কল্যাণীতে দুঃসাহসিক ছিনতাই! কাঁচরাপাড়ার ব্যবসায়ীকে মারধর করে টাকা লুঠ

কল্যাণীতে দুঃসাহসিক ছিনতাই! কাঁচরাপাড়ার ব্যবসায়ীকে মারধর করে টাকা লুঠ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দুঃসাহসিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলো কল্যাণীতে। শনিবার রাত ৯ টা নাগাদ কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের (JNM Hospital) সামনে কাঁচরাপাড়ার ব্যবসায়ীকে মারধর করে গাড়ির কাঁচ ভেঙে নগদ প্রায় ৬০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় ব্যবসায়ীকে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, রাতে ভোজ্য পণ্যের মাল ডেলিভারি করে বাড়ি ফিরছিলেন ব্যবসায়ি খোকন মজুমদার ও তার কর্মচারি বাপ্পা চন্দ্র দে। সেই সময়ই ছিনতাইবাজরা হামলা চালায় তাদের উপর।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের জল ট্যাঙ্ক মোড়ের কাছে তিন জন দুষ্কৃতী ব্যবসায়ী খোকন মজুমদারের গাড়ি থামিয়ে তার কাছে নগদ টাকা পয়সা যা আছে সব দিতে বলে, তিনি দিতে অস্বীকার করলে তার গাড়ির কাচ ভেঙে টেনে হিচরে গাড়ি থেকে বার করে তাকে এবং তার কর্মচারী বাপ্পা চন্দ্র দে’কে তিনজন ছিনতাইবাজ মিলে বেধড়ক মারধর করে। এবং তাদের কাছ থেকে নগদ সব ছিনিয়ে নিয়ে যায়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সব ঘটনা ঘটে বলে জানান খোকন বাবু।

এদিকে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে শনি রাতেই দুজনকে গ্রেফতার করে কল্যাণী থানার পুলিশ। একজনের নাম অজয় চৌধুরী (৩৮) অন্যজনের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আজ তাদের নদিয়া জেলার কল্যাণী মহকুমা আদালতে তোলা হলে আদালত তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেয়। আর এই ঘটনার পর এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে।

Durga Puja 2024: অভিনব উদ্যোগ! মহালয়ার দিন অঙ্কন প্রতিযোগিতা করল কাঁচরাপাড়া আমরা সবাই ক্লাব

বাংলাহান্ট ডেক্সঃ ২রা অক্টোবর দেবী দুর্গার আবাহনে অভিনব উদ্যোগ নিল কাঁচরাপাড়া কালিনগর রোড আমরা সবাই ক্লাব। মহালয়ার পূর্ণ প্রভাতে শিশুদের জন্য অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করল কাঁচরাপাড়া আমরা সবাই ক্লাব। এমন অভিনব উদ্যোগ নিয়ে এলাকাবাসীর প্রশংসা কুড়োচ্ছে এই পুজো কমিটি। বিশেষত মণ্ডপে ছোট সন্তানদের নিয়ে আসা মায়েরা খুব খুশি।

কাঁচরাপাড়া গান্ধী প্রাইমারি স্কুলে তিনটি বিভাগ নিয়ে এই অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়। প্রায় ২০০ জন ক্ষুদে অঙ্কন শিল্পী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগীদের সাথে তাল মিলিয়ে দর্শক সংখ্যা ছিল লক্ষনীয়। প্রতিযোগিতার শেষে পুজো কমিটির তরফে সকলের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাঁচরাপাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শর্মিষ্ঠা মজুমদার সহ আর অনেকে। আমরা সবাই ক্লাবের এহেন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কাউন্সিলর।

কাউন্সিলার শর্মিষ্ঠ মজুমদার জানান, প্রত্যেক পুজোগুলোকে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যে ৮৫ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন তার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান, তিনি জানান আমরা সবাই ক্লাব প্রত্যেক বছরই দুর্গাপুজো উপলক্ষে অভিনব কিছু করে, আজ ২রা অক্টোবর, মহালয়ার দিন, মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন ও লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মদিন সেই উপলক্ষে এত সুন্দর একটি উদ্যোগ নিয়েছে তারা।

ক্লাব সেক্রেটারি খোকন মজুমদার জানান, এবছর তাদের দুর্গোৎসব ৫০ বছরে পদার্পণ করেছে। এবার তাদের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ। সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে পুজোর ক’টা দিনে থাকছে বিশেষ চমক। বিগত কয়েক বছর ধরেই নজর কেড়েছে কালিনগর রোড আমরা সবাই ক্লাব। এবার ৫০ বছরে তাদের নিবেদন ‘বিশ্বরূপে বিশ্বজনীন’।

তিনি আরও জানান, আগামী ৬ই অক্টোবর বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকের নিয়ে থাকছে পুজো পরিক্রমা। হালিশহর এবং কাঁচরাপাড়ায় সমস্ত দুর্গাপূজা গুলি তাদের ঘুরিয়ে দেখানো হবে। পুজোর ক’দিন দুঃখ-যন্ত্রণা ভুলে প্রবীণ এই মানুষগুলোও যাতে আনন্দের স্বাদ পান, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা।

কাঁচরাপাড়ায় ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ২৫ লক্ষ টাকার মাল চুরি, মুল পান্ডা সুমন রায় গ্রেফতার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গা ঢাকা দিয়ে শেষ রক্ষা হলো না। অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল কাঁচরাপাড়ায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে চুরির মূল পান্ডা সুমন রায় (Suman Roy)।

স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ৫ জুলাই কাঁচরাপাড়া কালিনগর রোডে ব্যবসায়ী পার্থ মজুমদার বাড়িতে গোডাউন থেকে মাল ও টাকা চুরি হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় গোডাউন থেকে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা মাল চুরি করছে তার কর্মচারী সুমন রায়। এই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। আর তারপর থেকে পলাতক ছিল মুল অভিযুক্ত সুমন রায়। এতদিন তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে শেষ রক্ষা হলো না। পুলিশের জালে ধরা পড়লো মূল অভিযুক্ত সুমন রায়। এদিন কাঁচরাপাড়া স্টেশনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আগামীকাল তাকে কোর্টে তোলা হবে।

পুলিশ সূত্রে খবর, এই সুমন রায় বহু বছর ধরে কাঁচরাপাড়া কালিনগর রোডের ব্যবসায়ী পার্থ মজুমদারের গোডাউন থেকে পোস্ত ও বিভিন্ন দামী মশলা চুরি করে বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করত। সিসিটিভি ফুটেছে দেখা গিয়েছে প্রতিমাসে অন্তত ৫ থেকে ৬ দিন চুরি করত। এই মাল তিনি কোথায় কোথায় বিক্রি করতেন এবং চুরি টাকা কোন কোন একাউন্টে লেনদেন হয়েছে সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখচ্ছে পুলিশ।

সুমন রায়

ব্যবসায়ী পার্থ মজুমদার জানান, এই সুমন রায় দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে আমার কাছে কাজ করত। তার পিতার নাম অভিজিৎ রায়। বাড়ি কাঁচরাপাড়া আগুরি পাড়ায়। তিন বছর ধরে আমার মা ব্লাড ক্যান্সের আক্রান্ত হওয়ায় মায়ের চিকিৎসার জন্য বেশিরভাগ সময় আমি কলকাতা টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে থাকতাম। সেই সুযোগে আমার কর্মচারী সুমন রায় বাড়ি থেকে টাকা-পয়সা ও মাল চুরি করতো। সিসিটিভি ফুটেছে দেখা গিয়েছে প্রতিমাসে ৬ থেকে ৭ বার প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপরে মাল ও টাকা চুরি করত। আমার মায়ের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তিন বছরের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার উপরে মাল ও টাকা চুরি করেছে। পার্থ বাবু আরো জানান, পরে চুরির কিছু মাল তার প্রেমিকা কাঁচরাপাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পায়েল সাহার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। আর তারপর থেকেই পলাতক ছিল সুমন।

এ দিকে ধৃত সুমন রায় কে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চাইছে পুলিশ। সেই কারণে শুক্রবার তাকে পেশ করা হবে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে।

বিস্তারিত আসছে…

Durga Puja 2024: খুঁটি পুজো দিয়ে শুরু হল কাঁচরাপাড়া আমরা সবাই ক্লাবের এ বছরের পুজো

বাংলাহান্ট ডেক্সঃ হাতে আর মাত্র দু মাস, শারদ উৎসবের আনন্দ মাতবে বাংলা। তার আগে খুঁটি পুজোর হাত ধরে শহরে উৎসবের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার ধুমধাম করে পুজোর সূচনা হয়ে গেল কাঁচরাপাড়া কালিনগর রোড আমরা সবাই ক্লাবে (Durga Puja 2024)। কাঁচরাপাড়ার দুর্গাপুজো গুলির মধ্যে বিগত কয়েক বছর ধরেই নজর কেড়েছে কালিনগর রোড আমরা সবাই ক্লাব। এবার ৫০ বছরে তাদের নিবেদন ‘বিশ্বরূপে বিশ্বজনীন’।

ক্লাবের সম্পাদক খোকন মজুমদার জানান, তাঁদের এ বারের পুজো পুরোপুরি থিম পুজো নয়, আবার পুরোপুরি সাবেকি পুজোও নয়। দুটোর মাঝামাঝি। পুরাতনের সঙ্গে নতুনত্বের মেলবন্ধন।

কীভাবে যাবেন : কাঁচরাপাড়া স্টেশন থেকে পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথে অজন্তা শোরুমের বিপরীতে গলিতে এই পুজো।

ভাবনা : বিশ্বরূপে বিশ্বজনীন

ভাবনায় এবং প্রতিমা শিল্পী : সুদীপ ঘোষ

রাজ্যের ৪ বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থীর নাম ঘোষনা তৃণমূলের

আগামী ১০ জুলাই রাজ্যের ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন।তার আগে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল তৃণমূল। শুক্রবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল X হ্যান্ডলে প্রার্থীর নাম জানানো হয়েছে। মানিকতলায় টিকিট পেলেন সুপ্তি পাণ্ডে। রায়গঞ্জে কৃষ্ণ কল্যাণী, রানাঘাট দক্ষিণে মুকুটমণি অধিকারী।বাগদা কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুর।

আরো পড়ুন- চন্দবাবুর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কেনো এলেন না নীতিশ? খোঁচা বিরোধীদের, নীতিশকে ঘিরে জল্পনা

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে রায়গঞ্জ এবং রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছিলেন কৃষ্ণ এবং মুকুটমণি। পরে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন। লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণকে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে এবং মুকুটমণিকে রানাঘাট কেন্দ্রে প্রার্থী করে রাজ্যের শাসকদল। দু’জনেই বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন। ফলে এই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। যদিও লোকসভা নির্বাচনে জিততে পারেননি দু’জনেই। তবে লোকসভা ভোটে জিততে না পারলেও দেখা যাচ্ছে দলবদলু দুই নেতার উপরেই বিধানসভা উপনির্বাচনে ভরসা রাখছে তৃণমূল। তাই ছেড়ে দেওয়া আসনে ফের প্রার্থী হচ্ছেন কৃষ্ণ এবং মুকুটমণি।

গত বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। পরে তিনিও দল বদল করে তৃণমূলে আসেন। লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে বনগাঁ কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল রাজ্যের শাসকদল। কিন্তু বিজেপির শান্তনু ঠাকুরের কাছে হেরে যান তিনি। বিশ্বজিৎ বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ায় বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। মতুয়া অধ্যুষিত এই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে ঠাকুরবাড়ির কন্যা তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনুর জ্যেঠতুতো বোন মধুপর্ণাকেই বেছে নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলে গুঞ্জন ছিল যে, বাগদা কেন্দ্রে ফের বিশ্বজিৎকেই প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল। প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পর বিশ্বজিৎ এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমিই দিদিকে বলেছিলাম আমায় প্রার্থী না করতে। কারণ, আমি জেলা সভাপতি। আমার দায়িত্ব অনেক বড়। আমায় সিটটা জেতাতে হবে।” কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনুর বিরুদ্ধে তাঁকে এবং তাঁর মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে অনশনে বসে সম্প্রতি সংবাদ শিরোনামে আসেন মধুপর্ণা।

গত বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার মানিকতলা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা, অধুনা প্রয়াত সাধন পাণ্ডে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাধন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মারা যান। কিন্তু তার পর দীর্ঘ দিন মানিকতলা বিধায়কহীন থাকলেও সেখানে উপনির্বাচন হয়নি। কারণ, গত বিধানসভায় এই কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে কলকাতা হাই কোর্টে ‘ইলেকশন পিটিশন’ দাখিল করেছিলেন। সম্প্রতি সেই আইনি জটিলতা কেটে যায়। গত মঙ্গলবার নবান্নে মানিকতলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রার্থী হিসাবে প্রয়াত মন্ত্রী সাধনের স্ত্রী সুপ্তির নামেই যে সিলমোহর পড়তে চলেছে, তা বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গত ১০ জুন নির্বাচন কমিশন এই চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছে। চার কেন্দ্রেই নির্বাচন হবে আগামী ১০ জুলাই। ভোটগণনা ১৩ জুলাই। কমিশন জানিয়েছে, উপনির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২১ জুন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ জুন। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও দেশের আরও ছ’টি রাজ্যের ন’টি কেন্দ্রে আগামী ১০ জুলাই উপনির্বাচন হবে। ভোট হবে বিহার, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাবের একটি করে কেন্দ্রে। হিমাচল প্রদেশের তিনটি এবং উত্তরাখণ্ডের দু’টি কেন্দ্রেই এই দিনক্ষণ অনুযায়ী উপনির্বাচন হবে।

রেশন দুর্নীতি: ঋতুপর্ণা ছাড়াও আতশ কাঁচের তলায় আরও ৫০ জন, খবর ইডি সূত্রে

রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় আগামী ১৯ জুন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে তলব করেছেন তদন্তকারী। কিন্তু ঋতুপর্ণা ছাড়াও দুর্নীতির টাকা গিয়েছে আরও প্রায় ৫০ জনের কাছে, এমনই অভিযোগ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর। তাঁদের কাছে ঘুরপথে রেশন ‘দুর্নীতি’র টাকা যাওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে ওই সন্দেহভাজনদের ব্যাঙ্কের কাগজপত্র-সহ অন্যান্য নথি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই বিষয়ে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত মিললে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর।

আরো পড়ুন- চন্দবাবুর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কেনো এলেন না নীতিশ? খোঁচা বিরোধীদের, নীতিশকে ঘিরে জল্পনা

এর আগে গত ৫ জুন রেশন দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল ঋতুপর্ণাকে। কিন্তু ওই দিন তিনি হাজিরা দেননি। সূত্র মারফত জানা যায়, বিদেশে থাকার কারণে ইডি দফতরে যেতে পারেননি ঋতুপর্ণা। এ কথা তিনি ইডি আধিকারিকদের ইমেল করে জানিয়ে দেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যায়, তাঁকে পরে আবার ইডি দফতরে যেতে বলা হয়েছে। রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া এক অভিযুক্তের সঙ্গে ঋতুপর্ণার আর্থিক লেনদেনের তথ্য তদন্তকারীরা হাতে পেয়েছেন বলে দাবি করেন এক ইডি আধিকারিক। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে সবিস্তারে কিছু জানায়নি ইডি। ওই সূত্র মারফত আরও জানা যায়, প্রায় কোটির অঙ্কে আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে জানতেই ঋতুপর্ণাকে তলব করা হয়েছে।

ঋতুপর্ণা দাবি করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য, রেশন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান-সহ শাসকদলের কয়েক জন নেতা ও তাঁদের ঘনিষ্ঠকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ইডি। রেশন দুর্নীতির তদন্তেই সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে গিয়ে গত ৫ জানুয়ারি আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির আধিকারিকেরা।

উত্তরের চা বলয়ে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে ধস! রাশ ধরুক আরএসএস, জোর চর্চা দলের অন্দরে

উত্তরের চা বলয়ে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে ধস, দলীয় সংগঠনের উপর আর ভরসা নেই । বরং, বাগান শ্রমিকদের ভোটব্যাঙ্ক ফিরে পেতে চা বলয়ের রাশ এখন থেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) হাতে থাকুক— এমনই চাইছেন খোদ বিজেপি নেতাদের একাংশও। কিন্তু চাইলেও সেই কাজ তত সহজ নয় বলেও মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের ওই নেতাদের অনেকেই।

এবার লোকসভা ভোটে চা শ্রমিকদের মন জয়ে বিজেপিও চেষ্টার কোনও কসুর করেনি। এদিকে চা বলয়ের অন্যতম আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে এবারও জিতেছে বিজেপি। তবে দুটি কেন্দ্রেই জয়ের ব্যবধান কমেছে। আর সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের মালবাজার আর আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের নাগরাকাটা এই দুটি জায়গায় রয়েছে একাধিক চা বাগান। আর এখানকার ভোট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করেন চা শ্রমিকরা। আর সেখানে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে বিজেপির থেকে। আর আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের অপর চা বাগান অধ্য়ুষিত এলাকা মাদারিহাট ও কালচিনিতে তৃণমূলের থেকে বিজেপি কিছুটা এগিয়ে থাকলেও গত লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে যতটা ব্যবধান তৈরি করতে পেরেছিল ততটা নয়। এটাই বিজেপির কাছে চিন্তার বড় কারণ।

কারণ চা বলয়ে সংগঠন যদি ধস নামে তাহলে বিরাট সমস্যায় পড়তে পারে বিজেপি। আর ইতিহাস বলছে চা শ্রমিকরা একবার পাশ থেকে সরে গেলে তাদের ফের সেই পতাকার নীচে ফেরানো বেশ কষ্টকর। সেক্ষেত্রে বিজেপি শেষ পর্যন্ত এই কাজ কতটা করতে পারবে সেটাই দেখার।

আরো পড়ুন- একী কাণ্ড? বাংলায় ৩ বিজেপি সাংসদ যোগাযোগ করছেন তৃণমূলের সঙ্গে!

চা সুন্দরী প্রকল্প, চা শ্রমিকদের রেশন, চা সুন্দরী এক্সটেনশন সহ একাধিক সরকারি প্রকল্পের জেরে চা বলয়ে খুব দ্রুত সংগঠন করতে পেরেছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপিও ধাপে ধাপে নানা বঞ্চনাকে সামনে রেখে সংগঠনকে মজবুত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এবারের ফল দেখে বোঝা যাচ্ছে ধস নামছে বিজেপির ভোটে। সেক্ষেত্রে এই পরিস্থিতিতে এখন ভরসা বলতে আরএসএস। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। কিন্তু প্রকাশ্যে এনিয়ে বিজেপি নেতারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

যদিও সেই বিজেপি নেতাদের একাংশই জানাচ্ছেন, বিষয়টি তত সহজ নয়। কারণ, চা বলয়ের রাজনীতির ক্ষেত্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দলীয় পতাকাও বড় ‘ফ্যাক্টর’। যে পতাকাকে সামনে রেখে নির্বাচনে কোনও দল লড়াই করে। বিজেপির অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মণ বলেন, “চা বলয়ের দলের ভোট কেন কমল, সে বিষয়ে দলে অবশ্যই পর্যালোচনা করা হবে। সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে বিজেপির শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের মাথায় রয়েছেন জন বার্লা। তিনি এবার ভোটে কিছুটা নিষ্ক্রিয় ছিলেন। সেক্ষেত্রে তাঁর সংগঠন এবার কতটা মাঠে নেমেছিল সেটাও দেখার।

একী কাণ্ড? বাংলায় ৩ বিজেপি সাংসদ যোগাযোগ করছেন তৃণমূলের সঙ্গে!

ভোটের রেজাল্ট বেরিয়েছে, কিন্তু প্রত্যাশার ধারে কাছে পৌঁছাতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি। পরিস্থিতিতে যে এতটা খারাপ হবে তাও বুঝে ওঠা যাচ্ছে না। তার মধ্যেই এবার বিজেপির রক্তচাপ আরও বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, এখন বিজেপির সাংসদ ২৪০। ইন্ডিয়ার সাংসদ সংখ্য়া ২৩৭। তিনজন এলে বিজেপি হয়ে যাবে….। আর ইন্ডিয়া হয়ে যাবে ২৪০।

সাকেত লিখেছেন, তিনজন বিজেপি সাংসদ বাংলার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এবার একটা শীঘ্রই ভালো চমক আসছে। মোদীর অস্থায়ী কাঠাবো বেশি দিন টিকবে না।

তবে কোন তিনজন বিজেপি এমপি যোগাযোগ রাখছেন তা তিনি লেখেননি। তবে এসবের মধ্য়েই বিজেপির অন্দরে টেনশন ক্রমশ বাড়ছে। কারণ ভোটে জিতে যাওয়ার পরে বিজেপির বিধায়কদের মধ্য়ে কয়েকজন অতীতে তৃণমূলে গিয়েছে এমন অনেক নজির রয়েছে। এবার যদি এমপিও চলে যায় তাহলে তো আরও ফাঁকা হয়ে যাবে বিজেপি।

আরো পড়ুন- জামাইষষ্ঠীতে জামাই আসতে পারছেনা, ফোনেই পাঠান শুভেচ্ছাবার্তা

এদিকে ভোটে পরাজিত হওয়ার পরে খোদ দিলীপ ঘোষই মুখ খুলেছিলেন। দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘বর্ষীয়ান এবং প্রতিষ্ঠিত নেতাদের কি পরাজিত করার জন্যই পাঠানো হয়েছিল? রাজনৈতিক দলগুলি সাধারণত যে আসনগুলি আগে হেরেছিল সেগুলি জিততে পরিকল্পনা করে। কিন্তু এখানে মনে হচ্ছে আমরা যে আসনগুলি আগে জিতেছিলাম সেগুলি হারানোর একটি ইচ্ছাকৃত পরিকল্পনা ছিল।’ ক্ষুব্ধ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেছিলেন, ২৫ জন নেতার মূল কমিটিতে তাঁর মতো ‘যোদ্ধাদের’ জন্য কোনও স্থান নেই। তাঁর মতে ‘কমিটি অযোগ্য লোকদের দিয়ে ভরা ছিল। আমাদের এমন নেতাদের প্রয়োজন যারা লড়াই করতে পারে এবং যারা কৌশল নির্ধারণ করতে পারে।’

আবার বিজেপির কৃষ্ণনগরের প্রার্থী অমৃতা রায় বলেছেন, দলের পশ্চিমবঙ্গ ইউনিটে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি দলের মধ্যে অনেক দ্বন্দ্ব দেখেছি। যদি এটি চলতে থাকে, তা আমাদের ভবিষ্যতে ক্ষতি করবে। আমি শুনেছি যে প্রচারের জন্য অনেক টাকা এসেছে, কিন্তু আমি সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিলাম। আমি অপমানিত বোধ করেছি।’

‘গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অতন্দ্র প্রহরীর মতো বসে থাকবেন’, তৃণমূলের জেলা সভাপতিদের বার্তা অভিষেকের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২৪ ঘণ্টা আগে শেষ হয়ে গিয়েছে শেষ দফার ভোট। ৪ তারিখ ভোটগননা। ভোটটগণনার আগে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে বিশেষ নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সে দলের জেলা সভাপতি ও প্রার্থী সঙ্গে বৈঠকে অভিষেকের পরামর্শ, বিজেপি নানাভাবে প্রভাবিত করবে, হইহল্লা করে তৃণমূলের (TMC)কাউন্টিং এজেন্টদের মনোবল ভেঙে আগে থেকেই জয়ের ঘোষণা করতে পারে। কিন্তু সেসবে কান দিলে চলবে না। ‘গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অতন্দ্র প্রহরীর মতো বসে থাকবেন।’ পাশাপাশি তিনি দলের নেতা-কর্মীদের আশ্বস্ত করে এও বলেন, ষষ্ঠ দফার ভোটেই ২৩ আসন পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। কাজেই আসন সংখ্যা নিয়ে ভাবার দরকার নেই।

১ জুন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabbha Election 2024) ভোটগ্রহণ পর্ব শেষের পরই বেরিয়েছে এক্সিট পোল। তাতে ইঙ্গিত, বাংলায় বিজেপির (BJP) আসনবৃদ্ধি হবে। তৃণমূলের শক্তিক্ষয় হবে। আর তার পরই দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে রবিবার বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সে জেলা সভাপতিদের সঙ্গে করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বলেন, ‘গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অতন্দ্র প্রহরীর মতো বসে থাকবেন’। ছেড়ে আসবেন না। বিজেপি এজেন্টদের প্রভাবিত করতে পারে, ভয় দেখাতে পারে, হুমকি দিতে পারে। বাইরে এসে ‘জয়ী হয়ে গিয়েছি’ বলে চিৎকারও করতে পারে। নন্দীগ্রামের মতো আপনারা গণনা শেষ না করে বেরিয়ে আসবেন না। শেষ পর্যন্ত থাকবেন।”

তৃণমূল সূত্রে খবর, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক কেউই বুথফেরত সমীক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের সাংগঠনিক ক্ষমতা অনুযায়ী বেশির ভাগ লোকসভা আসনে জোড়া ফুল ফুটবে বলে মনে করছেন তাঁরা। কিন্তু যে কোনও ভোটের গণনা পর্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই সাংগঠনিক ভাবে দল কতটা প্রস্তুতি নিয়েছে, সেই বিষয়ে জানতেই বৈঠকে বসছেন ডায়মন্ড হারবারের বিদায়ী সাংসদ। ইতিমধ্যে বিজেপির তরফে ডায়মন্ড হারবারে একঝাঁক বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছে বিজেপি। পদ্মশিবিরের এমন দাবি নিয়ে বৈঠকে অভিষেক কোনও মন্তব্য করেন কি না, সে দিকেই তাকিয়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

উল্লেখ্য, বুথফেরত সমীক্ষাকে ‘ফেক’ বা ভুয়ো বলে অভিহিত করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তৃণমূল কর্মীদের শক্ত থাকার বার্তা দিয়ে ‘টিভি নাইন’ চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৃণমূলনেত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমাদের রাজ্য নিয়ে যেটা দেখাচ্ছে, তাকে আমি বিশ্বাস করি না, বিশ্বাস করি না, বিশ্বাস করি না। এটা একেবারে ভেগ, একেবারে ফেক।’’ তিনি আরও বলেন ‘‘সংবাদমাধ্যম কী করে বলে দিচ্ছে, ওই আসনে ও জিতবে, অমুক আসনে কে জিতবে… কত টাকার বিনিময়ে? আমি এই সংবাদমাধ্যমের হিসাব মানি না। কর্মীদের বলব শক্ত থাকতে। গণনা ভাল করে করতে। যা দেখিয়েছে সংবাদমাধ্যম, তার দ্বিগুণ পাব। প্রত্যেকটা আসন আমরা জিতব।’’ তবে রাজ্যে তৃণমূল ঠিক কতগুলি আসন পাবে, সেই সংখ্যা সংক্রান্ত বিষয়ে অবশ্য কিছু জানাননি মমতা। সেই প্রশ্নে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘আমি কোনও নম্বরে যাব না। কিন্তু একটা কথা আপনাদের বলতে পারি, আমরা যে ভাবে মাঠে-ময়দানে নেমে কাজ করেছি, লোকের চোখ দেখেছি, তাতে আমার কখনও মনে হয়নি যে, মানুষ আমাদের ভোট দেবেন না।’’

মিঠুন চক্রবর্তীকে ঘিরে ‘চোর চোর’ স্লোগান! অস্বস্তিতে মিঠুন

শনিবার সকালে বেলগাছিয়ার একটি বুথে ভোট দেওয়ার জন্য পৌঁছোন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুন যেতেই বুথে তাঁকে ঘিরে ওঠে ‘চোর চোর’ স্লোগান। এই ঘটনায় বেশ বিব্রত দেখায় মিঠুন চক্রবর্তীকে। ভোট দিতে বুথে ঢুকে যান মিঠুন। পরে ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে তিনি জানান, যে এবার আর রাজনীতির কথা বলবেন না তিনি। সিনেমার জগতেই ফিরে যেতে চান তিনি।


আরো পড়ুন- সারা বছর আমের ফলন! দিশা দেখাচ্ছেন মালদার রাজীব রাজবংশী

শনিবার সপ্তম তথা শেষ পর্বের নির্বাচনের শুরু থেকেই দিকে দিকে অশান্তির খবর সামনে আসতে শুরু করে। জেলাগুলি থেকে তো বটেই, শহর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গন্ডগোলের ছবি সামনে আসে। কাশীপুর, বেলেঘাটায় বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়কে ঘিরে বেনজির বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। মিঠুনকে দেখে ‘চোর চোর’ স্লোগান তোলেন। মিঠুন লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ভোট দিয়ে বেরনোর সময় সেই নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করলে, জানান, নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণ বিধি জারি রয়েছে। তাঁর কথায় ভোটে প্রভাব পড়তে পারে, সন্ধে ৬টার পর যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে তিনি তৈরি বলে মন্তব্য করেন মিঠুন। (Lok Sabha Elections 2024)।

https://x.com/ANI/status/1796732594597609737?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1796732594597609737%7Ctwgr%5E58db6e17fbf1ee92903990cba5e0d4996999fe15%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fd-29657901071151022889.ampproject.net%2F2405160547000%2Fframe.html

ভোট দিতে বাধা, পুকুরে ইভিএম ফেললেন গ্রামবাসীরা! উত্তপ্ত কুলতলি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, রেগে গিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে ইভিএম নিয়ে পুকুরেই ফেলে দিলেন গ্রামবাসীরা। উত্তপ্ত কুলতলি । এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তবে মাঝপথেই পুলিশকে আটকানো হয়। রাস্তার মাঝে গাছের গুঁড়ি ফেলে দিয়ে পুলিশের গাড়ি আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

লোকসভা ভোটগ্রহণের শেষপর্বে ফিরল অশান্তির ‘চেনা’ ছবি। ভোট শুরুর আগে থেকেই দফায়-দফায় উত্তেজনার ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায়। এর মধ্য়ে অন্যতম জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কুলতলির মেরিগঞ্জ ২ নম্বর অঞ্চলের ৪০ ও ৪১ নম্বর বুথের ঘটনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তাদের ভোট দিতে বাধা দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদেই ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট পুকুরে ফেলে দেয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে পুলিশ এলে তাদের গাড়ির সামনে গাছের গুড়ি ফেলে বিক্ষোভ চলতে থাকে।

বিজেপি প্রার্থী অশোক কাণ্ডারীর অভিযোগ, বিরোধী এজেন্টদের বসতে দিচ্ছিল না তৃণমূল। এদিকে নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকেও আঙুল তুলেছেন তিনি।

বিজেপির দাবি, সকাল থেকেই বিজেপি কর্মীদের একাংশের দাবি তাদের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। এমন মারধর করা হয়েছে তিনি আর উঠতে পারছেন না। পুলিশ এসে কিছুই করতে পারছে না। এদিকে গ্রামবাসীদেরও অভিযোগ, তাদের ভোট দিতে বাধা দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এদিকে এই সব উত্তেজনার মাঝে আহত হন এক বিজেপি কর্মী। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর মা জানান, তাঁর ছেলে এবারে বিজেপির বুথ এজেন্ট হয়েছেন। তবে ছেলে বুথে বসতে গেলে তাঁকে ধরে মারধর করা হয়।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে যান কমিশনের আধিকারিকরা। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে কমিশন। এদিকে সকাল ৭টা থেকে ভোট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মেরিগঞ্জ ২ নম্বর অঞ্চলের ৪০ ও ৪১ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণ ব্যাহত হয়। পরে বিকল্প ইভিএম এনে সেখানে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। উল্লেখ্য, এর আগে পঞ্চায়েত ভোটে এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে রাজ্যের বহু জায়গায়। সেখানে ব্যালট বাক্স জলে ফেলা হয়েছিল। এই নিয়ে বিজেপি প্রার্থী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘৪১ ও ৪১ নম্বর বুথে এজেন্টদের বসতে না দেওয়ার গ্রামের মহিলারা জমায়েত করেন। তাঁদের দাবি এজেন্টদের বসতে দিতে হবে। কিন্তু শাসকদল বাধা দেয়। এজেন্টদের বসতে দিতে চাইছে না। সেই জন্য সমস্ত মহিলারা একজোট হয়ে ইভিএম জলে ফেলে দেন।’

বাবা CPM-এর হোলটাইমার! ভাতায় চলে সংসার, মাধ্যমিকে তৃতীয় উদয়ন হতে চায় ডাক্তার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাবা সিপিআইএমের হোলটাইমার। ভাতায় চলে সংসার, সেই উদয়ন প্রসাদ এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় তৃতীয় হয়েছে। ৭০০-র মধ্যে পেয়েছে ৬৯১ নম্বর। আর তারপর বালুরঘাট হাইস্কুলের ছাত্রকে সিপিআইএমের তরফে অভিনন্দন জানানো হল। সিপিআইএমের তরফে বলা হয়েছে, ‘মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় তৃতীয় হয়েছে উদয়ন প্রসাদ। উদয়নের ডাক নাম লেনিন। বালুরঘাটে বাড়ি। অভিনন্দন উদয়নকে।

উদয়নের বাবা, উমেশ প্রসাদ বালুরঘাট পার্টি অফিসের সিপিআই (এম)-র সর্বক্ষণের কর্মী। মা বিন্দু বারুই প্রসাদ গৃহবধু। জানা যায়, ডাক্তার হতে চান উদয়ন। উদয়ন বলেন ‘এতটা সাফল্য পাবো আশা করিনি। তবে এই ফলাফল ভালো লাগছে। দিনে ৮ থেকে ৯ ঘন্টা পড়তাম আমি। আর টেস্ট পরীক্ষার পরে পড়াশোনাটা আরো বাড়িয়ে দিয়েছিলাম’।

উদয়ন জানান, অনেক কষ্টে সংসার চলে আমাদের। বাবা পার্টির হোলটাইমার। পার্টি যা ভাতা দেয় তাতেই চলে সংসার।

আর ছেলে যে সেই কষ্টের দাম দিয়েছে, তাতে গর্বে বুকে ফুলে যাচ্ছে বাবা উমেশ। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম যে ছেলে ভালো রেজাল্ট করবে। ছোট থেকেই ও ভালো রেজাল্ট করে আসে। (মাধ্যমিকের তৃতীয় হয়েছে) জানার পরে খুবই ভালো লাগছে।’