কয়েকদিন পরেই জগদ্ধাত্রী পুজো, আসুন জেনেনি জগদ্ধাত্রী পুজো কি, কেন এর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

দুর্গাপূজার ঠিক এক মাস পরে, কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষে দেবী জগদ্ধাত্রীর পুজো। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী জগদ্ধাত্রী হলেন জগতের ধাত্রী বা পৃথিবীর পালিকা। তিনি দেবী দুর্গারই আর এক রূপ। দেবী ত্রিনয়না, চতুর্ভূজা ও সিংহবাহিনী। তাঁর হাতে শঙ্খ, চক্র, ধনুক ও বাণ; গলায় নাগযজ্ঞোপবীত। বাহন সিংহ, করীন্দ্রাসুর অর্থাৎ হস্তীরূপী অসুরের পৃষ্ঠে দণ্ডায়মান।

হিন্দু উপনিষদের একটি কাহিনী অনুসারে মহিষাসুর বধের পর দেবতারা নাকি খুব অহংকারী হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের ধারণা হয়েছিল, দেবী দুর্গাকে অস্ত্রদান করার ফলেই এই বিজয়। এই ধারণা ভ্রান্ত প্রমাণ করতে যক্ষরূপে আবির্ভূত হলেন শক্তির উৎস ব্রহ্ম। দেবতাদের পরীক্ষা করার জন্য একটি ঘাসের খণ্ড সামনে রেখে সেটিকে জয় করতে বললেন। অগ্নি ও বায়ু তাঁদের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করেও সেই তৃণখণ্ডটিকে দগ্ধ বা বিধৌত করতে পারলেন না। অবশেষে দেবতারা বুঝতে পারলেন, যাবতীয় শক্তির উৎস এই ব্রহ্ম, যিনি বিরাজ করেন জগতের মাতা জগদ্ধাত্রী রূপে। তাঁর পূজা করলে জয় করা যায় যাবতীয় হিংসা আর অহংকারকে।

আমাদের এই বাংলায় জগদ্ধাত্রী পূজার সূচনা করেন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে, নদীয়া জেলার সদর কৃষ্ণনগরে। কিংবদন্তী আছে, নবাব আলিবর্দির রাজত্বকালে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে বারো লক্ষ টাকা নজরানা দাবি করা হয়। নজরানা দিতে অপারগ রাজা বন্দী হয়ে মুর্শিদাবাদে (মতান্তরে মুঙ্গেরে) স্থানান্তরিত হন। মুক্তির পর নদীপথে কৃষ্ণনগরে প্রত্যাবর্তনের সময় ঘাটে বিজয়াদশমীর বিসর্জনের বাজনা শুনতে পান রাজা। বুঝতে পারেন যে সেই বছর দুর্গাপূজার সময় উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। দুর্গাপূজার আয়োজন করতে না পেরে দুঃখিত রাজা সেই রাতেই মা দুর্গাকে স্বপ্নে দেখেন আর আদেশ পান জগদ্ধাত্রীর রূপে পরবর্তী শুক্লানবমী তিথিতে পূজা করার। সেই থেকে কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে জগদ্ধাত্রী পূজা হয়ে আসছে। রাজবাড়ির দরজা জগদ্ধাত্রী পূজার সময় আজও খোলা থাকে। পূজা পুরনো প্রথা মেনে হয় শুধুমাত্র নবমী তিথিতে।

জগদ্ধাত্রী পূজা আজ কিংবদন্তীর পর্যায়ে চলে গেছে হুগলী জেলার চন্দননগরে। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজার প্রবর্তক ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। জানা যায়, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ ইন্দ্রনারায়ণ ছিলেন চন্দননগরের ফরাসি সরকারের দেওয়ান। প্রায় আড়াইশো বছর আগে, কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পূজা দেখে মুগ্ধ হয়ে ইন্দ্রনারায়ণ চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জ চাউলপট্টিতে জগদ্ধাত্রী পূজার প্রচলন করেন। এই পূজা চন্দননগরে আদি পূজা নামে পরিচিত। এখানকার প্রতিমার বৈশিষ্ট্য হল সনাতনরীতির প্রতিমায় সাদা সিংহ এবং বিপরীতমুখী অবস্থানে হাতি। শোনা যায়, বিসর্জনের সময় আদি প্রতিমা জলে পড়লেই শুশুক বা সাপের দেখা পাওয়া যায়। স্থানীয় বিশ্বাসে এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রতা। চন্দননগরের পূজার আর এক বৈশিষ্ট্য হল বিশাল উচ্চতার প্রতিমা আর আলোকসজ্জা। পূজার বিসর্জনও দেখবার মত। এছাড়া বাঁকুড়া জেলার জয়রামবাটী গ্রামে রামকৃষ্ণ পরমহংসের সহধর্মিণী সারদা দেবীর জন্মভিটার জগদ্ধাত্রী পূজা খুব বিখ্যাত। রামকৃষ্ণ মিশনেও এই পুজোর প্রবর্তন করেছিলেন সারদা দেবী।

বাড়িতে বসেই রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্ক করবেন কিভাবে? জেনে নিন

করোনার সময় পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রেশন পেতে পারেন সেইজন্য কেন্দ্র সরকার “এক দেশ এবং এক রেশন কার্ড” প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে। এই প্রকল্পকে কার্যকর করার জন্য Aadhaar Card-এর সঙ্গে Ration Card লিঙ্ক করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খুব সহজেই বাড়িতে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে আধার কার্ডের সাথে রেশন কার্ডের লিঙ্ক করানো সম্ভব। আধার কার্ডের সাথে রেশন কার্ডের লিঙ্ক করালেই আপনার দুয়ারে পৌঁছে যাবে এবার রেশন। নীচে আমরা দেখবো কিভাবে অনলাইনে রেশন কার্ডের সাথে আধার কার্ড লিঙ্ক করানো যায়। ‌

পশ্চিমবঙ্গে Aadhaar Card-এর সঙ্গে Ration Card লিঙ্ক করার পদ্ধতি –

১) পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের আধার কার্ডের সাথে রেশন কার্ড লিঙ্ক করতে গেলে প্রথমেই যেতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য দফতরের ওয়েবসাইট food.wb.gov.in।

২) পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য দপ্তর এর ওয়েবসাইটে গিয়ে বাঁ দিকের উপরে ‘Ration Card’ অপশনটি আছে। সেটিকে ক্লিক করুন।

৩) এরপর ‘Apply Online’ অপশনটিকে বেছে নিন।

৪) তার পরে যান ‘Apply for updation of Mobile number and aadhaar card for already exiting ration card{form-11}’ অপশনটিতে।

৫) এরপর আপনার সামনে নতুন পেজ ওপেন হবে সেখানে গিয়ে আপনার রেশন কার্ডের সাথে মোবাইল নম্বরটি লিঙ্ক করা আছে সেই নম্বরটিকে ইনপুট করুন।

৬) দেখুন আপনার অ্যাকাউন্টের প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য এখানে দেখাবে। তারপর এখানে আধার কার্ডের নম্বর দিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য ইনপুট করুন।যে তারপর সাবমিট করে দিন।

৭) আপনি যদি ভুলে যান যে আপনার কোন ফোন নম্বর রেশন কার্ডের সাথে সংযোগ করা আছে তাহলে ‘I don’t know which mobile number I have in my Ration Card’ অপশন সিলেক্ট করে জেনে নিন।

৮) এরপর রেশন কার্ডের ক্যাটেগরি সিলেক্ট করুন এবং সেখানেই রেশন কার্ডের নম্বর ইনপুট করুন।

৯) এরপর দেখবেন আপনার অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য দেখা গেছে।

  • এবার Aadhaar Card-এর সঙ্গে Ration Card আদৌ লিঙ্ক হয়েছে কী না, তা জানবেন কীভাবে?

১) প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য দপ্তরের ওয়েবসাইট food.wb.gov.in ওয়েবসাইট ওপেন করুন।

২) হোম পেজে ‘Ration Card Option’ সিলেক্ট করুন।

৩) এরপর ‘Verify Ration Card{Verify e-RC/DRC}’ অপশন সিলেক্ট করুন।

৪) এরপর দেখুন আপনার সামনে একটি নতুন পেজ ওপেন হবে।

৫) সেখানে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য ইনপুট করুন।

৬) এরপর Ration Card ক্যাটেগরি ও রেশন কার্ড নম্বর দিয়ে ক্যাপচা কোড দিন।

৭) এরপর দেখুন আপনি রেশন কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর, পরিবারের প্রধান সদস্যের নাম ও আধার কার্ডের নম্বর দেখতে পারবেন।

একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন

অতনু ঘোষ এর রিপোর্ট মেমারিঃ
“একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন”, এই স্লোগানকে সামনে রেখে পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির সম্মিলনী ক্লাবের উদ‍্যোগে ও কলকাতার অশোক ল‍্যাবোটারিজের সহযোগিতায় করোণা বিধি কে মান্যতা দিয়ে মেমারি তে আয়োজিত হলো স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির।

মেমারির সম্মিলনী সারা বছরই কিছু না কিছু সামাজিক কাজের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায় এবং প্রতি বছরই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে। এ বছর তাদের রক্তদান শিবির সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করল। আজকের এই রক্তদান শিবির থেকে এক সম্প্রীতির বার্তাও দেওয়া হলো। আজকের এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা একজন হিন্দু ব্রাহ্মণ ঘরের মহিলা যখন রক্ত দিচ্ছেন ঠিক সেই সময় তার পাশে দাঁড়িয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে দেখা গেল মুসলমান ধর্ম গুরু কে। এই ছবি দেখে এটা প্রমাণিত যে,মেমারির সম্মিলনী ক্লাব আজকের এই রক্তদান শিবির আয়োজন করে শুধুমাত্র রক্তের ঘাটতি মেটাবার চেষ্টাই করেনি তার সাথে সাথে এক সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছে সাধারণ মানুষকে।

আজকে এই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত হয়েছিলেন মেমারি থানার বেশ কিছু আধিকারিকগণ সহ বিশিষ্ট সমাজসেবী নিত্যানন্দ ব্যানার্জি, ফারুক আব্দুল্লাহ, ফাত্তার কয়াল, সনাতন হেমরম,মেমারি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রামকৃষ্ণ হাজরা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। স্ত্রী পুরুষ মিলে মোট 100 জনের অধিক রক্তদাতা রক্ত দান করবেন বলে জানা যায়। মহিলা রক্তদাতার সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। সবশেষে একটা কথাই বলা যায় ” *রক্তদান মহৎদান, রক্তে কত জীবন বাঁচে। রক্তা ভাবে পড়েছে যারা, রক্তদানের আসল মানে একমাত্র তারাই জানে ।*

প্রতি ঘন্টায় ৫ হাজার, ৩০ মিনিটে ৩ হাজার নেন তাহমিনা

বসের আবদার। না রাখলে চাকরি থাকে না,। ইভেন্ট ম্যানাজারের কথা না শুনলে কাজ জুটে না, । মূ’লত অর্থ উপার্জনের জন্যই তাদের ডাকে সাড়া দিতেন তাহমিনা নামের এই তরুণী, । ফরমাল পোশাক ও ভদ্র-চেহারার আড়ালে মনোরঞ্জন ক’রতেন বসের, ।তাহ-মিনার কদর ছিলো বেশ, । তাই বস থেকে বসের ব’ন্ধু এভাবে সেবা গ্রহিতার সংখ্যা বাড়তেই থাকে, ।

তার’পর এক পর্যায়ে চাকরিটা চলে যায় তার, । বেছে নেন অন্য প্ল্যাট’ফর্ম, । যেখানে তিনি স্বাধীন । এখন কথায় কথায় কামনার ঢেউ তোলেন । সেইস’ঙ্গে কথা’ও বলে তার শ’রীর । যেখানে তাহ-মিনাসহ রয়েছেন রাজ’ধানী ঢাকার অসংখ্য তরুণী । তারা রাতের পাখি । রাত গ’ভীর হলেই নিত্য নতুন সাজে নিজেকে প্রদ’র্শন করেন । আবেদন’ময়ী বাক্যে, শা’রীরিক অ’ঙ্গ-ভ’ঙ্গিতে সৃষ্টি করেন তীব্র আক’র্ষণ ।

দর্শক’দের আকাঙ্খা পূরণে একধাপ এগিয়ে থাকনে তারা, । প্রদর্শণ করেন শ’রীরের বিভিন্ন অংশ । এর সবই ঘ’টে ভার্চুয়াল মাধ্যমে । স্বল্প বসনা এসব তরুণী’দের ফলোয়ারের সংখ্যা বিপুল ।

রাত বাড়ার স’ঙ্গে স’ঙ্গে এক একটি আইডি’তে হাজির হন বহু ব্যবহার’কারী । উদ্দাম নাচ, গান থেকে শুরু করে ঘ’টে অনেক কিছুই । এই অনেক কিছুর শুরু এই ভার্চুয়াল লাইভ থেকেই । লাইভে দেয়া হয় বিকাশ নম্বর ।

টাকা পেলেই তবে ব্য’ক্তিগত ইমো বা হোয়াটস-অ্যাপে হাজির হন তরুণীরা । রাত জেগে পুরু’ষদের মনো-রঞ্জন করে কামিয়ে নিচ্ছেন হাজার-হাজার টাকা । কথা হয়েছে এরকম কয়েক জন তরুণী ও তাদের ফলোয়ারদের স’ঙ্গে । তাদের একজন তাহ-মিনা । খুব ভালো না হলে’ও নাচ ও গান ক’রতে পারেন তিনি । রাজধানীর যাত্রা-বাড়ীর বাসিন্দা এই তরুণী গান ক’রেছেন বিভিন্ন মঞ্চে। কিন্তু গান করে যা আয় ‘হতো তা দিয়ে সংসার চা’লানো ছিলো ক’ষ্টকর ।

পরিবারের অ’সু’স্থ মা, ছোট এক ভাই ও বোন রয়েছে । বাবাকে হা’রিয়ে মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়েই হাল ধ’রেন সংসারের । তাহমিনা জা’নান, লেখাপড়া কম তাই ভালো চাকরির পেছনে ছুটতে পারছিলেন না । মঞ্চে গান করে’ও ভালো কিছু হচ্ছিলো না ।

প্রতিটি ক্ষেত্রেই কাজে’র বিনিময়ে একান্তে সময় কা’টানোর প্রস্তাব দেয়া ‘হতো । রাজি না হলে কাজ বা’তিল বা টাকার পরিমাণ কমে যেতো । রিসিপশনিস্ট পদে চাকরি করেছিলেন একটি কর্পোরেট হাউজে । বসের ডাক আসে বারবার । কখন’ও বাসায়, কখনও হোটেলে । বা’ধ্য হয়েই সাড়া দেন । তারপর রিসিপশনিস্ট পিএ ।এবার বসের স’ঙ্গে যান দেশের বিভিন্ন-স্থানে । এমনকি বেশ কয়েক দেশে’ও ।

স্লীম ফিগা’র, ফর্সা সুন্দর মায়াবী চেহারা । বসের কাছে বেশ কদর । এবার বসের ব’ন্ধুরা ভাগ বসাতে চান । আপ’ত্তি জা’নান তাহমিনা । বি’ষয়টি নিয়ে বস ক্ষু’ব্ধ । শেষ পর্যন্ত চাকরি চলে যায় তাহ-মিনার । দু’শ্চিন্তায় বেশ কিছুদিন ।

ওই সময়েই এক বান্ধবীর মাধ্যমে খোঁ’জ পান বিগো লাইভের । লাইভ স্ট্রিমিংয়ের এই প্ল্যাট-ফর্মে আইডি করে শুরু করেন যাত্রা । যেখানে ওয়েব-সাইটটির ব্যবহার-কারীরা সরাসরি তাদের ফলোয়ারদের সাথে ভিডিও স্ট্রিমিং ক’রতে পারে ।

তাহমিনা লাইভে যান । কথায় কথায় কামনার টেউ তোলেন । লাইভে গিয়ে আ’গ্রহীদের কাছে দেন বিকাশ নম্বর । দা’বি করেন ঘন্টা প্রতি পাঁচ হাজার । ৩০ মিনিটে তিন হাজার । বিকাশে টাকা পেলেই দরজা খোলেন ইমুর । ইমুতে ভার্চুয়াল প্রশান্তি দেন তিনি । বিনিময়ে উপার্জন করেন টাকা । এভাবেই রাতের পর রাত জাগেন । তাহমিনার মতো অনেকেই ।

পুরানো সংবাদপত্র দিয়ে খেজুরির যুবক তৈরি করলেন এক অভিনব সংগ্রহশালা

বাংলা হান্ট ডেস্ক;  সংবাদপত্র সমাজ জীবনের দলিল। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে সংবাদপত্র পড়ার রেয়াজ ক্রমশ কমছে। অথচ সংবাদপত্র পড়ার রেওয়াজ একসময় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ছিল। আজ ইন্টারনেটের যুগে আমরা মোবাইল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যমে সংবাদ যতটা সহজে পড়তে পারি, আগে কিন্তু ততটা সহজ ছিল না। দেশ ও বিদেশের সংবাদ পাওয়ার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে বসে থাকতে হত। সাতসকালে সংবাদপত্র পাঠকদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংবাদ কর্মীকে করতে কঠোর পরিশ্রম। আর সেই সংবাদ পড়া হয়ে গেলে সেই সংবাদপত্রের ঠিকানা হত বাড়ির কোন গুরুত্বহীন স্থানে। কিন্তু ফেলে দেওয়ার সংবাদ পত্রের রাশি রাশি তথ্যই ইতিহাস বদলে দেয়। সেই কারণেই পূর্ব মেদিনীপুরে খেজুরির বাসিন্দা ‘মধুসূদন জানা’ পুরোনো খবরের কাগজের নানা কাটিং সংগ্রহ করে তৈরি করেছেন এক সংগ্রহশালা। যার পোশাকি নাম “অমূল্য সম্পদে ভরা খবরের কাগজ”।

এ বিষয়ে যুবকটি বলেন, একজন সাংবাদিক বহু পরিশ্রম করে খবরের সত‍্যতা যাচাই করে খবর সংগ্রহ করে। সেটি বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে প্রিন্ট করে পৌঁছে যায় পাঠক পাঠিকাদের হাতে। সকালে সযত্নে গ্রহন করার পর পরেরদিন সকালে পৌঁছে যায় ডাস্টবিনে। এমন কি খবর কাগজ বিছিয়ে বসা,কাঁচ পরিষ্কার,বোতল পরিষ্কার,ঢোঙা,খাওয়ার টেবিলে বিছানো,দেওয়ালে মাড়ানো। বিভিন্ন কাজে ব‍্যবহার করা হয়। বলা যায়, শিক্ষা সংস্কৃতির মেরুদন্ড হল এই খবরের কাগজ। সেই মূল‍্যহীন কাগজের মধ্যে যে অমূল্য সম্পদ ভরা রয়েছে সেই তথ‍্য গুলি তুলে ধরতে চেয়েছি জনসমক্ষে। খবর কাগজের মধ্যে যে সব তথ‍্য থাকে তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝা যায় সংরক্ষণের মাধ্যমে। এই সংরক্ষণ নিয়ে একটি প্রোজেক্ট তৈরি করেছি দীর্ঘ ৭ বছর ধরে। প্রোজেক্টির নাম “অমূল‍্য সম্পদে ভরা খবরের কাগজ”।

তিনি আরো জানান, “আমার প্রোজেক্টির মূল উদ্দেশ্য, সংবাদের মূল‍্য, সাংবাদিকের মূল‍্য এবং সর্বোপরি খবর কাগজের মূল‍্য সমাজের কাছে বোঝানোর করেছি, যে পত্র পত্রিকার ভিতরে কী অসীম ক্ষমতা সম্পন্ন তথ‍্যচিএ লুকানো থাকে। আমার প্রোজেক্টে বহু পুরোনো প্রায় ৭০_৮০ বছরের খবর কাগজের তথ‍্যচিত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। ৫২ রকমের পত্র পত্রিকার সংবাদ সংগ্রহ করেছি। শুধু তাই নয় ১০ টি ভাষায় পত্র পত্রিকার উপর কাজ করেছি। যে সমস্ত তথ‍্যচিত্র সংগ্রহ করা হয়েছে তার মধ‍্যে কয়েকটি হল
১. জওহরলাল নেহেরুর প্রথম পতকা উত্তলোনের তথ‍্যচিত্র।
২. মহাত্মা গান্ধীর শেষ অনশন ও অসহযোগ আন্দোলনের বৈঠকের তথ‍্যচিত্র ।
৩. ১৮৭৪ সালে কলকাতা দৃশ‍্যের তথ‍্যচিত্র।
৪. কলকাতাতে যেদিন প্রথম ট্রাম চলে তার তথ‍্যচিত্র।
৫. ১৯৫০ সালে প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবেসর তথ‍্যচিত্র।
৬. ক্ষুদিরামের ফাঁসির স্থলের তথ‍্যচিত্র।
৭. ১৯১২ সালে টাইটানিক দৃশ‍্যের তথ‍্যচিত্র।
৮. মাদার টেরিজা যেদিন মারা যায় তার তথ‍্যচিত্র।
৯. প্রথম কার্গিল যুদ্ধ ও প্রথম বিধবা বিবাহের তথ‍্যচিএ।
১০. ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপ,পুলওয়ামা অ‍্যাটাক,নোট বাতিল,ভুজের ভূমিকম্প,বুলবুল, আমফান ইত‍্যাদি।এই রকমের ৯০০টি প্রমাণ পত্র সংরক্ষণ করছি। B4 সাইজের কাগজের উপর খবর কাগজ মাড়িয়ে ল‍্যামিনেশান করেছি।”

করোনা পরিস্থিতিতে অন্তরালে থেকেই নিরবে সেবা দিয়ে গেলেন এই শ্রেণীর মানুষগুলি

বালুরঘাট ২২ আগষ্ট ; হ্যাঁ, এরাও কিন্তু করোনা যোদ্ধা। হয়তো ডাক্তার, নার্স বা পুলিশ বা অনান্ন্য সামনের সারির যোদ্ধাদের মত সামনে দাঁড়িয়ে থেকে করোনার সাথে লড়াই করেনি। কিন্তু তাই বলে অন্তরালে দাড়িয়েও থাকে নি। করোনা- যোদ্ধা বলে সন্মান জানিয়ে সারা দেশ যখন ডাক্তারদের জন্য তালি, থালি সব বাজিয়ে ছিল, মোমবাতি জ্বালিয়ে ছিল ঘরে ঘরে। এরই মাঝে আরেকটা যোদ্ধা শ্রেনী নীরবে “সেবা” দিয়ে গেলেন, যাকে বলে একদম ফোর ফ্রন্টে দাঁড়িয়ে।

দেশে প্রথম দফা লকডাউন থেকে এই আনলক ৩ পর্যন্ত ডাক্তার নার্স আর পুলিশ যেমন লড়াই করেছে। এরাও তেমন প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল অবদ্ধি অক্লান্ত পরিশ্রম করে জেলার প্রতিটি রেশন দোকানে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়ে হাজার হাজার মানুষের মুখের খাবার যুগিয়েছেন। তাই এদের লড়াই ও কিন্তু অনান্য করোনা যোদ্ধাদের থেকে কম লড়াই নয়। এই করোনা আবহে আর লকডাউনের জেরে যখন মানুষ ঘর বন্দি জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে। ঠিক তখন এরা যদি এগিয়ে না এসে মানুষের প্রতিদিনের মুখের গ্রাসাচ্ছদনের সরবরাহের কাজে হাত না লাগাতো। তবে কি সরকারের দেওয়া খাদ্যের জোগান সঠিক সময়ে মানুষ পেত। জানি অনেকেই বলবেন তারা তো এই কাজের বিনিময়ে তাদের পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। হ্যাঁ তা তারা নিশ্চই পান। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি সেই পারিশ্রমিক ? তার পরিমান কত ? সে তো পারিশ্রমিক ও পান প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা ডাক্তার, নার্স এবং পুলিশ ও, বরং এদের থেকে অনেক অনেক বেশি পারিশ্রমিক পেয়েই তারা প্রথম সারিতে থেকে লড়াই করছে করোনার সাথে। তার সাথে উপরি রয়েছে মোটা টাকার জীবন বিমার সুবিধে।কিন্তু এদের না আছে মোটা টাকার পারিশ্রমিক না আছে জীবন বিমা। তবুও করোনা ভয় উপেক্ষা করেই মানুষের পেট ভরাতে রেশন দোকান গুলিতে খাদ্যের সরবরাহ লকডাউনের সেই প্রথম প্রহর থেকেই এরা বজায় রেখেছে। অন্তরালে থেকে জনজীবনের প্রতিদিনের খাদ্যের চিন্তা দূর করতে অদম্য লড়াই চালিয়েছে। এরা করোনা ভয়ে পিছিয়ে থাকলে। কি ভাবে হাজার হাজার মানুষের মুখে হাসি ফুটতো। তা ভাবলেও আজ সরকারকে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হতো। যা এরাই হাসি মুখে এগিয়ে এসে সরকারের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে জনজীবনকে স্বাভাবিক রাখার প্রয়াস আজও বজায় রেখেছে।বলতে গেলে বিবেকের তাড়নায়, সামাজিক দায়বদ্ধতা, মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই মহান এই দায়িত্বটি তারা আজও পালন করে যাচ্ছেন মুখ বুজে। অন্তরালে থাকলেও তাই এরাও প্রথম সারির করোনা যোদ্ধার থেকে কম কিসে ।

পূর্ব বর্ধমান জেলার নতুন গ্রামে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় চলছে কাঠপুতুল মেলা!

পূর্ব বর্ধমান জেলার নতুন গ্রামে  ৩ থেকে ৫ ই জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে কাঠপুতুল মেলা।  সকাল ১১ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এই মেলা। প্রত্যেক সন্ধ্যায় থাকছে বিভিন্ন রকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেমন লোকগান  বাউল গান, ছৌ নাচ, বনবিবির পালা ও রায়বেঁশ।এই গ্রামের লোকেরা মূলত কাঠের পুতুল তৈরি করে বিক্রি করে। এটাই এখানকার পরিবারদের প্রধান জীবিকা। গ্রামের 45 টি পরিবার এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। তারা ঘরে ঘরে বিভিন্ন ধরনের কাঠের পুতুল তৈরি করে, বংশ পরম্পরায় ধরে তারা এই কাজ করে যাচ্ছে । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বাম সরকারের আমলে  ক্রমশ ধুকছিল এই শিল্প।  এখানকার এক কাষ্ঠ শিল্পী  মাধব ভাস্কর বললেন আগে ছিল না কোন সরকারি সহযোগিতা,  ছিলনা  কোন প্রচার। মেলায় মেলায় ঘুরে কিছু পুতুল বিক্রি করে পেট চালাতাম। আস্তে আস্তে এই শিল্প প্রায় বন্ধই হয়ে যেতে বসেছিল।

কিন্তু এখন রাজ্য সরকার, রাজ্যের এই হস্তশিল্পীদের প্রতি অনেক বেশি যত্নশীল। রাজ্য সরকার  এই হস্তশিল্পীদের উৎসাহ দিতে সব রকম সহযোগিতা করছে।  শুধু গ্রামে না এই শিল্পকে এখন বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাদের জন্য তৈরি হয়েছে হাব। এখন এতে আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি আমাদের রোজগার অনেক বেড়েছে।

এই গ্রাম থেকে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও পেয়েছেন কাষ্ঠ শিল্পী শম্ভুনাথ ভাস্কর।

এই মেলায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো , বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ আসেন এই মেলা দেখতে  শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলতে কাঠের পুতুলের মিউজিয়াম দেখতে এবং তাদের জীবনযাত্রা ও কাজের কর্ম পদ্ধতির মান উপভোগ করতে। এই মেলার আয়োজক হল স্বামী জানোকি দাস নতুনগ্রাম উড কার্ভিং আর্টিজানস ইন্ডাস্ট্রিয়াল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ।