'বিজেপিতে গিয়ে বড় ভুল করেছি, ঘর ওয়াপসির ইঙ্গিত বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সহ–সভাপতির - Bangla Hunt

‘বিজেপিতে গিয়ে বড় ভুল করেছি, ঘর ওয়াপসির ইঙ্গিত বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সহ–সভাপতির

By Bangla Hunt Desk - May 16, 2021

বাংলা হান্ট ডেক্সঃ বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে থেকে হঠাৎ করেই তৃণমূলের বহু নেতা এবং নেত্রী তৃণমূল থেকে দমবন্ধকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন। দমবন্ধকর অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে রাতারাতি অনেকেই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি শিবিরে। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর পরাজিত প্রার্থীদের একাংশ দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে এখন আবার তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বেশ কয়েকজন নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার চেষ্টা করছেন। এমনকী বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সহ–সভাপতি কাশেম আলি যোগাযোগ করেছেন বলে সূত্রের খবর।

আরো পড়ুন- ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রের টিকাকরণ নীতিকেই কাঠগড়ায় তুললেন ডঃ দেবী শেঠি

জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে মুকুল রায়ের হাত ধরেই বিজেপিতে যান কাশেম আলি। রাজ্য স্তরের দায়িত্বও পান। এখন তিনি ফিরতে চান তৃণমূল কংগ্রেসেই। এই মুসলিম নেতা রবিবার বলেন, ‘বিজেপিতে গিয়ে বড় ভুল করেছি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে আসব। আমি তৃণমূল কংগ্রেসেই ফিরে যেতে চাই। আসলে বিজেপি দলটা মুসলিমদের জন্য নয়। তবে অনেকেই আমার সঙ্গে ফিরতে চান। বিজেপি নির্বাচনী প্রচারে যেভাবে সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করেছে সেটা বাংলার মানুষ ভালভাবে নেয়নি।’‌

তবে কাশেমেই থেমে থাকছে না বিষয়টি। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ২০২০ সালে ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দেন হুগলির পুরশুড়ার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শেখ পারভেজ রহমান। তিনি এখন বীতশ্রদ্ধ। যদিও এখানে বিজেপি জিতেছে। তবু গেরুয়া শিবির ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে চান পারভেজ। তিনি বলেন, ‘‌আমরা পুরনো নেতারা না থাকাতেই আরামবাগ লোকসভা এলাকায় ৪টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস হেরে গিয়েছে। অভিমানে দল ছেড়েছিলাম। এখন ফিরতে চাই।’‌

হুগলির আর এক প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আলমগির মোল্লাও ফেরার কথা ভাবছেন। তবে তিনি স্বীকার করেননি। বিজেপিতে যাওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলামও এখন ঘরওয়াপসি চাইছেন। তিনি বলেন, ‘‌বিজেপিতে এসে ভুল করেছি। যে দলের রাজ্য সভাপতি বলেন, মুসলিমদের দরকার নেই, সেখানে থাকার মানে হয় না।’‌ এই পরিস্থিতি যদি চলতে থাকে তাহলে জেলায় জেলায় বিজেপির সংগঠন টেকানো মুশকিল হয়ে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর