লকডাউনে ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার সময় সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের - Bangla Hunt

লকডাউনে ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার সময় সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের

By Bangla Hunt Desk - April 23, 2020

বালুরঘাট ২৩ এপ্রিল ; আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলার পর এবার আরেক বিজেপির বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে ত্রান নিয়ে হিলি যাওয়ার সময় আটকে দিল পুলিশ। রীতিমত ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের হিলি – বালুরঘাটের রাস্তার উপর শহর থেকে বেড়নোর মুখে পুলিশ তাদের গার্ডওয়াল রেলিং দিয়ে ব্যারিকেড করে সাংসদের ত্রান নিয়ে যাওয়ার পথ আটকে দেয়। স্বাভাবতই এই নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকার মানুষের মধ্যে। সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ পুলিশ তৃনমুলের নয়া সাংসদ অর্পিতা ঘোষের ত্রান বিলিতে বাধা দিচ্ছেনা অথচ আমি বিজেপির সাংসদ বলে লকডাউনের সময় অসহায় মানুষের পাশে এলাকার জনপ্রতিনিধিকে দাড়াতে বাধা দিচ্ছে।

এই নিয়ে টান টান উত্তেজনা বালুরঘাট শহরের বি এড কলেজের সামনে হিলি বালুরঘাট জাতীয় সড়কে। সাংসদ এখনও সেখানে হিলিতে ত্রান নিয়ে যাওয়ার দাবিতে দাঁড়িয়ে থাকায় উত্তেজনা চরমে।

যদিও জেলা পুলিশের ডি এস পি (সদর) ধীমান মিত্র জানিয়েছেন আমাদের কাছে বর্তমানে করোনা সংক্রান্ত যে আইন চালু আছে তাতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য,মেডিক্যাল ও অন্যান্য জরুরী পরিষেবা ছাড়া এভাবে কাউকে যাতায়াত করতে দেওয়ার উপর বিধি নিষেধ করার কথা বলা হয়েছে। আমরা সেই অনুসারে আমরা কাজ করেছি। কে কি আগে করেছে বা করছে সে বিষয়ে তার কিছু জানা নেই বলে ডিএস পি সদর জানান।

অপরদিকে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী নিজে ত্রান দিতে পারছে না, আবার জনপ্রতিনিধিদের দিয়েও ত্রান পৌছে দিতে দেবেন না। গত কাল আমরা টিভিতে না খেয়ে থাকতে পারা লোকদের দেখেছি৷ পুলিশ তাদের উপর লাঠি চালিয়েছে। অথচ খেতে দিতে পারছেনা মুখ্যমন্ত্রী। তার আরও অভিযোগ, আমাকে আটকাতে এত পুলিশ এখানে রেখেছে মুখ্যমন্ত্রী। এই পুলিশকেই যদি উনি রেশন দোকান গুলিতে রাখতেন তাহলে রেশন লুট করার কেউ সাহস পেত না। আমি আমাকে আটকানোর জন্য পুলিশের কাছে অর্ডারের কাগজ দেখতে চাইলে পুলিশ তা দেখাচ্ছে না। এমনকি রাজ্যপাল পর্যন্ত ফোন করেছে তবু পুলিশ ছাড়তে নারাজ বলে তার অভিযোগ।

এই রেশ কাটতে না কাটতেই পুলিশের সামনেই একদল স্থানীয় মহিলা চলে আসেন। তারা পুলিশের সামনেই সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তাদের দাবি সাংসদ রাজনীতি করতে এসেছেন। অবিলম্বে তাকে ফেরত পাঠানো হোক। বেশ কিছুক্ষন ধরে সাংসদকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানোর পর পুলিশকে তৎতপর হতে দেখা যায়। পুলিশ এসে তাদের কোনরকমে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়।

সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সাংসদ ঠায় এই প্রতিবেদন পাঠানোর সময় বিকেল পনে তিনটে অবদ্ধি ওই হিলি বালুরঘাট ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বসে রয়েছে। তার দাবি তাকে ত্রান নিয়ে হিলিতে যেতে দিতে হবে। তিনি এলাকার একজন জনপ্রতিনিধি, তার কর্তব্য তার এলাকার অভুক্ত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে তাদের হাতে খাবার তুলে দেবার। তা না করে তিনি ফিরতে নারাজ।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর