বেশি ডিএ পাবেন। আমাদের দাবি কেন্দ্রীয়হারে ডিএ।’ যৌথমঞ্চের নেতা রাজীব দত্ত বলেন, ‘ব‍্যবধানটা ৪০ শতাংশের, উনি ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করছেন। মাননীয়া মুখ‍্যমন্ত্রীকে বলি এককের ঘরে শূন‍্যটা কোথায়? আপনি তো ট্রেডমিলে বাজেট কষেন। শূন‍্যটাকে বামদিকে না বসিয়ে চার এর ডান দিকে বসান। আমরা কিন্তু ভিক্ষা চাইছি না।’

রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এভাবে নিজের ইচ্ছা মত ডিএ বৃদ্ধির ঘোষমা করতে পারেন না। এটা নিয়ম নয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে সরকার। সেটা এখনও হয়নি। ডিএ নির্ধারিত হয় নির্দিষ্ট নিয়মের ভিত্তিতে। সেসব মানা হল না। আমরা ১০ শতাংশ হারে ডিএ মানছি না। কেন্দ্রীয়হারে ডিএ-এর দাবিতে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন চলবে।’

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের রাজ্যের আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা আবেদন করেছিলাম। তিনি সাড়া দিয়েছেন। যার জন্য সকল সরকারি কর্মচারীর মুখে হাসি ফুটেছে। মুখ্যমন্ত্রী সবসময় সরকারি কর্মীদের কথা ভাবেন এবং তাঁদের মঙ্গলের জন্য কাজ করেন।’

বর্ধমান স্টেশনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল জলের ট্যাঙ্ক

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বর্ধমান স্টেশনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! দুপুর ১২.৩০ নাগাদ উঁচু থেকে ভেঙে পড়ে একটি জলের ট্যাঙ্ক। প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্য সূত্রের দাবি ইতিমধ্যেই তিন জনের প্রাণ হারানোর খবর ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। আহতের সংখ্যাও অন্তত ২৭ জন। যদিও রেল কর্তৃপক্ষের তরফে কেবল বেশ অনেক জনের আহত হওয়ার খবর জানানো হয়েছে। এদিকে, এই দুর্ঘটনার জেরে প্রভাব পড়ে ট্রেন চলাচলে। প্ল্যাটফর্ম নম্বর ১,২,৩ এ ট্রেন চলাচল স্তব্ধ রাখা হয়েছে। আহতের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানায় রেল। ঘটনার জেরে ব্যাপক ত্রস্ত স্টেশন চত্বরে থাকা মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বর্ধমান স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে যে জলের ট্যাঙ্কটি ছিল, আচমকাই তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। কী করে ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ল, তা এখনও পরিষ্কার নয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, তিন জনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন।

যদিও রেল কতৃপক্ষের তরফে যাত্রীর মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হয় নি। স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ দুই এবং তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝখানে একটি ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। সেই সময় দু’টি প্ল্যাটফর্মেই গাদাগাদি ভিড়।

আচমকা ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ায় মুহূর্তে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। জানা যাচ্ছে, ওই প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের বসার একটি শেড ছিল। ট্যাঙ্কটি সেই শেডের উপর পড়ে যায়। তাতেই বিপত্তি।এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তাঁরা সবাই প্ল্যাটফর্মে কাছে শেডের নীচে বসেছিলেন। সেই সময় আচমকাই বিকট শব্দে শেডের উপর ভেঙে পড়ে জলের ট্যাঙ্কটি। তাঁরা যে দিকে পারেন, ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন।

প্রচণ্ড হুড়োহুড়ির মধ্যে কয়েক জনকে মাটিতে পড়ে যেতেও দেখেন তিনি। তাঁর দাবি, হুড়োহুড়িতে বহু লোক আহত হয়েছেন। এর আগে ২০২০ সালে এই বর্ধমান রেলস্টেশনেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল একটি পুরনো বারান্দা। এতে দু’জন আহত হয়েছিলেন। কিন্তু আবার এই ঘটনার পর স্টেশনের সামগ্রিক রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল।

Breaking: সাতসকালে পার্থ ঘনিষ্ঠ TMC কাউন্সিলরের বাড়িতে সিবিআই হানা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ফের সক্রিয় সিবিআই। সাতসকালে TMC কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্তর বাড়িতে হাজির সিবিআইয়ের ৪ অফিসার। কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক পদেও রয়েছেন। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিতি রয়েছে বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর।

সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পর থেকেই রেডারে ছিলেন বাপ্পা। পার্থর সঙ্গে একইসঙ্গে চাকরি দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্ত। সিবিআই অফিসাররা অনেকক্ষণ বাপ্পার বাড়ির গেটে দাঁড়িয়ে থাকার পর শেষপর্যন্ত ভেতরে ঢুকতে সমর্থ হন।

এদিন সকালে পাটুলিতে তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে বেল বাজিয়ে, পরিচয় দেওয়ার পরেও, প্রায় ১৮ মিনিট বাড়ির বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় সিবিআই অফিসারদের। এর মধ্যে পাশের বাড়ির ছাদে উঠে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এরপর বাপ্পাদিত্য নিজেই এসে গেট খুলে সিবিআই অফিসারদের ভিতরে নিয়ে যান। তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়ি ছাড়াও আরও বেশকিছু জায়গায় তল্লাশি চলছে বলে খবর সিবিআই সূত্রে। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ এবং কোচবিহারের বেশ কিছু জায়গায় সিবিআই তল্লাশি চলছে।

এবার রাজারহাটে বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতেও সিবিআই হানা। তেঘরিয়ায় দেবরাজের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই। সিবিআই আধিকারিকদের আসার খবর শুনে বাড়িতে এলেন যুব তৃণমূলের দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হানা বলে সূত্রের খবর। দেবরাজ চক্রবর্তী বিধাননগর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। এরই সঙ্গে ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতেও হানা দিয়েছে সিবিআই। সেখানেও শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে নজরে ডোমকল পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান।

Subroto Roy: প্রয়াত সাহারা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সুব্রত রায়! দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন মারণরোগে

বাংলাহান্ট ডেক্সঃ প্রয়াত সাহারা ইন্ডিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সুব্রত রায় (Subroto Roy) । মঙ্গলবার রাতে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন অম্বানি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৷ দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যানসার-সহ একাধিক রোগে ভুগছিলেন ৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 75 বছর ৷ সাহারা গ্রুপের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রবিবার সুব্রত রায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কোকিলাবেন ধীরুবাই অম্বানি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ এরপর, মঙ্গলবার 10.30 টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ এর সঙ্গে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও ছিল ৷

ঢাকে পড়ল কাঠি, জমজমাট খুঁটিপুজো করল কাঁচরাপাড়া কালিনগর রোড আমরা সবাই ক্লাব

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঢাকে কাঠি পরে গেল! বেজে গেল পুজোর বাদ্যি! খুঁটি পুজোর মধ্যে দিয়ে শুরু হল কাঁচরাপাড়া কালিনগর রোড আমরা সবাই ক্লাবের (Kalinagar road Amra Sabai club) পুজো প্রস্তুতি। হাতে গুনে বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। এরপরই শুরু হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো (durga puja)।

কাঁচরাপাড়া শহরের যে কটি বারোয়ারি দুর্গাপুজো ঘিরে দর্শকদের উৎসাহ তুঙ্গে থাকে সেগুলির মধ্যে অন্যতম কালিনগর রোড আমরা সবাই ক্লাব । এবছর কালিনগর রোড আমরা সবাই ক্লাবের দুর্গাপুজো ৪৯ তম বর্ষে পদার্পণ করল। আজ রবিবার ২০ই আগস্ট ধুমধাম করে খুঁটি পুজোর পর্বটা সেরে নিলেন কালিনগর রোড আমরা সবাই ক্লাবের কর্মকর্তারা।

পুজো ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। ৬২ দিনের সামান্য বেশি বাকি। এবারও কালিনগর রোড আমরা সবাই ক্লাবের দুর্গাপুজো নজর কাড়বে বলেই জানিয়েছেন পুজোর উদ্যোক্তারা।

এদিনের এই খুঁটি পূজোর অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন, কাঁচরাপাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শর্মিষ্ঠা মজুমদার। কাঁচরাপাড়া ব্যাবসায়ি সমিতির ১ নম্বর ইউনিটের সেক্রেটারি তথা আমরা সবাই ক্লাবের সভাপতি কানাইলাল মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন পূজো কমিটির কার্যকারী সভাপতি রামজিৎ দাস, পুজো কমিটির সম্পাদক প্রশান্ত দে । এছাড়াও এদিনের এই খুঁটি পূজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা।

এই দূর্গা পুজোর আরেক উদ্যোক্তা ভোলা মজুমদার বলেন, এবছর কালিনগর রোড আমরা সবাই ক্লাবের দুর্গোৎসব ৪৯ তম বর্ষে পদার্পণ করল। লাইট এবং সাউন্ডের মাধ্যমে কেদারনাথ মন্দিরের আদলে তৈরি হবে মন্ডপ। এছাড়াও বিশেষ চমক থাকছে মাতৃ প্রতিমায়। সম্পূর্ণ পাট কাঠি এবং পাটের সুতো দিয়ে তৈরি হবে মাতৃপ্রতিমার গয়না। এ বছর দর্শনার্থীদের প্রচুর ভিড় হবে বলে আশাবাদী ভোলা বাবু।

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় তৃণমূলের ধরনা, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে জেলায় জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি ও আন্দোলনের সুর বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শাসকদল তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা এবং রাজ্যকে ১০০ দিনের টাকা না দেওয়ার প্রতিবাদে দুপুর ১২টা থেকে অবস্থানে বসেছে শাসক শিবির ৷ প্রতিবাদ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৷

কলকাতা সহ রাজ্যের সব জেলাতেই অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২১-র মঞ্চ থেকে ৫ অগাস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞায় সেটা করা সম্ভব হয়নি। তারপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যা ৮ তারিখ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন- চাঁদের কক্ষপথে চন্দ্রযান-৩, গন্তব্যে পৌঁছাতে আর ক’টি ধাপ বাকি

এদিন বিজপুরে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন বিধায়ক সুবোধ অধিকারী ৷ ডানলপের প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় ৷ কামারহাটিতে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছেন বিধায়ক মদন মিত্র। পাশাপাশি, সাড়ে 12টা থেকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম অহীন্দ্র মঞ্চের সামনে ধরনায় বসেছেন ৷ ট্রাঙ্গুলার পার্কে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতি ও বিধায়ক দেবাশিস কুমার । টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপোর বিক্ষোভে আছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস । শ্যামপুকুরে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ধরনায় বসেছেন মন্ত্রী শশী পাঁজাও ৷

কলকাতার মতো একই ছবি দেখা গিয়েছে জেলাতেও ৷ জেলার ক্ষেত্রে বিধায়করা এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন ৷ বাদ যায়নি সাংসদরাও ৷ ব্যারাকপুরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন সাংসদ অর্জুন সিং ৷ যেসব তৃণমূল সাংসদরা কলকাতায় রয়েছেন তাঁরাও রবিবারের অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন ৷ শাসকদলের লক্ষ্য, মানুষের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজ্যের প্রতি বঞ্চনাকে তুলে ধরা ।

ব্যারাকপুরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন সাংসদ অর্জুন সিং

হাওড়ায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে ধর্নায় বসেছেন মন্ত্রী অরূপ রায়। বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে মধ্য হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আজ বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত হাওড়া ময়দান মেট্রো চ্যানেলের সামনে “ধর্নামঞ্চ” তৈরি করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে তৃণমূল। উপস্থিত রয়েছেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, তৃণমূল নেতা মদন মোহন ব্যানার্জি, শ্যামল মিত্র, মৃণাল দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আরো পড়ুন- কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূলের ধর্নামঞ্চে বিজেপি বিধায়ক

গোটা রাজ্যের পাশাপাশি দার্জিলিং জেলা জুরেও বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। মুলত দার্জিলিং জেলার ধর্ণামঞ্চগুলি হল, নক্সালবাড়ি ব্লকের বাগডোগরা, পানিঘাটা মোড়, ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ফাঁসিদেওয়া থানা মোড়, মিজবাড়িগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাটিগাড়ার স্বামী বিবেকানন্দ মোড়ের কাছে, ও বারসানা হোটেলের সামনে, খড়িবাড়ির সবুজ সংঘ ক্লাবের সামনে ও শিলিগুড়ির ঋষি ভবনের কাছে, ভারত নগর কালি মন্দিরের কাছে ও ঘোগোমালি মোড়ে ধর্ণা মঞ্চের আয়োজন করা হয়েছে। মঞ্চগুলিতে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বদের পাশাাপশি উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল কর্মীরাও। জানা গিয়েছে কয়েকটি মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, জেলা সভানেত্রী পাপিয়া , ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার সহ চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তী সহ বিভিন্ন তৃণমূল কাউন্সিলররা।