কেন হাইকোর্টের বিচারে অনাস্থা, লিখিত বক্তব্য জমা দিতে নির্দেশ শুভেন্দু'কে - Bangla Hunt

কেন হাইকোর্টের বিচারে অনাস্থা, লিখিত বক্তব্য জমা দিতে নির্দেশ শুভেন্দু’কে

By Bangla Hunt Desk - November 16, 2021

নন্দীগ্রাম মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারে তাঁর আস্থা নেই বলে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার হাই কোর্ট বলল, রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতাকে এই বক্তব্য লিখে জমা দিতে হবে আদালতে। আগামী ১ ডিসেম্বর নন্দীগ্রাম মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে ২৯ নভেম্বর ওই লিখিত বক্তব্য জমা দিতে হবে। নন্দীগ্রাম ভোট গণনায় কারচুপি মামলাটি শুভেন্দুর দাবি অনুযায়ী হাই কোর্ট থেকে অন্যত্র সরানো হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে তারপর।

এদিন সকালেই শুভেন্দু তাঁর আইনজীবী মারফত হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন যাতে মূল মামলাটির শুনানি না করা হয়। কেননা তিনি সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন ভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টে মূল মামলাটি সরাবার জন্য। সেই মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারধীন। তাই এদিন মূল মামলার শুনানি যেন না করা হয়। তবে শুভেন্দুর সেই আর্জি গৃহীত হয়নি। যথাসময়ে মামলার শুনানি শুরু হয়। আর সেখানেই হাইকোর্ট কার্যত পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় শুভেন্দু অধিকারীর দিকেই। কেন কলকাতা হাইকোর্টের ওপর শুভেন্দুর আস্থা নেই তা তাঁকে লিখিত ভাবে জানাতে হবে। সেই জবাব পাওয়ার পরেই নন্দীগ্রাম ভোট গণনায় কারচুপি মামলাটির শুনানি হবে। তখন এটাও খতিয়ে দেখানো হবে যে ওই মামলা কলকাতা হাইকোর্ট ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যের হাইকোর্টে পাঠানো উচিত হবে কী হবে না।

কলকাতা হাইকোর্টের এদিনের এই পর্যবেক্ষণে আইনজীবী মহলের ধারনা শুভেন্দুকে কার্যত অগ্নিপরীক্ষার মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। কেননা হাইকোর্টের প্রতি অনাস্থাজ্ঞাপণ কার্যত আদালত অবমাননার সামিল। শুভেন্দুকে আইনি পথেই তার ব্যাখা দিতে হবে যা খুবই কঠিন। কেনা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে হাইকোর্টের সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। শুভেন্দু যদি দাবিও করেন যে তাঁর পক্ষের সাক্ষীদের প্রভাবিত করা হতে পারে সেক্ষেত্রেও প্রশ্ন উঠবে সেখানে হাইকোর্টের প্রতি অনাস্থা আসছে কী করে। আর শুভেন্দুর জবাব যদি আদালতের পছন্দ না হয় বা যুক্তিগ্রাহ্য না হয় তাহলে মূল মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টে চালিয়ে নিয়ে যেতে আর কোনও অসুবিধা হবে না।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর