শুধু আসনের নিরিখে নয়। কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের বিপুল জয় সংখ্যাতত্ত্বের দিক থেকেও রীতিমতো চমকপ্রদ। রাজ্যের শাসকদল কলকাতা পুরসভায় শুধু যে ১৩৪টি আসন জিতেছে তাই নয়, সেই সঙ্গে আট মাসে ভোট বাড়ল ১৫ শতাংশ। গত দু’দশক ধরেই ক্রমাগত উত্থান দেখা গিয়েছে তৃণমূলের। কিন্তু মঙ্গলবার কলকাতা যা দেখল, তা আগে কখনও হয়নি। কোনও রাজনৈতিক দল মাত্র আট মাস সময়ের মধ্যে ১৫ শতাংশ ভোট বাড়িয়েছে এমন নজিরও খুব বেশি পাওয়া যাবে না। কিন্তু সেটাই করে দেখিয়েছে তৃণমূল। মহানগরের বুকে তৃণমূলের এই বিপুল সাফল্য এককথায় বেনজির।
আরো পড়ুন- বিজেপি ভোকাট্টা, সিপিএম নো পাত্তা, কংগ্রেস স্যান্ডউইচ ! কলকাতা পুরভোট নিয়ে বিরোধীদের তোপ মমতার
গত পুরসভা নির্বাচনের ফলাফলের সঙ্গে এবারে ফলাফলের তুলনা করলে। ২০১৫ পুরভোটের তুলনায় তৃণমূল এবার ২০টি আসন বেশি পেয়েছে। ভোট বেড়েছে প্রায় সাড়ে ২১ শতাংশ। গত পুরভোটে মহানগরে তৃণমূল পেয়েছিল ৫০.৬ শতাংশ ভোট। সাধারণত, দশবছর কোনও দল ক্ষমতায় থাকলে তাদের বিরোধীদের পাশাপাশি লড়তে হয় প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সঙ্গেও। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা টপকে কোনও দলের এই পরিমাণ ভোট বাড়ানো মুখের কথা নয়।
কোন জাদুতে এই বিরাট সাফল্য তৃনমুলের?
বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূলের এই জয় প্রত্যাশিতই ছিল। কারণ, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর রাজ্যে তৃণমূলের পক্ষে একটি বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। যা এখনও বজায় আছে। বিধানসভা নির্বাচনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একে একে প্রতিশ্রুতি পূরণ করা শুরু করায় তৃণমূলের পালে আরও হাওয়া আরও বেড়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সরাসরি প্রভাব পড়ছে কলকাতার পুর নির্বাচনে। বিধানসভা নির্বাচনের আগেও রাজ্যে বেশ কিছু জনকল্যাণমূলক প্রকল্প শুরু করেছে সরকার। বিধানসভার পরও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, দুয়ারে রেশনের মতো প্রকল্প রাজ্যে শুরু হয়েছে। যার সরাসরি সুবিধা সাধারণ মানুষ পাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এই প্রকল্পগুলি সরাসরি তৃণমূলকে ভোটব্যাংকে ডিভিডেন্ট দিচ্ছে।
সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের সম্পদ ছিলেনই। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংগঠনিক দক্ষতা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে তৃণমূলের সংগঠনকে নতুন রূপ দিচ্ছেন, তাতে দলের অন্দরে বেশ কিছু পজিটিভ পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। দলের মূল সংগঠন থেকে শাখা সংগঠনগুলিতেও স্বচ্ছতা আসছে।
তাছাড়া, কলকাতা পুরসভা যে ভাল কাজ করেছে, সেটা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। শহরের পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে পরিকাঠামোগত পরিবর্তন বা সৌন্দর্যায়ন, সবক্ষেত্রেই প্রশংসনীয় কাজ করেছে পুরসভা। যার প্রভাব ভোটারদের মধ্যে ছিলই। নিজেদের এই উন্নয়নের কাজে ভর করেই শাসক শিবিরের তাবড় তাবড় নেতারা ভোটের ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছেন। অন্যদিকে, বিরোধী শিবিরের বড় কোনও নেতা ভোটের ময়দানেই নামেননি। যার ফলে বিরোধী শিবির যে লড়াইয়ের জায়গাতেও নেই, সেটা ভোটের আগেই প্রায় স্পষ্ট হয়ে যায়।
Mamata Banerjee: “Labeled as Bangladeshi Just for Speaking Bengali” — Mamata Sharpens Her Arsenal to Defeat BJP in the 2026 Elections
তৃণমূলের শুদ্ধিকরণে অভিষেক, রিপোর্ট পেলেই ছাঁটাই!
Khuti Puja 2025 | উল্টো রথে খুঁটি পুজোর মধ্যে দিয়ে পুজোর প্রস্তুতি শুরু কাঁচরাপাড়া আমরা সবাই ক্লাবের
ভাঙন পদ্ম শিবিরে, মালদায় তৃণমূলে যোগদান শতাধিক কর্মী সমর্থকের
গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক নাবালিকার
Dilip Ghosh: আজ বিয়ের পিড়িতে দিলীপ ঘোষ! কিভাবে ফুটল বিয়ের ফুল?
‘Bangladesh Should Be Broken Apart,’ Says Tripura’s ‘King’ in Response to Yunus’ Comments
পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খানের বলিউড প্রত্যাবর্তন ঘিরে উত্তাল মহারাষ্ট্র!
Taslima Nasrin: ‘Islam is not my religion…’—A Definitive Statement on Eid
Heatwave Alert: West Bengal, 16 Other States Brace for Extended Heatwave Days from April to June