কোনও শারীরিক সমস্যা নেই, অনুব্রতকে নিয়ে আজই দিল্লি রওনা হচ্ছে ইডি! - Bangla Hunt

কোনও শারীরিক সমস্যা নেই, অনুব্রতকে নিয়ে আজই দিল্লি রওনা হচ্ছে ইডি!

By Bangla Hunt Desk - March 07, 2023

কোনও শারীরিক সমস্যা নেই। গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র কার্যত মিলে গেল জোকা ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে। ঘণ্টা দুয়েক ধরে তাঁকে খুঁটিনাটি পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দিলেন, কোনও শারীরিক সমস্যা নেই অনুব্রত মণ্ডলের। এরপরই হাসপাতাল থেকে বের করা হয় তাঁকে। পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। সেখান থেকে দিল্লি যাওয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ চলবে বলে ইডি (ED) সূত্রে খবর।

আরো পড়ুন- ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার শাখা তৈরি হবে কলকাতায়, মার্চেই শহরে মউ স্বাক্ষর জানাল মমতা

কিন্তু, যদি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে দেরি হয় সেক্ষেত্রে এদিন রাত তাঁকে ED-র সদর দফতরেই কাটাতে হবে বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডকে ১৪ দিন হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানাতে পারে ED। জোকা ESI হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা হাসপাতালকে।

মঙ্গলবার সাতসকালে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। এরপর জোকা ESI হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের তরফে ‘ফিট সার্টিফিকেট’ নেওয়ার পরেই তাঁকে ED-র হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। বিশেষ বিমানে করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে।

গত বছর অগাস্ট মাসে গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। এরপর থেকে আসানসোল সংশোধনাগারেই ঠাঁই হয়েছিল তাঁর। কিন্তু, গত বৃহস্পতিবার তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অনুমতি দেয় আসানসোল আদালত। যদিও সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। যদিও তাঁর আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। শনিবার এই মামলা হাইকোর্টে ওঠে। সেখানে সুরক্ষাকবচ দেওয়া হয়নি অনুব্রতকে। বরং তথ্য গোপন করে মামলা করার জন্য জরিমানা করা হয় তাঁকে।

এদিন কলকাতায় নিয়ে আসার পথে অনুব্রত মণ্ডলকে শক্তিগড়ে একটি খাবারের দোকানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে লুচি এবং আলুর তরকারি খাওয়ার সময় তিন রহস্যজনক ব্যক্তিকে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে যে তথ্য সামনে উঠে আসছে তা মোতাবেক ওই তিন ব্যক্তির মধ্যে একজন সুকন্যা মণ্ডলের গাড়ি চালক এবং অপরজন যুব তৃণমূল নেতা।

সেক্ষেত্রে কী ভাবে পুলিশি নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা বললেন? তা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন। উল্লেখ্য, এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুকন্যা মণ্ডলের গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনাটিকে সামনে রেখে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর