১ জানুয়ারি থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪% ডিএ! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কর্মচারীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখল সরকার। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য আরও ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ জানুয়ারি থেকেই বর্ধিতহারে ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীরা। এখন থেকে মোট ১০ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন রাজ্যের ১৪ লক্ষ সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগী।

এদিন বিকেলে পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে বড়দিনের উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আরও ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য সরকার। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘এর আগে আমরা ১২৫ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছিলাম। তার পর পে কমিশন হয়েছে। চার রকমের পে স্কেল রয়েছে এখন। নতুন পে স্কেলে ৬ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা ইতিমধ্যে দেওয়া হচ্ছে। আজ বড়দিনের বিকেলে ঘোষণা করছি যে ৪ শতাংশ হারে আরও এক কিস্তি ডিএ ১ জানুয়ারি থেকে দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারি কর্মচারী, অধিনস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, স্কুল কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী মিলিয়ে ১৫ লক্ষ কর্মচারী এর সুবিধা পাবেন।’

এই বৃদ্ধির পরও রাজ্যের ডিএ-এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ডিএ-এর ৩৬ শতাংশ পার্থক্য থাকছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বর্ধিত ডিএ-অর দাবিতে আন্দোলনরত সংগ্রামী যৌথমঞ্চের পদাধিকারীরা। এক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষেত্রে ডিএ বাধ্যতামূলক। কিন্তু রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে তা নয়। রাজ্যে ডিএ ঐচ্ছিক।’

আরো পড়ুন- জগদ্দলে ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় গ্রেফতার অর্জুন সিং এর ভাইপো

,বড়দিনের আগে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণাকে রাজ্যসরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের কাছে তাঁর সরকারের ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার গিফট’ বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ফলে সরকারের ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণায় মোটেই খুশি নয় বর্ধিত ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। এই মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেছেন, ‘আমরা ১০ শতাংশ ডিএ-তে খুশি নই। ডিএ সরকারি কর্মীদের হকের দাবি। আমরা আমাদের দাবি আন্দোলন ও আদালতের নির্দেশে আদায় করেই ছাড়ব।

মনে রাখতে হবে, এরপরও ১লা জানুয়ারি থেকে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের থেকে কেন্দ্রের সরকারী কর্মীরা ৩৬ শতাংশ বেশি ডিএ পাবেন। আমাদের দাবি কেন্দ্রীয়হারে ডিএ।’ যৌথমঞ্চের নেতা রাজীব দত্ত বলেন, ‘ব‍্যবধানটা ৪০ শতাংশের, উনি ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করছেন। মাননীয়া মুখ‍্যমন্ত্রীকে বলি এককের ঘরে শূন‍্যটা কোথায়? আপনি তো ট্রেডমিলে বাজেট কষেন। শূন‍্যটাকে বামদিকে না বসিয়ে চার এর ডান দিকে বসান। আমরা কিন্তু ভিক্ষা চাইছি না।’

রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এভাবে নিজের ইচ্ছা মত ডিএ বৃদ্ধির ঘোষমা করতে পারেন না। এটা নিয়ম নয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে সরকার। সেটা এখনও হয়নি। ডিএ নির্ধারিত হয় নির্দিষ্ট নিয়মের ভিত্তিতে। সেসব মানা হল না। আমরা ১০ শতাংশ হারে ডিএ মানছি না। কেন্দ্রীয়হারে ডিএ-এর দাবিতে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন চলবে।’

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের রাজ্যের আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা আবেদন করেছিলাম। তিনি সাড়া দিয়েছেন। যার জন্য সকল সরকারি কর্মচারীর মুখে হাসি ফুটেছে। মুখ্যমন্ত্রী সবসময় সরকারি কর্মীদের কথা ভাবেন এবং তাঁদের মঙ্গলের জন্য কাজ করেন।’

বর্ধমান স্টেশনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল জলের ট্যাঙ্ক

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বর্ধমান স্টেশনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! দুপুর ১২.৩০ নাগাদ উঁচু থেকে ভেঙে পড়ে একটি জলের ট্যাঙ্ক। প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্য সূত্রের দাবি ইতিমধ্যেই তিন জনের প্রাণ হারানোর খবর ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। আহতের সংখ্যাও অন্তত ২৭ জন। যদিও রেল কর্তৃপক্ষের তরফে কেবল বেশ অনেক জনের আহত হওয়ার খবর জানানো হয়েছে। এদিকে, এই দুর্ঘটনার জেরে প্রভাব পড়ে ট্রেন চলাচলে। প্ল্যাটফর্ম নম্বর ১,২,৩ এ ট্রেন চলাচল স্তব্ধ রাখা হয়েছে। আহতের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানায় রেল। ঘটনার জেরে ব্যাপক ত্রস্ত স্টেশন চত্বরে থাকা মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বর্ধমান স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে যে জলের ট্যাঙ্কটি ছিল, আচমকাই তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। কী করে ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ল, তা এখনও পরিষ্কার নয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, তিন জনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন।

যদিও রেল কতৃপক্ষের তরফে যাত্রীর মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হয় নি। স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ দুই এবং তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝখানে একটি ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। সেই সময় দু’টি প্ল্যাটফর্মেই গাদাগাদি ভিড়।

আচমকা ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ায় মুহূর্তে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। জানা যাচ্ছে, ওই প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের বসার একটি শেড ছিল। ট্যাঙ্কটি সেই শেডের উপর পড়ে যায়। তাতেই বিপত্তি।এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তাঁরা সবাই প্ল্যাটফর্মে কাছে শেডের নীচে বসেছিলেন। সেই সময় আচমকাই বিকট শব্দে শেডের উপর ভেঙে পড়ে জলের ট্যাঙ্কটি। তাঁরা যে দিকে পারেন, ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন।

প্রচণ্ড হুড়োহুড়ির মধ্যে কয়েক জনকে মাটিতে পড়ে যেতেও দেখেন তিনি। তাঁর দাবি, হুড়োহুড়িতে বহু লোক আহত হয়েছেন। এর আগে ২০২০ সালে এই বর্ধমান রেলস্টেশনেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল একটি পুরনো বারান্দা। এতে দু’জন আহত হয়েছিলেন। কিন্তু আবার এই ঘটনার পর স্টেশনের সামগ্রিক রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল।

Breaking: সাতসকালে পার্থ ঘনিষ্ঠ TMC কাউন্সিলরের বাড়িতে সিবিআই হানা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ফের সক্রিয় সিবিআই। সাতসকালে TMC কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্তর বাড়িতে হাজির সিবিআইয়ের ৪ অফিসার। কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক পদেও রয়েছেন। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিতি রয়েছে বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর।

সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পর থেকেই রেডারে ছিলেন বাপ্পা। পার্থর সঙ্গে একইসঙ্গে চাকরি দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্ত। সিবিআই অফিসাররা অনেকক্ষণ বাপ্পার বাড়ির গেটে দাঁড়িয়ে থাকার পর শেষপর্যন্ত ভেতরে ঢুকতে সমর্থ হন।

এদিন সকালে পাটুলিতে তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে বেল বাজিয়ে, পরিচয় দেওয়ার পরেও, প্রায় ১৮ মিনিট বাড়ির বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় সিবিআই অফিসারদের। এর মধ্যে পাশের বাড়ির ছাদে উঠে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এরপর বাপ্পাদিত্য নিজেই এসে গেট খুলে সিবিআই অফিসারদের ভিতরে নিয়ে যান। তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়ি ছাড়াও আরও বেশকিছু জায়গায় তল্লাশি চলছে বলে খবর সিবিআই সূত্রে। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ এবং কোচবিহারের বেশ কিছু জায়গায় সিবিআই তল্লাশি চলছে।

এবার রাজারহাটে বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতেও সিবিআই হানা। তেঘরিয়ায় দেবরাজের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই। সিবিআই আধিকারিকদের আসার খবর শুনে বাড়িতে এলেন যুব তৃণমূলের দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হানা বলে সূত্রের খবর। দেবরাজ চক্রবর্তী বিধাননগর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। এরই সঙ্গে ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতেও হানা দিয়েছে সিবিআই। সেখানেও শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে নজরে ডোমকল পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান।

Subroto Roy: প্রয়াত সাহারা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সুব্রত রায়! দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন মারণরোগে

বাংলাহান্ট ডেক্সঃ প্রয়াত সাহারা ইন্ডিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সুব্রত রায় (Subroto Roy) । মঙ্গলবার রাতে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন অম্বানি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৷ দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যানসার-সহ একাধিক রোগে ভুগছিলেন ৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 75 বছর ৷ সাহারা গ্রুপের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রবিবার সুব্রত রায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কোকিলাবেন ধীরুবাই অম্বানি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ এরপর, মঙ্গলবার 10.30 টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ এর সঙ্গে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও ছিল ৷

ঢাকে পড়ল কাঠি, জমজমাট খুঁটিপুজো করল কাঁচরাপাড়া কালিনগর রোড আমরা সবাই ক্লাব

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঢাকে কাঠি পরে গেল! বেজে গেল পুজোর বাদ্যি! খুঁটি পুজোর মধ্যে দিয়ে শুরু হল কাঁচরাপাড়া কালিনগর রোড আমরা সবাই ক্লাবের (Kalinagar road Amra Sabai club) পুজো প্রস্তুতি। হাতে গুনে বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। এরপরই শুরু হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো (durga puja)।

কাঁচরাপাড়া শহরের যে কটি বারোয়ারি দুর্গাপুজো ঘিরে দর্শকদের উৎসাহ তুঙ্গে থাকে সেগুলির মধ্যে অন্যতম কালিনগর রোড আমরা সবাই ক্লাব । এবছর কালিনগর রোড আমরা সবাই ক্লাবের দুর্গাপুজো ৪৯ তম বর্ষে পদার্পণ করল। আজ রবিবার ২০ই আগস্ট ধুমধাম করে খুঁটি পুজোর পর্বটা সেরে নিলেন কালিনগর রোড আমরা সবাই ক্লাবের কর্মকর্তারা।

পুজো ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। ৬২ দিনের সামান্য বেশি বাকি। এবারও কালিনগর রোড আমরা সবাই ক্লাবের দুর্গাপুজো নজর কাড়বে বলেই জানিয়েছেন পুজোর উদ্যোক্তারা।

এদিনের এই খুঁটি পূজোর অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন, কাঁচরাপাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শর্মিষ্ঠা মজুমদার। কাঁচরাপাড়া ব্যাবসায়ি সমিতির ১ নম্বর ইউনিটের সেক্রেটারি তথা আমরা সবাই ক্লাবের সভাপতি কানাইলাল মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন পূজো কমিটির কার্যকারী সভাপতি রামজিৎ দাস, পুজো কমিটির সম্পাদক প্রশান্ত দে । এছাড়াও এদিনের এই খুঁটি পূজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা।

এই দূর্গা পুজোর আরেক উদ্যোক্তা ভোলা মজুমদার বলেন, এবছর কালিনগর রোড আমরা সবাই ক্লাবের দুর্গোৎসব ৪৯ তম বর্ষে পদার্পণ করল। লাইট এবং সাউন্ডের মাধ্যমে কেদারনাথ মন্দিরের আদলে তৈরি হবে মন্ডপ। এছাড়াও বিশেষ চমক থাকছে মাতৃ প্রতিমায়। সম্পূর্ণ পাট কাঠি এবং পাটের সুতো দিয়ে তৈরি হবে মাতৃপ্রতিমার গয়না। এ বছর দর্শনার্থীদের প্রচুর ভিড় হবে বলে আশাবাদী ভোলা বাবু।

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় তৃণমূলের ধরনা, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে জেলায় জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি ও আন্দোলনের সুর বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শাসকদল তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা এবং রাজ্যকে ১০০ দিনের টাকা না দেওয়ার প্রতিবাদে দুপুর ১২টা থেকে অবস্থানে বসেছে শাসক শিবির ৷ প্রতিবাদ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৷

কলকাতা সহ রাজ্যের সব জেলাতেই অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২১-র মঞ্চ থেকে ৫ অগাস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞায় সেটা করা সম্ভব হয়নি। তারপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যা ৮ তারিখ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন- চাঁদের কক্ষপথে চন্দ্রযান-৩, গন্তব্যে পৌঁছাতে আর ক’টি ধাপ বাকি

এদিন বিজপুরে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন বিধায়ক সুবোধ অধিকারী ৷ ডানলপের প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় ৷ কামারহাটিতে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছেন বিধায়ক মদন মিত্র। পাশাপাশি, সাড়ে 12টা থেকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম অহীন্দ্র মঞ্চের সামনে ধরনায় বসেছেন ৷ ট্রাঙ্গুলার পার্কে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতি ও বিধায়ক দেবাশিস কুমার । টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপোর বিক্ষোভে আছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস । শ্যামপুকুরে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ধরনায় বসেছেন মন্ত্রী শশী পাঁজাও ৷

কলকাতার মতো একই ছবি দেখা গিয়েছে জেলাতেও ৷ জেলার ক্ষেত্রে বিধায়করা এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন ৷ বাদ যায়নি সাংসদরাও ৷ ব্যারাকপুরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন সাংসদ অর্জুন সিং ৷ যেসব তৃণমূল সাংসদরা কলকাতায় রয়েছেন তাঁরাও রবিবারের অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন ৷ শাসকদলের লক্ষ্য, মানুষের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজ্যের প্রতি বঞ্চনাকে তুলে ধরা ।

ব্যারাকপুরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন সাংসদ অর্জুন সিং

হাওড়ায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে ধর্নায় বসেছেন মন্ত্রী অরূপ রায়। বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে মধ্য হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আজ বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত হাওড়া ময়দান মেট্রো চ্যানেলের সামনে “ধর্নামঞ্চ” তৈরি করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে তৃণমূল। উপস্থিত রয়েছেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, তৃণমূল নেতা মদন মোহন ব্যানার্জি, শ্যামল মিত্র, মৃণাল দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আরো পড়ুন- কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূলের ধর্নামঞ্চে বিজেপি বিধায়ক

গোটা রাজ্যের পাশাপাশি দার্জিলিং জেলা জুরেও বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। মুলত দার্জিলিং জেলার ধর্ণামঞ্চগুলি হল, নক্সালবাড়ি ব্লকের বাগডোগরা, পানিঘাটা মোড়, ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ফাঁসিদেওয়া থানা মোড়, মিজবাড়িগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাটিগাড়ার স্বামী বিবেকানন্দ মোড়ের কাছে, ও বারসানা হোটেলের সামনে, খড়িবাড়ির সবুজ সংঘ ক্লাবের সামনে ও শিলিগুড়ির ঋষি ভবনের কাছে, ভারত নগর কালি মন্দিরের কাছে ও ঘোগোমালি মোড়ে ধর্ণা মঞ্চের আয়োজন করা হয়েছে। মঞ্চগুলিতে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বদের পাশাাপশি উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল কর্মীরাও। জানা গিয়েছে কয়েকটি মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, জেলা সভানেত্রী পাপিয়া , ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার সহ চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তী সহ বিভিন্ন তৃণমূল কাউন্সিলররা।

৩৫ বছর পর ব্রিগেড! SUCI এর নিশানায় CPIM

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শিবদাস ঘোষের শতবর্ষ পালনের সমাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষে দীর্ঘ ৩৫ বছর পরে কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশের আয়োজন করেছিল SUCI । আর সেই ব্রিগেড সমাবেশ থেকে সিপিএম ও অন্য বামন্থীদের নিশানা করল SUCI । প্রশ্ন তুলল জাতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধী জোটে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএমের একসঙ্গে থাকা নিয়ে। শনিবার সমাবেশ ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতোই। দেশের ২৫টি রাজ্য থেকে ট্রেনে ও বাসে সমর্থকেরা এসেছিলেন সমাবেশে যোগ দিতে। বক্তৃতা চলাকালীন লম্বা সময় তাঁরা সুশৃঙ্খল ভাবে ময়দানে বসে ছিলেন।

দীর্ঘ বক্তৃতায় এসইউসি-র বর্ষীয়ান সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষ এ দিন বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, সিপিএম বা পুরনো সিপিআই মার্ক্সবাদী আদর্শের ভিত্তিতে গঠিত দল নয়, তাদের কোনও চিন্তা-নায়ক নেই। ক্ষমতার রাজনীতি না করেও এসইউসি-র সেই ‘প্রকৃত সম্পদ’ আছে বলে তাঁর দাবি। তাঁর মন্তব্য, যে সব দল এক সময়ে এসইউসি সম্পর্কে ‘বক্রোক্তি’ করেছিল, তাদের অনেকেই এখন নিশ্চিহ্ন।

প্রভাসবাবু বলেছেন, ‘‘বাংলা, ত্রিপুরা ও কেরলে সিপিএম দীর্ঘ সময় সরকার চালিয়েছে। এই রাজ্যে ৩৪ বছর একটানা সরকারে থেকেও সেই দলের এখন কী অবস্থা? কংগ্রেসের সঙ্গে তারা জোট করেছে। এক জন পীরকে ধর্মনিরপেক্ষ বানানো হয়েছে। আবার এখন জাতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধী একটা জোট হয়েছে, যেখানে সিপিএম আছে, তৃণমূলও আছে। রাজ্যে তারা পরস্পরের সঙ্গে লড়ছে।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘এসইউসি কিন্তু মাথা নত করেননি। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আছে!’’

আরো পড়ুন- ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চিনের বিস্তীর্ণ এলাকা, আহত অন্তত ১০

ব্রিগেড সমাবেশ থেকে প্রভাস ঘোষ বলেছেন “আমরা বিবেক বিক্রি করিনি। আমাকে কেনা যায়নি। না খেয়ে দিনের পর দিন থেকেছি।” ভাষণে এসইউসি সাধারণ সম্পাদক বারবার অন্যান্য বাম দলগুলিকে নিশানা করলেও রাজ্য সরকারে থাকা তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে ততটা আক্রমণাত্মক হলেন না।

বারবার সিপিআইএমকে নিশানা আর তৃণমূল সম্পর্কে ‘নরম’ কেন এসইউসিআই? এই বিতর্কে উঠে আসছে তৃণমূলের সাথে এসইউসি জোটের পুরনো প্রসঙ্গ। এই জোট করেই ২০০৯ সালে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ পেয়েছিল এসইউসি। পরে সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনে প্রথম নামে দলটির ছাত্র যুব সংগঠন। পরে তাদের মদত নেয় তৃণমূল কংগ্রেস।

শনিবার SUCI দলের ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ চর্চা চলেছে। কারণ এই দলটি গত যুক্তফ্রন্ট সরকারের শরিক ছিল। পরে টানা সাড়ে তিন দশকের বামফ্রন্ট জমামায় লাগাতার সরকার বিরোধী আন্দোলন করে নিজেদের দুটি বিধানসভা আসন ধরে রেখেছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ও জয়নগর দুটি কেন্দ্র ছিল এসইউসিআইয়ের ঘাঁটি। এর বাইরে আর না বাড়লেও দেশজুড়ে সংগঠন আছে। রাজ্যে রাজনৈতিক মহলে এসইউসিআই ‘কুলতলি জয়নগরের পার্টি’ বলেও একসময় কটাক্ষের শিকার হতো। বাম জমানায় ১৯৮৮ সালে প্রথম ব্রিগেড মিটিং। আর ২০২৩ সালে হলো দ্বিতীয় ব্রিগেড।

বেহাল রাস্তা, ভোট প্রচারে যেতেই তৃণমূল বিধায়ককে কাদা ভর্তি রাস্তায় নামালেন গ্রামবাসীরা !

প্রচারে গিয়ে মহা ফ্যাসাদে তৃণমূল বিধায়ক, ভোটের প্রচারে গিয়ে ভাতারে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। ভোগান্তি বোঝাতে বিধায়ককেই কাদা ভর্তি রাস্তায় নামালেন গ্রামবাসীরা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের কালুত্তক গ্রামে।

আরো পড়ুন- অগ্নিমূল্য সবজি, নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের

পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিদ্বন্দী তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে এদিন ভাতারের কালুত্তক গ্রামে প্রচারে গিয়েছিলেন এলাকার বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। বিধায়ককে গ্রামে পেয়েই বাসিন্দারা বেহাল রাস্তা নিয়ে তাঁর কাছে ক্ষোভ উগড়ে দেন। গ্রামবাসী মজিউন বিবি বলেন, ‘সিপিএমের সময় একবার আমাদের গ্রামের রাস্তায় অল্প মোরাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের ১২ বছরের রাজত্বে আমাদের গ্রামের রাস্তার কোনও সংস্কার কাজ হয়নি।’

অপর বাসিন্দা সাজাহান সেখ বলেন, ‘আমাদের গ্রামের বেহাল রাস্তার কথা বহুবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতকে এমনকী বিধায়ককেও বলা হয়েছিল। কিন্তু কেউ গুরুত্ব দেয়নি। বছরের পর বছর বর্ষায় কদায় ভরে থাকা রাস্তা দিয়ে গ্রামের সকল বাসিন্দাদেয় যাতায়াত করতে হচ্ছে। স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের দুর্ভোগ পোয়াতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাবার জন্য। গ্রামে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে শুধু বেহাল রাস্তার জন্য গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে চায় না। এই সব কথা বিধায়ককে বলা হয়েছিল। তবুও কোনও কাজ হয়নি। রাস্তার সংস্কার কাজ হবে বলে দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচী চলার সময় বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী নিজে কথা দিয়েছিলেন। তাঁর পরেও কালুত্তক গ্রামের স্কুল পাড়ার রাস্তার কোন সংস্কার কাজ হয়নি। ৬৬০ ফুট দীর্ঘ মাটির রাস্তা এখন শুধু কাদায় ভর্তি। ওই রাস্তা দিয়ে এখন হেঁটে যাওয়া দুরহ হয়ে পড়েছে। বেহাল রাস্তার জন্য আমাদের কতটা দুর্ভোগ পোয়াতে হয় সেটা বিধয়ক যাতে নিজে উপলব্ধি করতে পারেন তাই এদিন আমরা বিধায়ককে কাদা রাস্তায় হাঁটিয়েছি।’

জেলা বিজেপি সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ‘শুধু ভাতার নয়, গোটা রাজ্যেরই এই হাল। খোঁজ নিলে হয়তো দেখা যাবে কাজ না করেই রাস্তার টাকা লুট হয়ে গেছে। তাই বেহাল রাস্তার কোন কাজ হয়নি। এইসবের জন্যই ক্ষোভে এলাকার বাসিন্দারা বিধায়ককে কাছে পেয়ে কাদা রাস্তায় হাঁটিয়েছেন। গ্রামবাসীরা যোগ্য জবাব দিয়েছেন।’

দেখুন ভিডিও –

রিক্সার ব্যাটারি চুরিকে ঘিরে তাণ্ডব, আটক ৩০

ই-রিক্সারর ব্যাটারি চুরি যেতেই দুই দুলের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া শুরু হয়। পুলিশ এই ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করেছে। একালে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা।

ই-রিক্সারর ব্যাটারি চুরি, তার জেরেই দুই দলের মধ্যে লেগে গেল সংঘর্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডে। শুক্রবার ই-রিক্সারর ব্যাটারি চুরিকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে বচসা বাঁধে। সেখান থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। সংঘর্ষের সময় একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে।

এই সংঘর্ষের পর শুক্রবার থেকেই ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। দুই দলের প্রায় ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্তিপূর্ণ এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

অগ্নিমূল্য সবজি, নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের

হু হু করে বাড়ছে সবজির দাম। মানুষ খাবে কী? উঠছে প্রশ্ন। বাজারে গিয়ে কিছু কিনতে গেলেই যেন নাভিশ্বাস উঠে আসছে সাধারণ মানুষের। এহেন পরিস্থিতি শেষ কবে হবে? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

বর্ষার মরসুমে হু হু করে বাড়ছে সবজির দাম (Vegetables Prices) । বাজারে আনাজপাতি কিনতে গেলেই রীতিমতো ছ্যাঁকা খাচ্ছেন সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মানুষ।

আরো পড়ুন- কুন্তল ঘোষের সঙ্গে টাকার লেনদেন…সব ফাঁস করলেন সায়নী ঘোষ!

অন্যান্য শহরগুলির পাশাপাশি দিল্লির ছবিটাও ঠিক একই আছে। হাকিম রেহমান নামের এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ‘গত ১০ দিনে বেড়েছে সবজির দাম। আগামী ২০ দিন টমেটোর দাম বেশি থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী মাসে টমেটোর নতুন ফসল বাজারে আসার সাথে সাথে দাম কমে যাবে।‘

কুন্তল ঘোষের সঙ্গে টাকার লেনদেন…সব ফাঁস করলেন সায়নী ঘোষ!

প্রায় ১১ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিয়ে যাবতীয় তথ্য স্পষ্ট করেছেন তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। কী কী বললেন তিনি?

‘আমার সঙ্গে কোনও দলের কোনওদিন কোনও আর্থিক লেনদেন হয়নি। কুন্তল নিজেকে সমাজকর্মী বলে পরিচয় দিত’, ইডির কাছে জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই দাবি করেছেন তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। কুন্তলের সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়নি বলে দাবি করেছেন সায়নী ঘোষ। ঋণ সংক্রান্ত কাগজপত্র আনতে বলা হয়েছিল কিন্তু তিনি আনেননি বলে দাবি করল ইডির আধিকারিকরা। গতকাল প্রায় ১১ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার আবার সায়নী ঘোষকে তলব করা হল ইডির দফতরে। নেত্রীর বয়ানের সঙ্গে তদন্তকারীদের হাতে থাকা নথি ও প্রমাণ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গেছে। তাহলে কি কোনও অসঙ্গতি খুঁজে পেল আধিকারিকরা?

রাজ্যে কবে আসছে বর্ষা? কি বলছে হাওয়া অফিস, জানুন

কলকাতায় চলছে গরম৷ তীব্র গরমের দাপটে সাধারণ মানুষের জীবন একেবারে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে৷ এর মধ্যেই খুশির খবর শোনালো আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, রবিবার থেকেই উত্তরবঙ্গে পাক-বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। দক্ষিণবঙ্গেও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে উত্তরের মতো ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা এখনই নেই সমতল কিংবা মালভূমিতে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ির মতো উত্তরের পাহাড়ঘেঁষা পাঁচ রাজ্যে বৃহস্পতিবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। রবিবার থেকে ভারী বৃষ্টি হবে এই জেলাগুলিতে। প্রাক্‌-বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজবে উত্তরবঙ্গ। তবে উত্তরের বাকি তিন জেলা অর্থাৎ মালদহ, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে আপাতত বৃষ্টি হবে না। শনিবার পর্যন্ত সেখানে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার এই তিন জেলাতেও বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে।

দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে এখনই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণের সাত জেলায় রবিবার পর্যন্ত টানা তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে। তালিকায় আছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম।

দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলির ক্ষেত্রে কোথাও বৃহস্পতিবার কোথাও রবিবার থেকে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্ত ভাবে ভিজতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার দু’একটি এলাকা। রবিবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে এই জেলাগুলি ছাড়াও কলকাতা, হাওড়া এবং হুগলিতে। তবে আবহাওয়া দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশ কম। কোথাও কোথাও কিছুটা বৃষ্টি হলেও গরমের অস্বস্তি তাতে কমবে না।