রক্তশূন্য ব্লাডব্যাঙ্ক! থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুকে রক্ত দিয়ে বাঁচালেন হাসপাতালের সুপার - Bangla Hunt

রক্তশূন্য ব্লাডব্যাঙ্ক! থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুকে রক্ত দিয়ে বাঁচালেন হাসপাতালের সুপার

By Bangla Hunt Desk - April 24, 2022

এ যেন সাক্ষাৎ ভগোবান! থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুকে রক্ত দিয়ে বাঁচালেন খোদ হাসপাতালের সুপার। এমনই ঘটনা ঘটলো কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। আর খোদ সুপারের এই অবদানে আপ্লুত শিশুর পরিবার।

আরো পড়ুন- কাটোয়ায় যাত্রীবাহী বাস থেকে উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক! গেপ্তার বিহারের দুস্কৃতী

বেশ কিছুদিন ধরেই চরম রক্তসংকট চলছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের হেমরাজ ব্লাডসেন্টারে। দিশেহারা রোগীর পরিবার পরিজনরা। শনিবার রক্তের ভাণ্ডার একেবারে শূন্য। এই পরিস্থিতির মধ্যে সাড়ে তিন বছরের মেয়েকে রক্ত দেওয়ার জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন মা। শিশুটি থ্যালাসেমিয়ায় (Thalassemia) আক্রান্ত। কিন্তু অসহায় বধূ রক্তের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছিলেন হাসপাতাল চত্বরে। অবশেষে ত্রাতার ভূমিকায় এগিয়ে এলেন খোদ হাসপাতাল সুপার ডাঃ সৌভিক আলম। তিনি নিজেই রক্ত দিলেন ওই থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুটিকে।

হাসপাতাল সুপার ডাঃ সৌভিক আলম

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় টুম্পাদেবী তার মেয়েকে বাঁচাতে রক্তের জন্য যখন অসহায়ভাবে ছোটাছুটি করছিলেন, তখন খবর যায় কাটোয়া হাসপাতালের সুপার ডাঃ সৌভিক আলমের কাছে। তিনি এও জানতে পারেন ওই শিশুর রক্তের গ্রুপের সঙ্গে তার রক্তের গ্রুপের মিল রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সুপার ঠিক করেন তিনিই শিশুটিকে রক্ত দেবেন। হাসপাতালের ব্লাডসেন্টারে এসে সুপার রক্তদান করেন। তারপর সেই রক্ত দেওয়া হয় বর্ষাকে।

থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু

টুম্পাদেবীর স্বামী গণপতি পণ্ডিত রাজমিস্ত্রি। দুই মেয়ের মধ্যে বর্ষা ছোট। জন্মের পর থেকেই থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত বর্ষা। টুম্পাদেবী বলেন, “ভাবতেই পারিনি মেয়ের জন্য এভাবে রক্তের জোগাড় হবে। সুপার সাহেব যে উপকার করলেন তা আজন্ম মনে রাখব।” ডাঃ সৌভিক আলম বলেন, “কয়েকদিন ধরেই ভীষণ রক্তসংকট চলছে। ওই বাচ্চা মেয়েটির রক্তের খুব প্রয়োজন ছিল। আমি চাই আপামর মানুষ যেন এই রক্তসংকটের সময় অপরের পাশে দাড়ানোর মনোভাব রাখেন।”

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর