প্রতি ঘন্টায় ৫ হাজার, ৩০ মিনিটে ৩ হাজার নেন তাহমিনা

বসের আবদার। না রাখলে চাকরি থাকে না,। ইভেন্ট ম্যানাজারের কথা না শুনলে কাজ জুটে না, । মূ’লত অর্থ উপার্জনের জন্যই তাদের ডাকে সাড়া দিতেন তাহমিনা নামের এই তরুণী, । ফরমাল পোশাক ও ভদ্র-চেহারার আড়ালে মনোরঞ্জন ক’রতেন বসের, ।তাহ-মিনার কদর ছিলো বেশ, । তাই বস থেকে বসের ব’ন্ধু এভাবে সেবা গ্রহিতার সংখ্যা বাড়তেই থাকে, ।

তার’পর এক পর্যায়ে চাকরিটা চলে যায় তার, । বেছে নেন অন্য প্ল্যাট’ফর্ম, । যেখানে তিনি স্বাধীন । এখন কথায় কথায় কামনার ঢেউ তোলেন । সেইস’ঙ্গে কথা’ও বলে তার শ’রীর । যেখানে তাহ-মিনাসহ রয়েছেন রাজ’ধানী ঢাকার অসংখ্য তরুণী । তারা রাতের পাখি । রাত গ’ভীর হলেই নিত্য নতুন সাজে নিজেকে প্রদ’র্শন করেন । আবেদন’ময়ী বাক্যে, শা’রীরিক অ’ঙ্গ-ভ’ঙ্গিতে সৃষ্টি করেন তীব্র আক’র্ষণ ।

দর্শক’দের আকাঙ্খা পূরণে একধাপ এগিয়ে থাকনে তারা, । প্রদর্শণ করেন শ’রীরের বিভিন্ন অংশ । এর সবই ঘ’টে ভার্চুয়াল মাধ্যমে । স্বল্প বসনা এসব তরুণী’দের ফলোয়ারের সংখ্যা বিপুল ।

রাত বাড়ার স’ঙ্গে স’ঙ্গে এক একটি আইডি’তে হাজির হন বহু ব্যবহার’কারী । উদ্দাম নাচ, গান থেকে শুরু করে ঘ’টে অনেক কিছুই । এই অনেক কিছুর শুরু এই ভার্চুয়াল লাইভ থেকেই । লাইভে দেয়া হয় বিকাশ নম্বর ।

টাকা পেলেই তবে ব্য’ক্তিগত ইমো বা হোয়াটস-অ্যাপে হাজির হন তরুণীরা । রাত জেগে পুরু’ষদের মনো-রঞ্জন করে কামিয়ে নিচ্ছেন হাজার-হাজার টাকা । কথা হয়েছে এরকম কয়েক জন তরুণী ও তাদের ফলোয়ারদের স’ঙ্গে । তাদের একজন তাহ-মিনা । খুব ভালো না হলে’ও নাচ ও গান ক’রতে পারেন তিনি । রাজধানীর যাত্রা-বাড়ীর বাসিন্দা এই তরুণী গান ক’রেছেন বিভিন্ন মঞ্চে। কিন্তু গান করে যা আয় ‘হতো তা দিয়ে সংসার চা’লানো ছিলো ক’ষ্টকর ।

পরিবারের অ’সু’স্থ মা, ছোট এক ভাই ও বোন রয়েছে । বাবাকে হা’রিয়ে মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়েই হাল ধ’রেন সংসারের । তাহমিনা জা’নান, লেখাপড়া কম তাই ভালো চাকরির পেছনে ছুটতে পারছিলেন না । মঞ্চে গান করে’ও ভালো কিছু হচ্ছিলো না ।

প্রতিটি ক্ষেত্রেই কাজে’র বিনিময়ে একান্তে সময় কা’টানোর প্রস্তাব দেয়া ‘হতো । রাজি না হলে কাজ বা’তিল বা টাকার পরিমাণ কমে যেতো । রিসিপশনিস্ট পদে চাকরি করেছিলেন একটি কর্পোরেট হাউজে । বসের ডাক আসে বারবার । কখন’ও বাসায়, কখনও হোটেলে । বা’ধ্য হয়েই সাড়া দেন । তারপর রিসিপশনিস্ট পিএ ।এবার বসের স’ঙ্গে যান দেশের বিভিন্ন-স্থানে । এমনকি বেশ কয়েক দেশে’ও ।

স্লীম ফিগা’র, ফর্সা সুন্দর মায়াবী চেহারা । বসের কাছে বেশ কদর । এবার বসের ব’ন্ধুরা ভাগ বসাতে চান । আপ’ত্তি জা’নান তাহমিনা । বি’ষয়টি নিয়ে বস ক্ষু’ব্ধ । শেষ পর্যন্ত চাকরি চলে যায় তাহ-মিনার । দু’শ্চিন্তায় বেশ কিছুদিন ।

ওই সময়েই এক বান্ধবীর মাধ্যমে খোঁ’জ পান বিগো লাইভের । লাইভ স্ট্রিমিংয়ের এই প্ল্যাট-ফর্মে আইডি করে শুরু করেন যাত্রা । যেখানে ওয়েব-সাইটটির ব্যবহার-কারীরা সরাসরি তাদের ফলোয়ারদের সাথে ভিডিও স্ট্রিমিং ক’রতে পারে ।

তাহমিনা লাইভে যান । কথায় কথায় কামনার টেউ তোলেন । লাইভে গিয়ে আ’গ্রহীদের কাছে দেন বিকাশ নম্বর । দা’বি করেন ঘন্টা প্রতি পাঁচ হাজার । ৩০ মিনিটে তিন হাজার । বিকাশে টাকা পেলেই দরজা খোলেন ইমুর । ইমুতে ভার্চুয়াল প্রশান্তি দেন তিনি । বিনিময়ে উপার্জন করেন টাকা । এভাবেই রাতের পর রাত জাগেন । তাহমিনার মতো অনেকেই ।

করোনা পরিস্থিতিতে অন্তরালে থেকেই নিরবে সেবা দিয়ে গেলেন এই শ্রেণীর মানুষগুলি

বালুরঘাট ২২ আগষ্ট ; হ্যাঁ, এরাও কিন্তু করোনা যোদ্ধা। হয়তো ডাক্তার, নার্স বা পুলিশ বা অনান্ন্য সামনের সারির যোদ্ধাদের মত সামনে দাঁড়িয়ে থেকে করোনার সাথে লড়াই করেনি। কিন্তু তাই বলে অন্তরালে দাড়িয়েও থাকে নি। করোনা- যোদ্ধা বলে সন্মান জানিয়ে সারা দেশ যখন ডাক্তারদের জন্য তালি, থালি সব বাজিয়ে ছিল, মোমবাতি জ্বালিয়ে ছিল ঘরে ঘরে। এরই মাঝে আরেকটা যোদ্ধা শ্রেনী নীরবে “সেবা” দিয়ে গেলেন, যাকে বলে একদম ফোর ফ্রন্টে দাঁড়িয়ে।

দেশে প্রথম দফা লকডাউন থেকে এই আনলক ৩ পর্যন্ত ডাক্তার নার্স আর পুলিশ যেমন লড়াই করেছে। এরাও তেমন প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল অবদ্ধি অক্লান্ত পরিশ্রম করে জেলার প্রতিটি রেশন দোকানে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়ে হাজার হাজার মানুষের মুখের খাবার যুগিয়েছেন। তাই এদের লড়াই ও কিন্তু অনান্য করোনা যোদ্ধাদের থেকে কম লড়াই নয়। এই করোনা আবহে আর লকডাউনের জেরে যখন মানুষ ঘর বন্দি জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে। ঠিক তখন এরা যদি এগিয়ে না এসে মানুষের প্রতিদিনের মুখের গ্রাসাচ্ছদনের সরবরাহের কাজে হাত না লাগাতো। তবে কি সরকারের দেওয়া খাদ্যের জোগান সঠিক সময়ে মানুষ পেত। জানি অনেকেই বলবেন তারা তো এই কাজের বিনিময়ে তাদের পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। হ্যাঁ তা তারা নিশ্চই পান। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি সেই পারিশ্রমিক ? তার পরিমান কত ? সে তো পারিশ্রমিক ও পান প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা ডাক্তার, নার্স এবং পুলিশ ও, বরং এদের থেকে অনেক অনেক বেশি পারিশ্রমিক পেয়েই তারা প্রথম সারিতে থেকে লড়াই করছে করোনার সাথে। তার সাথে উপরি রয়েছে মোটা টাকার জীবন বিমার সুবিধে।কিন্তু এদের না আছে মোটা টাকার পারিশ্রমিক না আছে জীবন বিমা। তবুও করোনা ভয় উপেক্ষা করেই মানুষের পেট ভরাতে রেশন দোকান গুলিতে খাদ্যের সরবরাহ লকডাউনের সেই প্রথম প্রহর থেকেই এরা বজায় রেখেছে। অন্তরালে থেকে জনজীবনের প্রতিদিনের খাদ্যের চিন্তা দূর করতে অদম্য লড়াই চালিয়েছে। এরা করোনা ভয়ে পিছিয়ে থাকলে। কি ভাবে হাজার হাজার মানুষের মুখে হাসি ফুটতো। তা ভাবলেও আজ সরকারকে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হতো। যা এরাই হাসি মুখে এগিয়ে এসে সরকারের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে জনজীবনকে স্বাভাবিক রাখার প্রয়াস আজও বজায় রেখেছে।বলতে গেলে বিবেকের তাড়নায়, সামাজিক দায়বদ্ধতা, মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই মহান এই দায়িত্বটি তারা আজও পালন করে যাচ্ছেন মুখ বুজে। অন্তরালে থাকলেও তাই এরাও প্রথম সারির করোনা যোদ্ধার থেকে কম কিসে ।

পূর্ব বর্ধমান জেলার নতুন গ্রামে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় চলছে কাঠপুতুল মেলা!

পূর্ব বর্ধমান জেলার নতুন গ্রামে  ৩ থেকে ৫ ই জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে কাঠপুতুল মেলা।  সকাল ১১ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এই মেলা। প্রত্যেক সন্ধ্যায় থাকছে বিভিন্ন রকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেমন লোকগান  বাউল গান, ছৌ নাচ, বনবিবির পালা ও রায়বেঁশ।এই গ্রামের লোকেরা মূলত কাঠের পুতুল তৈরি করে বিক্রি করে। এটাই এখানকার পরিবারদের প্রধান জীবিকা। গ্রামের 45 টি পরিবার এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। তারা ঘরে ঘরে বিভিন্ন ধরনের কাঠের পুতুল তৈরি করে, বংশ পরম্পরায় ধরে তারা এই কাজ করে যাচ্ছে । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বাম সরকারের আমলে  ক্রমশ ধুকছিল এই শিল্প।  এখানকার এক কাষ্ঠ শিল্পী  মাধব ভাস্কর বললেন আগে ছিল না কোন সরকারি সহযোগিতা,  ছিলনা  কোন প্রচার। মেলায় মেলায় ঘুরে কিছু পুতুল বিক্রি করে পেট চালাতাম। আস্তে আস্তে এই শিল্প প্রায় বন্ধই হয়ে যেতে বসেছিল।

কিন্তু এখন রাজ্য সরকার, রাজ্যের এই হস্তশিল্পীদের প্রতি অনেক বেশি যত্নশীল। রাজ্য সরকার  এই হস্তশিল্পীদের উৎসাহ দিতে সব রকম সহযোগিতা করছে।  শুধু গ্রামে না এই শিল্পকে এখন বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাদের জন্য তৈরি হয়েছে হাব। এখন এতে আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি আমাদের রোজগার অনেক বেড়েছে।

এই গ্রাম থেকে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও পেয়েছেন কাষ্ঠ শিল্পী শম্ভুনাথ ভাস্কর।

এই মেলায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো , বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ আসেন এই মেলা দেখতে  শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলতে কাঠের পুতুলের মিউজিয়াম দেখতে এবং তাদের জীবনযাত্রা ও কাজের কর্ম পদ্ধতির মান উপভোগ করতে। এই মেলার আয়োজক হল স্বামী জানোকি দাস নতুনগ্রাম উড কার্ভিং আর্টিজানস ইন্ডাস্ট্রিয়াল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ।