লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমন, পুরভোট পিছনো যায় কি? ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনকে জানানোর নির্দেশ কোর্টের - Bangla Hunt

লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমন, পুরভোট পিছনো যায় কি? ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনকে জানানোর নির্দেশ কোর্টের

By Bangla Hunt Desk - January 14, 2022

লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমন। এরই মধ্যে চলছে গঙ্গাসাগর। পজিটিভ রেটও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। তাই ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পুরভোট পিছনো যায় কি? তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে বলল হাইকোর্ট। কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিল আদালত।

আরো পড়ুন- রেকর্ড বৃদ্ধি! দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দু লক্ষ ষাট হাজার পার

কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মাথায় রাখতে হবে। এই সময়ে ভোট হলে তা কি মানুষের স্বার্থে হবে? সেই ভোট কি অবাধ ও সুষ্ঠু হবে? সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দুটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ভোট পিছনোর ক্ষমতা আছে নির্বাচন কমিশনের’।

এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চিকিৎসক কুণাল সরকার জানিয়েছেন, “এমনিতেই গঙ্গাসাগর নিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে বসে আছি। আগুনের সামনে বসে। ৪৮ ঘণ্টা নয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে যায়।” তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “হাইকোর্ট যা নির্দেশ দেবে তা মানতে হবে। তবে সব জায়গায় তো ভোট হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, মামলাকারীর তরফে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য প্রথম থেকেই সওয়াল করেছিলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো প্রচার করছেন প্রচুর মানুষ নিয়ে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এত লোক জড়ো হলে করোনা আরও বাড়বে। এত কিছু ব্যবস্থার পরেও প্রচুর লোক একত্রে জড়ো হচ্ছে।” এই বিষয়টি এদিন আদালতে তুলে ধরেন তিনি।

তাঁর বক্তব্য, “ভোটকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে না। এক্ট্রাঅডিনারি পরিস্থিতি। নমিনেশন দিতে গিয়েও ভিড় দেখা যাচ্ছে। যদি এই অবস্থায় কমিশন বন্ধ না করে, কোর্টের উচিত নির্বাচন বন্ধ করা।”

কিন্তু বৃহস্পতিবার গোটা শুনানি পর্বে প্রথম থেকেই রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে চলে দায় এড়ানোর চেষ্টা। কে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার ? তা নিয়েই চলে টানাপোড়েন। কমিশনের পক্ষ থেকে আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র এরপর আদালতে জানান, ভোটের দিন ঠিক করে ফেলেছে রাজ্য সরকার। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব প্রশ্ন করেন, “কমিশন কী ভাবছে এই পরিস্থিতিতে কি করা উচিত?” উত্তরে কমিশনের আইনজীবী বলেন, “এক্ষেত্রেও রাজ্যের সঙ্গে কথা বলতে হবে।”

কমিশন যখন আদালততে একথা জানাচ্ছেন, তখন রাজ্যের তরফে আইনজীবী সম্রাট সেন বলেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে দিন ঘোষণা করেছে। রাজ্য তাদের মতামত জানায়। যদি ভোট পিছতে হয় তাহলে কমিশনের একমাত্র দায়িত্ব আইন প্রয়োগ করে তারা সেটা করতে পারে।” এই পরিস্থিতি সমাধান সূত্র অধরাই থেকে গিয়েছিল। রায়দান স্থগিত রেখেছিল আদালত।

এদিনের আদালতের নির্দেশ প্রসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “আদালত অত্যন্ত সাংবিধানিকভাবে ও সঙ্গতকারণে এই নির্দেশ দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন একটা স্বাধীন সংস্থা। তাকে স্বাধীনভাবে বিচারবিবেচনা করতে হবে। সরকারের মুখাপেক্ষী না হয়ে। আদালত নিজে থেকে স্থগিতাদেশ দেয়নি। আমার মনে হয় আদালত স্বতন্ত্র কোনও প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। ”

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর