১৩০ তম প্রয়াণ দিবসে বেশ কয়েক ঘন্টা ব্রাত্য থাকলেন ধারাপাতের জনক - Bangla Hunt

১৩০ তম প্রয়াণ দিবসে বেশ কয়েক ঘন্টা ব্রাত্য থাকলেন ধারাপাতের জনক

By Bangla Hunt Desk - July 29, 2020

বালুরঘাট, ২৯ জুলাই ; আজ নবজাগরণের অন্যতম পুরোধা পুরুষ ও পার্থিব মানবাতাবাদের পথিকৃৎ পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ১৩০ তম প্রয়াণ দিবস। দক্ষিন দিনাজপুর প্রাথমিক সংসদের অফিসের বিদ্যাসাগরের মুর্তিতে মৃত্যু দিনে বেশ কয়েক ঘন্টা ব্রাত্য থাকলেন ধারাপাতের জনক। বিদ্যাসাগরের মুর্তি তে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য দেখা মিললনা স্কুল পরিদর্শক থেকে সংসদ অফিসের কোন কর্মীকে। দীর্ঘক্ষন পর তৃনমুলের গুটি কয়েক নেতার বিষয়টি চোখে পড়ায় শেষ মেষ ডাক পড়লো তৃনমুলের নেতৃত্বের। খবর পেয়ে ছুটে এলেন জেলা তৃনমুলের চেয়ারম্যান শংকর চক্রবর্তী।তিনি এসে বিদ্যাসাগরের মুর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান। এদিকে পরে খবর পেয়ে বাড়ি থেকে ঘটনাস্থলে আসেন জেলা স্কুল পরিদর্শক নারায়ন চন্দ্র পাল। সকাল গড়িয়ে বিকেল হওয়ার মুখে অবশেষে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে তিনি ইশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের মুর্তিতে মাল্য দান করে তার প্রতি শ্রদ্ধা অর্পন করেন। কেন এই অবহেলা তা নিয়ে জেলা জুড়ে বিতর্ক চরমে।

এদিকে বিদ্যাসাগর বিতর্ক যেন কিছুতেই বিতর্ক ছাড়ছে না , গতবছর বিদ্যাসাগরের মুর্তি ভাঙা নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য। তারপরে বিদ্যাসাগর নিয়ে নেওয়া হয় একাধীক কর্মসুচি। কিন্তু ফের ছন্দপতন। মৃত্যুদিনে দক্ষিন দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিস চত্বরে বেশ কিছুক্ষন ব্রাত্যই হয়ে থাকলেন বিদ্যাসাগর।

যদিও পরে ভুল স্বীকার করে জেলা প্রাথমিক স্কুল বোর্ডের জেলা পরিদর্শকের সাফাই মুর্তিতে মালা অর্পন করে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তিনি অন্য একজনের উপর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু কেন তিনি আসেন নি তা তিনি জানেন না।

অপরদিকে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শংকর চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সমাজ সচেতনতায় বিদ্যাসাগরের অবিস্মরণীয় সংগ্রাম কখনো ভোলার নয়। সমাজের জন্য প্রচুর কাজ করে গেছেন তিনি। তার প্রয়াণ দিবসে তৃণমূলের তরফে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর