কখন সহবাস করলে মেয়েরা পরিপূর্ণ তৃপ্তি পায়!

কখন সহবাস করলে মেয়েরা পরিপূর্ণ তৃপ্তি পায়!

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আসলে এমনটি কেন হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষের হরমোনের কারণে এমনটি দেখা যায়। আসুন দেখা যাক, কোন সময় মানুষের যৌন(Sex) প্রণোদনা কেমন হয়।

ভোর পাঁচটা :- যখন একজন পুরুষ ঘুম(Sleep) থেকে ওঠে তখন তার টেসটোসটেরনের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। এসময় এটির মাত্রা থাকে ২৫-৩০ শতাংশের মধ্যে। এটি দিনের অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি। এছাড়া পুরুষের সেক্স হরমোন(Hormones) উৎপাদনের জন্যে যে পিটুইটারি গ্রন্থি কাজ করে সেটি রাতে চালু হয়। ভোরের দিকে এটি বাড়তে থাকে।

সকাল ছয়টা :- ভাল ঘুম উত্তেজনা বৃদ্ধির একটি কারণ। গবেষণায়(Research) দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় গভীরভাবে একটি ঘুম দিলে টেসটোসটেরনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৫ ঘণ্টার বেশি ঘুম পুরুষের টেসটোসটের মাত্রা অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে।

দুপুর বারোটা :- এসময় সামনে দিয়ে সুন্দরী রমণী হেঁটে বেড়ালেও কোনো ধরনের যৌন প্রণোদনা তৈরি হয় না। এ সময় হয়ত কাউকে দেখলে মনের মধ্যে ভালো লাগা তৈরি হয়। এসময় সেক্স হরমোন বাড়তে অনেক সময় নেয়।

বেলা একটা :- এসময় যদি কোনো নারী তার সঙ্গীকে নিয়ে চিন্তা করে তাহলে তার টেসটোসটেরনের মাত্রাটা দ্রুত বাড়ে। কিন্তু পুরুষদের এসময় সেক্স হরমোন অনেক ধীরে কাজ করে।

সন্ধ্যা ছয়টা :- এই সময়ে নারীদের টেসটোসটেরনের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। অন্যদিকে পুরুষদের টেসটোসটের মাত্রা কমতে থাকে। তবে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, জিম করার পর নারী ও পুরুষ উভয়েরই কামশক্তি বাড়ে।

সন্ধ্যা সাতটা :- জাপানের নারা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এসময় মিউজিক নারীদের সহবাস হরমোন বৃদ্ধি করে। কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রভাব পড়ে না।

রাত আটটা :- এসময় যদি পুরুষরা টেলিভিশনে উত্তেজনাপূর্ণ কোনো খেলা দেখে তাহলে সেটি তার সহবাস হরমোন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। উথাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক লালা গবেষণায় দেখা গেছে, এমন সময় যদি কেউ বিশ্বকাপের মত কোনো একটি উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ দেখে এবং তার পছন্দের দল জিতে তাহলে তার সহবাস হরমোন ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। আর যদি তার দল হারে তাহলে তার সহবাস হরমোন ২০ শতাংশ কমে যায়। অন্যদিকে, নারীরা খেলা দেখার চেয়ে খেলা করলে তার সহবাস হরমোন বেশি বৃদ্ধি পায়।

রাত নয়টা :- এসময় নারীদের সেক্স হরমোন সাধারণত বৃদ্ধি পায়। তবে যদি নারীরা মনে করে যে তাকে দেখতে খুব খারাপ দেখাচ্ছে তাহলে সে সহবাস করতে তেমন আগ্রহী হয় না।

রাত দশটা :- এসময় যদিও পুরুষদের টেসটোসটেরনের মাত্রা কম থাকে তারপরও তারা সঙ্গীনির সাথে সহবাস করতে চায়। এসময় নারীদেরও যৌন চাহিদা বেশি থাকে।

আরো পড়ুন- এই ৫টি খাবার আপনার যৌন ক্ষমতা দশ গুণ বাড়িয়ে তুলবে

সকাল সাতটা :- যখন পুরুষরা সকালে ঘুম থেকে ওঠে তখন তাদের সহবাস হরমোনের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। এসময় নারীদের সেক্স হরমোনের মাত্রা সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকে। ওয়েস্ট বার্মিংহাম হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ গ্যাব্রিয়েল ডৌনি বলেছেন, দিনের অপরভাগে নারী ও পুরুষের টেসটোসটেরনের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। তবে ঋতুস্রাবের কারণে নারীদের সহবাস হরমোন ব্যাপকভাবে ওঠানামা করে।

সকাল আটটা :- এসময় নারী ও পুরুষ উভয়ই দিনের কাজের জন্যে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাদের স্ট্রেস হরমোন করটিসলের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এটি মানুষের সহবাস হরমোনের প্রভাবকে কমিয়ে আনে। নারী-পুরুষের যৌন প্রণোদনা তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছার উপর নির্ভর করে না। হরমোনই এটির প্রধান চালিকা শক্তি। একারণে পুরুষ ও নারীর যৌন চাহিদার মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়।

আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

গর্ভাবস্থায় যৌনমিলন কতটা নিরাপদ? অবশ্যই জেনে নিন

অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে গর্ভাবস্থায় স্ত্রীর সঙ্গে যৌনমিলন বা সেক্স করলে অনাগত সন্তানের কোনো ক্ষতি হবে কি না। বিশেষ করে নারীদের মনেই বেশি সন্দেহ জাগে যে গর্ভবতী অবস্থায় মিলন করা যায় কিনা। উত্তর প্রায় সবসময় বা বেশিরভাগ নারীর জন্য ‘হ্যাঁ’।

গর্ভাবস্থায় যৌন মিলন নিরাপদ ?

যদি আপনার গর্ভকালীন সময় স্বাভাবিক ভাবে থাকে তাহলে আপনি সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায়, প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত সহবাস করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অনুসরণ করলে কোনো প্রকার বিপত্তির সম্ভাবনা থাকে না।

আরো পড়ুন- এই ৫টি খাবার আপনার যৌন ক্ষমতা দশ গুণ বাড়িয়ে তুলবে

সহবাসের সময়ের স্বাভাবিক নড়াচড়া গর্ভের শিশুর কোনো ক্ষতি করে না। গর্ভের শিশু তলপেট এবং জরায়ুর শক্ত পেশী দিয়ে সুরক্ষিত থাকে।

আপনার শিশু অ্যামিনিওটিক স্যাকের মধ্যে অবস্থান করে যা তাকে সুরক্ষিত রাখে। জরায়ুর মুখ মিউকাস প্লাগ দ্বারা সিল করা থাকে, যা শিশুকে ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে।

সহবাসের সময় পুরুষেরে গোপনাঙ্গ নারীর গোপনাঙ্গ পর্যন্তই প্রবেশ করে। তা গর্ভের শিশু পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনা। তাই গর্ভের শিশুর ক্ষতির আশঙ্কা থাকেনা।।

সহবাসের পর অর্গাজম হলে বাচ্চার নড়াচড়া বৃদ্ধি পেতে পারে। এটা হয় অর্গাজমের পর আপনার হার্টবিট বেড়ে যাওয়ার কারণে, সহবাসের ফলে বাচ্চার কোন অসুবিধার কারণে নয়। অর্গাজমের কারণে জরায়ুর পেশীতে মৃদু সংকোচন (কন্ট্রাকশন) হতে পারে।

তা ক্ষণস্থায়ী এবং ক্ষতিকর নয়। যদি গর্ভধারণের সবকিছু স্বাভাবিক থাকে তবে অর্গাজমের কারণে হওয়া সংকোচনের ফলে গর্ভপাত বা প্রসব বেদনা শুর হয়না। সুতরাং নিচের সমস্যাগুলি না থাকলে গর্ভাবস্থায় সহবাস করলে কোনো সমস্যা নেই।

আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

এই ৫টি খাবার আপনার যৌন ক্ষমতা দশ গুণ বাড়িয়ে তুলবে

যৌন জীবন বিস্বাদ ? উত্তেজনাহীন ? সঙ্গীকে খুশি করতে পারেন না ? সেই নিয়ে মনে বাসা বেঁধেছে অবসাদ ? সব টেনশন ধুয়ে মুছে ফেলুন! এবার সব সমস্যার সমাধান আপনার হাতের মুঠোয়। 

আজকাল যৌন জীবন নিয়ে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জনই চিন্তিত থাকেন। বিশেষ করে আজকালকার এই ফাস্ট লাইফ, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, কাজের চাপ এসবের ফলে কমে যাচ্ছে জীবনের উত্তেজনা। কমে যাচ্ছে যৌন ক্ষমতা। হয়ে পড়ছে যৌন জীবন বিস্বাদ, উত্তেজনাহীন! সঙ্গীকে খুশি করতে না পেরে মনে বাসা বাঁধছে অবসাদ। সমাধানের জন্য চিকিৎসকের কাছে দৌড়াতে হচ্ছে! কিন্তু কোনও কৃত্রিম প্রক্রিয়া বা ওষুধ নয় ঘরোয়া এই পাঁচটি খাবারই আপনার যৌন ক্ষমতা দশ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে তুলবে। দেখে নিন কি কি সেই খাবার গুলো-

আরো পড়ুন- শরীরচর্চা বা ডায়েট ছাড়া ভুঁড়ি কমবে? কী ভাবে

কুমড়োর দানা- এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক আর ‘ হেলদি সেক্স’-এর ক্ষেত্রে জিঙ্ক-এর অবদান বিশাল– প্রস্টেট গ্ল্যান্ড সুস্থ রাখে, স্বাস্থ্যবান শুক্রাণু তৈরি করে, মেল সেক্স হর্মোন টেসটোস্টেরন তৈরির হার বৃদ্ধি পায়। Photo Source: Collected

রসুন- এতে রয়েছে অ্যালিসিন যা যৌনাঙ্গে রক্ত সঞ্চালনের হার বাড়ায়। ফলে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

কলা- রয়েছে ব্রোমেলাইন এনজাইম যা মেল সেক্স হর্মোন টেস্টোস্টেরন তৈরির হার বাড়ায়। পটাশিয়াম যা রক্ত সঞ্চালনার হার বৃদ্ধি করে, যৌন ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

গাজর- রয়েছে ভিটামিন-এ যা সেক্স হর্মোন প্রোজেস্টেরন তৈরি ও শুক্রাণু তৈরির হার বাড়ায়।

লঙ্কা- ‘ফিজিওলজি ও বিহেভিওর’ জর্নালে প্রকাশিত হয়েছে, যাঁরা ঝাল খাবার খান, তাঁদের টেসটোস্টেরন বেশি মাত্রায় তৈরি হয়। লঙ্কায় রয়েছে ক্যাপসাইসিন যা যৌন ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

শরীরচর্চা বা ডায়েট ছাড়া ভুঁড়ি কমবে? কী ভাবে

জিমে যাওয়ার নাম শুনলেই অনীহা আসে! অথচ বাড়তি ভুঁড়ি চিন্তা বাড়াচ্ছে? অন্য কোনও উপায় না পেয়ে অনেকেই সকাল বা বিকেলে হাঁটতে বেরোচ্ছেন। কেবল হেঁটেই কি ওজন কমানো সম্ভব? তবে হাঁটাই যদি আপনার একমাত্র শরীরচর্চা হয়, তা হলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন।দৌড়ানো আর হাঁটা— ওজন কমানোর ক্ষেত্রে দুই-ই বেশ উপকারী। দৌড়ানোর সময় অবশ্যই বেশি ক্যালরি ঝরে। দ্রুত ওজন কমানো যায়। তবে হেঁটেও কিন্তু মেদ ঝরানো সম্ভব। কিন্তু কী ভাবে হাঁটছেন সেটা খেয়াল রাখতে হবে। তাই প্রতি দিন হাঁটার সময় এই বিষয়গুলি খেয়াল রাখুন।

গতি: শুরুতেই খুব দ্রুত গতিতে আপনাকে হাঁটতে হবে না। কিন্তু ‘ব্রিস্ক ওয়াক’ করা প্রয়োজন। যদি কোনওদিন হাঁটার বা অন্য কোনও রকম ব্যায়াম করার অভ্যাস না থাকে তাহলে শুরুতে ২০ মিনিটে এক কিলোমিটার যাওয়া যাচ্ছে কি না দেখুন। একটু সড়গড় হয়ে গেলে চেষ্টা করুন ১৫ মিনিটে একই দূরত্ব যাওয়ার।

তবে এ ভাবে হাঁটার সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনি তাড়়াতাড়ি হাঁটলে নিঃশ্বাস ঘন ঘন নেবেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে সেই অবস্থাতেও আপনি কথা বলতে পারছেন কি না। কথা বলায় কোনও রকম অসুবিধা হলে সেই অনুযায়ী গতির হেরফের করতে হবে।

কী ভাবে হাঁটছেন: গতি বাড়ানোর জন্য কী ভাবে হাঁটছেন সে দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। হাঁটার সময় ‘হিল-টো মেথড’ পদ্ধতি মেনে চলুন। অর্থাৎ হাঁটার সময়ে ভেবে নিন আপনার পিছনে কেউ রয়েছেন। যাঁকে আপনি প্রত্যেক বার জুতোর তলাটা দেখাতে চাইছেন। হাঁটার সময়ে পা তুলতে হবে সেভাবেই।হাত মুঠো করে সামনে-পিছনে দোলান হাঁটার সময়ে। কিন্তু সোজোসুজি ভাবে। দৌড়ানোর মতো ভঙ্গিতে নয়। হাত দোলানোর সঙ্গে পায়ের ছন্দ ধীরে ধীরে মিলে যাবে। এ বার দেখুন কতক্ষণে এক কিলোমিটার যেতে পারছেন। পর দিন সেই তুলনায় ৫ সেকেন্ডও তাড়াতাড়ি যেতে পারলে বুঝবেন কাজ দিচ্ছে।

বিরতি নিয়ে গতি বাড়ান: এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘হাই ইনটেনসিটি ইন্টারভ্যাল ট্রেনিং’ বা এইচআইআইটি। মানে কিছুটা সময়ে যত বেশি গতিতে পারেন হাঁটুন। আবার কিছুটা সময়ে স্বাভাবিক গতিতে হেঁটে একটু জিরিয়ে নিন। ফের দ্রুত গতিতে হাঁটুন। এভাবে হাঁটলে অনেক বেশি উপকার পাবেন।

বুদ্ধিমান সন্তান পেতে গর্ভবতি মায়ের যা করনীয়!

যসকলেই চান তার সন্তান যেন সুস্থ ও বুদ্ধিমান হয়। কিন্ত, একটি শিশুর ‘ইনটেলিজেন্ট’ হওয়া বা না-হওয়া অনেকটাই নির্ভর করে তার জিন-এর উপর। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কথা অনুসারে— একটি শিশু যে জিন নিয়ে জন্মায়, সেটাই তার বুদ্ধিমত্তা ও চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্যের মূল কারণ হয়। কিন্তু, নতুন গবেষণায় একটি শিশুর ‘আইকিউ লেভেল’ মাত্র ৫০% নির্ভর করে তার জিনের উপর। বাকিটার জন্য দায়ী থাকে তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা।

কি করলে এবং কোন কারণে আপনার শিশুটি বুদ্ধিমান হয়ে জন্মাবে, গবেষণায় উঠে আসা সেই কারণগুলি আজ দেওয়া হলো:

পুষ্টিকর খাবার: শিশুর ‘ব্রেইন ডেভলপমেন্ট’-এর জন্য ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড খুবই জরুরি। তাই গর্ভবতি অবস্থায় মাছ, সোয়াবিন, পালং শাক খাওয়া খুবই প্রয়োজন। অন্যান্য শাক যাতে আয়রন রয়েছে, এমন শাকও শিশুর ব্রেইনে অক্সিজেন সাপ্লাই করতে সাহায্য করে। আমন্ড ও ওয়ালনাটও এ সময় কার্যকরী।

ফিট ও অ্যাক্টিভ : এক্সারসাইজ করলে শরীরে রক্তের প্রবাহ ভালো হয়, যা শিশুর বেড়ে ওঠায় সাহায্য করে। রিসার্চ বলছে, মা শারীরিক কসরত করলে, গর্ভের সন্তানের ব্রেইনে নিউরনের মাত্রা বেড়ে যায় প্রায় ৪০%। এটি মানুষের মনে রাখার শক্তি বহন করে।

কথা বলুন গর্ভস্থ সন্তানের সঙ্গে : গর্ভবতি অবস্থায় একই গান বা কোনো ভালো কবিতা যদি বারবার শোনা যায়, রিসার্চ বলছে, জন্মের পরে সেই গান বা কবিতা শুনলে শিশুটি চিনতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গর্ভস্থ সন্তানের সঙ্গে সুন্দর কিছু কথা বলতে।

গল্প সেশন: গর্ভবতি হওয়ার তিন মাস পর থেকেই গর্ভের সন্তানটির আওয়াজ বা শব্দ মনে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, জানাচ্ছেন প্যারেন্টিং এক্সপার্ট পলি সেনগুপ্ত। তার মতে, মা বা বাবা যদি লাগাতার ছোটদের কোনো গল্প জোরে জোরে পড়ে, সে ক্ষেত্রে শিশুটির ব্রেইন সেই শব্দগুলি মনে রাখে।

আরো পড়ুন- একটি মটর সাইকেলে ৮ জনকে নিয়ে দারুণ কায়দায় অনায়াসে চালাচ্ছেন চালক! সেই ভিডিও তুমুল ভাইরাল নেটদুনিয়ায়

হাল্কা ম্যাসাজ: রিসার্চ বলছে, গর্ভবতি হওয়ার ২০ সপ্তাহ থেকেই মায়ের পেটের উপর হাত রাখলে, শিশুটি তা বুঝতে পারে। রিসার্চে এমনও তথ্য বলা হয়েছে যে, শিশুটি বাবা-মায়ের স্পর্শও বুঝতে পারে। তাই পেটের উপর তেলের ম্যাসাজ খুবই উপকারি।

Sovan-Baisakhi in Kashmir: চোখে চোখ, কাশ্মীরে বরফের মাঝে শোভনকে জাপটে বৈশাখী! দেখুন যুগলের ভাইরাল সব ছবি

শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Baisakhi Banerjee) প্রেম কাহিনি হার মানাবে যে কোনও ফিল্মের চিত্রনাট্যকে। সমাজ, বয়স কোনও কিছুর পরোয়া করেননি তাঁরা। আপতত বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুকের দেওয়াল বলছে ভূ-স্বর্গ কাশ্মীরে কোয়ালিটি টাইম কাটাচ্ছেন এই প্রেমিক যুগল। (ছবি-ফেসবুক)।

আরো পড়ুন- Aliya University: হেনস্থার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পরলেন উপাচার্য! অপমানে আলিয়া ছাড়তে চান তিনি

সোশ্যাল মিডিয়ায় রোজই ঘোরার নানান ছবি পোস্ট করছেন তাঁরা। একটি ছবিতে মেয়ে মেহুলের সঙ্গে বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায় (Baisakhi Banerjee) দেখা গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্য়ায় (Sovan Chatterjee)।

ছবিতে ‘বিশেষ বন্ধু’ বৈশাখীর সঙ্গে বিভিন্ন মধুর মুহূর্ত কাটাতে দেখা গিয়েছে প্রাক্তন মেয়রকে।

কখনও সাদা বরফে মাখামাখি করছেন দুজনে, আবার কখনও টিউলিপ গার্ডেনে বসে হাসি মুখে পোজ দিচ্ছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও তাঁর প্রেমিকার এই ছবি।

একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্রাক্তন মেয়রকে পিছন থেকে জাপটে ধরে রয়েছেন বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায় (Baisakhi Banerjee)। চোখে রোদ চশমা, হাসি হাসি মুখে ‘বিশেষ বন্ধু’র দিকে তাকিয়ে শোভন চট্টোপাধ্য়ায় (Sovan Chatterjee)।

Height and Sex: কম উচ্চতার পুরুষরাই যৌনতায় শ্রেষ্ঠ! চমকপ্রদ তথ্য গবেষণায়

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কম উচ্চতার পুরুষরাই যৌনতায় শ্রেষ্ঠ। কম উচ্চতার পুরুষদেরই যৌনতায় বেশি নাম্বার দিচ্ছেন মহিলারা। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এরকমই এক চমকপ্রদক তথ্য।

উচ্চতা নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগা মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। উচ্চতা বাড়ানোর হেলথ ড্রিঙ্কয়ের রমরমা দেখে তা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়। কিন্তু যে সকল পুরুষ সর্ব ক্ষণ নিজের উচ্চতা নিয়ে মানসিক চাপে থাকেন তাঁরা কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হতে পারেন সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। একটি বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতা সম্পন্ন পুরুষরা যৌনতায় বেশি এগিয়ে।

আরো পড়ুন- বিশ্বে সুখী দেশের তালিকায় তলানিতে ভারত! উপরে পাকিস্তান

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ১৭৫ সেন্টিমিটার বা প্রায় ৫ ফুট ৯ ইঞ্চির কম উচ্চতার পুরুষরা অপেক্ষাকৃত লম্বা পুরুষদের তুলনায় যৌন মিলনে বেশি আগ্রহী। মহিলারাও তাঁদের সঙ্গে মিলনে বেশি ইচ্ছুক।

গবেষণাপত্রে গবেষকরা দাবি করেছেন, দেখা গিয়েছে অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতার পুরুষরা যৌনতায় বেশি নম্বর পাবেন! তাঁরা সঙ্গিনীকে যৌনসুখ দিতে বেশি পারঙ্গম!

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতার পুরুষরা বেশি সংসারি, গৃহস্থলীর কাজ কর্মে হাত লাগানোর ক্ষেত্রেও লম্বা পুরুষদের চেয়ে তাঁরা এগিয়ে বলেই মত গবেষকদের। বাড়ির কাজ কর্মে গড়ে প্রায় এক ঘণ্টা বেশি সময় নিয়োগ করেন এই ধরনের পুরুষরা। তাঁদের মধ্যে ডিভোর্স বা বিবাহ বিচ্ছেদের প্রবণতাও কম। তাঁদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের হার প্রায় ৩২ শতাংশ কম।

কিন্তু কেন এমনটা হয়? কীভাবে একজন পুরুষের উচ্চতা প্রভাব ফেলে তাঁর যৌনজীবনে? অনেক গবেষকদের মতে, এর নেপথ্যে রয়েছে ‘নেপোলিয়ন কমপ্লেক্স’। এই তত্ত্ব অনুসারে, উচ্চতা কম হলে, নিজেদের পৌরুষকে প্রতিষ্ঠিত করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন পুরুষেরা, যার উদাহরণ দেখা গিয়েছিল বলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা ‘ম্যায় মেরি পতনি অওর ও’-তে!

মৃত্যুর সময় গীতা পাঠ করে শোনানো হয় কেন?

নিউজ ডেক্সঃ মুমূর্ষু রোগীকে মৃত্যুর সময় গীতা পাঠ করে শোনানো হয়। মুমূর্ষু রোগীর পরিবার বিশ্বাস করেন এতে মৃত্যু পথযাত্রীর আত্মা সদ্গতি পায়। বাস্তবে কি আদেও তেমনটা ঘটে? এর পরিপ্রেক্ষিতে রয়েছে একটি বাস্তবিক ব্যাখ্যা। গীতার প্রথম অধ্যায়ে অর্জুন তার নানা শঙ্কা, নানা কৌতূহল, মানসিক উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছিলেন। মানসিক ভয়-ভীতি, দুঃখ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্ন করেছিলেন কৃষ্ণকে।

গীতার দ্বিতীয় অধ্যায় শ্রী কৃষ্ণ অর্জুনের মনের সকল আশঙ্কা দূর করেছিলেন। তার জীবনের ভয় এবং দুঃখ দূর করেছিলেন নিজের প্রশ্নের জবাবে। মৃত্যুর সময় মানুষ ভয় এবং দুঃখে কাতর হয়ে পড়েন। তখন তাকে গীতা শোনানো হয় তার মনকে শান্ত রাখার জন্য। মৃত্যু পথযাত্রীর মনের ভয় দূর করার জন্য যাবতীয় প্রশ্নের জবাব রয়েছে গীতায়। তাই তাকে গীতা শোনানোর নিদান রয়েছে হিন্দু শাস্ত্রে।
শুধু তাই নয়, জীবনের একেবারে অন্তিম পর্যায়ে এসে মনে পরজন্ম সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের উদ্রেক হওয়াটাই স্বাভাবিক। এই সময় পরজন্ম সম্পর্কে তাকে আশ্বস্ত করলে তা তার মনে গভীর ছাপ ফেলে। তাই মৃত্যুর সময় হিন্দু ধর্ম মতে মৃত্যুপথযাত্রীকে গীতা শোনানো হয়।

শীতে বেড়াতে যাচ্ছেন? যেসব বিষয় গুলি খেয়াল রাখবেন

আমরা সবাই ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। আমাদের মধ্যে শীতকালে বেড়াতে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। শীতকালকে অনেকেই ভ্রমণের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন। শীতকালীন ছুটিতে লম্বা সফরে বেরিয়ে পড়া যায় সহজেই। এই সময়ে বেড়াতে যাতে কী কী সঙ্গে নেবেন, তার তালিকা বানিয়ে নিন আগে থেকেই।

বেড়াতে যাওয়ার ঠিক আগে তাড়াহুড়োয় সব কিছু ঠিক করে মনে পড়ে না। তাই বাদ পড়তে পারে অনেক দরকারি জিনিসই। এখন থেকেই শীতের ভ্রমণের প্রয়োজনীয় জিনিসের তালিকা বানিয়ে দিচ্ছে “বাংলা হান্ট অনলাইন”।

দরকারি কাগজপত্র: কোথাও বেড়াতে যাওয়ার থাকলে, প্রথমেই কোন কোন কাগজ নিতে হবে, সেগুলি গুছিয়ে নিন। ভোটার কার্ড, আধার কার্ড তো আছেই, বিদেশ যেতে হলে পাসপোর্ট-ভিসার কাগজও গুছিয়ে নিতে হবে। এখন আবার সঙ্গে দরকার কোভিডের টিকার শংসাপত্রও।

পোর্টেবল জলের ফিল্টার: বেড়াতে গিয়ে পানীয় জলের সমস্যায় পড়তে হয় অনেককেই। পোর্টেবল জলের ফিল্টার সঙ্গে রাখলে এই সমস্যা হবে না। যে কোনও জায়গায় পাওয়া যাবে পানীয় জল।

ওষুধ: জ্বর, পেটের গণ্ডগোল, সর্দি, মাথাব্যথার সাধারণ ওষুধ তো সঙ্গে রাখতেই হবে, এর সঙ্গে নিতে পারেন আরও কয়েকটি ওষুধ। শীতে অনেকের ত্বকে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ হয়। তার ওষুধ নিতে পারেন। এ ছাড়াও রাখুন ব্যথা কমানোর মলম বা স্প্রে।

গরম জামা: শীতে কোথাও বেড়াতে গেলে সঙ্গে গরম জামা রাখতেই হবে। সোয়েটার, মাফলার, টুপি, দস্তানা গুছিয়ে নিন মাথা ঠান্ডা করে। যেখানে যাচ্ছেন সেখানে তাপমাত্রা কেমন থাকবে, আগে থেকে জেনে নিন।

জুতো: আপনি যেখানে বেড়াতে যাচ্ছেন, সেখানে কি বরফ পড়বে? তা হলে সেই বুঝে জুতো নিন। পা গরম রাখবে এবং বরফে পিছলেও যাবে না, এমন জুতো বাছুন।

মশা তাড়ানোর স্প্রে: যেখানে বেড়াতে যাচ্ছেন, সেখানে মশা বা অন্য কীটপতঙ্গের সমস্যা হতে পারে। শীতে এই সমস্যা হবে না— এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। তাই মশা বা পোকা তাড়ানোর স্প্রে সঙ্গে নিন।

টয়লেট পেপার: শীতে সব জায়গায় জল নাও পেতে পারেন। বা জল পেলেও ঠান্ডায় তা ব্যবহার করার ইচ্ছা নাও হতে পারে। তাই সঙ্গে অবশ্যই রাখুন টয়লেট পেপার।

ফ্লাস্ক: বেড়াতে গিয়ে তো আর হোটেলের ঘরে বসে থাকবেন না? বাইরে বেরোতেই হবে। সেখানে যদি গরম জল না পান? তাই সঙ্গে রাখুন ছোট ফ্লাস্ক। দরকারে তাতে কিছুটা গরম চা’ও রাখতে পারেন।

হাল্কা ব্যাগ: শীতে বেড়াতে গেলে গরম জামার কারণে এমনিতেই ব্যাগের ওজন বেড়ে যায়। তার উপর যদি ব্যাগটিই এমন কোনও উপাদানে তৈরি হয়, যেটি খুব ভারী, তা হলে মালপত্রের ওজন অত্যন্ত বেড়ে যায়। এই সময়ে বেড়াতে গেলে হাল্কা ব্যাগে সব কিছু নিতে পারেন। তবে দেখে নেবেন, সেটির ভিতর জল যেন না ঢোকে।

ড্রাগন ফল কি? নাম শুনেছেন কখনো ? তবে জেনে নিন এই ফলের গুনাগুন

পৃথিবীতে এমন কিছু ফল রয়েছে যার মূল্য যেমন অপরিসীম তেমনি তার গুণাগুণ রয়েছে অনেক। তেমনি একটি ফলের নাম হল ড্রাগন ফল। এই ফল আগে আমাদের দেশে চাষ হতো না কিন্তু এখন আমাদের দেশে কিছু কিছু জায়গায় এই ফলের চাষ হচ্ছে। মূলত পাহাড়ি অঞ্চলেই এই ফলের চাষ বেশি হয়। এই ফল খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন এর গুনাগুণ ও রয়েছে প্রচুর। বর্তমানে আমাদের রাজ্যের একাধিক জায়গায় এই ফলের চাষ হচ্ছে।

এই ফল খেলে একদিকে যেমন ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রিত হয়, তেমনই উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রিত হয়। আবার ক্যান্সার জাতীয় মারাত্মক রোগের প্রতিরোধক হিসেবেও এই ফল খাওয়া হয়। 

এই ফলের গাছকে দেখতে অনেকটা ক্যাকটাস জাতীয় গাছের মতো। আর এই ফল কে দেখতে অনেকটা আনারসের মত। এই ফলের ভেতরটা দু রকমের দেখতে হয় কোনটির লাল রংঙের, কোনোটি আবার সাদা রংঙের দেখতে। এখন কলকাতা সহ বিভিন্ন বাজারে এই ফল বিক্রি হতে দেখা যায়। এমনকি কিছু কিছু ডিপার্টমেন্টাল স্টোরেও এই ফল বিক্রি হয়। একটি ফলের মূল্য সাধারণত ১০০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত হয়। এখন আমাদের রাজ্যের অনেক বহু বেকার যুবক এই ফলের চাষ করে লাভোবান হচ্ছেন।