BJP-র পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার

BJP-র পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, হাওড়ার সাঁকরাইলের কান্দুয়া পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য রূপা রায়ের বাড়িতে হানা পুলিশের। উদ্ধার ২৬ কেজি গাঁজা, দাবি পুলিশের। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।

আরো পড়ুন- টার্গেট ৩৫, প্লেন রেডি বিজেপির! এবার বাংলায় গেরুয়া ঝড় তুলতে আসরে হেনন্ত

টার্গেট ৩৫, প্লেন রেডি বিজেপির! এবার বাংলায় গেরুয়া ঝড় তুলতে আসরে হেনন্ত

বাংলা হান্টডেস্কঃ সামনেই লোকসভা নির্বাচন, দিল্লি থেকে কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন একের পর এক বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এবার রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে অংশ নিতে চলেছেন পড়শি রাজ্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। আজ, শনিবার বিকেলের উড়ানে তিনি দমদম নেতাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামবেন। সেখান থেকে সোজা সল্টলেকে বিজেপির দফতরে যাবেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

অসম-সহ উত্তর পূর্ব ভারতে বিজেপির চাণক্য হিমন্ত বিশ্বশর্মা। একসময় তিনি কংগ্রেসে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধেও চিটফান্ড নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তিনি শুধু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তা নয় উত্তর পূর্বে তিনিই এখন গেরুয়া দলের কাণ্ডারী। লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে হিমন্ত বিশ্বশর্মার উপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ভাষাগত সমস্যাও এক্ষেত্রে নেই।

উত্তর পূর্ব ভারতে যার হাত ধরে বিজেপি বিস্তার লাভ করেছে এবার তাঁকেই বাংলার রাজনীতিতে কাজে লাগাতে তৎপর দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এদিকে আজই কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি তো কিছুটা ডেলি প্যাসেঞ্জারির কায়দায় এরাজ্যে আসছেন।

আরো পড়ুন- মকর সংক্রান্তি উৎসব! জেনে নিন এই বছর শাহি স্নানের সময় এবং পূর্ণ স্নানের স্থান

এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দফতরে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটেছিল। দু’দিন আগেই সাধ্বী নিরঞ্জন বাংলায় এসে দাবি করে গিয়েছেন এরাজ্যে বিজেপি এত আসনে জিতবে কেউ কল্পনা করতে পারবে না। অসম কংগ্রেসের প্রাক্তন এই নেতা ও মন্ত্রী ২০১৫-তে দিল্লিতে অমিত শাহর হাত ধরে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন। ২০১৬-তে রাজ্যে বিজেপি সরকারের মন্ত্রী হন হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

খানিকটা হিমন্তের কায়দাতেই বাংলায় মুকুল রায়ের গেরুয়া যোগ হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের তৎকালীন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়কে বিজেপি এরাজ্যে দলে নিয়েছিল অসমের বিশ্বশর্মা মডেলকে অনুসরণ করেই। এমনই মনে করে রাজনৈতিক মহল। যার ফল মিলেছিল ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে।

হিমন্ত ২০২১-এ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হন। এবার তিনি বাংলায় বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে হাজির থাকছেন। উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে নানা ক্ষেত্রে ক্ষমতা ভোগ করেছে বিজেপি। সেই সংকট সামলেছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সামনের লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্যে ৩৫ টি আসনে টার্গেট দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার সেই টার্গেট পূরণ করতে ময়দানে নামছেন হিমন্ত।

Makar Sankranti 2024: মকর সংক্রান্তি উৎসব! জেনে নিন এই বছর শাহি স্নানের সময় এবং পূর্ণ স্নানের স্থান

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আগামী সোমবার ১৫ জানুয়ারি দেশজুড়ে পালিত হবে মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) উৎসব। এই উৎসব হিন্দুদের অন্যতম প্রধান উৎসব। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মকর সংক্রান্তি বিভিন্ন নামে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গে এই দিনটি পৌষ পার্বণ হিসেবে পালিত হয়। এ ছাড়াও গুজরাটে উত্তরায়ণ, উত্তরপ্রদেশে খিচুড়ি, দক্ষিণ ভারতে পোঙ্গাল, পঞ্জাবে লোহড়ি নামে পালিত হয় মকর সংক্রান্তি। জ্যোতিষ অনুযায়ী সূর্য যখন ধনু রাশি থেকে বেরিয়ে মকর রাশিতে প্রবেশ করে, তখন মকর সংক্রান্তি পালিত হয়। এই তিথিতে গঙ্গা স্নানের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এ ছাড়াও এই তিথিতে সূর্য পুজো করা হয়ে থাকে

পঞ্চাং অনুসারে, এই বছর শাহি স্নানের সময়-

১৫ জানুয়ারি সোমবার মকর সংক্রান্তির উৎসব পালিত হবে

এদিন সকাল ৭ টা ১০ মিনিটে সূর্য ধনু রাশি ছেড়ে মকর রাশিতে প্রবেশ করবে

মকর সংক্রান্তির পুণ্যকাল মুহুর্ত হবে সকাল ৭ টা ১৫ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৫ টা ৪৫ মিনিট

মহাপুণ্য কাল মহা মুহুর্ত হবে সকাল ৭ টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত

সোমবার রাতে ৭ টা ১০ মিনিটে ধনু রাশি ত্যাগ করে মকর রাশিতে প্রবেশ করবে। শাস্ত্রে দান ও স্নানের শুভ সময়কে উদয় তিথি বলে মনে করা হয়েছে। সেজন্য উদয় তিথি অনুসারে, ১৫ জানুয়ারি সোমবার মকর সংক্রান্তি উৎসব পালিত হবে। দান, দান এবং স্নানের শুভ সময়ও ১৫ জানুয়ারি হবে।

একটি ধর্মীয় বিশ্বাস আছে যে এই দিনে গঙ্গা নদীতে স্নান করলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই সম্পর্কে একটি জনপ্রিয় পৌরাণিক কাহিনীও রয়েছে, যা নিয়ে লোকেরা গঙ্গা স্নানের পরে দান করে। মকর সংক্রান্তির দিনেও ব্যাপকভাবে ঘুড়ি ওড়ানো হয়। একই সময়ে, এই দিনে লোকেরাও বেড়াতে যায় এবং তাদের প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটায়।

জেনে নিন কোথায় গঙ্গা স্নান করা যায়-

এই দিনে লোকেরা ত্রিবেণী সঙ্গমে রাজকীয় স্নান করতে পারে। এই নদীটি সবচেয়ে পবিত্র স্থানের অন্তর্ভুক্ত। এখানে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী তিনটি নদী মিলিত হয়েছে, তাই একে ত্রিবেণী সঙ্গম বলা হয়। মকর সংক্রান্তির দিন এখানে রাজকীয় স্নানের আয়োজন করা হয় যাতে প্রচুর সংখ্যক ভক্ত আসেন।

গঙ্গা সাগর-

মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে গঙ্গা সাগরে রাজকীয় স্নান করতে মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। এখানে গঙ্গা নদী সাগরে মিলিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত এই স্থানটি হিন্দুদের জন্য একটি পবিত্র স্থান। এই স্থানে স্নান করা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হয় কারণ পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, যে ব্যক্তি গঙ্গা সাগরে স্নান করেন তিনি ১০ টি অশ্বমেধ যজ্ঞ করার সমান পুণ্য লাভ করেন। কথিত আছে যে এখানে ডোবানোর ফলে এক হাজার গরু দান করার সমান ফল পাওয়া যায়।

কাশী-

কাশীকে শিবের শহরও বলা হয়। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে দেশ-বিদেশের মানুষ এখানে এসে রাজকীয় স্নান করেন। এই দিনে, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরেও খিঁচুড়ি মহোৎসবের আয়োজন করা হয় যাতে বিপুল সংখ্যক ভক্ত অংশগ্রহণ করে।

হরিদ্বার-

হরিদ্বারও একটি ধর্মীয় শহর। এই উত্সব উপলক্ষে, গঙ্গা নদীর তীরে অনেক ঘাটে বিশ্বাস জড়ো হয়, তবে হর কি পৌড়িতে স্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করা হয়। সংক্রান্তি উপলক্ষে এখানে মেলার আয়োজন করা হয় এবং এটাও বলা হয় যে গঙ্গায় ডুব দিলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

স্নান এবং দান করার জন্য শুভ সময়-

পুণ্যকাল – মকর সংক্রান্তির পুণ্যকাল মুহুর্ত হবে সকাল ৭ টা ১৫ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৫ টা ৪৫ মিনিট

মহাপুণ্য কাল মহা মুহুর্ত হবে সকাল ৭ টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

পাহাড়ে বেসুরো বিজেপি বিধায়ক! বহিরাগত প্রার্থী হলে নির্দল হয়ে লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পাহাড়ে বেসুরো বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। এবার দলের বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগলেন কার্শিয়াংয়ের এই বিধায়ক। তার সাফ দাবি এবার লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং আসনে বিজেপি যদি বহিরাগত কাউকে প্রার্থী করে তবে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ভোটে লড়াই করবেন। এর আগে বিষ্ণুপ্রসাদবাবু নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য পোস্ট করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন।

আরো পড়ুন- ভারতীয়দের ‘বয়কট মালদ্বীপে’র ডাক! চিনের কাছে পর্যটক চেয়ে কাতর আর্জি বিপন্ন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের

তিনি সেখানে লেখেন, বিজেপি পাহাড়ের এগারোটি গোষ্ঠীকে জনজাতির স্বীকৃতি দেওয়ার আশ্বাস দিলেও কাজ করেনি। এদিনও একই প্রসঙ্গ তুলে তাঁর দাবি, “বিজেপি পাহাড়ের জন্য কিছুই করেনি। মাত্র চারটি গোষ্ঠীকে জনজাতির স্বীকৃতি দিয়ে পাহাড়ে ঝগড়া বাড়ানোর চেষ্টা করেছে।” বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, বিজেপি বারবার বাইরের লোক এনে সাংসদ তৈরি করছে। এটা অন্যায়। বহিরাগতরা পাহাড়ের জন্য কোনও কাজ করে না। এবার পাহাড় থেকেই প্রার্থী ঠিক করতে হবে। যদি সেটা না করে তবে তিনি নিজে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

এই প্রথম নয়, এর আগে একাধিকবার গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) দাবি তুলে সমালোচিত হয়েছেন কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক। একুশের বিধানসভা ভোটে জেতার কয়েকমাস পরই পৃথক রাজ্যের দাবিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে (JP Nadda) চিঠিও পাঠিয়েছিলেন বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। বিধানসভার বাইরে আম্বেদকর মূর্তি পাদদেশে তাঁকে একাই অবস্থানে বসতে দেখা যায়। এবার সরাসরি দলের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক।

HS Exam Syllabus: ১০ বছর পর উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসে বদল! কবে থেকে চালু হবে নতুন পাঠ্যসূচি?

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ১০ বছর পর উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসে (HS Exam Syllabus) আসছে বড়সড় বদল। নয়া সিলেবাস সিবিএসই-র ধাঁচে হতে পারে বলে মিলেছে ইঙ্গিত। শুধু তাই নয়, আগামী শিক্ষা বর্ষ থেকেই তা কার্যকর হতে পারে বলে জানিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক সংসদ। আগামী শনিবার অর্থাৎ 16 ডিসেম্বর এই ইস্যুতে হবে বৈঠক।

বৃহস্পতিবার সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, ‘কেন্দ্রীয় বোর্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে নতুন সিলেবাস তৈরি করা হবে। পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

এদিন সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, মোট 47টি বিষয়ের পাঠ্য়সূচিতে বদল আনা হবে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার সেই কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন সংসদ সভাপতি। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরো পড়ুন-  বালুর রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশে পৌঁছে দিত শাহজাহান

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সিলেবাস শেষবার পরিবর্তন করা হয়েছিল ২০১২-১৩ সালে। এই দশ বছরের মধ্যে সর্বভারতীয় স্তরের পড়াশোনার ধরনে একাধিক পরিবর্তন এসেছে। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে বদল করা হচ্ছে রাজ্যের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম।

সরকারের অনুমতি পেলেই ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন সিলেবাস চালু হবে। সরকার ছাড়পত্র দিলে এবছর মাধ্যমিক পাশ করে যে সকল পড়ুয়া একাদশ শ্রেণিতে উঠবে তাদের নয়া সিলেবাসে পড়াশোনা করতে হবে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে অর্থা একাদশ ও দ্বাদশ ক্লাসে ৬০টি বিষয় পড়ানো হয়। এর মধ্যে ১৩টি ভোকেশনাল বিষয়। তবে উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যক্রম পরিবর্তন হলেও ভোকেশনাল বিষয়ে কোনও পরিবর্তন করা হচ্ছে না।

অন্যদিকে, ২০২৪ সাল থেকে পরিবর্তন আসছে পরীক্ষাব্যবস্থারও। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা সেমিস্টার সিস্টেমে নেওয়া হবে। নতুন যে পাঠ্যক্রম তৈরি হবে, তা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির দুটি করে সেমিস্টারে ভাগ করা হবে। সরকারের সবুজ সংকেত দিলেই ২০২৪ সাল থেকে পরীক্ষাব্যবস্থা ও সিলেবাস নতুন রূপে সেজে উঠতে চলেছে।

Ration Scam: বালুর রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশে পৌঁছে দিত শাহজাহান

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তিন দিন পার হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনো রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) অন্যতম অভিযুক্ত শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করতে পারেনি ইডি। ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে শঙ্কর আঢ্যর মতই গুরুত্ব শাহজাহান শেখ। কারণ তাঁর হাত থেকেই রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়। জেলবন্দি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ট ছিলেন তিনি।

ইডি সূত্রের খবর, শাহজাহান রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে পৌঁছে দিত। মন্ত্রীর টাকা তিনি সরাসরি বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থায় নিয়োগ করতেন।যদিও শঙ্কর আঢ্যর মত তার ফরেক্স কোম্পানি তৈরির প্রয়োজন হয়নি। খুব সহজে শাহজাহান বাংলাদেশে নিয়ে গিয়ে মন্ত্রীর কালো টাকা সাদা করে ফেলতে পারতেন। সূত্রের খবর ইডি শাহজাহানের বিরুদ্ধে পার্ক অ্যান্ড লন্ডারের অভিযোগ করেছে। এর অর্থ শাহজাহান কালো টাকা উপযুক্ত ঠিকানায় পৌঁছে দিত। বালুর টাকা শাহজাহান জলপথে না স্থলপথে পাচার করেছে তাও খতিয়ে দেখছে ইডি।

আরো পড়ুন- বালুর হাত ধরেই হাতেখড়ি! বনগাঁর ত্রাস শঙ্কর আঢ্যর উত্থান যেন সিনেমাকেও হারমানায়

ইডি সূত্রের খবর, ‘মেয়েকে লেখা’ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিঠি থেকেই সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহানের নাম তারা জানতে পেরেছে। তারপর থেকেই শাহজাহানকে নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। শাহজাহান সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য হাতে পাওয়ার পরই সন্দেশখালিতে তার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ওপর চড়াও হয় শাহজাহানের অনুগামীরা। মাথা ফাটে ইডি আধিকারিকের। তারপর থেকেই নিখোঁজ শাহজাহান।

এই শাহজাহান এবং শঙ্কর দু’জনেই জ্যোতিপ্রিয়কে সমান ভাবে সাহায্য করেছেন বলে অনুমান করছেন গোয়েন্দারা। হয়তো তাই শঙ্কর ধরা পড়ার পর প্রমাণ লোপাট করতে নিজের পাঁচটি মোবাইল নষ্ট করেছেন শাহজাহান। এমনকি, নিজের প্রভাব খাটিয়ে বাংলাদেশেও আশ্রয় নিয়েছেন বলে সন্দেহ ইডি গোয়েন্দাদের। যদিও অন্য একটি সূত্র বলছে, শাহজাহান এখনও এ দেশেই আছেন। সীমান্ত লাগোয়া কোনও স্থানে আত্মগোপন করে রয়েছেন।

Ration Scam: বালুর হাত ধরেই হাতেখড়ি! বনগাঁর ত্রাস শঙ্কর আঢ্যর উত্থান যেন সিনেমাকেও হারমানায়

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শঙ্কর। বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তিনি। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকে ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। স্থানীয়দের কথায়, তৃণমূল এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে শঙ্করের দাপট ক্রমশ বাড়তে থাকে।

জতিপ্রিয়র হাত ধরেই রাজনীতির ময়দানে আসেন শঙ্কর। ২০০৫ সালে তিনি প্রথমবার পুরসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই জয়ী হয়েছিলেন তিনি। এদিকে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে কার্যত আঙুল ফুলে কলাগাছ হতে শুরু করে।

বালুর ছত্রছায়াতেই উল্কার গতিতে বনগাঁ শহরে উত্থান ঘটে শঙ্করের। একের পর এক সংগঠনের শীর্ষস্থানে উঠে যান শঙ্কর। বনগাঁ রেডক্রশ সোসাইটি, বনগাঁ মহকুমার ক্রীড়া সংস্থা, ব্য়বসায়ী সংগঠনের শীর্ষপদে চলে যান তিনি। এলাকায় মানুষ ডাকু নামেই চিনতেন শঙ্করকে।

আরো পড়ুন-  আমেরিকায় হিন্দু মন্দিরে হামলা! ‘মোদি একজন জঙ্গি’ দেওয়ালে লিখলেন খালিস্তানি সন্ত্রাসীরা

জ্যোতিপ্রিয়র চিঠিতে শঙ্করের নাম! বনগাঁ জুড়ে শঙ্করের দাপট ছিল প্রশ্নাতীত। বনগাঁয় শঙ্করের একাধিক ব্যবসাও রয়েছে। কলকাতা, বনগাঁ ও পেট্রাপোল সীমান্তে তাঁর বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের অফিস রয়েছে। সেই সংস্থার মাধ্যমেই বালুর টাকা ডলারে কনভার্ট করে বিদেশে পাচার করা হয় বলে দাবি ইডির। বিরোধীদের অভিযোগ, একসময় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ধুর সিন্ডিকেট চালাতেন শঙ্কর। বনগাঁ এবং বাগদায় তাঁর সোনার দোকানও রয়েছে। বনগাঁ শহরে রয়েছে হোটেলও। এর বাইরেও বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্যর বিপুল সম্পত্তি রয়েছে।

পাশাপাশি একাধিক খুনের ঘটনাতেও নাম জড়িয়েছিল দাপুটে নেতার। বনগাঁর বেতাজ বাদশা সেই শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতেই শুক্রবার সকালে হানা দেয় ইডি। শেষে গভীর রাতে শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি। এই শঙ্কর আঢ্যর দিঘায় থ্রি স্টার হোটেল রয়েছে ৷ বনগাঁর খেদাপাড়ায় প্রায় ১০ কোটি টাকা দিয়ে শঙ্কর আঢ্য বাবা হারাধন আঢ্যের নামে হারাধন আঢ্য মেমরিয়াল ইংলিস মিডিয়াম স্কুলও গড়েছে ৷ বনগাঁর বাজার এলাকায় রয়েছে হারাধন আঢ্যর নামে মার্কেট ৷ বনগাঁ থানার সামনে রয়েছে পুল সাইড ইন হোটেল কাম রেস্টুরেন্ট যা পুরসভার ও পূর্ত দফতরের জায়গায় বলে অভিযোগ। শিমুলতলা ও মতিগঞ্জে রয়েছে তিনটি বাড়ি। এছাড়া কলকাতায় ফ্ল্যাট রয়েছে। আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে বিদেশের মাটি দুবাইতেও।

বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের একাধিক সংগঠনেরও মাথায় ছিলেন শঙ্কর। তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যও বনগাঁ পুরসভার চেয়ারপার্সন ছিলেন। বর্তমানে তিনি পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ থেকেই প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন শঙ্কর। কিন্তু দল তাঁকে প্রার্থী না করায়, ভোটের প্রচার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন শঙ্কর। যে কারণে রাজ্যজুড়ে প্রবল তৃণমূল হাওয়াতেও গোষ্ঠীকোন্দলে দীর্ণ বনগাঁয় সবকটি আসনে হারতে হয় দলকে। এরপরই দলের ভিতরে ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়েন শঙ্কর। দলের সব পদ থেকেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Ration Scam Update: ২ হাজার কোটি টাকা দুবাইয়ে পাচার! ১৪ দিন ইডির হেফাজতে শঙ্কর আঢ্য

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রেশন দুর্নীতির তদন্তে (Ration Scam Update) একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য ইডির হাতে । তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এখানেই শেষ নয় ইডির আরও দাবি, বনগাঁ পুসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যর সংস্থার মাধ্যমে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা দুবাই এবং বাংলাদেশে পাচার করা হয়েছে। শঙ্কর আঢ্যর সংস্থার মাধ্যমেই ওই বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার করা হয় বলে দাবি ইডি-র। রেশন দুর্নীতিতে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিঠি থেকেই শঙ্করের নাম সামনে আসে বলে জানিয়েছে ইডি।

ইডির দাবি, “ফরেন কারেন্সি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাঠানো হত। এমন বেশ কিছু সংস্থা রয়েছে শঙ্করের নামে। শঙ্করের পরিচিতি অন্তত এমন ৯০টি কোম্পানি রয়েছে টাকা পরিবর্তন করার জন্য। বর্ডার এলাকায় ওই কোম্পানি চালানো হতো বলে দাবি। এমনকী এই টাকা দুবাইতেও পাঠানো হত।”

আদালতে ইডি দাবি করেছে, “অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা এই সব সংস্থা মারফত বিদেশে পাঠানো হয়েছে। ২ হাজার কোটি টাকা বেআইনি খাদান মালিক ও মাফিয়াদের হাতে রয়েছে। ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। দুবাই এবং বাংলাদেশে বেশিরভাগ টাকা পাঠানো হত।”

আরো পড়ুন- ইতিহাস গড়ল ইসরো! সূর্যের কাছে কক্ষপথে ঢুকে পড়ল ভারতের প্রথম সৌরযান Aditya-L1

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দিনভর তল্লাশির পর রেশন বণ্টন দুর্নীতি কাণ্ডে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি। বনগাঁর এই দাপুটে তৃণমূল নেতাকে নিয়ে ইডি আধিকারিকরা গভীর রাতে তাঁর বাড়ি থেকে বেরনোর সময় ইডি অফিসারদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে জনতার একাংশ। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় সিআরপিএফ জওয়ানরা। রাতেই শঙ্কর আঢ্যকে নিয়ে কলকাতায় রওনা দেন ইডি কর্তারা। শনিবার আদালতে তোলা হলে তাকে ১৪ দিন ইডির হেফাজত দেয় আদালত।

উল্লেখ্য, জতিপ্রিয়র হাত ধরেই একসময় রাজনীতির ময়দানে আসেন শংকর। ২০০৫ সালে প্রথমবার বনগাঁ পুরসভার কাউন্সিলর হন। পরে চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন তিনি। বালুর ছত্রছায়াতেই উল্কার গতিতে বনগাঁ শহরে উত্থান ঘটে শঙ্করের। জ্যোতিপ্রিয়র চিঠিতে শঙ্করের নাম! বনগাঁ জুড়ে শঙ্করের দাপট ছিল প্রশ্নাতীত। শঙ্করের একাধিক ব্যবসাও রয়েছে। কলকাতা, বনগাঁ ও পেট্রাপোল সীমান্তে তাঁর বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের অফিস রয়েছে। সেই সংস্থার মাধ্যমেই বালুর টাকা ডলারে কনভার্ট করে বিদেশে পাচার করা হয় বলে দাবি ইডির। বিরোধীদের অভিযোগ, একসময় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ধুর সিন্ডিকেট চালাতেন শঙ্কর। বনগাঁ এবং বাগদায় তাঁর সোনার দোকানও রয়েছে। বনগাঁ শহরে রয়েছে হোটেলও। এর বাইরেও বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্যর বিপুল সম্পত্তি রয়েছে।

পাশাপাশি একাধিক খুনের ঘটনাতেও নাম জড়িয়েছিল দাপুটে নেতার। বনগাঁর বেতাজ বাদশা সেই শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতেই গতকাল সকালে হানা দেয় ইডি। শেষে গভীর রাতে শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি। এই শঙ্কর আঢ্যর দিঘায় থ্রি স্টার হোটেল রয়েছে ৷ বনগাঁর খেদাপাড়ায় প্রায় ১০ কোটি টাকা দিয়ে শঙ্কর আঢ্য বাবা হারাধন আঢ্যের নামে হারাধন আঢ্য মেমরিয়াল ইংলিস মিডিয়াম স্কুলও গড়েছে ৷ বনগাঁর বাজার এলাকায় রয়েছে হারাধন আঢ্যর নামে মার্কেট ৷ বনগাঁ থানার সামনে রয়েছে পুল সাইড ইন হোটেল কাম রেস্টুরেন্ট যা পুরসভার ও পূর্ত দফতরের জায়গায় বলে অভিযোগ। শিমুলতলা ও মতিগঞ্জে রয়েছে তিনটি বাড়ি। এছাড়া কলকাতায় ফ্ল্যাট রয়েছে। আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে বিদেশের মাটি দুবাইতেও।

বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের একাধিক সংগঠনেরও মাথায় ছিলেন শঙ্কর। তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যও বনগাঁ পুরসভার চেয়ারপার্সন ছিলেন। বর্তমানে তিনি পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ থেকেই প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন শঙ্কর। কিন্তু দল তাঁকে প্রার্থী না করায়, ভোটের প্রচার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন শঙ্কর। যে কারণে রাজ্যজুড়ে প্রবল তৃণমূল হাওয়াতেও গোষ্ঠীকোন্দলে দীর্ণ বনগাঁয় সবকটি আসনে হারতে হয় দলকে। এরপরই দলের ভিতরে ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়েন শঙ্কর। দলের সব পদ থেকেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

অঙ্গনওয়াড়ির খিচুড়িতে আস্ত ইঁদুর! চাঞ্চল্য নলহাটিতে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ খিচুড়িতে আস্ত ইঁদুর! তাও আবার সেদ্ধ করা অবস্থায়! সেই খিঁচুড়ি খেয়ে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। ঘটনাটি বীরভূমের নলহাটির কুরুমগ্রামের মহিষপাড়া ৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।

শনিবার সকালে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে ৭৩ জন শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাকে খিচুড়ি পরিবেশন করা হয়। সেই খিচুড়ি খাওয়ার সময় তাতে কেউ ইঁদুরের পা, কেউ ইঁদুরের দেহাংশ দেখতে পান, সেদ্ধ অবস্থায়। অর্থাৎ, পরিবেশনের সময় ইঁদুর পড়েছে এমন নয়। এরপরেই সকলের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা।

জগদ্দলে ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় গ্রেফতার অর্জুন সিং এর ভাইপো

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জগদ্দলে তৃণমূল কর্মীর ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এর ভাইপো। পুলিশের প্রার্থী অনুমান এই খুনের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত অর্জুন সিং এর ভাইপো সঞ্জিত সিং ওরফে পাপ্পু সিং।

গত ২২ নভেম্বর দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করে ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে। সেই খুনের ঘটনায় কয়েকজনকে আগেই গ্রেফতার করেছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের গোয়েন্দা বিভাগ ও জগদ্দল থানার পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ( Arjun Singh) আত্মীয় পাপ্পু সিংকে মূল চক্রী বলে দাবি করেছিলেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। এর জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। তৃ়নমূল বিধায়ক বনাম তৃণমূল সাংসদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এসেছিল প্রকাশ্যে।

আরো পড়ুন- ১ জানুয়ারি থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪% ডিএ! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

গত ২২ নভেম্বর দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব (Jagaddal Vicky Yadav Murder)। জগদ্দলের বিধায়ক সরাসরি দলীয় সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ভাইপোর বিরুদ্ধে ভিকিকে খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন। তাকেই গ্রেফতার করায় উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তীব্র চাঞ্চল্য। পাপ্পুর আইনজীবী জানান যে অন্য একটি মামলায় তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান আধিকারিকরা। তিনি অভিযোগ করেন যে এরপর পুলিশ তাঁর মক্কেলকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করেছে।

ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে বিহারের গরু পাচারের তথ্য পুলিশের হাতে আসে। একাধকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এখনও অনেকেই রয়েছেন পুলিশের নজরে। ডেকে পাঠানো হয় ২২ বছরের হরেরাম সাউকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির ভিতর থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হয় হরেরামের দেহ। এরপর আজ গ্রেফতার হল অর্জুন সিংয়ের ভাইপো। তবে এখনও পর্যন্ত অর্জুন সিংয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

১ জানুয়ারি থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪% ডিএ! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কর্মচারীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখল সরকার। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য আরও ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ জানুয়ারি থেকেই বর্ধিতহারে ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীরা। এখন থেকে মোট ১০ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন রাজ্যের ১৪ লক্ষ সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগী।

এদিন বিকেলে পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে বড়দিনের উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আরও ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য সরকার। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘এর আগে আমরা ১২৫ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছিলাম। তার পর পে কমিশন হয়েছে। চার রকমের পে স্কেল রয়েছে এখন। নতুন পে স্কেলে ৬ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা ইতিমধ্যে দেওয়া হচ্ছে। আজ বড়দিনের বিকেলে ঘোষণা করছি যে ৪ শতাংশ হারে আরও এক কিস্তি ডিএ ১ জানুয়ারি থেকে দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারি কর্মচারী, অধিনস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, স্কুল কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী মিলিয়ে ১৫ লক্ষ কর্মচারী এর সুবিধা পাবেন।’

এই বৃদ্ধির পরও রাজ্যের ডিএ-এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ডিএ-এর ৩৬ শতাংশ পার্থক্য থাকছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বর্ধিত ডিএ-অর দাবিতে আন্দোলনরত সংগ্রামী যৌথমঞ্চের পদাধিকারীরা। এক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষেত্রে ডিএ বাধ্যতামূলক। কিন্তু রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে তা নয়। রাজ্যে ডিএ ঐচ্ছিক।’

আরো পড়ুন- জগদ্দলে ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় গ্রেফতার অর্জুন সিং এর ভাইপো

,বড়দিনের আগে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণাকে রাজ্যসরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের কাছে তাঁর সরকারের ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার গিফট’ বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ফলে সরকারের ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণায় মোটেই খুশি নয় বর্ধিত ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। এই মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেছেন, ‘আমরা ১০ শতাংশ ডিএ-তে খুশি নই। ডিএ সরকারি কর্মীদের হকের দাবি। আমরা আমাদের দাবি আন্দোলন ও আদালতের নির্দেশে আদায় করেই ছাড়ব।

মনে রাখতে হবে, এরপরও ১লা জানুয়ারি থেকে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের থেকে কেন্দ্রের সরকারী কর্মীরা ৩৬ শতাংশ বেশি ডিএ পাবেন। আমাদের দাবি কেন্দ্রীয়হারে ডিএ।’ যৌথমঞ্চের নেতা রাজীব দত্ত বলেন, ‘ব‍্যবধানটা ৪০ শতাংশের, উনি ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করছেন। মাননীয়া মুখ‍্যমন্ত্রীকে বলি এককের ঘরে শূন‍্যটা কোথায়? আপনি তো ট্রেডমিলে বাজেট কষেন। শূন‍্যটাকে বামদিকে না বসিয়ে চার এর ডান দিকে বসান। আমরা কিন্তু ভিক্ষা চাইছি না।’

রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এভাবে নিজের ইচ্ছা মত ডিএ বৃদ্ধির ঘোষমা করতে পারেন না। এটা নিয়ম নয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে সরকার। সেটা এখনও হয়নি। ডিএ নির্ধারিত হয় নির্দিষ্ট নিয়মের ভিত্তিতে। সেসব মানা হল না। আমরা ১০ শতাংশ হারে ডিএ মানছি না। কেন্দ্রীয়হারে ডিএ-এর দাবিতে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন চলবে।’

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের রাজ্যের আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা আবেদন করেছিলাম। তিনি সাড়া দিয়েছেন। যার জন্য সকল সরকারি কর্মচারীর মুখে হাসি ফুটেছে। মুখ্যমন্ত্রী সবসময় সরকারি কর্মীদের কথা ভাবেন এবং তাঁদের মঙ্গলের জন্য কাজ করেন।’

বাংলার প্রাপ্য বকেয়া চাইতে এবার মোদির সঙ্গে বৈঠক মমতার

বাংলার প্রাপ্য বকেয়া চাইতে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), আজ, বুধবার দিল্লির নয়া সংসদ ভবনে মোদির (PM Modi) সঙ্গে সকাল ১১টায় বৈঠক শুরু। বৈঠকে মমতার সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও রয়েছেন আরও ১০ তৃণমূল সাংসদ।

তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শতাব্দি রায়দের নিয়ে বুধবার মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা। সূত্রের খবর, বৈঠকের জন্য নির্ধারিত কক্ষে ঢুকতেই মমতাকে দেখে এগিয়ে আসেন মোদি। প্রশ্ন করেন, “দু’মাস তো হয়ে গেল পায়ে আঘাত লেগেছিল। এখন কেমন আছে আপনার পা?” উত্তরে মমতা বলেন, “আমি ভাল আছি, আপনি ভাল তো?”

১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন মমতা। বকেয়ার দাবিতে মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, জমা দেন মেমোরেন্ডামও।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে মমতা জানান, ১০০ দিনের কাজ, প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, ন্য়াশনাল হেলথ মিশন-সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের থেকে রাজ্যের পাওনা প্রায় ১ কোটি ১৬ লক্ষ কোটি টাকা।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এদিনই তৃণমূল সরকারের বিরুদধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

শুধু তাই নয়, মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর মমতা যখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন, প্রায় ওই একই সময়ে নবান্নে হাজির হন শুভেন্দু। সেখানে মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করেন। কেন্দ্রের দেওয়া টাকা রাজ্য নয়ছয় করেছে, বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে লেখা পোস্টারও ছিল শুভেন্দুর হাতে।

নবান্ন থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এই নাটুকে, মিথ্যাবাদী, পরিবাবাদী, তোষণবাদী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের কোনও অধিকার নেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বঞ্চনার দাবি তোলার।” কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে নবান্নে ঢোকার প্রশ্নে শুভেন্দু জানান, ১৪৪ ধারা জারি থাকে সব সময়। আগে জানালে ঘেঁষতে দেওয়া হতো না তাঁদের।