বাড়িতে বসেই রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্ক করবেন কিভাবে? জেনে নিন

করোনার সময় পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রেশন পেতে পারেন সেইজন্য কেন্দ্র সরকার “এক দেশ এবং এক রেশন কার্ড” প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে। এই প্রকল্পকে কার্যকর করার জন্য Aadhaar Card-এর সঙ্গে Ration Card লিঙ্ক করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খুব সহজেই বাড়িতে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে আধার কার্ডের সাথে রেশন কার্ডের লিঙ্ক করানো সম্ভব। আধার কার্ডের সাথে রেশন কার্ডের লিঙ্ক করালেই আপনার দুয়ারে পৌঁছে যাবে এবার রেশন। নীচে আমরা দেখবো কিভাবে অনলাইনে রেশন কার্ডের সাথে আধার কার্ড লিঙ্ক করানো যায়। ‌

পশ্চিমবঙ্গে Aadhaar Card-এর সঙ্গে Ration Card লিঙ্ক করার পদ্ধতি –

১) পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের আধার কার্ডের সাথে রেশন কার্ড লিঙ্ক করতে গেলে প্রথমেই যেতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য দফতরের ওয়েবসাইট food.wb.gov.in।

২) পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য দপ্তর এর ওয়েবসাইটে গিয়ে বাঁ দিকের উপরে ‘Ration Card’ অপশনটি আছে। সেটিকে ক্লিক করুন।

৩) এরপর ‘Apply Online’ অপশনটিকে বেছে নিন।

৪) তার পরে যান ‘Apply for updation of Mobile number and aadhaar card for already exiting ration card{form-11}’ অপশনটিতে।

৫) এরপর আপনার সামনে নতুন পেজ ওপেন হবে সেখানে গিয়ে আপনার রেশন কার্ডের সাথে মোবাইল নম্বরটি লিঙ্ক করা আছে সেই নম্বরটিকে ইনপুট করুন।

৬) দেখুন আপনার অ্যাকাউন্টের প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য এখানে দেখাবে। তারপর এখানে আধার কার্ডের নম্বর দিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য ইনপুট করুন।যে তারপর সাবমিট করে দিন।

৭) আপনি যদি ভুলে যান যে আপনার কোন ফোন নম্বর রেশন কার্ডের সাথে সংযোগ করা আছে তাহলে ‘I don’t know which mobile number I have in my Ration Card’ অপশন সিলেক্ট করে জেনে নিন।

৮) এরপর রেশন কার্ডের ক্যাটেগরি সিলেক্ট করুন এবং সেখানেই রেশন কার্ডের নম্বর ইনপুট করুন।

৯) এরপর দেখবেন আপনার অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য দেখা গেছে।

  • এবার Aadhaar Card-এর সঙ্গে Ration Card আদৌ লিঙ্ক হয়েছে কী না, তা জানবেন কীভাবে?

১) প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য দপ্তরের ওয়েবসাইট food.wb.gov.in ওয়েবসাইট ওপেন করুন।

২) হোম পেজে ‘Ration Card Option’ সিলেক্ট করুন।

৩) এরপর ‘Verify Ration Card{Verify e-RC/DRC}’ অপশন সিলেক্ট করুন।

৪) এরপর দেখুন আপনার সামনে একটি নতুন পেজ ওপেন হবে।

৫) সেখানে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য ইনপুট করুন।

৬) এরপর Ration Card ক্যাটেগরি ও রেশন কার্ড নম্বর দিয়ে ক্যাপচা কোড দিন।

৭) এরপর দেখুন আপনি রেশন কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর, পরিবারের প্রধান সদস্যের নাম ও আধার কার্ডের নম্বর দেখতে পারবেন।

একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন

অতনু ঘোষ এর রিপোর্ট মেমারিঃ
“একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন”, এই স্লোগানকে সামনে রেখে পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির সম্মিলনী ক্লাবের উদ‍্যোগে ও কলকাতার অশোক ল‍্যাবোটারিজের সহযোগিতায় করোণা বিধি কে মান্যতা দিয়ে মেমারি তে আয়োজিত হলো স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির।

মেমারির সম্মিলনী সারা বছরই কিছু না কিছু সামাজিক কাজের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায় এবং প্রতি বছরই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে। এ বছর তাদের রক্তদান শিবির সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করল। আজকের এই রক্তদান শিবির থেকে এক সম্প্রীতির বার্তাও দেওয়া হলো। আজকের এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা একজন হিন্দু ব্রাহ্মণ ঘরের মহিলা যখন রক্ত দিচ্ছেন ঠিক সেই সময় তার পাশে দাঁড়িয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে দেখা গেল মুসলমান ধর্ম গুরু কে। এই ছবি দেখে এটা প্রমাণিত যে,মেমারির সম্মিলনী ক্লাব আজকের এই রক্তদান শিবির আয়োজন করে শুধুমাত্র রক্তের ঘাটতি মেটাবার চেষ্টাই করেনি তার সাথে সাথে এক সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছে সাধারণ মানুষকে।

আজকে এই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত হয়েছিলেন মেমারি থানার বেশ কিছু আধিকারিকগণ সহ বিশিষ্ট সমাজসেবী নিত্যানন্দ ব্যানার্জি, ফারুক আব্দুল্লাহ, ফাত্তার কয়াল, সনাতন হেমরম,মেমারি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রামকৃষ্ণ হাজরা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। স্ত্রী পুরুষ মিলে মোট 100 জনের অধিক রক্তদাতা রক্ত দান করবেন বলে জানা যায়। মহিলা রক্তদাতার সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। সবশেষে একটা কথাই বলা যায় ” *রক্তদান মহৎদান, রক্তে কত জীবন বাঁচে। রক্তা ভাবে পড়েছে যারা, রক্তদানের আসল মানে একমাত্র তারাই জানে ।*

১৪২৮ সনের বৈশাখে বিবাহের তারিখ ও লগ্ন জেনে নিন

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ বিবাহে মন্ত্রপাঠ, যজ্ঞ ইত্যাদি আচার অনুষ্ঠানের প্রথম দিকে প্রচলন ছিলনা। দ্রৌপদীর বিবাহের ক্ষেত্রে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু পরে ঐ আচার অনুষ্ঠানগুলিই বিবাহে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে নিলো। সেই জন্য ভীষ্মদেব যুধিষ্ঠিরকে বলেছিলেন, ‘একমাত্র যজ্ঞসম্পাদন, মন্ত্রপাঠ ও পপ্তপদী গমন দ্বারাই বিবাহ নিষ্পন্ন হয়’। প্রসঙ্গ ক্রমে যখন বিবাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আচার অনুষ্ঠানগুলির কথা এসেই যায়।

আসুন জেনে নেওয়া যাক, বৈশাখ মাসের বিবাহের নির্ঘন্ট ও সময়সূচি

(পি.এম.বাকচির ডাইরেক্টরী পঞ্জিকা ও গুপ্তপ্রেস ডাইরেক্টরী পঞ্জিকা মতে)

পি.এম.বাকচির ডাইরেক্টরী পঞ্জিকা মতেঃ-

বৈশাখ- ৯/১০/১২/১৩/১৬/১৮/২৪।

বাংলা তারিখঃ- ৯ বৈশাখ, ১৪২৮। শুক্রবার।

ইং তারিখঃ- ২৩/০৪/২০২১।

বিবাহের লগ্নঃ- রাত্রি ঘ ২/৪৮ মিঃ থেকে রাত্রি ঘ ৩/১২ মিঃ মধ্যে কুম্ভলগ্নে পুনঃ শেষরাত্রি ঘ ৪/৪৩ মিঃ থেকে ঘ ৫/১২ মিঃ মধ্যে মেষলগ্নে সুতহিবুকযোগে যর্জুবিবাহ।

বাংলা তারিখঃ- ১০ বৈশাখ, ১৪২৮। শনিবার।

ইং তারিখঃ- ২৪/০৪/২০২১।

বিবাহের লগ্নঃ- রাত্রি ঘ ৭/২১ মিঃ থেকে ঘ ৩/৭ মিঃ মধ্যে বৃশ্চিক ধনু মকর ও কুম্ভলগ্নে সুতহিবুকযোগে বিবাহ।

বাংলা তারিখঃ- ১২ বৈশাখ, ১৪২৮। সোমবার।

ইং তারিখঃ- ২৬/০৪/২০২১।

বিবাহের লগ্নঃ- রাত্রি ঘ ১১/৩৪ মিঃ থেকে কুলিকরাত্রানুরোধে রাত্রি ঘ ১/২৭ মিঃ মধ্যে পুনঃ রাত্রি ঘ ২/১২ মিঃ থেকে রাত্রি ঘ ২/৫৯ মিঃ মধ্যে ধনু মকর ও কুম্ভলগ্নে পুনঃ শেষরাত্রি ঘ ৪/৩০ মিঃ থেকে ঘ ৫/১০ মিঃ মধ্যে মেষলগ্নে সুতহিবুকযোগে বিবাহ।

বাংলা তারিখঃ- ১৩ বৈশাখ, ১৪২৮। মঙ্গলবার।

ইং তারিখঃ- ২৭/০৪/২০২১।

বিবাহের লগ্নঃ- সন্ধ্যা ঘ ৫/৫৮ মিঃ থেকে রাত্রি ঘ ৭/২২ মিঃ মধ্যে পুনঃ রাত্রি ঘ ৮/৪৬ মিঃ থেকে ঘ ৯/৩৬ মিঃ তুলা বৃশ্চিক ও ধনুলগ্নে সুতহিবুকযোগে বিবাহ।

বাংলা তারিখঃ- ১৬ বৈশাখ, ১৪২৮। শুক্রবার।

ইং তারিখঃ- ৩০/০৪/২০২১।

বিবাহের লগ্নঃ- রাত্রি ঘ ১২/৯ মিঃ থেকে ঘ ২/৪৮ মিঃ মধ্যে মকর ও কুম্ভলগ্নে পুনঃ শেষরাত্রি ঘ ৪/১৯ মিঃ থেকে ঘ ৫/৮ মিঃ মধ্যে মেষলগ্নে সুতহিবুকযোগে বিবাহ।

বাংলা তারিখঃ- ১৮ বৈশাখ, ১৪২৮। রবিবার।

ইং তারিখঃ- ০২/০৫/২০২১।

বিবাহের লগ্নঃ- সন্ধ্যা ঘ ৬/০ মিঃ থেকে ঘ ৮/৪ মিঃ মধ্যে তুলা ও বৃশ্চিকলগ্নে সুতহিবুকযোগে যজুর্বিবাহ।

বাংলা তারিখঃ- ২৪ বৈশাখ, ১৪২৮। শনিবার।

ইং তারিখঃ- ০৮/০৫/২০২১।

বিবাহের লগ্নঃ- রাত্রি ঘ ৭/২৫ মিঃ থেকে ঘ ৮/৪৬ মিঃ মধ্যে বৃশ্চিকলগ্নে পুনঃ রাত্রি ঘ ১০/৫২ মিঃ থেকে ঘ ২/১২ মিঃ মধ্যে মকর ও কুম্ভলগ্নে সুতহিবুকযোগে বিবাহ।

গুপ্তপ্রেস ডাইরেক্টরী পঞ্জিকা মতেঃ-

বৈশাখ- ১০/১২/১৩/১৬/১৮/২৪।

বাংলা তারিখঃ- ১০ বৈশাখ, ১৪২৮। শনিবার।

ইং তারিখঃ- ২৪/০৪/২০২১।

বিবাহের লগ্নঃ- রাত্রি ঘ ৭/২১ মিঃ থেকে ঘ ৩/৭ মিঃ মধ্যে বৃশ্চিক ধনু মকর ও কুম্ভলগ্নে সুতহিবুকযোগে বিবাহ।

বাংলা তারিখঃ- ১২ বৈশাখ, ১৪২৮। সোমবার।

ইং তারিখঃ- ২৬/০৪/২০২১।

বিবাহের লগ্নঃ- রাত্রি ঘ ১১/৩৪ মিঃ থেকে কুলিকরাত্রানুরোধে রাত্রি ঘ ১/২৭ মিঃ মধ্যে পুনঃ রাত্রি ঘ ২/১২ মিঃ থেকে রাত্রি ঘ ২/৫৯ মিঃ মধ্যে ধনু মকর ও কুম্ভলগ্নে পুনঃ শেষরাত্রি ঘ ৪/৩০ মিঃ থেকে ঘ ৫/১০ মিঃ মধ্যে মেষলগ্নে সুতহিবুকযোগে বিবাহ।

বাংলা তারিখঃ- ১৩ বৈশাখ, ১৪২৮। মঙ্গলবার।

ইং তারিখঃ- ২৭/০৪/২০২১।

বিবাহের লগ্নঃ- সন্ধ্যা ঘ ৫/৫৮ মিঃ থেকে রাত্রি ঘ ৭/২২ মিঃ মধ্যে পুনঃ রাত্রি ঘ ৮/৪৬ মিঃ থেকে ঘ ৯/৩৬ মিঃ তুলা বৃশ্চিক ও ধনুলগ্নে সুতহিবুকযোগে বিবাহ।

বাংলা তারিখঃ- ১৬ বৈশাখ, ১৪২৮। শুক্রবার।

ইং তারিখঃ- ৩০/০৪/২০২১।

বিবাহের লগ্নঃ- রাত্রি ঘ ১২/৯ মিঃ থেকে ঘ ২/৪৮ মিঃ মধ্যে মকর ও কুম্ভলগ্নে পুনঃ শেষরাত্রি ঘ ৪/১৯ মিঃ থেকে ঘ ৫/৮ মিঃ মধ্যে মেষলগ্নে সুতহিবুকযোগে বিবাহ।

বাংলা তারিখঃ- ১৮ বৈশাখ, ১৪২৮। রবিবার।

ইং তারিখঃ- ০২/০৫/২০২১।

বিবাহের লগ্নঃ- সন্ধ্যা ঘ ৬/০ মিঃ থেকে ঘ ৮/৪ মিঃ মধ্যে তুলা ও বৃশ্চিকলগ্নে সুতহিবুকযোগে যজুর্বিবাহ।

বাংলা তারিখঃ- ২৪ বৈশাখ, ১৪২৮। শনিবার।

ইং তারিখঃ- ০৮/০৫/২০২১।

বিবাহের লগ্নঃ- রাত্রি ঘ ৭/২৫ মিঃ থেকে ঘ ৮/৪৬ মিঃ মধ্যে বৃশ্চিকলগ্নে পুনঃ রাত্রি ঘ ১০/৫২ মিঃ থেকে ঘ ২/১২ মিঃ মধ্যে মকর ও কুম্ভলগ্নে সুতহিবুকযোগে বিবাহ।

পুরানো সংবাদপত্র দিয়ে খেজুরির যুবক তৈরি করলেন এক অভিনব সংগ্রহশালা

বাংলা হান্ট ডেস্ক;  সংবাদপত্র সমাজ জীবনের দলিল। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে সংবাদপত্র পড়ার রেয়াজ ক্রমশ কমছে। অথচ সংবাদপত্র পড়ার রেওয়াজ একসময় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ছিল। আজ ইন্টারনেটের যুগে আমরা মোবাইল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যমে সংবাদ যতটা সহজে পড়তে পারি, আগে কিন্তু ততটা সহজ ছিল না। দেশ ও বিদেশের সংবাদ পাওয়ার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে বসে থাকতে হত। সাতসকালে সংবাদপত্র পাঠকদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংবাদ কর্মীকে করতে কঠোর পরিশ্রম। আর সেই সংবাদ পড়া হয়ে গেলে সেই সংবাদপত্রের ঠিকানা হত বাড়ির কোন গুরুত্বহীন স্থানে। কিন্তু ফেলে দেওয়ার সংবাদ পত্রের রাশি রাশি তথ্যই ইতিহাস বদলে দেয়। সেই কারণেই পূর্ব মেদিনীপুরে খেজুরির বাসিন্দা ‘মধুসূদন জানা’ পুরোনো খবরের কাগজের নানা কাটিং সংগ্রহ করে তৈরি করেছেন এক সংগ্রহশালা। যার পোশাকি নাম “অমূল্য সম্পদে ভরা খবরের কাগজ”।

এ বিষয়ে যুবকটি বলেন, একজন সাংবাদিক বহু পরিশ্রম করে খবরের সত‍্যতা যাচাই করে খবর সংগ্রহ করে। সেটি বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে প্রিন্ট করে পৌঁছে যায় পাঠক পাঠিকাদের হাতে। সকালে সযত্নে গ্রহন করার পর পরেরদিন সকালে পৌঁছে যায় ডাস্টবিনে। এমন কি খবর কাগজ বিছিয়ে বসা,কাঁচ পরিষ্কার,বোতল পরিষ্কার,ঢোঙা,খাওয়ার টেবিলে বিছানো,দেওয়ালে মাড়ানো। বিভিন্ন কাজে ব‍্যবহার করা হয়। বলা যায়, শিক্ষা সংস্কৃতির মেরুদন্ড হল এই খবরের কাগজ। সেই মূল‍্যহীন কাগজের মধ্যে যে অমূল্য সম্পদ ভরা রয়েছে সেই তথ‍্য গুলি তুলে ধরতে চেয়েছি জনসমক্ষে। খবর কাগজের মধ্যে যে সব তথ‍্য থাকে তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝা যায় সংরক্ষণের মাধ্যমে। এই সংরক্ষণ নিয়ে একটি প্রোজেক্ট তৈরি করেছি দীর্ঘ ৭ বছর ধরে। প্রোজেক্টির নাম “অমূল‍্য সম্পদে ভরা খবরের কাগজ”।

তিনি আরো জানান, “আমার প্রোজেক্টির মূল উদ্দেশ্য, সংবাদের মূল‍্য, সাংবাদিকের মূল‍্য এবং সর্বোপরি খবর কাগজের মূল‍্য সমাজের কাছে বোঝানোর করেছি, যে পত্র পত্রিকার ভিতরে কী অসীম ক্ষমতা সম্পন্ন তথ‍্যচিএ লুকানো থাকে। আমার প্রোজেক্টে বহু পুরোনো প্রায় ৭০_৮০ বছরের খবর কাগজের তথ‍্যচিত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। ৫২ রকমের পত্র পত্রিকার সংবাদ সংগ্রহ করেছি। শুধু তাই নয় ১০ টি ভাষায় পত্র পত্রিকার উপর কাজ করেছি। যে সমস্ত তথ‍্যচিত্র সংগ্রহ করা হয়েছে তার মধ‍্যে কয়েকটি হল
১. জওহরলাল নেহেরুর প্রথম পতকা উত্তলোনের তথ‍্যচিত্র।
২. মহাত্মা গান্ধীর শেষ অনশন ও অসহযোগ আন্দোলনের বৈঠকের তথ‍্যচিত্র ।
৩. ১৮৭৪ সালে কলকাতা দৃশ‍্যের তথ‍্যচিত্র।
৪. কলকাতাতে যেদিন প্রথম ট্রাম চলে তার তথ‍্যচিত্র।
৫. ১৯৫০ সালে প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবেসর তথ‍্যচিত্র।
৬. ক্ষুদিরামের ফাঁসির স্থলের তথ‍্যচিত্র।
৭. ১৯১২ সালে টাইটানিক দৃশ‍্যের তথ‍্যচিত্র।
৮. মাদার টেরিজা যেদিন মারা যায় তার তথ‍্যচিত্র।
৯. প্রথম কার্গিল যুদ্ধ ও প্রথম বিধবা বিবাহের তথ‍্যচিএ।
১০. ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপ,পুলওয়ামা অ‍্যাটাক,নোট বাতিল,ভুজের ভূমিকম্প,বুলবুল, আমফান ইত‍্যাদি।এই রকমের ৯০০টি প্রমাণ পত্র সংরক্ষণ করছি। B4 সাইজের কাগজের উপর খবর কাগজ মাড়িয়ে ল‍্যামিনেশান করেছি।”

সরস্বতী পুজোর আগে আমরা কুল খাই না কেন? জেনে নিন

মঙ্গলবার সরস্বতী পুজো ৷ ঘরে ঘরে চলবে দেবীর আরাধনা ৷ উপোস করে অঞ্জলিতে ব্যস্ত থাকবে পড়ুয়ারা ৷ আর তারপরী কুল খাওয়া?

ছোটবেলা থেকে আমরা সবাই শুনে আসছি যে সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেতে নেই। বাড়ির বড়রা ছোটদের প্রায়ই বলে থাকেন সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেলে পরীক্ষায় নাকি ফেল করবে। বলা হয় কুল খেলে নাকি দেবী সরস্বতী ঠাকুর রাগ করবেন! কিন্তু কেন এই নিয়ম? কুলের সঙ্গে পরীক্ষায় পাশেরই বা কী সম্পর্ক? অথচ ছাত্র-ছাত্রীরা বিশ্বাস করে, সত্যিই কুল খেলে মা সরস্বতী কুপিতা হবেন। এবং সে কারণে পরীক্ষায় ভাল ফল হবে না। সরস্বতী পুজো উপলক্ষে বিভিন্ন রাজ্যে নানারকম লোকাচার চালু আছে। পাঞ্জাবে এই উপলক্ষে আকাশে দেদার ঘুড়ি ওড়ে। আবার মধ্যপ্রদেশ, মাহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে সরস্বতীর পাশাপাশি শিব ও পার্বতীরও পুজো করা হয়। তবে বাংলায় যে নিয়ম চালু আছে, তা আর কোথাও নেই। পুজোর পাশাপাশি এই যে কুল দাঁতে না কাটার রীতি, তা বাংলার একান্ত নিজস্বই বলতে হয়।

কৃষিপ্রধান রাজ্য বাংলা। তাই যে কোনও ফসলই প্রথমে দেবতাকে উৎসর্গ করার রীতি রয়েছে। এমনকী নতুন ধান উঠলেও তা নিয়ে উৎসব পালিত হয়। শীতেরই ফল কুল। আর সরস্বতী পুজো বা বসন্তপঞ্চমীর সময়েই কুল হয়। তাই প্রথা মেনে এই ফলটিও প্রথমে দেবতাকে উৎসর্গ করা হয়। আর এটাই প্রসাদ হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়।

আরও একটি কারনও রয়েছে এই লোকাচারের পিছনে। বসন্ত শুরু হওয়ার সময় থেকে পেটের রোগ, জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়ে। আর এই সময়েই কুলে পাক ধরে। তার আগে কাঁচা কুল খেলে পেট খারাপের সম্ভাবনা থাকে।
এ ছাড়া কাঁচা কুলের মারাত্মক টক স্বাদ দাঁতকে একপ্রকার কষ্ট দেওয়া।

আরো পড়ুন- ২০২১ সরস্বতী পুজোর দিন ক্ষণ, তিথি ও মন্ত্র জেনে নিন

শাস্ত্রে বলা আছে যে, সরস্বতী দেবীকে তুষ্ট করতে মহামুনি ব্যাসদেব বদ্রিকাশ্রমে তপস্যা করেছিলেন। আর এই তপস্যা শুরুর আগে তাঁর তপস্যাস্থলের কাছে একটি কুল বীজ রেখে দিয়ে দেবী একটি শর্ত দেন। যতদিন না এই কুলবীজ অঙ্কুরিত হয়ে বড় গাছে নতুন কুল হবে, সেই কুল পেকে ব্যাসদেবের মাথায় পরবে ততদিন দেবীর তপস্যা করতে হবে। তবেই সরস্বতী দেবী তুষ্ট হবেন।

ব্যাসদেবও সেই শর্ত মেনে নিয়ে তপস্যা শুরু করলেন, আর যেদিন নতুন কুল তাঁর মাথায় পরে, তিনি বুঝতে পারেন যে, সরস্বতী দেবী তাঁর প্রতি তুষ্ট হয়েছেন। সেই দিনটি ছিল পঞ্চমী।

২০২১ সরস্বতী পুজোর দিন ক্ষণ, তিথি ও মন্ত্র জেনে নিন

বসন্ত পঞ্চমী মানেই বাঙালির ভালবাসার দিন। এককথায় বাঙালির ভ্যালেন্টাইনস ডে। সেই দিনে দেবী সরস্বতীর আরাধনা ঘিরেও মিশে থাকে পবিত্রতার এক স্নিগ্ধতা, থাকে বাঙালিয়ানার পরশ। সবমিলিয়ে এই দিনের জন্য বছরের প্রথমের দিকে অপেক্ষা শুরু হয় বাঙালির। দেখে নেওয়া যাক ২০২১ সালে সরস্বতী পুজো কবে, জেনে নেওয়া যাক কিছু খুঁটিনাটি।

২০২১ বসন্ত পঞ্চমী তিথি কখন থেকে পড়ছে?

পঞ্জিকা অনুসারে বসন্ত পঞ্চমীর উৎসব ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোর রাত ৩:৩৬ মিনিট থেতে তা চলবে ১৭ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫:৪৬ মিনিট পর্যন্ত। পণ্ডিতরা বলছেন, যে দিনে চতুর্থী এবং পঞ্চমী দু’টোই পড়ছে, সেই দিনেই পুজো করা ভাল। সেই হিসেবে পুজো করুন মঙ্গলবার।

এই দিন রেবতী নক্ষত্র এবং চন্দ্র মীন রাশিতে উপস্থিত থাকবে। বসন্ত পঞ্চমীর দিন শুভ যোগ হবে। এই দিনে সরস্বতীর উপাসনা করার বিশেষ উপকার মেলে।

আরো পড়ুন- সরস্বতী পূজার আগে আমরা কুল খাই না কেন? জেনে নিন

শাস্ত্র অনুযায়ী, শ্রী পঞ্চমীর দিন সকালে সরস্বতী পুজো হয়। তবে পুজোয় বেশ কয়েকটি বিশেষ জিনিষ লাগে। সরস্বতীর পুজো সাধারণ পুজোর নিয়মানুসারেই হয়। তবে এই পুজোয় কয়েকটি বিশেষ উপাচার বা সামগ্রীর প্রয়োজন হয়। যেমন অভ্র-আবীর, আমের মুকুল, দোয়াত-কলম ও যবের শিষ।

সরস্বতী পুজোর প্রণাম মন্ত্র।

সরস্বতী পুজোর প্রণাম মন্ত্র হল ,’সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে। বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাংদেহি নমোহস্তুতে।।

জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে। বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।’

সরস্বতী পুজোর মন্ত্র।

মূলত, অঞ্চলীর সময় সরস্বতী পুজোতে যে মন্ত্র রয়েছে , তার মধ্যে এই অংশটি তাৎপর্যপূর্ণ, ‘ জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে। বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।

নমঃভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো নমঃ। বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যা-স্থানেভ্য এব চ।।

এস স-চন্দন পুষ্পবিল্ব পত্রাঞ্জলি সরস্বতৈ নমঃ।।’ এরপর রয়েছে সরস্বতি স্তব মন্ত্র। সেটি হল –

‘শ্বেতপদ্মাসনা দেবী শ্বেত পুষ্পোপশোভিতা। শ্বেতাম্ভরধরা নিত্যা শ্বেতাগন্ধানুলেপনা।। শ্বেতাক্ষসূত্রহস্তা চ শ্বেতচন্দনচর্চ্চিতা। শ্বেতবীণাধরা শুভ্রা শ্বেতালঙ্কারব‌ভূষিতা। বন্দিতা সিদ্ধগন্ধর্ব্বৈর্চ্চিতা দেবদানবৈঃ। পূঝিতা মুনিভি: সর্ব্বৈঋষিভিঃ স্তূয়তে সদা।। স্তোত্রেণানেন তাং দেবীং জগদ্ধাত্রীং সরস্বতীম্।
যে স্মরতি ত্রিসন্ধ্যায়ং সর্ব্বাং বিদ্যাং লভন্তি তে।।’

এই চারটি রাশির মানুষের ওপর হনুমানজির কৃপা সর্বদা থাকে

হনুমানজি বীরের দেবতা। তাই সকলে তাকে বীর হনুমান বলে থাকে। আমাদের ১২টি রাশির মধ্যে ৪টি রাশির ওপর হনুমানজির বিশেষ কৃপা থাকে। এই চারটি রাশির মানুষের ওপর কখনো খুব গুরুতর কোন বিপদ আসে না। আর যদি কখনো খুব বিপদ আসে তা খুব দ্রুত কেটে যায়।

যে চারটি রাশির ওপর হনুমানজির কৃপা থাকে সেগুলো হলো বৃষ কন্যা কর্কট মীন।

এই চারটি রাশির মানুষ হনুমানজির এতটাই প্রিয় যে দুঃখ-কষ্ট এদের ধারে কাছে আসে না। এমনকি এরা জীবনের প্রায় সব সময় বেশ আনন্দে কাটায়।

এই চারটি রাশির মানুষদের সংসার জীবনেও খুব সুখে শান্তিতে কাটে। এদের নিজেদের মধ্যে মিলমিশও খুব ভালো থাকে। এরা পরিবারের একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহের সম্পর্কে থাকে চিরকাল।

এই চারটি রাশির মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্যেও বিশেষ সাফল্য অর্জন করে। ব্যবসা-বাণিজ্যে এদের বিশেষ উন্নতি হয়। এরা প্রচুর ধন-সম্পদ ও অর্থের মালিক থাকেন। হনুমানজির কৃপা এদের ওপর থাকায় এদের খুব একটা আর্থিক সমস্যা থাকে না বললেই চলে।

এরা সমাজেও প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তার করতে সক্ষম হয়। সমাজের প্রভাবশালী থাকেন এরা। এছাড়াও সমাজের কাজে সবসময় এগিয়ে থাকেন এরা। হনুমানজির কৃপায় সমাজে বিশেষ সুনাম অর্জন করে এই রাশির মানুষ।

এই চারটি রাশির মানুষ যদি প্রতি মঙ্গল ও শনিবার মন্দিরে গিয়ে শুদ্ধ আচরণে বিশেষ মনোযোগ সহকারে হনুমানজীর পুজো করেন ও হনুমান চালিশা পাঠ করেন তাহলে এদের জীবন আনন্দময় ও সুখকর হয়ে উঠবে। সকল বাধা থেকে মুক্তি পাবেন এবং সর্ব কর্ম সফল হবেন এই রাশির মানুষ।

এই লক্ষণ গুলি থাকলে আপনি বুঝবেন যে খুব তাড়াতাড়ি প্রচুর টাকা আসতে চলেছে

জীবনে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে কে না চায়। আসলে আমাদের জীবনে টাকার গুরুত্ব অপরিসীম। কঠোর পরিশ্রম ও সুপরিকল্পিত বিনিয়োগে যে অর্থ উপার্জন করা যায় তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। অনেকেই আছেন কঠোর পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করতে পারেন না। আবার কেউ অল্প পরিশ্রম করেই অনেক টাকা রোজগার করে ফেলেন। এককথায় ধনী-দরিদ্র সকলেরই টাকা ভীষণ প্রয়োজন। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় অনেক রোজগার করা সত্ত্বেও টাকা ধরে রাখতে পারে না। আসুন দেখে নেই কি কি লক্ষণ থাকলে আপনি বুঝতে পারবেন আগামী দিনে আপনার প্রচুর অর্থাগম হবে।

এই লক্ষণগুলি দেখলে বুঝবেন শীঘ্রই আপনার হাতে টাকা-পয়সা আসতে চলেছে।

১) যদি সকালে ঘুম থেকে উঠে দুধ জাতীয় কোন জিনিস পান করেন তাহলে বুঝতে হবে শীঘ্রই আপনার প্রচুর অর্থ প্রাপ্তি হবে।

২) সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি ফাটানো নারকেল চোখের সামনে দেখতে পান তাহলে বুঝবেন আপনার শীঘ্রই অর্থ আসতে চলেছে।

৩) অনেকেই স্বপ্নে সাপ ভয় পেয়ে যান, কিন্তু এই ভয় পাওয়ার কারণ নেই। কারণ স্বপ্নে সোনালী রঙের সাপ দেখা মানে, কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার অর্থপ্রাপ্তি হবে।

৪) আবার স্বপ্নের মধ্যে আপনি যদি দেখেন গরু ঘাস খাচ্ছে তাহলে বুঝবেন আপনার অর্থ প্রাপ্তি হবে।

৫) আপনি যদি স্বপ্নে সবুজ ঘাসে ঢাকা মাঠ দেখতে পান তাহলে বুঝবেন আপনার কাছে অনেক টাকা পয়সা আসতে চলেছে।

৬) যদি বাস্তবে চোখের সামনে কোন বাঁদর বা কুকুরকে একসঙ্গে দেখতে পান তাহলে বুঝবেন শীঘ্রই আপনার অর্থপ্রাপ্তি হবে।

৭) আপনি যদি কোন সময় তারাখসা বা ধুমকেতু দেখেন আর সেই সময় অর্থ কামনা করেন তাহলে ৩০ দিনের মধ্যে আপনার আশা পূরণ হবে।

৮) শঙ্খের আওয়াজে যদি আপনি ঘুম ভাঙ্গে তাহলে বুঝবেন শীঘ্রই আপনি অর্থবান হবেন।

৯) বাড়িতে কোন জায়গায় যদি বাদুর বাসা বাধে তাহলে ভয় পাবেন না, কারণ বাদুর বাসা বাধা মানে আপনার অর্থ ভাগ্য বদলে যেতে চলেছে।

১০) ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কুকুর যদি বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয়, তাহলে তাকে তাড়াবেন না। বুঝবেন শীঘ্রই আপনার ভাগ্য বদলে যেতে চলেছে।

খেজুরের গুড়! আসল না নকল, কিভাবে চিনবেন খাঁটি কোনটি

বাংলা হান্ট ডেস্ক; শীত চলে এসেছে। আর শীত এলেই পিঠাপুলি ধুম পড়ে যায়। সেই সঙ্গে থাকে খেজুরের রস খাওয়া এবং গুড় দিয়ে পিঠা খাওয়া। শীতে প্রকৃতির আশীর্বাদ খেজুরের রস আর এর থেকে তৈরি হয় জিভে জল আনা খেজুরের গুড়।

আরো পড়ুন- INS Ranvir: ভারতীয় নৌসেনার যুদ্ধজাহাজে বিস্ফোরণ, নিহত ৩

গুড়ের রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। চিনি শরীরের জন্য খারাপ বলে মিষ্টি খাবার খাওয়াই বাদ দিয়েছেন অনেকে। সেক্ষেত্রে গুড় হতে পারে একদম আদর্শ বিকল্প। শীতের পিঠা, পায়েসসহ মিষ্টি যেকোনো খাবারে এটি ব্যবহার করা হয়। এসবের মজা আসল গুড়। ইতিমধ্যে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে খেজুরের গুড়সহ বিভিন্ন ধরণের গুড়। তবে ভেজালের ভিড়ে আসল নকল বোঝা হয়ে পরেছে কঠিন। খেজুরের গুড় দেখে অনেকে বুঝতে পারেন না যে, কোন গুড়টা আসল আর কোন গুড়টা নকল। ভেজালের ভিড়ে খাঁটি গুড় কিনতে গিয়ে অনেকেই ঠকে আসি। তাই গুড় কেনার সময় কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখুন-

কেনার সময় একটু গুড় ভেঙে নিয়ে চেখে দেখুন। জিভে নোনতা স্বাদ ঠেকলে বুঝবেন এই গুড় খাঁটি নয়। এতে কিছু ভেজাল মেশানো রয়েছে।

গুড় কেনার সময় গুড়ের ধারটা দুই আঙুল দিয়ে চেপে দেখবেন। যদি নরম লাগে, বুঝবেন গুড়টি বেশ ভাল মানের। ধার কঠিন হলে সেওই গুড় না কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ।

সাধারণত গুড়ের রং গাঢ় বাদামি হয়। হলদেটে রঙের হলে বুঝতে হবে গুড়ে অতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানো রয়েছে। কৃত্রিম চিনি মেশানো গুড় দেখতে খুব চকচকে হয়।

গুড় যদি স্ফটিকের মতো তকতকে দেখতে হয়, তবে বুঝবেন, গুড়টি যে খেজুর রস দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল তার স্বাদ খুব একটা মিষ্টি ছিল না। তাই গুড়টিকে মিষ্টি করে তুলতে এতে প্রচুর পরিমাণে কৃত্রিম চিনি মেশানো হয়েছে। অনেক সময় গুড় খেতে গিয়েও চিনির সেই স্বাদ জিভে ঠেকে।

খেজুর গুড় শুধু খাবারে মিষ্টি স্বাদের জন্যই নয়, এর অনেক গুণও রয়েছে। জেনে নিন সেগুলো- চিনির চেয়ে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর খেজুর গুড়। এতে রয়েছে ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম জাতীয় খনিজ। চায়ে এটি মিশিয়ে খেলে হজম শক্তি বাড়ে।

যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন তাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে খেজুর গুড় খুব উপকারী। ঠান্ডাজনিত অ্যালার্জি থেকে দূরে রাখে খেজুর গুড়। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। খেজুর গুড়ে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি ত্বক সতেজ রাখে।

সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো, আসুন জেনে নিই মা দূর্গা কি ও কেন’ র সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

শ্রীয়া চক্রবর্ত্তী; সামনে আসন্ন বাঙালীর সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গা পূজা, কিন্তু এই মা দূর্গার পুজে ও পদ্ধতির কিছু অন্তর্নিহিত অর্থ আছে, আজ আমি সেই বিষয়ে একটু আলোচনা করবো। দূর্গা পুজো কবে কিভাবে শুরু হয় , অকালবোধন কি এগুলো আমরা প্রায় প্রত্যেকেই কিছু না কিছু জানি, কিন্তু এই যে দেবীর পূজো হয়, তার কি অর্থ আমরা অনেকেই জানি না।

প্রথমে আসা যাক মা দূর্গার নামের ব্যাখ্যায়:-

‘দূর্গা’ শব্দটি এসেছে ‘দূর্গ’ থেকে, দূর্গ, অর্থাৎ (দুঃখে যেখানে গমন করা হয়) আমরা আমাদের দুঃখ বিনাশ করতে তাই দূর্গার আশ্রয় গ্রহন করি।

দূর্গার দশটি হাত কেন ?:-

এই দশ হাত দশটি ইন্দ্রিয় এর প্রতীক মাত্র, দেবী দশ হাত দিয়ে আমাদের দশ ইন্দ্রিয় কে রক্ষা করেন।
আমাদের দশটি ইন্দ্রিয়ই আমাদের দুঃখের মূল কারণ, দেবী আমাদের দুঃখ হরণ করেন, এই দশ ইন্দ্রিয়ের ছিদ্র স্বরূপ আমাদের মন কে আগলে রাখেন, কারণ আমাদের মন সর্বদা বহির্মুখী, চঞল।

দূর্গার দশ হাতে অস্ত্র থাকে কেন?:-

মন স্বরূপ দশ ইন্দ্রিয় কে বদ্ধ করে রাখার জন্য দেবীর দশ টি হাত বন্ধ করে অস্ত্র থাকে।

দূর্গার পূজায় ঘট বসানো হয় কেন:-

ঘট ভক্তের প্রতীক, ঘট হল এখানে শরীর রূপী, ঘটের জল হল মন , ঘটের উপর রাখা আমপাতা হল ইন্দ্রিয়, জলের নীচে রাখা সোনা জীবাত্মা।

নবরাত্রির অর্থ কি? ন দিনে ন দেবীর পূজা করা হয় কেন? :-

নবরাত্রি হল সেই নয় দিন যেখানে পূরাণ মতে দেবী নয় রূপে মহিষাসুর এর সাথে যুদ্ধ করেছিলেন,
“মহিষাসুর” হল আমাদের ভিতরের সেই কু-আত্মা বা কু-চিন্তা,, দেবী নয় রূপে সেই কু- চিন্তা কে দমন করেন।
নয় দেবী হলেন:- শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘন্টা, কুষ্মান্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী, সিদ্ধিদাত্রী।

এই নয় দেবীর পূজা করলে আমাদের মনের কু-চিন্তা রূপী মহিষাসুর কে দেবী নিধন করেন।

দূর্গাপূজায় কলাবউ কি? :-

কলাবউ হলেন দেবীর রূপ, এখানে নবপত্রিকা রূপে দেবীকে বোধন বা পূজা করা হয়। কারণ সমস্ত জীবকূলেই দেবীর অস্তিত্ব বর্তমান।
(আমরা অনেকেই কলাবউ কে গনেশ এর বউ বলে জানি, কিন্তু কলাবউ গনেশ এর বউ না, গনেশ এর দুই বউ ঋদ্ধি ও সিদ্ধি। )

নবপত্রিকা কি কি? :-

১.কলা:- দেবী ব্রহ্মানী বিরাজ করেন কলা গাছে
২.কচু:-দেবী কালিকা বিরাজ করেন কচু গাছে
৩.হলুদ:- দেবী দূর্গা বিরাজ করেন হলুদ গাছে
৪.জয়ন্তী:-দেবী কার্তিকি বিরাজ করেন জয়ন্তী গাছে
৫.বেল:-দেবী শিবা বিরাজ করেন বেল গাছে
৬.ডালিম:- দেবী রক্তদন্তিকা বিরাজ করেন ডালিম গাছে
৭.অশোক:- দেবী শোকরহিতা বিরাজ করেন অশোক গাছে
৮.মানকচু:- দেবী চামুন্ডা বিরাজ করেন মানকচু গাছে
৯.ধান:- দেবী মহালক্ষী বিরাজ করেন ধান গাছে।

অর্থাৎ আমরা যে সমস্ত গাছ দেখি তার প্রায় সবেতেই দেবী দূর্গা বিরাজমান।

দেব দেবীর বাহন থাকার অর্থ কি? :-

বাহন অর্থাৎ যে বহন করে চলে সেই বাহন, এবার দেবী দূর্গা সহ লক্ষী, সরস্বতী, গনেশ, কার্তিক যে দেবীর সাথে আসেন তাদের প্রত্যেকের ই আলাদা আলাদা বাহন ও তার অর্থ আছে।

দূর্গার বাহন সিংহ:-

আমরা জানি সিঃহ বনের ও পশুদের রাজা, এখানে সিংহ রূপী রাজা আমাদের মনের পাশবিক প্রবৃত্তি বিনাশ করে। মনের ওপর রাজত্ব করে।

লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা:-

পেঁচা দিনে দেখে না, রাতে দেখে , অর্থাৎ অন্ধকারে ও নিশানা ঠিক রাখতে শেখায় আমাদের পেঁচা, আমাদের দিকভ্রান্ত হবার হাত থেকে রক্ষা করে পেঁচা।

সরস্বতীর বাহন হাঁস:-

হাঁস যেমন জলটুকু ফেলে দুধটুকুই খায়, সেরকম আমাদের খারাপ ছেড়ে ভালো টুকু গ্রহন করতে শেখায় হাঁস।

গনেশ এর বাহন ইঁদুর:-

ইঁদুর সমস্ত কিছু কাটে একাগ্র চিত্তে। আমাদের মনের চঞ্চলতা আটকায় ইঁদুর। একাগ্র হতে শেখায়।

কার্তিকের বাহন ময়ূর:-

ময়ূর সাপকে খায় অর্থাৎ সাপ তীর্যক গতি সম্পন্ন, আমাদের মনের তীর্যক গতি রোধ করে ময়ূর। আমাদের চঞ্চল মনকে আটকে চিত্তবিক্ষেপ নাশ করা শেখায়।

আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হনুমানজীর পুজো করুন, আপনার ধনসম্পত্তি ফুলেফেঁপে উঠবে

পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা প্রচুর ধনী, জীবনে প্রচুর টাকা উপার্জন করে ফেলেছেন। আবার এমন অনেক মানুষ আছেন যারা কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন দুবেলা দু মুঠো খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য। তারা তাদের আর্থিক উন্নতির জন্য দিনরাত এক করে পরিশ্রম করছেন, কিন্তু তাতে কোন লাভ হচ্ছে না। এসবের পেছনে কারণ হলো বাস্তু দোষ।

বাড়ির বাস্তু দোষের জন্যই অনেকেই আর্থিক উন্নতি হয় না। যদি আপনি আপনার বাড়ির বাস্তু দোষ কাটাতে পারেন তাহলেই আপনার আর্থিক উন্নতি সম্ভব। এই বাস্তুদোষ কাটলে আপনার জীবনে অনেক উন্নতি হবে আর তার সঙ্গে আর্থিক উন্নতি হবে। জেনে নিন বাস্তু দোষ কাটানোর উপায়..

১) আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি আপনার গৃহে মহাবলী হনুমানজির পঞ্চমুখী প্রতিমা অথবা ছবি লাগান। এবং এই প্রতিমা অথবা ছবির দক্ষিণ-পশ্চিমে গাছ লাগান এবং নিয়মিতভাবে এর পূজা করুন। যদি আপনি এই উপায়টি করে থাকেন তবে ধন সম্বন্ধিত সমস্যা থেকে আপনি শীঘ্রই মুক্তি পাবেন।

২) আপনার বাড়িতে যদি ভগবান বাস্তু, ধনকুবের ও মা লক্ষ্মী প্রতিমার না থাকে তাহলে তা বাড়িতে রাখুন, নিয়ম মেনে পুজো করুন। তাহলে আপনার জীবনে আর কোন আর্থিক সমস্যা থাকবে না।

৩) আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আরো একটি উপায় হল, আপনি ২৫০ গ্রাম কালো তিলের মধ্যে ১৫০ গ্রাম অড়হর ডাল মিলিয়ে বেটে নিন। এই আটা দিয়ে প্রতি মঙ্গলবার একটি প্রদীপ বানান। তাতে সর্ষের তেল দিয়ে প্রদীপ জ্বালান। আর আপনাকে প্রতি মঙ্গলবার একটি করে প্রদীপ বৃদ্ধি করতে হবে। ১১ টি মঙ্গলবার আপনাকে এভাবে প্রদীপ জ্বালাতে হবে এর ফলে আপনি আর্থিক সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

৪) আপনার যদি বহু ঋণের সমস্যা থাকে অথবা আপনার ওপর যদি ঋণের বোঝা থাকে। আর শত চেষ্টা করেও আপনি যদি সেই ঋণ থেকে মুক্তি না পান তাহলে প্রতিদিন অল্প চিনি ও আটা পিঁপড়েকে খাওয়ান। যদি এটি করতে পারেন তাহলে খুব শীঘ্রই আপনি ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

৫) বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী একটি কলসিতে জল ভরে যদি উত্তর দিকে রেখে আসেন তাহলে আপনার আর্থিক সমস্যা দূর হবে। আপনার কাছে অর্থ আসবে, সাথে আপনার পরিবারের সমস্ত সদস্যদেরও উন্নতি হবে।

একজন সফল দলনেতা হতে গেলে কি কি গুন থাকা প্রয়োজন, চাণক্যের মতে জানুন

প্রত্যেক ব্যক্তি তার জীবনে সফল হতে চায়। কিন্তু জীবনে সফল হতে গেলে কিছু চারিত্রিক গুণ থাকা আবশ্যিক। চাণক্যের নীতি মানুষকে জীবনে সফল হওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়। চাণক্যের নীতি অনুসারে সফলতার পথ খুব কঠিন নয়। তবে সফলতা পেতে গেলে অবশ্যই শৃঙ্খলা ও কঠোর পরিশ্রম অবলম্বন করতে হবে। চাণক্যের নীতি অনুসারে একজন সফল নেতা হতে গেলে তার মধ্যে কয়েকটি গুণ থাকা আবশ্যক। আর এই গুণ যার মধ্যে নেই সে কখনোই সফল দলনেতা হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। একজন যোগ্য নেতা হতে গেলে সবার আগে তার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন, আসুন সেগুলো কি দেখে নেওয়া যাক।

চাণক্য নীতি অনুসারে দলনেতা হতে গেলে সবার আগে স্বার্থপরতা ত্যাগ করতে হবে। কারণ একজন স্বার্থপর ব্যক্তি কখনোই প্রকৃত দলনেতা হয়ে উঠতে পারে না।

দলনেতা হতে গেলে সবসময় তার কাজ শেষ করার ক্ষমতা রাখতে হবে। তবেই জীবনে সাফল্য মিলবে।

দলের প্রতিটি সদস্যকে সম্মান দিতে হবে। চাণক্যের নীতি অনুসারে দলের সদস্যরা প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা পেলে দলনেতাকে তারা উচ্চ আসনে আসীন করবেন। একজন দলনেতা জীবনে তখনই সফলতা আসবে যখন তার দলের প্রতিটি সদস্যের প্রতি সমান নজর ও বিবেচনাবোধ কাজ করবে।

একজন নেতাকে সব সময় সময়ের গুরুত্ব বুঝতে হবে। চাণক্যের নীতি অনুসারে সময়ের গুরুত্ব অপরিসীম। সময় পরিচালনা সঠিক ব্যবহারের জ্ঞান থাকতে হবে।

চাণক্যের মতে, একজন দলনেতাকে তার বড় এবং ছোট সহকর্মীদের প্রতিভা এবং দক্ষতা কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানতে হবে। তবেই সে প্রকৃত দলনেতা হবে।

একজন প্রকৃত দলনেতাকে তার সহকর্মীদের দক্ষতা ও মেধা সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে। তবেই সে সহকর্মীদের মধ্যে কাজ ভাগ করে দিতে পারবে এবং সহকর্মীদের কাছ থেকে আরও ভাল ফলাফল পাবে।

সর্বশেষ একজন দলনেতার কাছে পরিকল্পনা তৈরীর কাজ করা ও লক্ষ্য অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চাণক্যের মতে যে কোনও কাজ শুরু করার আগে তার পরিকল্পনা করা অত্যন্ত জরুরি। আর যারা এটি করেন তাদের জীবনে সফলতা আসতে বাধ্য।