বঞ্চনার অভিযোগ! অর্জুনের পরে ‘বেসুরো’ বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ - Bangla Hunt

বঞ্চনার অভিযোগ! অর্জুনের পরে ‘বেসুরো’ বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ

By Bangla Hunt Desk - May 23, 2022

অর্জুন সিংয়ের দল বদলের পরদিনই দলীয় লাইন ভেঙে ‘বেসুরো’ বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এর আগেও তিনি আলাদা রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছিলেন। ফের জঙ্গলমহলকে নিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সোমবার তিনি ফের বঞ্চনার প্রসঙ্গ তুলে সরব হয়েছেন।

আরো পড়ুন- Covid 4th Wave: মাথা ব্যাথা, জ্বর কি করোনার লক্ষন? জানুন চতুর্থ ঢেউয়ের আগে

কী বলেছেন সৌমিত্র?

সাংসদের প্রশ্ন, কেন পৃথক রাজ্যের দাবি করা হবে না? সৌমিত্র বলেছেন, ‘আপনাদের সঙ্গে আমরা পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসাবে নিশ্চয় থাকব। কিন্তু রাঢ়ভূমের উন্নয়নের জন্য কী পাচ্ছি? বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, আসানসোল এই জায়গাগুলোকে কলকাতার বাবুদের কাছে রাখার কোনও মানে হয় না। এই জেলাগুলোকে নিয়ে আলাদা করে চিন্তা করলে খুব ভাল হয়। উত্তরবঙ্গ যেমন ভাবতে শুরু করেছে। তেমনই জঙ্গলমহল রাজ্য আমরা কেন চাইব না?’ নিজের তোলা প্রশ্নের জবাবে সাংসদ বলেছেন, ‘আমরা নেতা কেনাবেচা দেখছি। দামোদরের চরের বালি দিয়ে নেতাবাবুদের বাড়ি তৈরি হবে আর আমার নদীর চরের মানুষরা খেতে পাবে না? আমরা বাঁচতে চাই। তাহলে পৃথক রাজ্যের দাবি তোলায় অন্যায় কোথায়?’

সৌমিত্র খাঁয়ের অভিযোগ, ‘রাঢ় বাংলার সম্পত্তি নিয়ে কলকাতা চলছে। গ্রামবাংলায় যুবকরা চাকরি পাচ্ছেন না। নদীর চরের বালি গরিব মানুষ ব্যবহার করতে পারছেন না। সেটা ব্যবহার করছে কলকাতা। বীরভূমের কয়লাখাদানের অর্থ তুলে নিয়ে যাবে কলকাতা। গ্রামবাংলার কোনও কাজ হচ্ছে না।’

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, কাজের সুবিধায় বাংলায় বাড়বে জেলার সংখ্যা। রাজ্যে জেলার সংখ্যা বেড়ে হতে পারে সর্বাধিক ৪৬টি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই দাবিকে হাতিয়ার করে এ দিন সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ৪৬টি জেলা করতে পারেন, তা হলে আমিও পৃথক জঙ্গলমহল রাজ্যের জন্য কেন্দ্রের কাছে দরবার করব।’

বাংলা ভেঙে উত্তরবঙ্গ হোক বা আলাদা জঙ্গলমহল রাজ্য চাইছেন বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা। মুখর শাসক দল তৃণমূল। সমালোচনা করেছে বাম-কংগ্রেসও। রাজ্যভাগের কথা উঠলেই বিজেপির তরফে বলা হয়েছে যে, তারা অখণ্ড পশ্চিমবঙ্গের পক্ষেই। অর্থাৎ বাংলা ভাগ চায় না গেরুয়া দল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অর্জুন সিংয়ের দল বদলের পরদিনই দলীয় লাইন ভেঙে ‘বেসুরো’ বিষ্ণুপুরের সাংসদ।

সৌমিত্র খাঁর পৃথক রাজ্যের দাবি প্রসঙ্গে তৃণমূলের তাপস রায় বলেছেন, ‘বাজার গরমের চেষ্টা করছে ওরা। এসব বলতে বলতেই আবার না তৃণমূলে চলে আসে।’ সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ‘বঞ্চনার বিরুদ্ধে আন্দোলন হোক। কিন্তু ভাগাভাগির রাজনীতি আসলে বাংলাকে ভেঙে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা। আরএসএস, বিজেপি এটাই চায়। সৌমিত্র খাঁ তাদের মুখপাত্র হয়ে কাজ করেছে।’

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর