হরিশ্চন্দ্রপুরে দাপুটে যুবনেতা বুলবুল খানের হাতধরে বিভিন্ন দল থেকে ৭০০ জন যোগ দিলো তৃণমূলে - Bangla Hunt

হরিশ্চন্দ্রপুরে দাপুটে যুবনেতা বুলবুল খানের হাতধরে বিভিন্ন দল থেকে ৭০০ জন যোগ দিলো তৃণমূলে

By Bangla Hunt Desk - September 10, 2020

মালদা;১০সেপ্টেম্বর : সামনে একুশের বিধানসভা ভোট। প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সব রাজনৈতিক দলই। প্রধানত রাজ্যের দুই যুযুধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল এবং বিজেপি কোমর কষে ময়দানে নেমে পড়েছে।সকলেই তাদের সংগঠন মজবুত এর ওপর জোর দিয়েছে।সেই লক্ষ্যে চলছে যোগ দান কর্মসূচী। রাজ্য জুড়ে চলছে দলবদল এর পালা। এরইমধ্যে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর দাপুটে তৃণমূল যুব নেতা বুলবুল খান এর উপস্থিতিতে মশাল দহ বাজারে প্রায় 700 জন তৃণমূলে যোগদান করলেন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই বিজেপি কর্মী। কংগ্রেস এবং সিপিএম আরো কয়েকজন রয়েছেন। এমনটাই দাবি করছে তৃণমূল।

উল্লেখ্য,মশাল দহ বাজারে কিছুদিন আগেই উত্তর মালদহের সংসদ খগেন মুর্মুর উপস্থিতিতে প্রায় হাজার জন বিজেপিতে যোগদান করেন। বিজেপির দাবি ছিল এরা সকলেই তৃণমূলের। তারপরেই গ্রীন কারি পাল্টা যোগ দান কর্মসূচী করল তৃণমূল। এদিনের এই যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস এবং হরিশ্চন্দ্রপুরের দাপুটে যুবনেতা বুলবুল খান। বুলবুল খান এর অনুপ্রেরণায় মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়ন যজ্ঞে শামিল হতে স্থানীয় প্রধান মনিরুল ইসলাম এর সহযোগিতায় প্রায় 700 থেকে 800 জন এই দিন তৃনমূলে যোগদান করলেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন প্রসেনজিৎ দাস এবং বুলবুল খান।

এই প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুরের যুব তৃণমূল নেতা বুলবুল খান বলেন,”রাজ্যজুড়ে মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের ফলে তৃণমূলের ঝড় চলছে।তাই চারিদিক থেকে মানুষ তৃণমূলে যোগদান করছে। আজ যারা যোগদান করলেন তাদের বেশিরভাগই বিজেপির।একজন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির হয়ে লড়েছিলেন।কংগ্রেস এবং সিপিএম আরো অনেকেই রয়েছে।এদের মধ্যে কয়েকজন বুথ প্রেসিডেন্ট রয়েছেন।”সাথেই তিনি বলেন,”সেদিন যারা বিজেপিতে যোগদান করেছে।তারা কেউই তৃণমূলের না।বিজেপির পক্ষ থেকে এটা মিথ্যা দাবি করা হচ্ছে।”একুশের ভোটে হরিশ্চন্দ্রপুর তথা সারা রাজ্যেই তৃণমূল খুব ভালো ফল করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।পঞ্চায়েত স্তরে দুর্নীতি এবং কাটমানি নিয়েও তিনি মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন,”আমাদের নেত্রী উন্নয়ন করছে।তাই দলের কেউ যদি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে দলের নাম খারাপ করে,তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।দুর্নীতির সঙ্গে কোনো রকম আপস করা হবে না।”

এদিকে এই যোগদান প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া কটাক্ষ করে বলেন,”হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভায় বিজেপির কেউই তৃণমূলে যোগদান করছে না।চারিদিকে তৃণমূল থেকে মানুষ বিজেপিতে আসছে।ওদের নিজেদের অনেকগুলি গোষ্ঠী আছে।এই গোষ্ঠীর লোক ঐ গোষ্ঠীকে জয়ন করিয়ে,বিজেপি কর্মী যোগদান করছে বলে দাবি করছে। পুরোটাই মিথ্যে।”

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর