'চিন্তার কোন কারণ নেই, আমরাই ঘর তৈরি করে দেবো, বাগবাজার অগ্নিকাণ্ড পরিদর্শন করে আশ্বাস মমতার - Bangla Hunt

‘চিন্তার কোন কারণ নেই, আমরাই ঘর তৈরি করে দেবো, বাগবাজার অগ্নিকাণ্ড পরিদর্শন করে আশ্বাস মমতার

By Bangla Hunt Desk - January 14, 2021

বাংলা হান্ট ডেস্ক; বুধবার ভরসন্ধ্যায় বিধ্বংসী আগুনের জেরে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বাগবাজারের হাজারহাত বস্তি। ১৫০টি ঝুপড়ির মোট ৭০০ মানুষ ঘরহারা হয়েছেন। আগুনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বাগবাজারের সারদা মায়ের বাড়ি লাগোয়া স্বামী বিবেকানন্দের হাতে শুরু হওয়া উদ্বোধন পত্রিকার অফিসও। আজ সকালে বাগবাজারের ভস্মীভূত এলাকায় তদারকিতে যান শশী পাঁজা। এরপরই সাড়ে ১২টা নাগাদ বাগবাজারে পরিদর্শনে আসেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে জানান, চিন্তার কারণ নেই। বাসিন্দারের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করবে সরকারই।

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, যত শীঘ্র সম্ভব আগের অবস্থায় বাসিন্দাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার হবে। আজকাল দু দিনের মধ্যে এলাকা পরিষ্কার করার জন্য পৌরসভাকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, চিন্তার কোন কারণ নেই, অবিলম্বে বাসিন্দাদের জন্য ৫ কেজি চাল, এছাড়াও ডাল, আলু, বিস্কুট দেওয়া হবে। সকলের জন্য জামাকাপড়, কম্বল দেওয়া হবে। এই দায়িত্ব তিনি বর্তেছেন ফিরহাদ হাকিম এবং শশী পাঁজাকে। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের জন্য যতদিন ঘর তৈরি না হচ্ছে, ততদিন বাগবাজার উইমেন্স কলেজে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধেতে আগুন লাগার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই দমকল এবং পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের একাংশের বচসা বেঁধে যায়। উত্তেজিত জনতার সঙ্গে হয় ধস্তাধস্তিও। আগুনের লেলিহান শিখার মধ্যেই পরপর সিলিন্ডার ফাটার শব্দ পাওয়া যায়। রাত পর্যন্ত দমকলের ২৭টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজে লাগানো হয়। ঘটনার জেরে গিরিশ পার্ক-সেন্ট্রাল পার্ক রুটে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচলও। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, খবর দেওয়ার আধ ঘণ্টা পরে এসে পৌঁছেছে দমকল। যদিও দমকলের দাবি, খবর পাওয়ার সঙ্গে-সঙ্গেই ঘটনাস্থলে গাড়ি গিয়েছে। দমকল দেরিতে আসার অভিযোগে কর্মীদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। ভাঙচুর করা হয় গাড়িতে। দমকলকর্মীদের বক্তব্য, যেহেতু সন্ধ্যা থেকে হাওয়া বইছিল, সেই সঙ্গে ঘিঞ্জি বস্তিতে(অধিকাংশ বাড়িই কাঠ, প্লাস্টিকের তৈরি) থাকা গ্যাস সিলিন্ডার ফাটার জেরেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ঠিক কী কারণে আগুন, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। আগুন লাগার খবর পেয়ে গঙ্গাসাগর থেকে গতকাল রাতেই পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঘটনাস্থলে পৌঁছন। যান উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিন প্রথমে যান শশী পাঁজা। তারপর যান মুখ্যমন্ত্রী।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর