‘Bangladesh Should Be Broken Apart,’ Says Tripura’s ‘King’ in Response to Yunus’ Comments

Banglahunt Desk: During his visit to China, Muhammad Yunus claimed that Bangladesh is the sole maritime guardian for India’s northeastern states. He further stated that there is an opportunity for Chinese economic expansion in that region. Yunus, who served as the chief advisor of Bangladesh’s interim government, made these remarks, which have not been well received by Indian politicians and diplomatic experts. Both the BJP and the Congress have strongly criticized his statement. Now, Tipra Motha’s chief and ‘King of Tripura,’ Pradyot Manikya, has suggested that Bangladesh should be broken into two pieces.

Pradyot Manikya said, “Spending crores on technological advancements and planning is unnecessary. Instead, Bangladesh should be broken apart, and India should take control of the maritime routes.”

He further added, “The Chittagong Hill Tracts are home to many indigenous people who wanted to be part of India in 1947. Millions of Tripuri, Garo, Khasi, and Chakma communities are living there under severe conditions. For our national interest and their welfare, we should take action.” He also mocked Yunus, calling him an “85-year-old interim leader.” Manikya pointed out that the port mentioned by Yunus is only a few miles away from Tripura.

Last week, Yunus visited China, where he was heard stating that India’s seven northeastern states—known as the Seven Sisters—are landlocked and surrounded by mountains, with no direct access to the sea. “We are the maritime guardian of that region, so Chinese economic trade can easily expand there,” Yunus said. His remarks have caused an uproar in political and diplomatic circles.

Notably, the Seven Sisters comprise Assam, Nagaland, Manipur, Arunachal Pradesh, Tripura, Meghalaya, and Mizoram.

পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খানের বলিউড প্রত্যাবর্তন ঘিরে উত্তাল মহারাষ্ট্র!

বাংলাহান্ট ডেক্সঃ আট বছরের দীর্ঘ বিরতির পর বলিউডে ফিরছেন জনপ্রিয় পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খান। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নতুন ছবি ‘আবির গুলাল’-এর ঝলক, যেখানে তিনি বাণী কাপুরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন। তাঁর প্রত্যাবর্তনের খবরে অনুরাগীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস থাকলেও, সমানতালে উঠেছে বিরোধিতার সুর। মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে—এই সিনেমা মহারাষ্ট্রে মুক্তি পেলে আগুন জ্বলবে!

এমএনএস-এর কড়া অবস্থান

এমএনএস দলের মুখপাত্র অমেয় খোপকার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে ‘আবির গুলাল’ মুক্তি পেতে দেওয়া হবে না। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “নির্মাতাদের ঘোষণার পর আমরা জানতে পেরেছি যে এই সিনেমায় একজন পাকিস্তানি অভিনেতা রয়েছেন। তাই কোনও পরিস্থিতিতেই আমরা মহারাষ্ট্রে এই ছবি মুক্তি পেতে দেব না। আপাতত আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করছি এবং শীঘ্রই এই বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিবৃতি দেব।”

https://www.instagram.com/reel/DH5KNa8yYGc/?igsh=aWN1ajZidXppbjRm

শিবসেনার আপত্তি

শুধু এমএনএস-ই নয়, পাকিস্তানি অভিনেতার বলিউডে প্রত্যাবর্তন নিয়ে আপত্তি তুলেছেন শিবসেনার নেতা সঞ্জয় নিরুপম-ও। তিনি পরোক্ষভাবে ফাওয়াদ খানকে কটাক্ষ করে বলেন, “ভারতীয়দের মনে পাকিস্তানের প্রতি প্রবল ঘৃণা রয়েছে। পাকিস্তানি ছবি ভারতীয় দর্শকরা সাধারণত দেখতে চান না। যদিও কৌতূহলবশত কেউ কেউ দেখেন, তবুও পাকিস্তানি শিল্পীরা ভারতে কখনোই বড় সাফল্য পাননি। তাই তাঁদের উচিত নিজেদের সিনে ইন্ডাস্ট্রিতেই মনোযোগ দেওয়া।”

শিবসেনা নেতা আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এ বিষয়ে স্পষ্ট নিয়ম চালু করা—পাকিস্তানি ছবি ভারতে মুক্তি পাবে কি না এবং সেখানকার শিল্পীরা এখানে কাজের সুযোগ পাবেন কি না, তা সরকারকেই স্থির করতে হবে।

আট বছর পর ফাওয়াদ খানের প্রত্যাবর্তন

ফাওয়াদ খান তাঁর সুদর্শন চেহারা ও অভিনয় দক্ষতার জন্য ভারতীয় দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়। এর আগে তিনি ‘খুবসুরত’, ‘কাপুর অ্যান্ড সনস’ এবং ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এর মতো বলিউড ছবিতে অভিনয় করেছেন। কিন্তু ২০১৬ সালে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে পাক শিল্পীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলে, বলিউড থেকে কার্যত হারিয়ে যান ফাওয়াদ। দীর্ঘ আট বছর পর তিনি আবারও বলিউডের রঙিন দুনিয়ায় পা রাখতে চলেছেন ‘আবির গুলাল’-এর মাধ্যমে।

তবে রাজ ঠাকরের দলের এই হুঁশিয়ারির পর এখন দেখার বিষয়—এই সিনেমা আদৌ মহারাষ্ট্রে মুক্তি পায় কি না, নাকি বিরোধিতার কারণে বাধার মুখে পড়ে!

চন্দবাবুর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কেনো এলেন না নীতিশ? খোঁচা বিরোধীদের, নীতিশকে ঘিরে জল্পনা

বুদবার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন তেলুগু দেশমের (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু। এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ বিজেপি এবং তাদের সহযোগী নেতাদের অনেকেই হাজির ছিলেন। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নিতীশ কুমারকে। আর তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

বিরোধীদের ইঙ্গিত মোদীর মন্ত্রিসভায় নীতীশের দল দাবি মতো প্রতিনিধিত্ব পায়নি বলেই চন্দ্রবাবুর শপথ এড়িয়ে গিয়েছেন নীতীশ। আরজেডি মুখপাত্র ইজাজ আহমেদ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আমাদের নেতা তেজস্বী যাদব ভোটের আগেই এনডিএ-র অন্দরে মতবিরোধের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। ওদের শরিকি সম্পর্কে যে টানাপড়েন চলছে, তা এখন স্পষ্ট।’’

আরো পড়ুন- একী কাণ্ড? বাংলায় ৩ বিজেপি সাংসদ যোগাযোগ করছেন তৃণমূলের সঙ্গে!

সূত্রের খবর, নীতীশ এ বার তাঁর দলের জন্য মোদী সরকারে রেলমন্ত্রীর পদ চেয়েছিলেন। কিন্তু মোদীর মন্ত্রিসভায় জেডিইউর একমাত্র পূর্ণমন্ত্রী রাজীবরঞ্জন ওরফে লল্লন সিংহ পেয়েছেন অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চায়েতি রাজ এবং মৎস্য ও পশুপালন মন্ত্রক। আর একমাত্র প্রতিমন্ত্রী রামনাথ ঠাকুরের বরাতে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ।

এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতৃত্বের উপর চাপ বাড়াতেই নীতীশ বুধবার বিজয়ওয়াড়ায় গরহাজির ছিলেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা। বিহার কংগ্রেসের মুখপাত্র জ্ঞান রঞ্জন বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পদ বণ্টন নিয়ে অসন্তোষের কারণেই অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়ে মোদীর মুখোমুখি হননি নীতীশ।’’

চলন্ত বাসে নাবালিকাকে ধর্ষণ!

চলন্ত বাসে নাবালিকাকে ধর্ষণ। নির্যাতিতা অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তের নাম অনিল মেঘওয়াল বলে জানা গিয়েছে। চুরুর ধাধরিয়া বনরোতন গ্রামের বাসিন্দা অলিল। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় দেড় বছর আগে ওই গ্রামেরই এক নাবালিকাকে নেশাজাতীয় দ্রব্যে জুস মিশিয়ে খাইয়েছিল অভিযুক্ত ও তার বন্ধুরা।

এরপর নির্যাতিতার গোপন ছবি নিয়েও ব্ল্যাকমেলও করে অভিযুক্তরা।

জানা গিয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল স্থানীয় দোকানে যাচ্ছিলেন নাবালিকা। তখন ফের তাকে তার অশ্লীল ছবি ভাইরাল করে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখান হয়। এরপর তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় অনিল ও তার বন্ধুরা।

এরপর নাবালিকাকে নিয়ে একটি স্লিপার বাসে ওঠে অভিযুক্ত। চলন্ত বাসেই ধর্ষণ করা হয় নাবালিকাকে। গত ২৬ মে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান নির্যাতিতা। নির্যাতিতা অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী বলে জানা গিয়েছে। মাত্র ১২ বছর বয়সে প্রথম তাকে ধর্ষণ করা হয়।

তবে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। ইতিমধ্যেই তাকে আদালতে তোলা হলে তাকে ২ দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছে এবং পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অনিলকে।

নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী জানা যায়,প্রথমে তার এফআইআর নেয়নি পুলিশ। পরে এসপি অফিসে গিয়ে পুরো ঘটনা খুলে বলে নির্যাতিতা ও তার বাবা। এরপর এসপির নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়।

কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের প্রতিবাদে, মোদীর বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি আপের, সরগরম দিল্লি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার রাতে আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আপ সমর্থকদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসছে দিল্লি। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাসভবন ঘেরাও করার কর্মসূচি নিয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)। সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দিল্লির মন্ত্রী গোপাল রাই।

আজকের কর্মসূচির জন্য সকাল ১০টার সময় দলের সমর্থকদের পটেল চক এলাকায় জড়ো হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আপ নেতৃত্বের তরফ থেকে। এই আবহে জমায়েত বাড়তেই পটেল চক মেট্রো থেকে শুরু করে আশেপাশএর জায়গা থেকে আম আদমি পার্টি কর্মী-সমর্থকদের আটক করে দিল্লি পুলিশ।

দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দেবেশ কুমার মাহলা জানান যে, আপকে (প্রতিবাদ কর্মসূচির) কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। অশান্তি এবং কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলায় দিল্লি পুলিশ কী পদক্ষেপ করছে, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে এবং পটেল চকের সামনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক বাহিনী রাখছি। কোনও অবস্থান বিক্ষোভ বা মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে না।”

দিল্লির ৭, লোককল্যাণ মার্গেই রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই লোককল্যাণ মার্গ মেট্রো স্টেশনের সামনে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পটেল চক এবং সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট মেট্রো স্টেশনে ঢোকা-বেরোনোর কিছু গেট ‘নিরাপত্তার কারণে’ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে মেট্রো পরিষেবা। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রাজধানী এলাকায় টহল দিচ্ছে তাদের ৫০টি টহলদার গাড়ি।

আপের কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিজেপিও। তারা মঙ্গলবার ফিরোজ় শাহ কোটলা স্টেডিয়াম থেকে দিল্লি সেক্রেটারিয়েট পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছে। এই মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন দিল্লির বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব।

এদিকে জেল থেকেই দিল্লির সরকার চালিয়ে যাচ্ছেন কেজরিওয়াল। গতকাল ইডি হেফাজতে থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিজের দ্বিতীয় নির্দেশিকা জারি করেন কেজরিওয়াল। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজকে তিনি নির্দেশ দেন যাতে দিল্লির কোনও মহল্লা ক্লিনিকে ফ্রি ওষুধের ঘাটতি না দেখা দেয়। পরে সৌরভ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘দিল্লির মানুষের জন্য কেজরিওয়াল খুবই চিন্তিত’। এদিকে বিজেপি পালটা অভিযোগ করেছে, সহানুভূতি পেতে কেজরিওয়াল ‘নাটক’ করছেন। এই সবের মাঝেই আজ দিল্লির রাজনৈতির পারদ ক্রমেই চড়ছে। লোকসভা ভোট পর্যন্ত এই পারদ ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

লোকসভা ভোটের আগেই দেশ জুড়ে চালু হচ্ছে সিএএ, সোমবারই বড় ঘোষনা মোদির

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএএ সংসদে পাস হয়ে গিয়েছে অনেকদিন আগেই। কিন্তু তার নেটিফিকেশন এখনও পর্যন্ত জারি হয়নি। বিজেপির বহু নেতার মুখে শোনা যাচ্ছিল লোকসভা ভোটের আগেই জারি হতে পারে সিএএ-র বিজ্ঞপ্তি। আজই সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করবে কেন্দ্র সরকার। এমনটাই সূত্রের খবর। সেই বিজ্ঞপ্তি জারির পরই দেশজুড়ে লাগু হবে সিএএ আইন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর আজ সন্ধ্যায় বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। তার পরই তা লাগু হয়ে যাবে। ফলে ভোটের মুখে তার প্রভাব বাংলার মতো রাজ্যে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারা কীভাবে নাগরিকত্ব পাবে তাও জানিয়ে দেওয়া হবে।

কী রয়েছে সিএএ আইনে?

ওই আইনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে মতো দেশগুলি থেকে মুসলিম ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যারা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে এসেছেন তারা এদেশের নাগরিকত্ব পাবেন। আজ প্রকাশ করা হচ্ছে সেই আইনের বিধি। সিএএ-র বিধির প্রকাশের খবরের পরই নবান্নে একটি জরুরি বৈঠকে ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, তিনি বলেন কারও নাগরিকত্ব বাতিল হলে ছেড়ে কথা বলব না।

৩৪১ স্কুলে ১টি মাত্র ক্লাসরুম! মোদির মডেল গুজরাটে শিক্ষার কঙ্কালসার হাল

মোদির মডের গুজরাটের ৩৪১ প্রথমিক স্কুলে ১টি করে মাত্র ক্লাসরুম। আর যে স্কুলগুলিতে একাধিক ক্লাস রুম আছে, তার অধিকাংশের অবস্থাও শোচনীয়। মঙ্গলবার বিধানসভায় এমন তথ্য জানিয়েছেন গুজরাটের শিক্ষামন্ত্রী কুবের দিন্দোর।

গুজরাট বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করেন কংগ্রেস বিধায়ক কিরীট প্যাটেল। তাঁর অভিযোগ, ২০২৩ সালের সূচক অনুযায়ী প্রায় ২৫ শতাংশ পড়ুয়া গুজরাটি পড়তে পারেনা। ৪৭.২০ শতাংশ পড়ুয়া ইংরাজী পড়তে অক্ষম। এমনকি শিক্ষা পরিকাঠামো উন্নয়নে দেশের প্রথম পাঁচ রাজ্যের মধ্যে গুজরাটের নাম নেই।

কিরীট বলেন, ‘‘বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর শুধুমাত্র প্রচারই হয়েছে। কাজের কাজ কিছু হয়নি। মডেল রাজ্য তৈরি করতে গিয়ে শিক্ষাব্যবস্থার দিকে নজর দেওয়া হয়নি।”

কংগ্রেস বিধায়কের মন্তব্যের পরই শিক্ষামন্ত্রী কুবের দিন্দোর বলেন, গুজরাটে ৩৪১টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। এই স্কুলগুলিতে মাত্র ১টি করে ক্লাসরুম রয়েছে। ওই রুমেই সমস্ত ক্লাস হয়।

তিনি আরও বলেন, বিজেপি সরকার চায় গুজরাটকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে। সেই কারণে ২০২৩-২৪ সালে মিশন স্কুলস অফ এক্সিলেন্স প্রকল্পের অধীনে ১৫ হাজার ক্লাসরুম গড়ে তোলার কাজ চলছে। ৫ হাজারের বেশি কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করা হয়েছে এবং আরও ১৫ হাজার এই ধরণের ল্যাব নির্মাণ করা হবে। এখনও পর্যন্ত ৬৫ হাজার ‘স্মার্ট ক্লাসরুম’ তৈরি করা হয়েছে। আরও ৪৩ হাজার ‘স্মার্ট ক্লাসরুম’ নির্মীয়মাণ অবস্থায় রয়েছে।

এছাড়া ২০২২-২৩ সালে স্কুলছুট শিক্ষার্থীর হার ৩৭.২২ শতাংশ থেকে ২.৬৮ শতাংশ কমেছে। সরকার এই শতাংশ আরও কমানোর চেষ্টায় বদ্ধ পরিকর।

রাম মন্দির উদ্বোধন হতেই বাজারে এল জয় শ্রী রাম হেলমেট!

অযোধ্যা রাম মন্দির উদ্বোধন হতেই অযোধ্যায় ভিড় জমাতে থাকেন লাখ লাখ দর্শনার্থী। রামের আদলে সেজে বাইকে করে রামলালাকে একবার দর্শনের জন্য আসছেন হাজার হাজার ভক্ত। সেজে উঠেছে গাড়ি থেকে বাইক। যেই ছবি ধরা পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখন এই উপলক্ষে, স্টিলবার্ড হেলমেট কোম্পানি মানুষের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা জয় শ্রী রাম ছবি দেওয়া হেলমেট বাজারে নিয়ে এসেছে।

এটি রাম মন্দিরের ছবি দিয়ে বানানো একটি স্পেশাল এডিশন হেলমেট। রামের ছবি, অযোধ্যা রাম মন্দিরের ছবির কারুকার্য রয়েছে হেলমেটজুড়ে। দুটি রঙে কিনতে পারবেন ক্রেতারা। এটি বানিয়েছে স্টিলবার্ড হাই-টেক ইন্ডিয়া লিমিটেড। ইতিমধ্যে এই জয় শ্রী রাম লেখা হেলমেট বাজারে উপলব্ধ।

আরো পড়ুন- ইন্ডিয়া জোটে জোর ধাক্কা! ইস্তফা দিয়ে আগামিকাল এনডিএতে নীতীশ?

জয় শ্রী রাম এডিশন SBH-34 হেলমেট দুটি রঙে লঞ্চ করেছে স্টিলবার্ড হাই-টেক ইন্ডিয়া লিমিটেড। একটি শাইনিং ব্ল্যাকের সঙ্গে স্যাফরন বা গেরুয়া, আরেকটি শাইনিং স্যাফরনের সঙ্গে ব্ল্যাক। সর্বোচ্চ সুরক্ষা ও আরাম নিশ্চিত করার জন্য থার্মোপ্লাস্টিক শেল দিয়ে বানানো হয়েছে হেলমেট। এতে রয়েছে বিশেষ সানশিল্ড। যা সুরক্ষার সঙ্গে আপোস না করেও আলো অ্যাডজাস্ট করতে সাহায্য করে। আলোর তীব্রতা অনুযায়ী কমবেশি করতে পারবে বাইক রাইডার।

দুটি সাইজে পাওয়া যাবে জয় শ্রী রাম এডিশন SBH-34 হেলমেট – লার্জ (600 মিলিমিটার) এবং মিডিয়াম (580 মিলিমিটার)। বাজারে জয় শ্রী রাম হেলমেটের দাম শুরু 1,349 টাকা থেকে। এটি কোম্পানির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার করতে পারবেন।

ইন্ডিয়া জোটে জোর ধাক্কা! ইস্তফা দিয়ে আগামিকাল এনডিএতে নীতীশ?

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তাল বিহারের রাজ্য রাজনীতি। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে, রবিবারই ইস্তফা দিতে পারেন নীতীশ কুমার। শুধু তাই নয় আরজেডির সঙ্গে ছেড়ে সরকার গড়বেন বিজেপির সমর্থনে। অন্যদিকে পাল্টা ছক কষছে আরজেডিও। সূত্রের খবর, রাজ্যের সব বিজেপি বিধায়ক নীতীশ কুমারকে সমর্থন জানিয়ে চিঠিও দিয়ে দিয়েছেন। ফলে বিহারের রাজনীতিতে আগামিকাল মেগা সান ডে।

আরো পড়ুন- ভারতীয় পুরতত্ত্বের পাল্লা কি হিন্দু পক্ষের দিকে ঝুঁকছে? জ্ঞানবাপীতে এএসআই সমীক্ষার রির্পোট প্রকাশ

 

দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে পাটনায় চলে এসেছেন জেডিইউ বিধায়করা। সূত্রের খবর, রবিবারই এনডিএ শিবিরে যোগ দেবেন নীতীশ কুমার। আগামিকালই বিধায়কদের একটি বৈঠকে ডেকেছে বিজেপি। সকাল দশটায় তাদের বিধায়ক ও সাংসদদের একটি বৈঠকে ডেকেছে নীতীশ কুমারের জেডিইউ। তার পরেই সকাল বারোটা নাগাদ রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফা দিয়ে আসবেন নীতীশ। এরপরই বিকেলে রাজ্যপালের কাছে নতুন সরকার গড়ার প্রস্তাব নিয়ে যাবেন।

এদিকে, আরজেডি, কংগ্রেস ও বামপন্থী দলগুলিও বসে নেই। তারাও তাদের মতো করে সরকার গঠন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আড়ালে আবড়ালে তাদের দাবি তাদের হাতে যে বিধায়ক সংখ্যা রয়েছে তা দিয়ে তারা সরকার গঠন করতে পারে। সবে মিলিয়ে বিহারে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে নীতীশ কুমার যদি বিজেপির হাত ধরেন তাহলে বিহারের রাশ তার হাতেই থাকবে। বিহারে যদি ওই বদল হয় তার প্রভাব জাতীয় রাজনীতিতে পড়বে। ফলে ধাক্কা খাবে ইন্ডিয়া জোট। যে নীতীশ ইন্ডিয়া জোট গঠনের প্রধান তিনিই যদি বেরিয়ে যান তাহলে ইন্ডিয়া জোটের আর কোনও অর্থই থাকবে না।

সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রী ঘনিষ্ঠমহলে এনিয়ে তাঁর মতামত দিয়েছেন। তাঁর মতে, ইন্ডিয়া জোট থেকে নীতীশ কুমার যদি সরে যান তবেও ইন্ডিয়া জোটের কোনও অসুবিধা হবে না।

সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে তৃণমূল নেত্রী দাবি করেছেন,জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও বিশেষ কোনও ক্ষতি হবে না। তবে তিনি বেরিয়ে গেলে আগামী দিনে আরজেডি ও লালু পুত্র তেজস্বীর কাজ করতে সুবিধা হবে।

এদিকে, শুক্রবার অখিলেশ যাদব একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘যদি নীতীশ কুমার INDIA জোটে থেকে যেতেন তবে তিনি প্রধানমন্ত্রীও হতে পারতেন।’ তবে ইন্ডিয়া জোটে এই ভাঙনের জন্য নীতীশ নয় কংগ্রেসকেই দায়ী করেছেন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো।

ভারতীয় পুরতত্ত্বের পাল্লা কি হিন্দু পক্ষের দিকে ঝুঁকছে? জ্ঞানবাপীতে এএসআই সমীক্ষার রির্পোট প্রকাশ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বারানসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) নীচে বিশাল একটি বড় মন্দির ছিল। আর সেই মন্দিরের বেশ কিছু নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। এমনটাই চাঞ্চল্যকর দাবি আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (ASI)। আদালতের নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষা চালায় গবেষকরা। আদালতের নির্দেশে ৮৩৯ পাতার রিপোর্টের কপি পাওয়ার পরে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন।

হিন্দুদের পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈন জানান, ASI রিপোর্ট বলছে জ্ঞানবাপী মসজিদের নীচে হিন্দু মন্দির ছিল। আর সেই মন্দিরের কাঠামোও পাওয়া গিয়েছে বলে সমিক্ষার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। আর তার পরেই প্রশ্ন উঠেছে এএসআই-এর ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার’ পদ্ধতি নিয়ে। মুসলিম পক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, দীর্ঘ রিপোর্টটি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে খতিয়ে দেখে তারা প্রতিক্রিয়া জানাবে।

এএসআই রিপোর্ট উদ্ধৃত করে হিন্দু পক্ষের দাবি, মুঘল সম্রাট অওরঙ্গজেব ১৬৬৯ সালের ২ নভেম্বর মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ নির্মাণের ফরমান দিয়েছিলেন। বিষ্ণুশঙ্কর জানিয়েছেন, সেই ফরমান সংক্রান্ত শিলালিপির সন্ধান মিলেছে সমীক্ষায়। রিপোর্টে ‘হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব’ সম্পর্কে এ ধরনের মোট ৩২টি প্রমাণ মিলেছে বলে তাঁর দাবি। তবে তিনি বলেছেন, ‘‘হিন্দু মন্দির ভাঙার চেষ্টার কথা রয়েছে এএসআই রিপোর্টে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এএসআই-এর রিপোর্ট বলছে, মসজিদ তৈরির সময় কিছু বদল আনা হয়েছিল কাঠামোয়। সামান্য বদল এনে মন্দিরের স্তম্ভ এবং অন্যান্য অংশ ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন কাঠামো তৈরি করতে হিন্দু মন্দিরের পিলারের চরিত্রে সামান্য বদল আনা হয়েছিল।’’

আরো পড়ুন- ভাটপাড়া উৎসবে মর্মান্তিক কান্ড! মঞ্চ থেকে পড়ে মৃত্যু নৃত্যশিল্পীর

সংগৃহীত ভাস্কর্য, মাটির পাত্র, টেরাকোটার নমুনা, মুদ্রা, ধাতু এবং কাচ থেকে হিন্দু মনন্দিরের অস্তিত্বের ‘প্রমাণ’ মিলেছে বলে বিষ্ণুশঙ্করের দাবি। তবে এএসআই রিপোর্টে কোথাও ‘মসজিদ’ শব্দটির উল্লেখ নেই। পরিবর্তে রয়েছে ‘বর্তমান কাঠামো’ শব্দবন্ধটি। বিষ্ণুশঙ্কর দাবি করেছেন মোট ৩৪টি লিপি উদ্ধার হয়েছে জ্ঞানবাপী থেকে। তার অনেকগুলিই প্রাক্‌-ইসলামি যুগের। দেবনগরী, তেলুগু, কন্নড় ভাষায় লেখা সেই সব লিপি সাধারণ প্রাচীন হিন্দু মন্দিরেই দেখা যায়। জৈনের কথায়, ‘‘এএসআই রিপোর্ট বলছে, বর্তমান ও প্রাচীন কাঠামোয় বেশ কয়েকটি লিপি নজরে এসেছে। প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের গায়ে সেই সব লিপি খোদাই করা হয়েছিল। পরে সেই সব পাথর নতুন কাঠামো তৈরিতে কাজে লাগানো হয়।

উদ্ধার হওয়া লিপিতে জনার্দন, রুদ্র এবং উমেশ্বর এই দেবতার নাম পাওয়া গিয়েছে। পাওয়া গিয়েছে ‘ত্রিশূল’ চিহ্ন।’’ জ্ঞানবাপী মসজিদের ২১৫০.৫ বর্গমিটার এলাকার সমীক্ষা ক্ষেত্রের মধ্যে পশ্চিমের দেওয়াল, তহখানা এবং মূল কাঠামোর একাংশ থাকলেও ছিল না বিতর্কিত ওজুখানা। সেখানেই তথাকথিত শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব রয়েছে বলে হিন্দু পক্ষের দাবি। তাদের মতে, সেখানেই ছিল ‘স্বয়ম্ভূ বিশ্বেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ’। মুসলিম পক্ষের মতে সেটি পুরনো একটি ফোয়ারার অংশ। ওজুখানা অঞ্চলের সমীক্ষার জন্য হিন্দু পক্ষের একটি আবেদন এখন শীর্ষ আদালতের বিচারাধীন। তহখানা এবং পশ্চিমের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্ব এএসআইয়ের বিশেষজ্ঞেরা রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন বলে জানিয়েছেন বিষ্ণুশঙ্কর।

এএসআই রিপোর্টে ‘গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডার’ ব্যবহার করে মাটির নীচের নানা স্তরে বিন্যস্ত বিভিন্ন যুগের কাঠামোর পরীক্ষার কথা রিপোর্টে উল্লিখিত হয়েছে বলে হিন্দু পক্ষের তরফে দাবি। বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে লিপি পাঠ, মুদ্রা, মূর্তি এবং অন্য ভাস্কর্যের প্রকৃতি দেখে তা কোন যুগের নির্মাণ, তা চিহ্নিত করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু প্রাপ্ত নমুনাগুলির কার্বন ডেটিং পরীক্ষা করেনি এএসআই। সেই পরীক্ষার জন্যও পৃথক আবেদন হয়েছে আদালতে। পুরাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই পরীক্ষা হয়ে ‘ধ্বংস হওয়া বড় হিন্দু মন্দিরের’ বয়স চিহ্নিত করা যেতে পারে।

তবে কোনও শিলাখণ্ডের বয়স নির্ধারণে কার্বন ডেটিং পদ্ধতির প্রয়োগ নিয়ে সংশয়ে বিশেষজ্ঞদের আর এক অংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে মূলত জীবাশ্ম বা দেহাবশেষের বয়স নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু শিলার বয়স নির্ধারণ করা কঠিন। প্রসঙ্গ, প্রাকৃতিক পরিবেশে কার্বনের সবচেয়ে বেশি যে আইসোটোপ পাওয়া যায় তা হল কার্বন-১২। সেই সঙ্গে খুব অল্প পরিমাণ কার্বন-১৪-ও পাওয়া যায়। পরিবেশে এই দুই আইসোটোপের অনুপাত প্রায় স্থির।

বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, পরিবেশ থেকে এই দুই ধরনের কার্বন আইসোটোপই গ্রহণ এবং ত্যাগ করে প্রাণী বা উদ্ভিদ। মৃত্যুর পরে সেই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়। কার্বন-১২ আইসোটোপের ক্ষয় হয় না। কিন্তু কার্বন-১৪ আইসোটোপ তেজস্ক্রিয়। ৫,৭৩০ বছর পরে কার্বন-১৪-এর পরিমাণ অর্ধেক হয়ে যায়। একেই বিজ্ঞানীরা বলেন ‘হাফ লাইফ’। ফলে প্রাণী বা উদ্ভিদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর পরে কার্বনের এই দুই আইসোটোপের অনুপাত বদলায়। কার্বন ডেটিং পদ্ধতিতে সেই পরিবর্তনের হিসেব করে ওই প্রাণী বা উদ্ভিদের মৃত্যুর আনুমানিক সময় নির্ধারণ করা সম্ভব। কিন্তু শিলার মতো বস্তুর ক্ষেত্রে এ ভাবে বয়স নির্ধারণ কঠিন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এ ক্ষেত্রে মূলত শিলাখণ্ডের নীচে চাপা পড়া কোনও জৈব বস্তুর উপস্থিতির উপর নির্ভর করতে হয়।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেই অয্যোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে। আবেগে ভাসছে গোটা দেশ। আর এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এল আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার এই রিপোর্ট।

উপচে পড়ছে প্রণামী বাক্স! প্রথম দিনেই কোটি কোটি টাকা ‘পেলেন’ রামলালা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২২ জানুয়ারি উদ্বোধনের পর থেকেই আলোচনার শিরোনামে রয়েছে অযোধ্যার রামলালার মন্দির। রামলালাকে একবার দর্শনের জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভিড় জমিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ, উদ্বোধনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কোটি কোটি টাকা জমা পড়ল সেখানে! প্রথম দিনেই রেকর্ড অনুদান পেল রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ। বুধবার যা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র টাস্ট। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর প্রথম দিনেই ৩ কোটির বেশি টাকা অনুদান জমা পড়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। যা পরে অস্বীকার করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে খালি হাতে দর্শন নয়, দানবাক্স উপচে পড়ছে ভক্তদের দানে। মোট ১০টি কাউন্টার খোলা হয়েছিল দান গ্রহণ করার জন্য। পাশাপাশি ব্যবস্থা করা হয়েছিল ‘অনলাইন ডোনেশনের’। অযোধ্যার রামের ভক্তেরা সেখানে দু’হাত ভরে দান করেছেন বলে জানাল রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের অছি পর্ষদ।

আরো পড়ুন- পর্যটকদের জন্য সুখবর! দীঘা যাওয়া নিয়ে বড় খবর দিল রেল

সোমবারই উদ্বোধন হয়েছে অযোধ্যার রামমন্দিরের। তার পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে দরজা। মন্দিরের এক অছি সদস্য অনিল মিশ্র জানিয়েছেন, মঙ্গল এবং বুধ দু’দিনেই অন্তত ৫ লক্ষ (দিন প্রতি) ভক্তের সমাগম হয়েছে রামমন্দিরে। আর প্রথম দিনেই কয়েক কোটি টাকা জমা পড়েছে মন্দিরের দানবাক্সে।

আপাতত শুধু মঙ্গলবারের দানের হিসাব করে উঠতে পেরেছেন তাঁরা। তাতেই জানা গিয়েছে রামলালার জন্য প্রথম দিন সব মিলিয়ে ৩ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা দান করেছেন ভক্তরা।

অনলাইন এবং মন্দিরের ১০টি কাউন্টারে জমা পড়া অর্থ মিলিয়ে এই হিসাব। প্রথম দিনেই এই পরিমাণ অর্থ দান তহবিলে জমা পড়ায় চমৎকৃত মন্দির কর্তৃপক্ষ।

অবশ্য কেন্দ্র আগেই জানিয়েছে, অযোধ্যার রামমন্দির তৈরি হয়েছে গোটা দেশ থেকে আসা দানের অর্থে। কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে মন্দির তৈরি করতে।

উদ্বোধনের আগে বিভিন্ন রাজ্য থেকে রামলালার বিগ্রেহর জন্যও এসেছে নানা দানসামগ্রী। ফলে প্রথম দিনে কোটি টাকার দান আসবে সেটাই স্বাভাবিক— এমনও বলছেন কেউ কেউ।

Makar Sankranti 2024: মকর সংক্রান্তি উৎসব! জেনে নিন এই বছর শাহি স্নানের সময় এবং পূর্ণ স্নানের স্থান

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আগামী সোমবার ১৫ জানুয়ারি দেশজুড়ে পালিত হবে মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) উৎসব। এই উৎসব হিন্দুদের অন্যতম প্রধান উৎসব। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মকর সংক্রান্তি বিভিন্ন নামে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গে এই দিনটি পৌষ পার্বণ হিসেবে পালিত হয়। এ ছাড়াও গুজরাটে উত্তরায়ণ, উত্তরপ্রদেশে খিচুড়ি, দক্ষিণ ভারতে পোঙ্গাল, পঞ্জাবে লোহড়ি নামে পালিত হয় মকর সংক্রান্তি। জ্যোতিষ অনুযায়ী সূর্য যখন ধনু রাশি থেকে বেরিয়ে মকর রাশিতে প্রবেশ করে, তখন মকর সংক্রান্তি পালিত হয়। এই তিথিতে গঙ্গা স্নানের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এ ছাড়াও এই তিথিতে সূর্য পুজো করা হয়ে থাকে

পঞ্চাং অনুসারে, এই বছর শাহি স্নানের সময়-

১৫ জানুয়ারি সোমবার মকর সংক্রান্তির উৎসব পালিত হবে

এদিন সকাল ৭ টা ১০ মিনিটে সূর্য ধনু রাশি ছেড়ে মকর রাশিতে প্রবেশ করবে

মকর সংক্রান্তির পুণ্যকাল মুহুর্ত হবে সকাল ৭ টা ১৫ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৫ টা ৪৫ মিনিট

মহাপুণ্য কাল মহা মুহুর্ত হবে সকাল ৭ টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত

সোমবার রাতে ৭ টা ১০ মিনিটে ধনু রাশি ত্যাগ করে মকর রাশিতে প্রবেশ করবে। শাস্ত্রে দান ও স্নানের শুভ সময়কে উদয় তিথি বলে মনে করা হয়েছে। সেজন্য উদয় তিথি অনুসারে, ১৫ জানুয়ারি সোমবার মকর সংক্রান্তি উৎসব পালিত হবে। দান, দান এবং স্নানের শুভ সময়ও ১৫ জানুয়ারি হবে।

একটি ধর্মীয় বিশ্বাস আছে যে এই দিনে গঙ্গা নদীতে স্নান করলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই সম্পর্কে একটি জনপ্রিয় পৌরাণিক কাহিনীও রয়েছে, যা নিয়ে লোকেরা গঙ্গা স্নানের পরে দান করে। মকর সংক্রান্তির দিনেও ব্যাপকভাবে ঘুড়ি ওড়ানো হয়। একই সময়ে, এই দিনে লোকেরাও বেড়াতে যায় এবং তাদের প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটায়।

জেনে নিন কোথায় গঙ্গা স্নান করা যায়-

এই দিনে লোকেরা ত্রিবেণী সঙ্গমে রাজকীয় স্নান করতে পারে। এই নদীটি সবচেয়ে পবিত্র স্থানের অন্তর্ভুক্ত। এখানে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী তিনটি নদী মিলিত হয়েছে, তাই একে ত্রিবেণী সঙ্গম বলা হয়। মকর সংক্রান্তির দিন এখানে রাজকীয় স্নানের আয়োজন করা হয় যাতে প্রচুর সংখ্যক ভক্ত আসেন।

গঙ্গা সাগর-

মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে গঙ্গা সাগরে রাজকীয় স্নান করতে মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। এখানে গঙ্গা নদী সাগরে মিলিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত এই স্থানটি হিন্দুদের জন্য একটি পবিত্র স্থান। এই স্থানে স্নান করা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হয় কারণ পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, যে ব্যক্তি গঙ্গা সাগরে স্নান করেন তিনি ১০ টি অশ্বমেধ যজ্ঞ করার সমান পুণ্য লাভ করেন। কথিত আছে যে এখানে ডোবানোর ফলে এক হাজার গরু দান করার সমান ফল পাওয়া যায়।

কাশী-

কাশীকে শিবের শহরও বলা হয়। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে দেশ-বিদেশের মানুষ এখানে এসে রাজকীয় স্নান করেন। এই দিনে, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরেও খিঁচুড়ি মহোৎসবের আয়োজন করা হয় যাতে বিপুল সংখ্যক ভক্ত অংশগ্রহণ করে।

হরিদ্বার-

হরিদ্বারও একটি ধর্মীয় শহর। এই উত্সব উপলক্ষে, গঙ্গা নদীর তীরে অনেক ঘাটে বিশ্বাস জড়ো হয়, তবে হর কি পৌড়িতে স্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করা হয়। সংক্রান্তি উপলক্ষে এখানে মেলার আয়োজন করা হয় এবং এটাও বলা হয় যে গঙ্গায় ডুব দিলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

স্নান এবং দান করার জন্য শুভ সময়-

পুণ্যকাল – মকর সংক্রান্তির পুণ্যকাল মুহুর্ত হবে সকাল ৭ টা ১৫ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৫ টা ৪৫ মিনিট

মহাপুণ্য কাল মহা মুহুর্ত হবে সকাল ৭ টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।