ঘটাকরে নির্মল ঘোষিত হয়েছে গোটা জেলা! বাস্তবে ভিন্ন ছবি, সকাল হলেই লোটা হাতে দৌড়াচ্ছেন গ্রামবাসীরা - Bangla Hunt

ঘটাকরে নির্মল ঘোষিত হয়েছে গোটা জেলা! বাস্তবে ভিন্ন ছবি, সকাল হলেই লোটা হাতে দৌড়াচ্ছেন গ্রামবাসীরা

By Bangla Hunt Desk - July 07, 2022

মালদাঃ খাতায়-কলমে এলাকার সমস্ত বাড়িতে তৈরি হয়ে গিয়েছে পাকা শৌচাগার ৷ কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন ভোর হলেই হাতে জলের পাত্র নিয়ে জঙ্গলে কিংবা খোলা মাঠে দৌড়াচ্ছেন গ্রামবাসীরা । স্বচ্ছ ভারত মিশন কিংবা নির্মল বাংলা অভিযান, প্রকল্প যাই হোক না কেন, পুরাতন মালদা ব্লকের যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রকৃত ছবি এটাই। বিষয়টি স্বীকার করেছেন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান । তবে মুখে কুলুপ বিডিওর ।

আরো পড়ুন- পরীক্ষা চলাকালীন তারস্বরে মাইক বাজিয়ে শ্যামাপ্রসাদের জন্মদিন পালন বিজেপির

দেশের প্রতিটি বাড়িতে পাকা শৌচাগার নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রকল্প চালু করে । পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই প্রকল্পের নামকরণ করে নির্মল বাংলা অভিযান । লক্ষ্য একই । প্রতিটি ঘরে যেন শৌচাগারের ব্যবস্থা হয় । প্রতিটি শৌচাগারের জন্য বরাদ্দ হয় 10 হাজার টাকা । এর মধ্যে 900 টাকা প্রত্যেক উপভোক্তাকে দিতে হয়েছে । বাকি টাকা দিয়েছে সরকার । গোটা রাজ্যের সঙ্গে সেই কাজ শুরু হয় মালদা জেলাতেও ।

2019 সালের 21 নভেম্বর রীতিমতো ঘটাকরে জেলা প্রশাসন মালদা জেলাকে নির্মল ঘোষণা করে । অর্থাৎ প্রশাসন জানিয়ে দেয়, জেলার প্রতিটি বাড়িতে পাকা শৌচাগার তৈরি হয়ে গিয়েছে । কিন্তু বাস্তবে যে কী হয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলিয়া, গুংরা-সহ একাধিক গ্রামের হাল দেখে । সকাল হলেই প্রাকৃতিক কাজ সারতে এসব গ্রামের বহু মানুষ এখনও লোটা হাতে মাঠ কিংবা জঙ্গলে দৌড়োচ্ছেন । কারণ, তাঁদের বাড়িতে এখনও শৌচাগার নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি ।

এই বিষয়ে যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নূর হক বলেন, “এনিয়ে আমাকে অনেক পঞ্চায়েত সদস্য অভিযোগ জানিয়েছেন । এই কাজ সরাসরি ব্লক প্রশাসন করেছে । আমি ব্লক প্রশাসনকে আগেই বিষয়টি জানিয়েছি । তাঁদের কোনও পদক্ষেপ দেখতে পাইনি ।” যদিও বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি পুরাতন মালদার বিডিও ইরফান হাবিব ।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর