লক্ষ্মীর ভান্ডার ভোট লক্ষ্মী হওয়ায় নির্বাচনী প্রচারে পথের কাঁটা হয়েছে কংগ্রেসের - Bangla Hunt

লক্ষ্মীর ভান্ডার ভোট লক্ষ্মী হওয়ায় নির্বাচনী প্রচারে পথের কাঁটা হয়েছে কংগ্রেসের

By Bangla Hunt Desk - April 06, 2024

রাজেন্দ্র নাথ দত্ত :মুর্শিদাবাদ : গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে স্বস্তিতে নেই কংগ্রেস। বহরমপুরের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রেই একুশের নির্বাচনে ভোটের নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও অধিকাংশ জায়গায় কংগ্রেসের শক্তিক্ষয় হয়েছে। ফলে পাঁচ বারের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর জন্য এবারের লড়াইয়ের ময়দান বেশ কঠিন বলেই মনে করেছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল বিশ্বকাপজয়ী দলের তারকা ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করার পরে লড়াই আরও জমে উঠেছে। বিজেপি বহরমপুর শহরের খ্যাতনামা চিকিৎসক নির্মল সাহাকে টিকিট দিয়ে বাজিমাত করতে চাইছে।

গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর কাছে প্রায় ৮০ হাজার ভোটে হেরেছিলেন তৃণমূলের অপূর্ব সরকার। অধীরবাবু পেয়েছিলেন ৫ লক্ষ ৯১ হাজারের বেশি ভোট। অপূর্ববাবুর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫ লক্ষ ১০ হাজারের বেশি। বিজেপির প্রার্থী কৃষ্ণ জোয়ারদারের প্রাপ্ত ভোট ছিল ১ লক্ষ ৪৩ হাজার। নোটায় ভোট পড়েছিল ১৪ হাজারেরও বেশি। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বদলে যায় ছবিটা। সাতটি বিধানসভা আসনেই তৃণমূলের সঙ্গে মূলত লড়াই হয় বিজেপির। কংগ্রেস লড়াই শেষ করে তৃতীয় স্থানে। বহরমপুর বিধানসভায় বিজেপির সুব্রত মৈত্র পান ৮৯হাজার ৩৪০ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তৃণমূল পায় ৬২হাজার ৪৮৮ এবং কংগ্রেস পায় ৪০হাজার ১৬৭ভোট। বড়ঞা বিধানসভায় তৃণমূলের জীবনকৃষ্ণ সাহা পান ৮১হাজার ৮৯০ ভোট। কংগ্রেসের শিলাদিত্য হালদার ১২হাজার ২৬০ভোট পেয়ে ছিলেন তৃতীয় স্থানে। কান্দি বিধানসভায় তৃণমূলের অপূর্ব সরকার পান ৯৫হাজার ৩৯৯ ভোট। সেখানেও তৃতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেসের সফিউল আলমের প্রাপ্ত ভোট ২৭হাজার ৫৫৫। ভরতপুর বিধানসভায় তৃণমূলের হুমায়ুন কবীর ৯৬হাজার ২২৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। ৩০ হাজার ১১৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে শেষ করেন কংগ্রেসের কমলেশ চট্টোপাধ্যায়(গোপাল)। রেজিনগরে তৃণমূলের রবিউল আলম চৌধুরীর ভোট ছিল ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৯৪। বিজেপির অরবিন্দ বিশ্বাস ৫০ হাজার ২২৬ ও কংগ্রেসের কাফিরউদ্দিন শেখের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৭হাজার ২৮২টি। বেলডাঙা বিধানসভায় তৃণমূলের হাসানুজ্জামান শেখ ১ লক্ষ ১২ হাজার ৮৬২ ভোট পেয়েছিলেন। এখানেই কংগ্রেসের সফিউজ্জামান শেখ ২৬ হাজার ৯৪৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। নওদায় তৃণমূলের সাহিনা মমতাজ পান ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৬৮৪ভোট। বিজেপির অনুপম মণ্ডল ৪৩ হাজার ৫৩১ভোট পেয়েছিলেন। কংগ্রেসের মোশাররফ হোসেন ৩১ হাজার ৫৮৮ ভোট পেয়ে এখানেও তৃতীয় ছিলেন। কংগ্রেসের দাবি, ভোট লুট করেছিল তৃণমূল। তবে লোকসভা নিয়ে আশাবাদী অধীরবাবু। তিনি বলেন, এবার বুথ যাতে লুট না হয়, তা নিশ্চিত করব। নির্বাচন কমিশনের সেই প্রতিশ্রুতি এবারও আদায় করেছি।লক্ষীর ভান্ডার নির্বাচনী প্রচারের পথে মহিলাদের কাছে পৌঁছতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কংগ্রেসের কাছে ।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর