SSC Scam: বাংলায় ফের 'পরিবর্তনের ডাক', দুর্নীতি ইস্যুতে সরব বুদ্ধিজীবীরা - Bangla Hunt

SSC Scam: বাংলায় ফের ‘পরিবর্তনের ডাক’, দুর্নীতি ইস্যুতে সরব বুদ্ধিজীবীরা

By Bangla Hunt Desk - July 31, 2022

নিউজডেক্সঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রবল অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। বাংলায় ফের একবার ‘পরিবর্তনের ডাক’ শোনা গেল বিদ্বজ্জনদের গলায়। ‘রাজ্যে আরেকটা পরিবর্তন আসন্ন, সেটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বুঝতে পারছেন।’ এমনটাই মত শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকারের। তাঁর কথায়, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য শুধু ভারতবর্ষ নয়, গোটা পৃথিবীর কাছে বাঙালিদের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে।’ বাংলায় ফের পরিবর্তনের ডাক দিয়ে পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিদ্বজ্জনেরা। সোমবার বিকেলে দুর্নীতি ইস্যুতে মিছিল করতে চলেছেন তাঁরা। ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে মেয়োরোড পর্যন্ত মিছিলে হাঁটবেন বুদ্ধিজীবীরা।

আরো পড়ুন- Sarada Scam: গায়েব কাঁথির সারদা ফাইল! সুদীপ্ত সেনকে জেরা পুলিশের, নজরে শুভেন্দু-সৌমেন্দু

শনিবার SSC নিয়োগ দুর্নীতি এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি ইস্যুতে মেয়ো রোডে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত হন তাঁরা। জমায়েতে ছিলেন বাম সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য, শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, মানসী সিনহা, চন্দন সেন সহ একাধিক বিদ্বজ্জন। সেখান থেকেই তাঁরা বাংলায় ফের একবার পরিবর্তনের পক্ষে জোরাল সওয়াল করলেন।

শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, “ইডি এবং সিবিআইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। কিন্তু, এদের সম্পর্কে কখনও কখনও আমাদের একটি নার্ভাস লাগে। তখন বুঝতে পারি যে সেটিং হয়ে গিয়েছে। আসল অপরাধীদের এড়িয়ে চুনোপুঁটিদের ধরা হয়। কিন্তু, তা সত্ত্বও যে ব্যাপারটা ঘটেছে, যতটুকু উন্মোচন হয়েছে, তার জন্য অবশ্যই আদালত এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাকে অভিনন্দন জানাই। তারা সত্যের একটি আংশিক চেহারা আমাদের সামনে উন্মোচন করেছে। তবে লড়াইটা এখনও অনেক বাকি। এখানে কোনও ব্যক্তি কিংবা চরিত্রের ব্যাপার নয়, একটি সরকার, একটি দল এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। যারা গত ১০ বছর ধরে পশ্চিমবাংলাকে শাসন করছে। এই সরকারের মজ্জায় মজ্জায় দুর্নীতির ঘুঁণ ধরে গিয়েছে। সেটা সকলের কাছে স্পষ্ট”।

বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ২০১১ পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে যত নিয়োগ হয়েছে, তার সবটাই দুর্নীতিতে কলুষিত। তাঁর কথায়, পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠনের খোলনলচে বদলে সেটাকে তৃণমূলের কাছের লোক দ্বারা পরিচালিত করা হচ্ছে। বলেন, ‘আমি পার্থবাবুর কথার সঙ্গে একমত। ষড়যন্ত্র হয়েছে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। সরকারি স্কুলের ব্যাপারে অনীহা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র।’ আবার এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবসুর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন অভিনেতা জয়রাজ ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘ব্রাত্য বসু দায় এড়াতে পারেন না। কারণ, শেষদিকে পার্থবাবু আর শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন না। ব্রাত্য বলেছেন, শুধু তৃণমল কংগ্রেসের ছেলেমেয়েরাই চাকরি পাবেন।’ রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় ‘বুদ্ধিজীবীরা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড। চুপ করে থাকার অর্থ খুব গভীর’। এদিন জাগোবাংলার এক সাংবাদিকের প্রশ্নে বেজায় চটে যান পরিচালক অনীক দত্ত। যা নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের সাংবাদিক সম্মেলনে তুমুল অশান্তি তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তবে অনীক দত্ত সাফ জানান, বিকাশদা ক্ষমা চাইছেন, শান্ত করার চেষ্টা করছেন, তবে আমি থামব না।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর