কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়। রাজ্য পুলিশের নজরদারিতেই হবে ভোটাভুটি, অন্তর্বর্তী নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। এই নির্দেশের ফলে সিঙ্গল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেল বিজেপি। তবে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে পুরভোট করানোর দায়িত্ব কমিশনের। কোনও অশান্তি হলে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হাই কোর্টে জবাবদিহি করতে হবে।
বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, রাজ্য পুলিশের নজরদারিতেই হবে কলকাতা পুরভোট। রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে বিজেপি। শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি জানান, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতির উপর আস্থা রেখেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর আরজি খারিজ করা হয়েছে। পুলিশই নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাতে পারবে বলেই মনে করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। তবে তার তীব্র বিরোধিতা করেন বিজেপির আইনজীবী। তিনি জানান, রাজ্য পুলিশ দিয়ে কিছুতেই অবাধ এবং শান্তিপূর্ণভাবে পুরভোট হতে পারে না। সে প্রসঙ্গে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন বিজেপির আইনজীবী। পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে জোর সওয়াল করেন তিনি।
এদিনের শুনানিতে রাজ্য, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতিতেই রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করেন। প্রধান বিচারপতি জানান “সাম্প্রতিক অশান্তি প্রেক্ষিতে ভোটারদের মনোবল বাড়াতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে? এলাকায় কি রুটমার্চ হচ্ছে? যেখানে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বেশি, সেখানে পুলিস কম কেন?” সূত্রের খবর, কোনও প্রশ্নেরই যথাযথ উত্তর মেলেনি। এরপর আসরে নামে রাজ্য সরকার। অ্যাডভোকেট জেনারেলের সওয়াল, ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি জন্য মিথ্যা মামলা করা হয়। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে মানে এই নয় যে, রাজ্য পুলিসকে দিয়ে ভোট করানো যাবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীই লাগবে’।
হাইকোর্টে শুনানির শেষ পর্বে ফের প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন। ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিরা জানতে চান, “পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন। তাহলে কি কমিশন রাজি?” কমিশনের তরফে জানানো হয়, “রাজ্য পুলিস নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। আপাতত কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই।” কিন্তু কমিশনে চাইলে কেন্দ্র কি বাহিনী দিতে পারবে? শুনানিতে সেই প্রশ্নও ওঠে। কেন্দ্রের আইনজীবী আদালতে জানান, “আমরা একটা নম্বর দিয়ে দেব। প্রয়োজন হলে বাহিনী নিতে পারে। কমিশন চাইলে, আমরা কাল সকালের মধ্যে বাহিনী পাঠিয়ে দেব। কমিশন যেভাবে বলবে, আমরা সেভাবে কাজ করব। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করব না।”
হাই কোর্টর অন্তর্বর্তী নির্দেশে বলা হয়েছে, পুরভোটের জন্য সত্যিই যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার, তা মনে হয়নি আদালতের। তবে কোনও রকম হিংসা বা অশান্তি হলে তার দায় নিতে হবে রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। বিজেপি-র যে চার প্রার্থী নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন, তাঁরা তাঁদের এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইলে তা কমিশনকে জানাতে হবে। কমিশন সে দিকটি বিবেচনা করে দেখবে।
Dilip Ghosh: আজ বিয়ের পিড়িতে দিলীপ ঘোষ! কিভাবে ফুটল বিয়ের ফুল?
‘Bangladesh Should Be Broken Apart,’ Says Tripura’s ‘King’ in Response to Yunus’ Comments
পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খানের বলিউড প্রত্যাবর্তন ঘিরে উত্তাল মহারাষ্ট্র!
Taslima Nasrin: ‘Islam is not my religion…’—A Definitive Statement on Eid
Heatwave Alert: West Bengal, 16 Other States Brace for Extended Heatwave Days from April to June
Former Pakistani Prime Minister Imran Khan Nominated for the Nobel Peace Prize
কল্যাণীতে দুঃসাহসিক ছিনতাই! কাঁচরাপাড়ার ব্যবসায়ীকে মারধর করে টাকা লুঠ
Durga Puja 2024: অভিনব উদ্যোগ! মহালয়ার দিন অঙ্কন প্রতিযোগিতা করল কাঁচরাপাড়া আমরা সবাই ক্লাব
কাঁচরাপাড়ায় ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ২৫ লক্ষ টাকার মাল চুরি, মুল পান্ডা সুমন রায় গ্রেফতার
Durga Puja 2024: খুঁটি পুজো দিয়ে শুরু হল কাঁচরাপাড়া আমরা সবাই ক্লাবের এ বছরের পুজো