Sanjay Raut: টানা ৯ ঘণ্টা জেরারা পর শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতকে আটক করল ইডি - Bangla Hunt

Sanjay Raut: টানা ৯ ঘণ্টা জেরারা পর শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতকে আটক করল ইডি

By Bangla Hunt Desk - July 31, 2022

মুম্বই : শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতকে (Sanjay Raut) আটক করল ইডি (Enforcement Directorate)। টানা ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর জমি-দুর্নীতি মামলায় উদ্ধব-ঘনিষ্ঠকে সঞ্জয় রাউতকে আটক করে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা।
শিবসেনা নেতার বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে, তার তদন্ত করছে ইডি। এই মামলায় তাঁকে একাধিকবার ইডি দফতরে তলবও করা হয়েছিল। প্রথমবার হাজিরা দিলেও, এরপর দুবার তাঁকে হাজিরার জন্য সমন পাঠানো হলেও, তিনি তা এড়িয়ে যান। এরপরই আজ সকালে তাঁর বাড়িতে হাজির হন ইডি আধিকারিকেরা। ঘটনার প্রতিবাদে সঞ্জয় রাউতের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ অনুগামীদের।

কী অভিযোগ সঞ্জয় রাউতের বিরুদ্ধে ?

শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। এই মামলায় ইডি একাধিকবার তাঁকে তলবও করেছে। তবে প্রথমবার হাজিরা দিলেও পরের দুইবার তলবে তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। আর্থিক বেনিয়ম এবং দুর্নীতির মামলাতেই ১ জুলাই সঞ্জয় রাউত-কে ১০ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছল ইডি। কিন্তু এরপরে ফের ২০ জুলাই তাঁকে তলব করা হলে, ইডি-কে সঞ্জয় রাউতের আইনজীবী জানান, সংসদ অধিবেশন চলায় ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। ৭ অগাস্টের পরেই হাজিরা দিতে পারবেন বলে জানান রাউতের আইনজীবী। এরপরেই আজ সাতসকালে সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে উপস্থিত হন ইডি অধিকারিকরা। এদিকে সঞ্জয় রাউতের বাড়ি সামনে উপস্থিত হন তাঁর অনুগামীরা।

আরো পড়ুন- Jharkhand Congress: বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র! সোনিয়ার নির্দেশে সাসপেন্ড ঝাড়খণ্ডের ৩ কং বিধায়ক

এদিন সকালেই সিআরপিএফ জওয়ানদের নিয়ে মুম্বইয়ে সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে যান ইডি আধিকারিকরা। পুরো প্রস্তুতি নিয়ে আসেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে মুম্বইয়ের একটি হাউজিং কমপ্লেক্সে বিপুল অর্থ তছরুপের অভিযোগ ওঠে রাউতের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে তাঁর সহকারী প্রবীণ রাউতের বিরুদ্ধে। ওই মামলাতেই নাম জড়িয়ে পড়ে শিবসেনা সাংসদের। এর আগে সঞ্জয় রাউতের স্ত্রী বর্ষা রাউতকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর আজ আটক করা হল সঞ্জন রাউতকে। এদিকে এই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অনেকে রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন।

এপ্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “যেমন পশ্চিমবঙ্গে সিআইডি-কে দেখেছি, তেমনই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে রাজনৈতিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, এব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। অপরাধীরা অনেক সময় ফাঁক পেয়ে যাচ্ছে, অথচ অপরাধী নয় এমন অনেককে নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কাউকে নেব, কাউকে নেব না-এর মধ্যে যে রাজনৈতিক চাল আছে, সেটা মহারাষ্ট্রের মানুষ ভাল বুঝতে পারছেন।”

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর