পরিবারের অমত! মন্দিরে গাঁটছাড়া বাঁধলেন দুই তরুণী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক। দীর্ঘদিন ধরেই তারা একে অপরের ভালোবাসা। পরিবারের মত না থাকায় নিজেদের ইচ্ছেতেই দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে একটি পূর্ণতার রূপ দিলেন পপি ও প্রতিমা। মালদার ইংরেজবাজার শহরের মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন হ্যান্টা কালীবাড়ি মন্দিরে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন দুই সমপ্রেমী তরুনী। হয়েছে মালাবদল-সিঁদুরদান। আর এই ঘটনার সাক্ষী হিসেবে ওই এলাকায় অসংখ্য মানুষ ভিড় জমান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পপি মন্ডল এবং প্রতিমা বিশ্বাস, প্রথম জনের বাড়ি বামনগোলা থানার নালাগোলা এলাকায়। অপরজনের বাড়ি কালিয়াচক থানা এলাকায়।

আরো পড়ুন- ১৪ বছর পর কোচবিহারে রাহুল গান্ধী! আজ উত্তরবঙ্গে প্রবেশ কংগ্রেসের ‘ন্যায় যাত্রা’র

দুই মহিলা জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল দীর্ঘদিনের। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই তাঁদের আলাপ হয়। ধীরে ধীরে সেই আলাপ যথেষ্ট গাঢ় হয়। দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এরপরেই তাঁরা একসঙ্গে থাকার পরিকল্পনা করতে থাকেন তাঁরা। সেই পরিকল্পনা থেকেই তাঁরা একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।

বুধবার রাতে মালদার ইংরেজবাজারের হ্যান্টা কালীবাড়ি মোড়ে দুই সমকামী মহিলা বিবাহ বন্ধনে (Marriage) আবদ্ধ হন। দু’জনেই জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা একে অপরের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে আবদ্ধ রয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের সমর্থন না মেলায় তাঁরা এভাবে মন্দিরে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।

১৪ বছর পর কোচবিহারে রাহুল গান্ধী! আজ উত্তরবঙ্গে প্রবেশ কংগ্রেসের ‘ন্যায় যাত্রা’র

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিজেপি-বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে বাংলায় থাকছে না তৃণমূল ৷ বুধবার স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ লোকসভা নির্বাচনের আর বেশি দিন বাকি নেই ৷ মুখ্যমন্ত্রীর মান ভাঙানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি থেকে শুরু করে দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের মতো নেতৃত্ব ৷

এই আবহে বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে বাংলায় প্রবেশ করছে রাহুল গান্ধীর “ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা”। ১৪ বছর পর উত্তরবঙ্গে পা রাখছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। আজ দিনভর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে রাহুলের।

এদিকে রাহুল গান্ধীকে স্বাগত জানাতে তৈরি রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সেখানে অবশ্য নেতৃত্বদের মধ্যে অধীররঞ্জন চৌধুরি ছাড়াও রাজ্য কংগ্রেসের অবজার্ভার আহমেদ মির-সহ একগুচ্ছ নেতা উপস্থিত থাকবেন। আলিপুরদুয়ারে কংগ্রেসের এই কর্মসূচিতে সিপিএম অংশ নেবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আরো পড়ুন- ED Raid: সাত সকালে তালা ভেঙে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি

এছাড়াও খাবারের তালিকায় রয়েছে লুচি, সাদা রুটি, ছোলার ডাল, সাদা ভাত, ভেজ ডাল, চিকেন কষা, আলু ভাজা, স্যালাড, গন্ধরাজ লেবু। তার সঙ্গে ব্রকোলির বিশেষ একটি সুপ সেখানে তৈরি রাখা হয়েছে। কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি বলেন, ন্যায় যাত্রায় রাহুল গান্ধী আজ কোচবিহারে আসছেন। তাঁর এই কর্মসূচি নিয়ে বাংলার মানুষ খুবই উৎসাহিত।

প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন আমরা রাহুল গান্ধিকে স্বাগত জানানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় তোরণ, হাতগেট, হোর্ডিং, ব্যানার, পোস্টার লাগিয়েছি ৷ 28 জানুয়ারি রাজবংশীদের একটি অনুষ্ঠান আছে ৷ সেখানে 101টি ঢাকি থাকবে ৷ ব্যান্ড থাকবে ৷ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে রাহুল গান্ধিকে স্বাগত জানানো হবে ৷”

এরই সঙ্গে শঙ্কর মালাকার আরও জানালেন, ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার জন্য পুলিশ প্রশাসন কংগ্রেসকে সাহায্য করছে ৷ তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধির ব্যাপারে এখনও কেউ বিরোধিতা করেনি ৷ আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে ৷ বিজেপি বিরোধী শক্তি সিপিএম, তৃণমূল, আরএসপি সবাইকে আবেদন জানানো হবে ন্যায় যাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য ৷ পুলিশ প্রশাসন খুব ভালো সহযোগিতা করছে। পৌরনিগমও সহযোগিতা করছে।”

গত 14 জানুয়ারি মণিপুর থেকে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি ৷ এরপর নাগাল্যান্ড, অসম হয়ে কাল পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবে এই যাত্রা ৷ 5 দিন ধরে 7টি জেলার মধ্যে দিয়ে যাবে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা ৷

ED Raid: সাত সকালে তালা ভেঙে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সাত সকালে তালা ভেঙে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি। এর আগেও রেশন দুর্নীতিতে শেখ শাহজাহনের বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে ইডি আধিকারিকদের বিপত্তির মুখে পড়তে হয়েছিল৷

আরো পড়ুন- রাশিয়াতে মৃত্যু উপত্যকা! ডিয়াটলোভ পাস রহস্য

১৯ দিন পর ফের ২৫ টি গাড়ি করে ১২৫ জনের বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সাতজন আধিকারিকের দল শেখ শাহজাহনের বাড়িতে সকাল সাতটার মধ্যে পৌঁছে যায়৷ বাড়িতে তালা বন্ধ থাকায় নাম ধরে ডাকাডাকি করা হলেও কেউ গেট খুলছিলেন না৷ সূত্রের খবর পরে একজন নেমে এলেও সে জানায় তাঁর কাছে বাড়ির চাবি নেই৷ পরে চাবিওয়ালা এনে তালা ভেঙে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকে ইডি। ২ স্থানীয় সাক্ষীকে সামনে রেখে তল্লাশি শুরু। শেখ শাহজাহানের ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছেন ১৩ জন ইডি অফিসার। পুরো ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখা হয়েছে৷

ঝুলেই রইল প্রাথমিকের ১১ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ , মেধাতালিকা প্রকাশে ‘না’ সুপ্রিম কোর্টের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঝুলেই রইল প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ছাড়পত্র পেল না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আবার স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল শীর্ষ আদালতে। ফলে বহাল থাকল আদালতের আগের নির্দেশ। পূর্ব নির্দেশ মতো এখনই কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারবে না তারা। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, আগামী ২২ জানুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানি।

আরো পড়ুন- দুটি ইনজেকশনেই গায়েব হবে খারাপ কোলেস্টেরল! ভারতীয় ফার্মার তৈরি ওষুধ আসছে এই মাসেই

গত বছর প্রাথমিকে প্রায় ১১ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের কথা জানায় রাজ্য। সেই মতো নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে পর্ষদ। গত বছর সেপ্টেম্বরে তারা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, টেট উত্তীর্ণ ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রশিক্ষণরত ডিএলএড প্রার্থীরা এবং ওই কোর্সের প্রথম বর্ষের উত্তীর্ণরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। পর্ষদের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। তখন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন। পরে হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদের ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয়। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। শিক্ষক হতে গেলে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করতে হবে। পরে অবশ্য দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ ডিএলএড প্রশিক্ষণ শেষ করা প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়ার কথা জানায়।

সৌমেন পাল-সহ মূল মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের যুক্তি, পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক ওই কোর্সের ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষ শেষ হচ্ছে জুন মাসে। আর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে নভেম্বর মাস থেকে। ফলে ডিএলএড প্রশিক্ষণরতদের সুযোগ দেওয়া উচিত। ওই মামলায় গত বছর ২৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ জানায়, আদালতের নির্দেশ ছাড়া ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারবে না পর্ষদ। তার পর থেকে মামলাটির শুনানি একাধিক বার পিছিয়ে গিয়েছে। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, আগামী ২২ জানুয়ারি মামলাটি আবার শুনানির জন্য উঠবে। সে দিন নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে জট কাটে কি না সে দিকে তাকিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা।

BJP-র পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার

BJP-র পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, হাওড়ার সাঁকরাইলের কান্দুয়া পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য রূপা রায়ের বাড়িতে হানা পুলিশের। উদ্ধার ২৬ কেজি গাঁজা, দাবি পুলিশের। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।

আরো পড়ুন- টার্গেট ৩৫, প্লেন রেডি বিজেপির! এবার বাংলায় গেরুয়া ঝড় তুলতে আসরে হেনন্ত

HS Exam Syllabus: ১০ বছর পর উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসে বদল! কবে থেকে চালু হবে নতুন পাঠ্যসূচি?

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ১০ বছর পর উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসে (HS Exam Syllabus) আসছে বড়সড় বদল। নয়া সিলেবাস সিবিএসই-র ধাঁচে হতে পারে বলে মিলেছে ইঙ্গিত। শুধু তাই নয়, আগামী শিক্ষা বর্ষ থেকেই তা কার্যকর হতে পারে বলে জানিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক সংসদ। আগামী শনিবার অর্থাৎ 16 ডিসেম্বর এই ইস্যুতে হবে বৈঠক।

বৃহস্পতিবার সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, ‘কেন্দ্রীয় বোর্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে নতুন সিলেবাস তৈরি করা হবে। পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

এদিন সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, মোট 47টি বিষয়ের পাঠ্য়সূচিতে বদল আনা হবে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার সেই কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন সংসদ সভাপতি। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরো পড়ুন-  বালুর রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশে পৌঁছে দিত শাহজাহান

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সিলেবাস শেষবার পরিবর্তন করা হয়েছিল ২০১২-১৩ সালে। এই দশ বছরের মধ্যে সর্বভারতীয় স্তরের পড়াশোনার ধরনে একাধিক পরিবর্তন এসেছে। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে বদল করা হচ্ছে রাজ্যের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম।

সরকারের অনুমতি পেলেই ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন সিলেবাস চালু হবে। সরকার ছাড়পত্র দিলে এবছর মাধ্যমিক পাশ করে যে সকল পড়ুয়া একাদশ শ্রেণিতে উঠবে তাদের নয়া সিলেবাসে পড়াশোনা করতে হবে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে অর্থা একাদশ ও দ্বাদশ ক্লাসে ৬০টি বিষয় পড়ানো হয়। এর মধ্যে ১৩টি ভোকেশনাল বিষয়। তবে উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যক্রম পরিবর্তন হলেও ভোকেশনাল বিষয়ে কোনও পরিবর্তন করা হচ্ছে না।

অন্যদিকে, ২০২৪ সাল থেকে পরিবর্তন আসছে পরীক্ষাব্যবস্থারও। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা সেমিস্টার সিস্টেমে নেওয়া হবে। নতুন যে পাঠ্যক্রম তৈরি হবে, তা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির দুটি করে সেমিস্টারে ভাগ করা হবে। সরকারের সবুজ সংকেত দিলেই ২০২৪ সাল থেকে পরীক্ষাব্যবস্থা ও সিলেবাস নতুন রূপে সেজে উঠতে চলেছে।

Ration Scam: বালুর রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশে পৌঁছে দিত শাহজাহান

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তিন দিন পার হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনো রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) অন্যতম অভিযুক্ত শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করতে পারেনি ইডি। ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে শঙ্কর আঢ্যর মতই গুরুত্ব শাহজাহান শেখ। কারণ তাঁর হাত থেকেই রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়। জেলবন্দি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ট ছিলেন তিনি।

ইডি সূত্রের খবর, শাহজাহান রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে পৌঁছে দিত। মন্ত্রীর টাকা তিনি সরাসরি বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থায় নিয়োগ করতেন।যদিও শঙ্কর আঢ্যর মত তার ফরেক্স কোম্পানি তৈরির প্রয়োজন হয়নি। খুব সহজে শাহজাহান বাংলাদেশে নিয়ে গিয়ে মন্ত্রীর কালো টাকা সাদা করে ফেলতে পারতেন। সূত্রের খবর ইডি শাহজাহানের বিরুদ্ধে পার্ক অ্যান্ড লন্ডারের অভিযোগ করেছে। এর অর্থ শাহজাহান কালো টাকা উপযুক্ত ঠিকানায় পৌঁছে দিত। বালুর টাকা শাহজাহান জলপথে না স্থলপথে পাচার করেছে তাও খতিয়ে দেখছে ইডি।

আরো পড়ুন- বালুর হাত ধরেই হাতেখড়ি! বনগাঁর ত্রাস শঙ্কর আঢ্যর উত্থান যেন সিনেমাকেও হারমানায়

ইডি সূত্রের খবর, ‘মেয়েকে লেখা’ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিঠি থেকেই সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহানের নাম তারা জানতে পেরেছে। তারপর থেকেই শাহজাহানকে নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। শাহজাহান সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য হাতে পাওয়ার পরই সন্দেশখালিতে তার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ওপর চড়াও হয় শাহজাহানের অনুগামীরা। মাথা ফাটে ইডি আধিকারিকের। তারপর থেকেই নিখোঁজ শাহজাহান।

এই শাহজাহান এবং শঙ্কর দু’জনেই জ্যোতিপ্রিয়কে সমান ভাবে সাহায্য করেছেন বলে অনুমান করছেন গোয়েন্দারা। হয়তো তাই শঙ্কর ধরা পড়ার পর প্রমাণ লোপাট করতে নিজের পাঁচটি মোবাইল নষ্ট করেছেন শাহজাহান। এমনকি, নিজের প্রভাব খাটিয়ে বাংলাদেশেও আশ্রয় নিয়েছেন বলে সন্দেহ ইডি গোয়েন্দাদের। যদিও অন্য একটি সূত্র বলছে, শাহজাহান এখনও এ দেশেই আছেন। সীমান্ত লাগোয়া কোনও স্থানে আত্মগোপন করে রয়েছেন।

Ration Scam: বালুর হাত ধরেই হাতেখড়ি! বনগাঁর ত্রাস শঙ্কর আঢ্যর উত্থান যেন সিনেমাকেও হারমানায়

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শঙ্কর। বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তিনি। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকে ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। স্থানীয়দের কথায়, তৃণমূল এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে শঙ্করের দাপট ক্রমশ বাড়তে থাকে।

জতিপ্রিয়র হাত ধরেই রাজনীতির ময়দানে আসেন শঙ্কর। ২০০৫ সালে তিনি প্রথমবার পুরসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই জয়ী হয়েছিলেন তিনি। এদিকে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে কার্যত আঙুল ফুলে কলাগাছ হতে শুরু করে।

বালুর ছত্রছায়াতেই উল্কার গতিতে বনগাঁ শহরে উত্থান ঘটে শঙ্করের। একের পর এক সংগঠনের শীর্ষস্থানে উঠে যান শঙ্কর। বনগাঁ রেডক্রশ সোসাইটি, বনগাঁ মহকুমার ক্রীড়া সংস্থা, ব্য়বসায়ী সংগঠনের শীর্ষপদে চলে যান তিনি। এলাকায় মানুষ ডাকু নামেই চিনতেন শঙ্করকে।

আরো পড়ুন-  আমেরিকায় হিন্দু মন্দিরে হামলা! ‘মোদি একজন জঙ্গি’ দেওয়ালে লিখলেন খালিস্তানি সন্ত্রাসীরা

জ্যোতিপ্রিয়র চিঠিতে শঙ্করের নাম! বনগাঁ জুড়ে শঙ্করের দাপট ছিল প্রশ্নাতীত। বনগাঁয় শঙ্করের একাধিক ব্যবসাও রয়েছে। কলকাতা, বনগাঁ ও পেট্রাপোল সীমান্তে তাঁর বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের অফিস রয়েছে। সেই সংস্থার মাধ্যমেই বালুর টাকা ডলারে কনভার্ট করে বিদেশে পাচার করা হয় বলে দাবি ইডির। বিরোধীদের অভিযোগ, একসময় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ধুর সিন্ডিকেট চালাতেন শঙ্কর। বনগাঁ এবং বাগদায় তাঁর সোনার দোকানও রয়েছে। বনগাঁ শহরে রয়েছে হোটেলও। এর বাইরেও বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্যর বিপুল সম্পত্তি রয়েছে।

পাশাপাশি একাধিক খুনের ঘটনাতেও নাম জড়িয়েছিল দাপুটে নেতার। বনগাঁর বেতাজ বাদশা সেই শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতেই শুক্রবার সকালে হানা দেয় ইডি। শেষে গভীর রাতে শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি। এই শঙ্কর আঢ্যর দিঘায় থ্রি স্টার হোটেল রয়েছে ৷ বনগাঁর খেদাপাড়ায় প্রায় ১০ কোটি টাকা দিয়ে শঙ্কর আঢ্য বাবা হারাধন আঢ্যের নামে হারাধন আঢ্য মেমরিয়াল ইংলিস মিডিয়াম স্কুলও গড়েছে ৷ বনগাঁর বাজার এলাকায় রয়েছে হারাধন আঢ্যর নামে মার্কেট ৷ বনগাঁ থানার সামনে রয়েছে পুল সাইড ইন হোটেল কাম রেস্টুরেন্ট যা পুরসভার ও পূর্ত দফতরের জায়গায় বলে অভিযোগ। শিমুলতলা ও মতিগঞ্জে রয়েছে তিনটি বাড়ি। এছাড়া কলকাতায় ফ্ল্যাট রয়েছে। আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে বিদেশের মাটি দুবাইতেও।

বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের একাধিক সংগঠনেরও মাথায় ছিলেন শঙ্কর। তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যও বনগাঁ পুরসভার চেয়ারপার্সন ছিলেন। বর্তমানে তিনি পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ থেকেই প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন শঙ্কর। কিন্তু দল তাঁকে প্রার্থী না করায়, ভোটের প্রচার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন শঙ্কর। যে কারণে রাজ্যজুড়ে প্রবল তৃণমূল হাওয়াতেও গোষ্ঠীকোন্দলে দীর্ণ বনগাঁয় সবকটি আসনে হারতে হয় দলকে। এরপরই দলের ভিতরে ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়েন শঙ্কর। দলের সব পদ থেকেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Ration Scam Update: ২ হাজার কোটি টাকা দুবাইয়ে পাচার! ১৪ দিন ইডির হেফাজতে শঙ্কর আঢ্য

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রেশন দুর্নীতির তদন্তে (Ration Scam Update) একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য ইডির হাতে । তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এখানেই শেষ নয় ইডির আরও দাবি, বনগাঁ পুসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যর সংস্থার মাধ্যমে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা দুবাই এবং বাংলাদেশে পাচার করা হয়েছে। শঙ্কর আঢ্যর সংস্থার মাধ্যমেই ওই বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার করা হয় বলে দাবি ইডি-র। রেশন দুর্নীতিতে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিঠি থেকেই শঙ্করের নাম সামনে আসে বলে জানিয়েছে ইডি।

ইডির দাবি, “ফরেন কারেন্সি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাঠানো হত। এমন বেশ কিছু সংস্থা রয়েছে শঙ্করের নামে। শঙ্করের পরিচিতি অন্তত এমন ৯০টি কোম্পানি রয়েছে টাকা পরিবর্তন করার জন্য। বর্ডার এলাকায় ওই কোম্পানি চালানো হতো বলে দাবি। এমনকী এই টাকা দুবাইতেও পাঠানো হত।”

আদালতে ইডি দাবি করেছে, “অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা এই সব সংস্থা মারফত বিদেশে পাঠানো হয়েছে। ২ হাজার কোটি টাকা বেআইনি খাদান মালিক ও মাফিয়াদের হাতে রয়েছে। ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। দুবাই এবং বাংলাদেশে বেশিরভাগ টাকা পাঠানো হত।”

আরো পড়ুন- ইতিহাস গড়ল ইসরো! সূর্যের কাছে কক্ষপথে ঢুকে পড়ল ভারতের প্রথম সৌরযান Aditya-L1

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দিনভর তল্লাশির পর রেশন বণ্টন দুর্নীতি কাণ্ডে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি। বনগাঁর এই দাপুটে তৃণমূল নেতাকে নিয়ে ইডি আধিকারিকরা গভীর রাতে তাঁর বাড়ি থেকে বেরনোর সময় ইডি অফিসারদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে জনতার একাংশ। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় সিআরপিএফ জওয়ানরা। রাতেই শঙ্কর আঢ্যকে নিয়ে কলকাতায় রওনা দেন ইডি কর্তারা। শনিবার আদালতে তোলা হলে তাকে ১৪ দিন ইডির হেফাজত দেয় আদালত।

উল্লেখ্য, জতিপ্রিয়র হাত ধরেই একসময় রাজনীতির ময়দানে আসেন শংকর। ২০০৫ সালে প্রথমবার বনগাঁ পুরসভার কাউন্সিলর হন। পরে চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন তিনি। বালুর ছত্রছায়াতেই উল্কার গতিতে বনগাঁ শহরে উত্থান ঘটে শঙ্করের। জ্যোতিপ্রিয়র চিঠিতে শঙ্করের নাম! বনগাঁ জুড়ে শঙ্করের দাপট ছিল প্রশ্নাতীত। শঙ্করের একাধিক ব্যবসাও রয়েছে। কলকাতা, বনগাঁ ও পেট্রাপোল সীমান্তে তাঁর বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের অফিস রয়েছে। সেই সংস্থার মাধ্যমেই বালুর টাকা ডলারে কনভার্ট করে বিদেশে পাচার করা হয় বলে দাবি ইডির। বিরোধীদের অভিযোগ, একসময় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ধুর সিন্ডিকেট চালাতেন শঙ্কর। বনগাঁ এবং বাগদায় তাঁর সোনার দোকানও রয়েছে। বনগাঁ শহরে রয়েছে হোটেলও। এর বাইরেও বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্যর বিপুল সম্পত্তি রয়েছে।

পাশাপাশি একাধিক খুনের ঘটনাতেও নাম জড়িয়েছিল দাপুটে নেতার। বনগাঁর বেতাজ বাদশা সেই শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতেই গতকাল সকালে হানা দেয় ইডি। শেষে গভীর রাতে শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি। এই শঙ্কর আঢ্যর দিঘায় থ্রি স্টার হোটেল রয়েছে ৷ বনগাঁর খেদাপাড়ায় প্রায় ১০ কোটি টাকা দিয়ে শঙ্কর আঢ্য বাবা হারাধন আঢ্যের নামে হারাধন আঢ্য মেমরিয়াল ইংলিস মিডিয়াম স্কুলও গড়েছে ৷ বনগাঁর বাজার এলাকায় রয়েছে হারাধন আঢ্যর নামে মার্কেট ৷ বনগাঁ থানার সামনে রয়েছে পুল সাইড ইন হোটেল কাম রেস্টুরেন্ট যা পুরসভার ও পূর্ত দফতরের জায়গায় বলে অভিযোগ। শিমুলতলা ও মতিগঞ্জে রয়েছে তিনটি বাড়ি। এছাড়া কলকাতায় ফ্ল্যাট রয়েছে। আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে বিদেশের মাটি দুবাইতেও।

বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের একাধিক সংগঠনেরও মাথায় ছিলেন শঙ্কর। তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যও বনগাঁ পুরসভার চেয়ারপার্সন ছিলেন। বর্তমানে তিনি পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ থেকেই প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন শঙ্কর। কিন্তু দল তাঁকে প্রার্থী না করায়, ভোটের প্রচার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন শঙ্কর। যে কারণে রাজ্যজুড়ে প্রবল তৃণমূল হাওয়াতেও গোষ্ঠীকোন্দলে দীর্ণ বনগাঁয় সবকটি আসনে হারতে হয় দলকে। এরপরই দলের ভিতরে ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়েন শঙ্কর। দলের সব পদ থেকেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

ডিভোর্স দিতে না চাওয়ায় নিজেদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার চাপ স্বামীর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী পরকীয়া আসক্ত ছিলেন। স্ত্রীকে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা জানালে কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না মহিলা। তাই তাঁকে বিবাহ বিচ্ছেদ দিতে বাধ্য করার জন্য নিজেদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখাতে শুরু করলেন স্বামী।

ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেলাগাভি এলাকায়। এখানকার ৪৫ বছর বয়সি কিরণ পাতিল নামের ওই ব্যক্তি বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই অন্য এক মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী তাঁকে বিবাহ বিচ্ছেদ দিচ্ছেন না বলে গোপন মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছেন কিরণ। শুধু তাইই নয়। স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করা, এমনকি রাস্তাঘাটে, কর্মক্ষেত্রে গিয়েও স্ত্রীকে নাজেহাল করার কাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

অবশেষে নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। তাঁর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ কিরণ পাতিলকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন অভিযুক্ত ব্যক্তির ফোনে তাঁর স্ত্রীয়ের ঘনিষ্ঠ ও গোপন মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিয়ো দেখতে পান বেলাগাভি থানার সাইবার অপরাধদমন বিভাগের তদন্তকারীরা । ধরার পড়েই প্রথমে থানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কিরণ। পরে বিষাক্ত কিছু খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টাও করেন। তবে, সেই সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয়। চিকিৎসার জন্য তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন- পাব মানেই কি উদ্যম নাচ সাথে পানীয় এবং মিউজিক? সত্যিকারের পাব অর্থে কি বোঝায়? কবে শুরু হল এই সংস্কৃতি?

অঙ্গনওয়াড়ির খিচুড়িতে আস্ত ইঁদুর! চাঞ্চল্য নলহাটিতে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ খিচুড়িতে আস্ত ইঁদুর! তাও আবার সেদ্ধ করা অবস্থায়! সেই খিঁচুড়ি খেয়ে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। ঘটনাটি বীরভূমের নলহাটির কুরুমগ্রামের মহিষপাড়া ৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।

শনিবার সকালে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে ৭৩ জন শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাকে খিচুড়ি পরিবেশন করা হয়। সেই খিচুড়ি খাওয়ার সময় তাতে কেউ ইঁদুরের পা, কেউ ইঁদুরের দেহাংশ দেখতে পান, সেদ্ধ অবস্থায়। অর্থাৎ, পরিবেশনের সময় ইঁদুর পড়েছে এমন নয়। এরপরেই সকলের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা।

জগদ্দলে ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় গ্রেফতার অর্জুন সিং এর ভাইপো

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জগদ্দলে তৃণমূল কর্মীর ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এর ভাইপো। পুলিশের প্রার্থী অনুমান এই খুনের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত অর্জুন সিং এর ভাইপো সঞ্জিত সিং ওরফে পাপ্পু সিং।

গত ২২ নভেম্বর দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করে ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে। সেই খুনের ঘটনায় কয়েকজনকে আগেই গ্রেফতার করেছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের গোয়েন্দা বিভাগ ও জগদ্দল থানার পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ( Arjun Singh) আত্মীয় পাপ্পু সিংকে মূল চক্রী বলে দাবি করেছিলেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। এর জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। তৃ়নমূল বিধায়ক বনাম তৃণমূল সাংসদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এসেছিল প্রকাশ্যে।

আরো পড়ুন- ১ জানুয়ারি থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪% ডিএ! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

গত ২২ নভেম্বর দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব (Jagaddal Vicky Yadav Murder)। জগদ্দলের বিধায়ক সরাসরি দলীয় সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ভাইপোর বিরুদ্ধে ভিকিকে খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন। তাকেই গ্রেফতার করায় উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তীব্র চাঞ্চল্য। পাপ্পুর আইনজীবী জানান যে অন্য একটি মামলায় তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান আধিকারিকরা। তিনি অভিযোগ করেন যে এরপর পুলিশ তাঁর মক্কেলকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করেছে।

ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে বিহারের গরু পাচারের তথ্য পুলিশের হাতে আসে। একাধকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এখনও অনেকেই রয়েছেন পুলিশের নজরে। ডেকে পাঠানো হয় ২২ বছরের হরেরাম সাউকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির ভিতর থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হয় হরেরামের দেহ। এরপর আজ গ্রেফতার হল অর্জুন সিংয়ের ভাইপো। তবে এখনও পর্যন্ত অর্জুন সিংয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।