মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, একাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা

মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা ঘটল। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১২ জন। তবে বাস দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে বাস চালকের। মঙ্গলবার সকালে বহরমপুর জলঙ্গি রাজ্য সড়কে বাস এবং লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। তাতেই আঘাত লেগে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় বাস চালকের। আর আহতদের উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন- শরীরচর্চা বা ডায়েট ছাড়া ভুঁড়ি কমবে? কী ভাবে

স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে বহরমপুর জলঙ্গি রাজ্য সড়কের উপর দৈলতাবাদ থানার নমাইলে। বহরমপুর থেকে যাত্রী বোঝাই বাসটি জলঙ্গি যাচ্ছিল। তার সামনে আর একটি যাত্রীবাহী বাস ডোমকল যাচ্ছিল। দুটি বাসের রেষারেষি করতে গিয়েই বিপরীতমুখী লরির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সেখানেই বাস চালকের মৃত্যু হয়েছে। ঘন কুয়াশার মধ্যে অপরদিকে বাসটি ওভারটেক করার সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে দৌলতাবাদ থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, বাসে প্রায় ৩০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনায় ১৪ জনকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানেই বাসের চালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। তার মধ্যেও বাসের গতিবেগ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি ছিল। রেষারেষি করার সময় একটি গাড়ি পাশ কাটাতে গিয়েছিলেন বাস চালক। উল্টোদিক থেকে আসছিল একটি পণ্যবাহী লরি। বাসটি সজোরে গিয়ে লরিতে ধাক্কা মারে। দুমড়ে মুছড়ে যায় বাস ও লরি।

জানা গিয়েছে, বাসের সামনের অংশ কেটে বের করে আনা হয় চালককে। যাত্রীদের উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একাধিক মানুষের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তাঁদেরকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হতে পারে। হাসপাতালে ভর্তি এক মহিলা–সহ পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ভয়ঙ্কর বাস দুর্ঘটনায় জলঙ্গি রাজ্য সড়কেও ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আইআইটি খড়গপুরে ফেরিওয়ালার ছেলে! পড়ার খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবার

বাঁকুড়াঃ বাবা চুড়ি-বালা-মালা-খেলনা গ্রামেগঞ্জে ফেরি করে বহু কষ্টে সংসার চালান। তারমধ্যে ছোট ছেলে এবার আইআইটি খড়্গপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পেয়েছে। এতদিন কষ্টেসৃষ্টে সংসার টানলেও ছোট ছেলের পড়ার খরচ চালাবেন কী ভাবে? ইদানীং সে ভাবনাতেই নাভিশ্বাস উঠছে বাবা কানাই ও মা ববিতা কমর্কারের।

আরো পড়ুন- চাকরির বদলে তরুণীকে কুপ্রস্তাব! তৃণমূলি পুরপ্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিলেন অভিষেক

গ্রামের পথে পথে ঘুরে যেটুকু আয় করেন, তাতে কোনওমতে সংসার চলে। সেই ফেরিওয়ালার ছেলে ছোটন জেইই মেইন এবং অ্যাডভান্স পরীক্ষার বেড়া টপকে ফেলেছেন। সুযোগ পেয়েছেন আইআইটি খড়্গপুরের মতো নামজাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সেখানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এ বি টেক নিয়ে পড়াশোনা করবেন তিনি। ৪ বছরের কোর্সের খরচ ১২ লক্ষ টাকা।

ছেলের পড়ার খরচ সামলাবেন কী ভাবে, তা ভেবেই ঘুম ছুটেছে কানাই এবং তাঁর স্ত্রী ববিতার। দু’জনের কেউই হাইস্কুলের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। সে-ও আর্থিক অনটনের জন্য। মা-বাবার মতো একই দশা হয়েছিল বড় ছেলের। টানাটানির সংসারে তাঁকেও মাঝপথে পড়া ছাড়তে হয়েছে। তবে ছোট ছেলের উপর আশায় বুক বেঁধেছে কর্মকার পরিবার।

ছোটবেলা থেকেই বেশ মেধাবী ছোটন। পড়াশোনায় তাঁর আগ্রহ দেখে শত কষ্টেও তাতে বাধা দেননি মা-বাবা। গ্রামের স্কুল থেকে মাধ্যমিকের পর বাঁকুড়া শহরের একটি স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পড়তে ভর্তি হন ছোটন। সেখান থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর শুরু হয় অন্য লড়াই! আইআইটি খড়্গপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ঢোকার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন ছোটন। তাতে ফলও মেলে। একে একে জেইই মেইন এবং অ্যাডভান্স পরীক্ষার মেধাতালিকায় উপরের দিকে জায়গা করে নেন।

আইআইটি খড়্গপুরে ভর্তির জন্য ১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা জোগাড় হবে কী ভাবে? কাউন্সেলিংয়ের ৩৫ হাজার টাকাই বা কী ভাবে হাতে আসবে? এ বার আরও কয়েকটি বাধার মুখোমুখি কর্মকার পরিবার। তবে ছোটনের স্বপ্নপূরণের পথে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বন্ধুবান্ধব, শিক্ষকরা থেকে বহু পাড়াপ্রতিবেশী। তাঁদের আর্থিক সহায়তায় আইআইটিতে কাউন্সেলিংয়ের খরচ উঠে গিয়েছে।

খড়্গপুরের ক্যাম্পাসে পৌঁছলেও ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তির লক্ষাধিক টাকা জমা দিতে হবে ছোটনকে। তবে কী ভাবেই সে খরচ জুটবে? উত্তর জানা নেই ছোটনের।

ছেলের মতো পড়াশোনার খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কানাইও। যদিও তিনি জানেনই না, ঠিক কত টাকা প্রয়োজন! কানাই বলেন, ‘‘আমরা তেমন লেখাপড়া জানি না। আইআইটিতে পড়ার সুযোগ পেয়েছে ছেলে। কিন্তু সেখানে পড়ার খরচ কেমন, তা-ই জানি না। ছোটনের মা ববিতা জানান, ‘‘নুন আনতে পান্তা ফুরোয় আমাদের।’’ তাঁর আর্জি, ‘‘সরকারি সাহায্য না পেলে ছেলের পড়ার খরচ চালাতে পারব না আমরা।’’

বাঙালির বিরিয়ানিতে আলুর ঠাঁই হল কীভাবে?

বিরিয়ানি। নাম শুনলেই বাঙালির জিভে জল আসে। কলকাতার বিরিয়ানি নিয়ে দেমাকও কম নয় বাঙালির। নিজাম, আরসালান না রয়্যাল, আমিনিয়া না সিরাজ, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক না হলে কি আর বাঙালীর আড্ডা জমে? হালকা হলদেটে ঘিয়ে মাখানো লম্বা লম্বা সুগন্ধি চাল। তাতে একফালি নরম আলু, সঙ্গে মুক্তোর মত চেয়ে থাকা চকচকে সেদ্ধ ডিম, আর মোলায়েম কয়েক টুকরো মাংস। এ কম্বিনেশন কলকাতা বিরিয়ানি ছাড়া আর কোথাও নেই। সামনে গিয়ে হাঁড়ির ঢাকনা খুলতেই বিরিয়ানির সুবাসে ভরে ওঠে চারপাশ৷ যা কলকাতায় চলে আসছে দশকের পর দশক ধরে।

কিন্তু এই বিরিয়ানি এলো কোথা থেকে? এ সম্পর্কে বেশ কয়েকটি মতবাদ প্রচলিত আছে। একটি হলো, তুর্কি মঙ্গল বিজয়ী তৈমুর বিন তারাগাই বারলাস ১৩৯৮ সালে বিরিয়ানিকে ভারতবর্ষের সীমানায় নিয়ে আসেন। সেসময়ে একটা বিশাল মাটির হাঁড়িতে চাল, মশলা মাখা মাংস ও ঘি একসঙ্গে দিয়ে হাঁড়ির মুখটি ভালোভাবে বন্ধ করে দেওয়া হতো। এবার গনগনে গরম গর্তে হাঁড়িটি মাটি চাপা দিয়ে রাখা হতো সবকিছু সেদ্ধ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত। তারপরে হাঁড়িটি বের করে তৈমুরের সেনাবাহিনীকে খাওয়ানো হতো। সেই খাদ্যই এখন বিশ্বজুড়ে বিরিয়ানি নামে পরিচিত।

অন্য মত অনুযায়ী বিরিয়ানির প্রচলন আরব ব্যবসায়ীদের দ্বারাই শুরু হয়। ভারতবর্ষের কথা বলতে গেলে, বিশেষ করে মালাবারের দক্ষিণ উপকূলে তুরস্ক ও আরব ব্যবসায়ীদের বেশ আনাগোনা ছিল। তাঁদের কাছ থেকেই বিরিয়ানির উৎপত্তি হয়েছে।

সব চাইতে বেশি সমাদৃত মতটি হলো, মুঘল সম্রাজ্ঞী মমতাজ মহলের কাহিনীটি। একবার মুমতাজ মহল মুঘল সৈন্যদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে ব্যারাকে গেলেন, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে তিনি দেখলেন সৈনিকদের স্বাস্থ্যের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। তাই মিলিটারি মেসের বাবুর্চিকে তিনি স্বয়ং নির্দেশ দিলেন চাল ও মাংস সমৃদ্ধ এমন একটা পুষ্টিকর খাবার তৈরি করতে যেটা সৈনিকদের ভগ্ন স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করে দিতে পারবে। সম্রাজ্ঞী মুমতাজ মহলের আদেশে বাবুর্চি যে খাবারটি তৈরি করলেন সেটাই আজকের দিনের বিরিয়ানি নামে পরিচিত।

বিরিয়ানির প্লেটে আলু থাকবে না, তাও আবার হয় নাকি! বাংলার বাইরে গেলে অবশ্য এ বস্তুটির দেখা মেলে না। তাই বিরিয়ানি যত ভালোই হোক না কেন, আলু বিনে বাঙালির তৃপ্তিও হয় না। তা বাঙালির বিরিয়ানিতে আলু এল কোথা থেকে? জেনে নিই সেই গল্প।

ছুটির দিনের খানাপিনা হোক কিংবা গেট টুগেদার, এক প্লেট বিরিয়ানি হলে আর কোনও কথাই থাকে না। কেল্লা ফতে। ভুরভুরে গন্ধ, ঝরঝরে চাল, তুলুতুলে মাংসের এই নবাবি খানাটি, যাকে বলে বাঙালির আপনজন। আর, সেই বিরিয়ানির স্বাদ বাড়িয়ে দেয় আলু। এটি ছাড়া বাঙালির বিরিয়ানির যেন স্বাদ খোলে না। রসনাতৃপ্তি তো অনেক দূরের কথা।

সৌরভ গাঙ্গুলী অবশ্য বলেছিলেন “সারা পৃথিবীতে বিরিয়ানি খেয়েছি, তবে তাতে কলকাতাকে পাইনি।” পাবেই বা কী করে সেখানে যে আলু নেই, আর বিরিয়ানিতে কীভাবে এল আলু? সে প্রশ্ন এলে অবশ্যই মেটিয়াবুরুজের নবাব ওয়াজেদ আলি শাহ’র নাম আসবে।

কিন্তু মজার বিষয় হল, বাংলার বাইরে পা দিলেই দেখা যায়, বিরিয়ানির প্লেটে আলু ভ্যানিশ। এমন নয় যে, তাঁরা আলু দেন না। আসলে বিরিয়ানিতে আলু ছিলই না কোনোদিন। থাকার কথা মাংসের, সেটি থাকে বহাল তবিয়তে। বরং এই আলু যোগকে বলা যায় বিরিয়ানির বাঙালিকরণ। আর, সেই আলুর আমদানি হওয়ার পিছনেও আছে এক গল্প।

এমনিতে আজ বিরিয়ানি যতই অভিজাত খানা হোক না কেন, আসলে জিনিসটি তৈরি হয়েছিল গরিব শ্রমিকদের খাওয়ার জন্যই। কি, অবাক হচ্ছেন! আসলে অবাক করার মতোই কথা বটে। হ্যাঁ, আজকে আমরা যেরকম বিরিয়ানি খেতে অভ্যস্ত, গোড়াতে অবশ্য তেমনটি ছিল না। এটির হয়ে ওঠার কৃতিত্ব দিতেই হবে অওধের নবাব আসফ-উদ-দৌলাকে। তখন বড়া ইমামবড়া তৈরির কাজ চলছে। প্রায় হাজার কুড়ি নির্মাণ শ্রমিক কাজ করছিলেন সেখানে। তাঁদের ভরপেট খাবার চাই তো! তাই এরকম একটি খাবারের পরিকল্পনা করা হল, যেখানে চাল মাংস সবজি ইত্যাদি সব একসঙ্গেই থাকবে। খাবারটি রাঁধা হবে দম-কুকিং স্টাইলে। ধীরে ধীরে যখন সেই রান্না হত, তখন খুশবুতে ভরে যেত চারিদিক। একদিন কাজ পরিদর্শনে নবাবও পেলেন সেই ঘ্রাণ। কৌতূহলী হয়ে তিনি এ ব্যাপারে তত্ত্বতালাশও করলেন। আর তারপরই বিরিয়ানির এন্ট্রি হল নবাবের বাবুর্চিখানায়।

‘কলকাতা বিরিয়ানি’র সঙ্গে ভিন রাজ্যের বিরিয়ানির ফারাক বিস্তর৷ উপরে ছড়ানো বেরেস্তা৷ লম্বা লম্বা সুগন্ধি চালের কোলে কাইয়ে মাখামাখি তুলতুলে খাসি৷ আর মোলায়েম আলুর আদর৷ সঙ্গে দেখা মেলে মুক্তোর মতো চকচকে সেদ্ধ ডিমের৷ এমনটা তো কলকাতা ছাড়া দেখা মেলা ভার! বিরিয়ানিতে হাল্কা গন্ধওয়ালা হলদেটে আলু আর ধবধবে সাদা ডিমের উপস্থিতি ছিল না প্রথম থেকে ৷ যেটা দেখা যায় ‘কলকাতার বিরিয়ানি’তে ৷ এর প্রচলনটাও কিন্তু ভারী অদ্ভুতভাবে শুরু করেছিলেন নবাব ওয়াজেদ আলি শাহ৷

খাবারটি বাংলায় এল নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের হাত ধরে। ১৮৫৬ সাল। সিপাই বিদ্রোহ বা ভারতের স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধের পরের ঘটনা। যুদ্ধে পরাজিত অওধের নবাব ওয়াজেদ আলী শাহ তাঁর রাজত্ব হারিয়ে ঠাই নিলেন কলকাতা শহরে। লখনউ থেকে বিতাড়িত হয়ে। শুধু নগরী নয়। তাঁকে ছেড়ে কোলকাতায় চলে আসতে হয়েছিল প্রাণের চেয়ে প্রিয় অওধ। নবাবি চলে যাওয়ার মুহূর্তেও চোখে জল আসেনি। কারণ মনে করতেন, একমাত্র সঙ্গীত এবং কবিতাই প্রকৃত পুরুষের চোখে জল আনতে পারে। তিনি অওধের শেষ নবাব ওয়াজেদ আলি শাহ।

আর তখন থেকেই বিরিয়ানিতে মাংসের সঙ্গে জুটল আলু। রন্ধন-সংস্কৃতি নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের কেউ কেউ বলেন, নবাবি খরচে তখন কিঞ্চিৎ টান পড়েছিল। তাই শুধু মাংসের জায়গায়, অন্যান্য সবজি, মানে আলুও জায়গা করে নিয়েছিল। যদিও নবাবের বংশধররা মাসোহারার অঙ্ক উল্লেখ করে পরবর্তীতে জানিয়েছিলেন, এ সিদ্ধান্ত ঠিক হতে পারে না। তাহলে, আলু ঢুকে পড়ল কীভাবে?

ইতিহাস বলছে, ১৮৫৬ সালের ৬ মে কলকাতায় পৌঁছান নবাব ওয়াজেদ আলি শাহ। এর পর কলকাতাতেই জীবনের শেষ ৩০ বছর কাটিয়ে দেন তিনি। পুরনো জায়গায় ফিরে যাননি ঠিকই, তবে কলকাতার উপকন্ঠেই এক ‘মিনি লখনউ’ গড়ে তুলেছিলেন ওয়াজিদ আলি শাহ। এখানে আঠারোটি প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন তিনি। একটি চিড়িয়াখানাও তাঁর কীর্তি। ব্রিটিশ সরকার তাঁর জন্য বছর ১২ লক্ষ টাকার পেনশন বরাদ্দ করেছিল। ১৮৮৭ সালে ৬৫ বছর বয়সে মৃত্যু হয় নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের। কলকাতাই তাঁর শেষ জীবনের সঙ্গী ছিল।

মেটিয়াবুরুজে রাতারাতি যে ছোট লখনউ গড়ে তুলেছিলেন ওয়াজেদ আলি, তাঁর মৃত্যুর পর ততটাই দ্রুততায় তাঁর সব স্মৃতি মুছে ফেলেছিল ব্রিটিশ সরকার। সে সময়কার নবাবি দফতরের কোনও নথিপত্র রক্ষা পায়নি বললেই চলে, নবাবের লেখা কিছু বই ছাড়া। নবাব তৈরি করেন প্রাসাদ, বাগবাগিচা, চিড়িয়াখানা। এরই সঙ্গে অওয়ধ থেকে তিনি কলকাতায় এনেছিলেন ঘুরি ওড়ানো, কবুতরবাজি৷ এখানেই শেষ নয় ৷ এই ওয়াজেদ আলির জন্যই কলকাতা বিরিয়ানির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। তাঁর রসনা তৃপ্তির জন্যই এ শহরে ‘দমপোখ্‌ত’ বা ঢিমে আঁচে রান্না শুরু হয়। অনেকে বলেন, বিরিয়ানিতে আলুর প্রচলন নাকি ওয়াজেদ আলি শাহই করেছিলেন। তবে এ বিষয়ে বিতর্কও রয়েছে। তবে বিতর্কের ধার ধারে না কলকাতার ভোজন রসিক মানুষজন। বিরিয়ানির স্বাদ-গন্ধকে অনেক আগেই এ শহরের মানুষ আপন করে নিয়েছেন। বিরিয়ানির ইতিহাস নিয়ে এখন আর তাঁরা মাথা ঘামাতে চান না।

অওয়াধি বিরিয়ানি আর কলকাতা বিরিয়ানি’র মধ্যে তফাৎ একটাই৷ আর তা হল আলু৷ ওয়াজেদ আলি শাহ যখন কলকাতায় আসেন, তখন তাঁর কাছে তেমন অর্থ ছিল না৷ তবে নবাবিয়ানাটা তো রক্তে ৷ তিনি ছিলেন, ‘খানে কা অউর খিলানে কা শওকিন’৷ খেতে এবং খাওয়াতে দারুণ পছন্দ করতেন তিনি৷ কলকাতায় আসার বেশ কিছু বছর পর বিরিয়ানিতে আলুর যোগ করেন নবাব ৷

তবে শোনা যায়, সে সময় আলুর দাম কিন্তু এত কম ছিল না! পর্তুগিজরা এ দেশে নিয়ে আসে আলু৷ এদিকে মাংসের দাম এত বেশি! বিপুল পরিমাণে মাংস কিনে বিরিয়ানি তৈরি করার ব্যয়ভারটা কিন্তু সামাল দেওয়া যাচ্ছিল না কিছুতেই৷ সেই কারণে কিছুটা খরচ বাঁচাতে, এরই সঙ্গে বিরিয়ানির পরিমাণ বাড়াতে আলুর ব্যবহার শুরু হয়৷ সে সময় আলু আজকের মত এত সহজলভ্য ছিল না। সে যুগে আলু মানেই ছিল এলিট লেভেলের সবজি। কিন্তু মাংসের তুলনায় খরচ কম পড়ত। সে যাই হোক, কিছুটা খরচ বাঁচাতে এবং সেই সঙ্গে বিরিয়ানির পরিমাণ বাড়াতে আলুর ব্যবহার শুরু হয়। ওয়াজিদ আলি শাহের সেই বিরিয়ানির ধারা এখনও বয়ে নিয়ে চলছে শহর কলকাতা।

ইতিহাস বলছে, সম্রাট হুমায়ুন ছিলেন পারস্য সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত। রাজপাঠ হারিয়ে সম্রাট হুমায়ুন ইরানে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তখন তাঁকে পারস্য সম্রাট লাল গালিচা বা রেড কার্পেটে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। এছাড়া ইরানের খাদ্য পরিবেশনার রীতি অনুযায়ী, রুপার পাত্রে খাবার আনা হয় লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে। যা পরে মোঘল আমলেও চালু হয়েছিল। খাদ্য পরিবেশনে রঙের এ প্রথা লখনৌয়ের নবাবরাও অনুসরণ করেছিলেন। ফলে অভিজাত্য, বনেদিয়ানা প্রকাশের অন্যতম ধারা হিসেবে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে লাল কাপড়ে মোড়া খাবার। আজ বিরিয়ানি সহজলভ্য হলেও, এক সময় কিন্তু ছিল আভিজাত্যেরই প্রতীক। তাই ব্যবহৃত হয় লাল কাপড়।

ওয়াজেদ আলি শাহ’র সেই বিরিয়ানির ধারা এখনও বয়ে নিয়ে চলছেন ওয়াজেদ আলি শাহ’র প্রপৌত্রী মনজিলাত ফতিমা৷ এখনও সযত্নে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি৷ নবাবি রেস্তোরাঁর সেই ধারা আর রান্নার প্রতি অমোঘ ভালোবাসা প্রতিটি বিরিয়ানির হাঁড়িতে ঢেলে দেন ওয়াজিদ আলি শাহ’র প্রপৌত্রী৷ প্রতিবার বিরিয়ানির হাঁড়ি চাপানোর আগে উচ্চারিত হয় – ‘বিশমিল্লাহ’৷ আল্লাহ’র নাম নিয়ে শুরু হয় রান্না৷ হাতের জাদুতে শুরু হয় বিরিয়ানি তৈরি৷ সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দম-এ বিরিয়ানি তৈরি৷ দম-এ বিরিয়ানি তৈরি হওয়ার সময় নিজে তো কোনও কথা বলেনই না ৷ কাউকে কথা বলতেও দেন না মনজিলাত৷ এক্কেবারে বংশের সেই রীতি মেনে, হেঁসেলে চলে রান্না৷ ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতায় লাজবাব রূপ নেয় ‘কলকাতা বিরিয়ানি’৷ হাঁড়ির ঢাকনা খুলতেই বিরিয়ানির সুবাসে ম’ ম’ করে ওঠে চারপাশ৷

ইদানীং, বিরিয়ানির প্রতি বাঙালিদের টান যেন দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। শহরের রাস্তাঘাটের আনাচে কানাচে, অলিতে গলিতে এখন বিরিয়ানির রমরমা। দোকানের একশো মিটারের মধ্যে এসে পড়লেই নাকে বিরিয়ানির গন্ধ আর লাল কাপড়ে মোড়া বিরিয়ানির বিশাল হাঁড়ি চোখে পড়তে বাধ্য। পেটে সামান্য জায়গা খালি রয়েছে, অথচ অবলীলায় বিরিয়ানির দোকান পেরিয়ে চলে যাচ্ছেন… এমন সাধ্য কার আছে!

হাতে পুরনো ১ টাকার কয়েন থাকলে আপনিও হতে পারেন ৯ কোটি টাকার মালিক

এখনকার দিনে আত্মনিভর হতে কেই না চায়। নিজে ব্যাবসা করে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে সকলেরই মন চায়। ছেলে হোক বা মেয়ে সকলেরই আত্মনিভর হতে চায়। কিন্তু সবসময় তো সাধ থাকলেই সাধ্য থাকে না।

আর তাই নিজের ইচ্ছে স্বপ্ন থাকা সত্ত্বেও কখনও পিছিয়ে যেতে হয়। কিন্তু আজ আপনাকে এমন একটা কথা বলবো যার ফলে আপনি আপনার স্বপ্ন বলুন বা শখ সবই পূরণ করতে পারবেন এক নিমেষে। এমনকি কোটিপতি ও হতে পারবেন আপনি।

 আরো পড়ুন- বুদ্ধিমান সন্তান পেতে গর্ভবতি মায়ের যা করনীয়!

তবে, তার জন্য আপনার কাছে থাকতে হবে ১টাকার কয়েন। কিন্তু, এ কয়েন যে সে কয়েন নয়। ১৯৮৫ সালের আগের কয়েন যদি থাকে আপনার কাছে তবে সেটা বিক্রি করে হতে পারবেন কোটিপতি। OLX এ গিয়ে নিজের নাম রেজিস্টার করে কয়েনটিকে বিক্রি করতে পারবেন।

তাহলে, যাদের পুরোনো এন্টিক কয়েন জমানোর শখ রয়েছে তাঁরা আর দেরি না করে এক্ষুনি এই সুবর্ণ সুযোগ হাতে তুলে নিন। পেয়ে যান ৯.৯৯ কোটি টাকা। আর নিমেষেই হয়ে যান কোটিপতি। ইন্টারনেট এর মাধ্যমে আপনি নিলামে তুলতে পারবেন পুরোনো নোট ও কয়েন।

Rampurhat Case: রামপুরহাট-কাণ্ডে মুম্বাই থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রমপুরহাট-কাণ্ডে (Rampurhat Case) গ্রেফতার চার। বৃহস্পতিবার মুম্বই থেকে চার জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। প্রত্যক্ষদর্শীদের জেরা করে এই চারজনের নাম পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তাদের নাম এফএইআরেও রাখা হয়েছিল।

আরো পড়ুন- Solar Eclipse 2022: ৩০ এপ্রিল বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ, কোন রাশির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে? দেখে নিন

সুত্রের খবর এই চার অভিযুক্তের মধ্যে দুই জন হলেন বাপ্পা শেখ, ও সাবু শেখ। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর। ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁদের বাংলায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয় CBI -এর ছ’ জনের বিশেষ টিম। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের।

গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে একের পর এক বাড়িতে আগুন ধরানোর ঘটনা ঘটে। সিবিআই সূত্রের খবর, সে দিন মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সঙ্গেই গ্রামে ঘুরে ঘুরে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন ধৃত বাপ্পা, সাবুরা। ঘটনার পরই অভিযুক্তরা গ্রাম ছেড়ে চম্পট দেন। সিবিআই গোপন সূত্রে খবর পায়, অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন পালিয়ে মুম্বই পৌঁছেছেন এবং সেখানেই গা ঢাকা দিয়ে আছেন। সেই খবর মতোই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করে সিবিআই। পাশাপাশি চলতে থাকে মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাকও। দুপুর নাগাদ চার জনকেই গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। 

বগটুই কাণ্ডে দায়ের হওয়ার এফআইআরে ১৩ নম্বরে রয়েছে বাপ্পা শেখের নাম, ১৫ নম্বরে রয়েছে সাবু শেখের নাম। তাঁদের সঙ্গেই রয়েছেন আরও দুই গ্রামবাসী, যাঁরা ওই দিন তাণ্ডবের ঘটনায় যুক্ত ছিলেন বলে মনে করছে সিবিআই। তবে তাঁদের নাম এখনই জানাতে চাননি তদন্তকারীরা। 

ফের বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম, বাড়ল রান্নার গ্যাসের দামও! মধ্যরাত থেকে কার্যকর নতুন দাম

প্রায় তিন মাস পর ফের বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। বাড়ল রান্নার গ্যাসের দামও। সোমবার মধ্যরাত থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে , জানাল পেট্রল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন। পেট্রলের দাম ৮৪ পয়সা বেড়ে দাঁড়াল লিটার প্রতি ১০৫.৫১ টাকা। অন্য দিকে লিটার প্রতি ডিজেলের দাম ৮৩ পয়সা বেড়ে হচ্ছে ৯০.৬২ টাকা। সিলিন্ডার প্রতি রান্নার গ্যাসের দাম ৫০টাকা বেড়ে দাঁড়াল ৯৭৬ টাকা।

আরো পড়ুন- কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে

২৬ দিনে পড়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য রাশিয়ার উপরে পশ্চিমি দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞা বিশ্ব বাজারে তেলের দামকে ১৩৯ ডলারে ঠেলে তুলেছিল। আকাশছোঁয়া অশোধিত তেল বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশ হিসাবে ভারতকে উদ্বেগে রেখেছিল। বিশেষেজ্ঞরা ধরে নিয়েছিলেন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পরই জ্বালানির দাম বাড়ানোর পথে হাঁটবে কেন্দ্র। গত ১০ মার্চ নির্বাচনের ফল বেরনোর পর ভারতের বাজারেও পেট্রল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। অবশেষে সেই পথেই হাঁটল কেন্দ্র।

রবিবার ২০ মার্চ, শিল্পক্ষেত্রে ডিজেলের দাম এক ধাক্কায় লিটারে ২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু পেট্রল পাম্পে ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত ছিল। রবিবার রাজধানী দিল্লিতে পেট্রল পাম্পে এক লিটার ডিজেলের দাম ৮৬ টাকা ৬৭ পয়সা। তবে শিল্পক্ষেত্রে এক লিটার ডিজেলের দাম ১১৫ টাকা। মুম্বইয়ে এই দাম হয়েছে ১২২ টাকা ৫ পয়সা।

বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বাড়ার পরও ২০২১ সালের নভেম্বরের পর সরকার পরিচালিত সংস্থাগুলি পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়ায়নি।

রাজ্যবাসীকে দোলের শুভেচ্ছা জানিয়ে একতার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দোলের (Dol Utsav) দিন রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। একতার বার্তাও দেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) দোলযাত্রা (Dol Utsav) এবং হোলির শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে টুইটে লেখেন, “রংয়ের উৎসব সকলের জীবনে নিয়ে আসুক সুখ, শান্তি, আনন্দ এবং সমৃদ্ধি। বৈচিত্র্য, বন্ধুত্ব ও সাম্যের চেতনা আমাদের অনুপ্রাণিত করুক।”

লাল, নীল, হলুদ এবং সবুজ রঙে রঙিন হয়ে যাওয়ার জন্য আজ প্রায় সকলেই প্রস্তুত। ব্রজভূমি থেকে শুরু করে চৈতন্যধাম, সর্বত্রই দোল উৎসবের আনন্দ ক্রমেই উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন রীতি মেনে পুজো পার্বনের মাঝে পালিত হয় দোল পূর্ণিমা।

ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্র, কড়া নজর বিমানযাত্রীদের উপর

দেশের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে
ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ সতর্ক হতে বলল কেন্দ্র। যার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে প্রত্যেকটি রাজ্যকে অবিলম্বে করোনা পরীক্ষা বাড়াতে বলা হয়েছে। এছাড়াও যে এলাকাগুলিতে সাম্প্রতিক কালে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে, সেই সব এলাকাতেও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।

আরো পড়ুন- অবিকল মানুষের মত ঠোঁট-দাঁত যুক্ত বিরল মাছ, মুহূর্তে ভাইরাল ভিডিও

রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যসচিবদের। ওই চিঠিতে বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে বিদেশ থেকে এ দেশের বিমানবন্দরে নামা যাত্রীদের উপর। কেন্দ্র বলেছে, কোন কোন দেশ থেকে বিপদ আসতে পারে তার একটা তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করেছে তারা। রাজ্য প্রশাসন যেন ওই তালিকা মাথায় রেখে কড়া ব্যবস্থা নেয়। এমনকি বিদেশে থেকে আসা বিমানযাত্রীরা ভারতে নামার আগে আর কোন কোন দেশে গিয়েছিলেন, তারও নথি পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে ।

করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রন সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, এই নতুন রূপ দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে। শুধু তা-ই নয় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ভাঙার ক্ষমতাও বেশি ওমিক্রনের। ইতিমধ্যেই বৎসোয়ানা, হংকং, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, ইটালি, জার্মানি, ইজরায়েল এবং নেদারল্যান্ডসে ওমিক্রন পাওয়া গিয়েছে। এই দেশগুলিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ দেশ’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

রবিবার কেন্দ্রের স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ বলেছেন, দেশে করোনার সংক্রমণের বিষয়টিতে যাঁরা নজর রাখছেন তাঁদের এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে। ঝুঁকি আছে, এমন দেশ থেকে যে সমস্ত যাত্রীরা আসছেন তাঁদের ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও বলা হয়েছে ওই নির্দেশে।

এ ছাড়া রাজ্যগুলিতে সংক্রমণের পজিটিভিটি রেট অর্থাৎ মোট পরীক্ষার নিরিখে সংক্রমিতের হার  ৫ শতাংশের নীচে রাখার লক্ষ্য স্থির করতে বলেছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বাড়াতে বলেছে কেন্দ্র। কেন্দ্র জানিয়েছে প্রয়োজনে পরিকাঠামো আরও উন্নত করতে রাজ্যগুলি যেন কেন্দ্রের দেওয়া অর্থসাহায্যের যথাসাধ্য ব্যবহার করে।

পৃথিবীর অন্যতম স্বচ্ছ নদী বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে, অবাক করা রূপ এই নদীর

নদীর নাম উমনগোট। কিন্তু এটি স্থানীয়ভাবে ডাউকি নামে বেশি পরিচিত। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রামের তকমা পাওয়া মাওলিনং গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে নদীটি।

জলের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে এমন স্বচ্ছ নদী খুব কমই দেখা যায় পৃথিবীতে। সারা পৃথীবির মধ্যে এই নদীই স্বচ্ছতম। উপরিভাগ থেকে নদীর তলদেশ ঝকঝকে জল। ঠিক যেন স্ফটিক।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক এমনই একটি নদীর ছবি টুইট করেছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একেবারে কাচের মতো স্বচ্ছ নদী। পাথর ও নিচে থাকা জলজ উদ্ভিদগুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

ছবিটি টুইট করে জলশক্তি মন্ত্রক লিখেছে, ‘এটি বিশ্বের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন ও স্বচ্ছ নদীগুলোর মধ্যে একটি। এই নদীর জল এতই পরিষ্কার ও স্বচ্ছ যে নদীতে ভাসা নৌকাটিকে দেখে মনে হচ্ছে যেন শূণ্যে ভাসছে।’

অনেকেই হয়তো এ ছবি দেখেছেন আগে, নদীটিকেও দেখেছেন। ভারতেই রয়েছে সেই নদী। ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এই নদীর জনপ্রিয়তাও রয়েছে। নদীটি কোথায় এ প্রশ্ন করলে অনেকে হয়তো তার সঠিক উত্তরও দেবেন। কিন্তু নদীর নাম?

নদীটি মেঘালয়ে। খুব পরিচিতও বটে। শিলং থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে। নদীর নাম উমনগোট। কিন্তু এটি স্থানীয়ভাবে ডাউকি নামে বেশি পরিচিত। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রামের তকমা পাওয়া মাওলিনং গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে নদীটি। কোনও আবর্জনা ফেলা নিষেধ এই নদীতে।

দূষণমুক্ত হওয়ার কারণেই জল এতটা স্বচ্ছ নদীর এমনটাই মত পরিবেশবিদদের। এই নদীর গভীরতা মাত্র ১৫ ফুট। উমনগোট নদী জয়ন্তীয়া এবং খাসি পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বয়ে গিয়েছে। নদীর তলদেশের নুড়ি-পাথরও স্পষ্ট দেখা যায়। কাচের মতো পরিষ্কার এই নদীর জল ও জলের রঙের ছটায় মন্ত্রমুগ্ধ বিশ্ব। মেঘালয়ের নদীর পাশের গ্রামটিও এমনই সুন্দর ও দূষণমুক্ত।

কয়েকদিন পরেই জগদ্ধাত্রী পুজো, আসুন জেনেনি জগদ্ধাত্রী পুজো কি, কেন এর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

দুর্গাপূজার ঠিক এক মাস পরে, কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষে দেবী জগদ্ধাত্রীর পুজো। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী জগদ্ধাত্রী হলেন জগতের ধাত্রী বা পৃথিবীর পালিকা। তিনি দেবী দুর্গারই আর এক রূপ। দেবী ত্রিনয়না, চতুর্ভূজা ও সিংহবাহিনী। তাঁর হাতে শঙ্খ, চক্র, ধনুক ও বাণ; গলায় নাগযজ্ঞোপবীত। বাহন সিংহ, করীন্দ্রাসুর অর্থাৎ হস্তীরূপী অসুরের পৃষ্ঠে দণ্ডায়মান।

হিন্দু উপনিষদের একটি কাহিনী অনুসারে মহিষাসুর বধের পর দেবতারা নাকি খুব অহংকারী হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের ধারণা হয়েছিল, দেবী দুর্গাকে অস্ত্রদান করার ফলেই এই বিজয়। এই ধারণা ভ্রান্ত প্রমাণ করতে যক্ষরূপে আবির্ভূত হলেন শক্তির উৎস ব্রহ্ম। দেবতাদের পরীক্ষা করার জন্য একটি ঘাসের খণ্ড সামনে রেখে সেটিকে জয় করতে বললেন। অগ্নি ও বায়ু তাঁদের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করেও সেই তৃণখণ্ডটিকে দগ্ধ বা বিধৌত করতে পারলেন না। অবশেষে দেবতারা বুঝতে পারলেন, যাবতীয় শক্তির উৎস এই ব্রহ্ম, যিনি বিরাজ করেন জগতের মাতা জগদ্ধাত্রী রূপে। তাঁর পূজা করলে জয় করা যায় যাবতীয় হিংসা আর অহংকারকে।

আমাদের এই বাংলায় জগদ্ধাত্রী পূজার সূচনা করেন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে, নদীয়া জেলার সদর কৃষ্ণনগরে। কিংবদন্তী আছে, নবাব আলিবর্দির রাজত্বকালে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে বারো লক্ষ টাকা নজরানা দাবি করা হয়। নজরানা দিতে অপারগ রাজা বন্দী হয়ে মুর্শিদাবাদে (মতান্তরে মুঙ্গেরে) স্থানান্তরিত হন। মুক্তির পর নদীপথে কৃষ্ণনগরে প্রত্যাবর্তনের সময় ঘাটে বিজয়াদশমীর বিসর্জনের বাজনা শুনতে পান রাজা। বুঝতে পারেন যে সেই বছর দুর্গাপূজার সময় উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। দুর্গাপূজার আয়োজন করতে না পেরে দুঃখিত রাজা সেই রাতেই মা দুর্গাকে স্বপ্নে দেখেন আর আদেশ পান জগদ্ধাত্রীর রূপে পরবর্তী শুক্লানবমী তিথিতে পূজা করার। সেই থেকে কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে জগদ্ধাত্রী পূজা হয়ে আসছে। রাজবাড়ির দরজা জগদ্ধাত্রী পূজার সময় আজও খোলা থাকে। পূজা পুরনো প্রথা মেনে হয় শুধুমাত্র নবমী তিথিতে।

জগদ্ধাত্রী পূজা আজ কিংবদন্তীর পর্যায়ে চলে গেছে হুগলী জেলার চন্দননগরে। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজার প্রবর্তক ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। জানা যায়, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ ইন্দ্রনারায়ণ ছিলেন চন্দননগরের ফরাসি সরকারের দেওয়ান। প্রায় আড়াইশো বছর আগে, কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পূজা দেখে মুগ্ধ হয়ে ইন্দ্রনারায়ণ চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জ চাউলপট্টিতে জগদ্ধাত্রী পূজার প্রচলন করেন। এই পূজা চন্দননগরে আদি পূজা নামে পরিচিত। এখানকার প্রতিমার বৈশিষ্ট্য হল সনাতনরীতির প্রতিমায় সাদা সিংহ এবং বিপরীতমুখী অবস্থানে হাতি। শোনা যায়, বিসর্জনের সময় আদি প্রতিমা জলে পড়লেই শুশুক বা সাপের দেখা পাওয়া যায়। স্থানীয় বিশ্বাসে এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রতা। চন্দননগরের পূজার আর এক বৈশিষ্ট্য হল বিশাল উচ্চতার প্রতিমা আর আলোকসজ্জা। পূজার বিসর্জনও দেখবার মত। এছাড়া বাঁকুড়া জেলার জয়রামবাটী গ্রামে রামকৃষ্ণ পরমহংসের সহধর্মিণী সারদা দেবীর জন্মভিটার জগদ্ধাত্রী পূজা খুব বিখ্যাত। রামকৃষ্ণ মিশনেও এই পুজোর প্রবর্তন করেছিলেন সারদা দেবী।

বাড়িতে বসেই রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্ক করবেন কিভাবে? জেনে নিন

করোনার সময় পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রেশন পেতে পারেন সেইজন্য কেন্দ্র সরকার “এক দেশ এবং এক রেশন কার্ড” প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে। এই প্রকল্পকে কার্যকর করার জন্য Aadhaar Card-এর সঙ্গে Ration Card লিঙ্ক করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খুব সহজেই বাড়িতে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে আধার কার্ডের সাথে রেশন কার্ডের লিঙ্ক করানো সম্ভব। আধার কার্ডের সাথে রেশন কার্ডের লিঙ্ক করালেই আপনার দুয়ারে পৌঁছে যাবে এবার রেশন। নীচে আমরা দেখবো কিভাবে অনলাইনে রেশন কার্ডের সাথে আধার কার্ড লিঙ্ক করানো যায়। ‌

পশ্চিমবঙ্গে Aadhaar Card-এর সঙ্গে Ration Card লিঙ্ক করার পদ্ধতি –

১) পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের আধার কার্ডের সাথে রেশন কার্ড লিঙ্ক করতে গেলে প্রথমেই যেতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য দফতরের ওয়েবসাইট food.wb.gov.in।

২) পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য দপ্তর এর ওয়েবসাইটে গিয়ে বাঁ দিকের উপরে ‘Ration Card’ অপশনটি আছে। সেটিকে ক্লিক করুন।

৩) এরপর ‘Apply Online’ অপশনটিকে বেছে নিন।

৪) তার পরে যান ‘Apply for updation of Mobile number and aadhaar card for already exiting ration card{form-11}’ অপশনটিতে।

৫) এরপর আপনার সামনে নতুন পেজ ওপেন হবে সেখানে গিয়ে আপনার রেশন কার্ডের সাথে মোবাইল নম্বরটি লিঙ্ক করা আছে সেই নম্বরটিকে ইনপুট করুন।

৬) দেখুন আপনার অ্যাকাউন্টের প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য এখানে দেখাবে। তারপর এখানে আধার কার্ডের নম্বর দিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য ইনপুট করুন।যে তারপর সাবমিট করে দিন।

৭) আপনি যদি ভুলে যান যে আপনার কোন ফোন নম্বর রেশন কার্ডের সাথে সংযোগ করা আছে তাহলে ‘I don’t know which mobile number I have in my Ration Card’ অপশন সিলেক্ট করে জেনে নিন।

৮) এরপর রেশন কার্ডের ক্যাটেগরি সিলেক্ট করুন এবং সেখানেই রেশন কার্ডের নম্বর ইনপুট করুন।

৯) এরপর দেখবেন আপনার অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য দেখা গেছে।

  • এবার Aadhaar Card-এর সঙ্গে Ration Card আদৌ লিঙ্ক হয়েছে কী না, তা জানবেন কীভাবে?

১) প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য দপ্তরের ওয়েবসাইট food.wb.gov.in ওয়েবসাইট ওপেন করুন।

২) হোম পেজে ‘Ration Card Option’ সিলেক্ট করুন।

৩) এরপর ‘Verify Ration Card{Verify e-RC/DRC}’ অপশন সিলেক্ট করুন।

৪) এরপর দেখুন আপনার সামনে একটি নতুন পেজ ওপেন হবে।

৫) সেখানে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য ইনপুট করুন।

৬) এরপর Ration Card ক্যাটেগরি ও রেশন কার্ড নম্বর দিয়ে ক্যাপচা কোড দিন।

৭) এরপর দেখুন আপনি রেশন কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর, পরিবারের প্রধান সদস্যের নাম ও আধার কার্ডের নম্বর দেখতে পারবেন।

একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন

অতনু ঘোষ এর রিপোর্ট মেমারিঃ
“একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন”, এই স্লোগানকে সামনে রেখে পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির সম্মিলনী ক্লাবের উদ‍্যোগে ও কলকাতার অশোক ল‍্যাবোটারিজের সহযোগিতায় করোণা বিধি কে মান্যতা দিয়ে মেমারি তে আয়োজিত হলো স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির।

মেমারির সম্মিলনী সারা বছরই কিছু না কিছু সামাজিক কাজের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায় এবং প্রতি বছরই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে। এ বছর তাদের রক্তদান শিবির সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করল। আজকের এই রক্তদান শিবির থেকে এক সম্প্রীতির বার্তাও দেওয়া হলো। আজকের এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা একজন হিন্দু ব্রাহ্মণ ঘরের মহিলা যখন রক্ত দিচ্ছেন ঠিক সেই সময় তার পাশে দাঁড়িয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে দেখা গেল মুসলমান ধর্ম গুরু কে। এই ছবি দেখে এটা প্রমাণিত যে,মেমারির সম্মিলনী ক্লাব আজকের এই রক্তদান শিবির আয়োজন করে শুধুমাত্র রক্তের ঘাটতি মেটাবার চেষ্টাই করেনি তার সাথে সাথে এক সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছে সাধারণ মানুষকে।

আজকে এই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত হয়েছিলেন মেমারি থানার বেশ কিছু আধিকারিকগণ সহ বিশিষ্ট সমাজসেবী নিত্যানন্দ ব্যানার্জি, ফারুক আব্দুল্লাহ, ফাত্তার কয়াল, সনাতন হেমরম,মেমারি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রামকৃষ্ণ হাজরা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। স্ত্রী পুরুষ মিলে মোট 100 জনের অধিক রক্তদাতা রক্ত দান করবেন বলে জানা যায়। মহিলা রক্তদাতার সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। সবশেষে একটা কথাই বলা যায় ” *রক্তদান মহৎদান, রক্তে কত জীবন বাঁচে। রক্তা ভাবে পড়েছে যারা, রক্তদানের আসল মানে একমাত্র তারাই জানে ।*