কোথায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় যশ! জানাল হাওয়া অফিস - Bangla Hunt

কোথায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় যশ! জানাল হাওয়া অফিস

By Bangla Hunt Desk - May 22, 2021

বাংলা হান্ট ডেক্সঃ গতবছর আমফানের স্মৃতি এখনো দগদগে ঘায়ের মত। এর মধ্যে আবার সাগরে জন্ম নিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas)। পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর আন্দামান সাগরের উপর চোখ রাঙাচ্ছে সাইক্লোন। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মিলে গিয়ে শনিবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার ২৩ মে সকালে সেটি আরও শক্তি সঞ্চয় করবে। সোমবার বেশি শক্তি সঞ্চয় করে সেই নিম্নচাপ উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এ। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি আরও উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকবে ও আরও তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এরপর ২৬ মে বুধবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়বে।

আরো পড়ুন- বাড়ল উদ্বেগ, রাজ্যে Black Fungus-এ আক্রান্ত বেড়ে হল ১০

আলিপুর আবহাওয়া দফতর শনিবার জানিয়েছে, কোথায় আছড়ে পড়বে এখনও অস্পষ্ট। তবে পশ্চিমবঙ্গেই ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২৬ মে সন্ধ্যার দিকে ‘যশ’ পশ্চিমবঙ্গ, সংলগ্ন উত্তর ওড়িশা এবং বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে।

‘যশ’-এর প্রভাবে সোমবার থেকেই রাজ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে। ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ২৫ তারিখ থেকে শুরু হবে বৃষ্টি। ২৬ তারিখ থেকে শুরু হবে ভারী বৃষ্টি। ২৫ তারিখ ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে বইতে পারে হাওয়া।

ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতিতে কিভাবে মোকাবিলা করা হবে তার স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন ।

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তৈরি রাখা হয়েছে । জেলা এবং ব্লক স্তরের কন্ট্রোল রুমকে ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় রাখতে বলা হয়েছে । সেচ, কৃষি, মৎস্য, খাদ্য, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখবে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কোন এলাকায় যদি টেলিকম সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তা দ্রুত সারিয়ে ফেলার জন্য টেলিকম সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে সব এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেই সব এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হচ্ছে । স্থানীয় স্কুল-কলেজে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। ত্রাণ শিবিরে চিঁড়ে-গুড় জাতীয় শুকনো খাবার, প্যাকেট-জল, ত্রিপলের মতো ত্রাণসামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে ।

পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া গভীর সমুদ্রে কেউ আছেন কি না, তা জানতে আকাশপথে নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে। এবং যারা গিয়েছেন তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর