নন্দীগ্রামে রাজ্যপালকে দেখে হাউমাউ করে কেঁদে অজ্ঞান বিজেপি সমর্থকের মা - Bangla Hunt

নন্দীগ্রামে রাজ্যপালকে দেখে হাউমাউ করে কেঁদে অজ্ঞান বিজেপি সমর্থকের মা

By Bangla Hunt Desk - May 15, 2021

বাংলা হান্ট ডেক্সঃ ২ মে ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের চারিদিকে হিংসা, অশান্তি, লুটপাট চলছে বলে অভিযোগ করে আসছে বিরোধীরা। এমনকি খুন, ধর্ষণের পর্যন্ত অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগেই জাতীয় মহিলা কমিশনের টিম রাজ্যে এসেছিল। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তাঁরা রিপোর্ট দেন যে, রাজ্যের মহিলাদের ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

আরো পড়ুন- ব্রিটিশ আমলের জরাজীর্ণ হাসপাতালকে করোনা রোগীদের জন্য পুনরুজ্জীবিত করে তুলল RSS এর স্বয়ংসেবকরা

আরেকদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছে রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যপালের দাবি, লোকজন বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এবং সব ধরনের অমর্যাদা, হত্যা, ধর্ষণ, লুঠ ও তোলাবাজির শিকার হয়েছে। তিনি বরাবরই রাজ্যের হিংসা নিয়ে শাসক দলকে বিঁধে এসেছেন। যদিও শাসক দল ওনার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা ওনাকে বিজেপির এজেন্ট বলে আখ্যা দিয়েছে। এমনকি রাজ্যপালকে অপসারিত করারও দাবি উঠেছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।

যদিও, এসবে পাত্তা দিতে নারাজ জগদীপ ধনকড়। বিগত তিনদিন ধরে তিনি রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত এমনকি রাজ্যের বাইরেই আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার কোচবিহারে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্যপাল। এরপর শুক্রবার অসমের ধুবড়ি জেলায় কোচবিহারের ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। এরপর তিনি কলকাতা এসে জানান যে, শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন তিনি।

কথা মতো আজ নন্দীগ্রামে যান রাজ্যপাল। সেখানে তিনি নানান এলাকা ঘুরে বেরান। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালকে স্বাগত জানান। এরপর তিনি, কেন্দামারি, জলপাই এবং চিল্লাগ্রামে যান রাজ্যপাল। চিল্লাগ্রামে এক বিজেপির সমর্থককে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গত ১৩ তারিখ প্রাণ হারান বিজেপির সমর্থক দেবব্রত মাইতি। আজ বিজেপির সেই সমর্থকের বাড়িতে যান রাজ্যপাল।

রাজ্যপালকে দেখে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন নিহত বিজেপি সমর্থকের মা। এমনকি তিনি কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞানও হয়ে যান। সেই দৃশ্য দেখে রাজ্যপালের চোখেও জল চলে আসে। রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আর প্রশাসন কোনও বন্দোবস্ত নিচ্ছে না বলেই এই পরিস্থিতি। তিনি জানান, আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই বিষয়টিতে নজর দেওয়ার জন্য আবেদন করব।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর