কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ভিখারি, ঝরঝরিয়ে বলেন ইংরাজি! ভাইরাল ভিডিও - Bangla Hunt

কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ভিখারি, ঝরঝরিয়ে বলেন ইংরাজি! ভাইরাল ভিডিও

By Bangla Hunt Desk - January 10, 2022

কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ভিখারি। অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলছেন। এমনই একটি ঘটনা সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ থেকে জানা গেছে, যেখানে রাস্তার ধারে বসে থাকা এক মহিলাকে অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলতে দেখা যায়। এক সময় উঁচু পদে চাকরিও করতেন। তবে ভাগ্যের ফেরে তিনি আজ পথের ভিখারি! সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বেনারসের এই মহিলা ভিক্ষুকের কাহিনী। যা শুনলে আপনার চোখেও জল আসতে বাধ্য!

বেনারসের অসসি ঘাটের আশপাশেই থাকেন ওই মহিলা। না কোনও ঘর নয়, রাস্তাতেই দিন, রাত মাস-বছর কেটে যায় তাঁর। ভিক্ষাবৃত্তি করেই দিন চলে তাঁর। অসসি ঘাটের রাস্তার ধারে ভিক্ষার আশায় বসে থাকেন ওই মহিলা। পরনে মলিন শাড়ি, উস্কো-খুস্কো চুল। যে যা দিয়ে যাচ্ছেন তাই দিয়েই কোনও মতে একবেলা খেয়ে, রাস্তায় শুয়ে তাঁর দিন কাটছে৷

তবে একদিন এই মহিলা ভিক্ষুকের সঙ্গে কথা বলেই চমকে যান বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র, অবিনাশ। তিনি দেখেন ঝরঝরে ইংরেজিতে কথা বলছেন ওই মহিলা ভিক্ষুক। যা শুনে হতবাক হয়ে যান অবিনাশ। তিনি জানতে পারেন, ওই মহিলার নাম স্বাতী। তিনি কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক। সাউথে ছিল তাঁর বাড়ি ছিল। বড় চাকরিও করতেন। বিয়ের পর স্বাতীর জীবন ভালোই চলছিল, কিন্তু গর্ভধারণের পর যখন সে একটি সন্তানের জন্ম দেয়, তখন তার শরীরের ডান অংশ অবশ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে স্বাতীর শরীরের একটি অংশ সম্পূর্ণরূপে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল এবং সে অনুভব করতে শুরু করেছিল যে সে তার পরিবারের বোঝা হয়ে উঠছে।

তাই স্বাতী কাউকে কিছু না জানিয়ে তার বাড়ি ছেড়ে বারাণসীতে চলে আসে। বারাণসীতে আসার পর, স্বাতীর থাকার জন্য ঘর ছিল না খাওয়ার জন্য খাবার ছিল না, তাই সে ঘাটের ধারে রাস্তায় থাকতে শুরু করে। ঘাটে আসা ভক্তরা, যা খেতে দেয় তাই খেয়ে পেট ভরে তার এবং এর পর রাতে ঘাটের পাশেই ঘুমিয়ে পরেন তিনি।

স্বাতী বলেছেন যে তিনি যখন মানুষের সাথে ইংরেজিতে কথা বলেন, লোকেরা তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে মনে করে। তাই স্বাতী কারো সাথে কথা না বলে চুপচাপ ঘাটের পাশে জীবন কাটায়। স্বাতীর সফ্টওয়্যার সম্পর্কে ভাল জ্ঞান ছিল এবং কম্পিউটার পরিচালনা করতেও জানতেন তিনি এর পাশাপাশি স্বাতী ইংরেজিতে টাইপ করতে সক্ষম।

কিন্তু শরীর অবশ হয়ে যাওয়ার পর স্বাতী কোনো চাকরির জন্য আবেদন করেননি, অথচ বারাণসীতে আসার পর তার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। স্বাতী বলেন, লোকেরা তাকে খাবার এবং কাপড় দেয়, যার মাধ্যমে সে তার জীবনযাপন করে।

মহিলা ভিক্ষুকটির হৃদয়স্পর্শী এই কাহিনীর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন অবিনাশ। তারপরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অবিনাশের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে ইংরেজিতে দিচ্ছেন স্বাতী। একটুও না থমকাচ্ছেন না। ভিডিওতেই স্বাতী বলতে শোনা যায়, অনেকেই তাঁকে দেখে মানসিক রোগী ভাবেন। কিন্তু তিনি একেবারে সুস্থ। ভিক্ষা নয় বরং চাকরি করতে চান স্বাতী। কিন্তু তাঁকে এখন কে দেবে চাকরি? তাই আপাতত বেনারসে ভিক্ষুক জীবনের সাথেই নিজেকে অভ্যস্থ করে ফেলেছেন।

দেখুন ভিডিও-

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর