মুম্বাইয়ে দেশের দীর্ঘতম সমুদ্রসেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মুম্বাইয়ে দেশের দীর্ঘতম সমুদ্রসেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নামে এই সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে— ‘অটলবিহারী বাজপেয়ী সেওয়ারি-নভ সেবা অটল সেতু’। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ এই সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ২১.৮ কিলোমিটার লম্বা এই সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়ে যাবে বলে খবর। প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে এই সমুদ্রসেতু। এই সেতুর ফলে ২ ঘণ্টার পথ পাড়ি দেওয়া যাবে মাত্র ২০ মিনিটে।

আরো পড়ুন- চাকরি প্রার্থীদের জন্য বিরাট সুখবর! হাজার হাজার শূন্য পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত মমতার মন্ত্রিসভার

সেতুর দৈর্ঘ্য ২১.৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১৬.৫ কিলোমিটার সমুদ্রের উপর দিয়ে। বাকি ৫.৫ কিলোমিটার স্থলভাগের উপর দিয়ে প্রসারিত। সমুদ্রের উপর এত দীর্ঘ সেতু এ দেশে আর নেই। সেতুতে রয়েছে ছ’টি লেন। দীর্ঘ এই সেতুটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ১৭ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বড় অংশ ঋণ নেওয়া হয়েছে।

এই সেতুর কারণে এবার মুম্বই থেকে আরও কম সময়ে পুণে, গোয়া, দক্ষিণ ভারতে পৌঁছনো যাবে। এর ফলে পর্যটন শিল্পের আরও উন্নতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগে মুম্বই থেকে নভি মুম্বই যেতে সময় লাগত দু’ঘণ্টা। রাস্তায় থাকত তীব্র যানজট। নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ত। দাবি করা হয়েছে, এর পর ২০ মিনিটে মুম্বই থেকে নভি মু্ম্বই পৌঁছনো যাবে।

তবে এই সেতুতে যাতায়াতে বড় অঙ্কের টোলও দিতে হবে। একটি গাড়িকে সেতু দিয়ে এক বার যেতে ২৫০ টাকা টোল দিতে হবে। ওই একই দিনে ফিরতে গেলে আরও কিছুটা বেশি টোল দিতে হবে। মহারাষ্ট্র সরকার এই প্রস্তাব পাশ করেছে।

বুধবার পুলিশ জানিয়েছে, অটল সেতুর উপর চার চাকার গাড়ি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতিতে চালানো যাবে। গতিবেগ এর থেকে বেশি বৃদ্ধি করা যাবে না। সেতুতে ওঠা এবং নামার সময় গতি ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার রাখতে হবে। তবে এই সেতুতে মোটরবাইক, অটো বা ট্রাক্টর চলাচল করবে না। গাড়ি, বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি চলবে।

বাংলার প্রাপ্য বকেয়া চাইতে এবার মোদির সঙ্গে বৈঠক মমতার

বাংলার প্রাপ্য বকেয়া চাইতে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), আজ, বুধবার দিল্লির নয়া সংসদ ভবনে মোদির (PM Modi) সঙ্গে সকাল ১১টায় বৈঠক শুরু। বৈঠকে মমতার সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও রয়েছেন আরও ১০ তৃণমূল সাংসদ।

তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শতাব্দি রায়দের নিয়ে বুধবার মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা। সূত্রের খবর, বৈঠকের জন্য নির্ধারিত কক্ষে ঢুকতেই মমতাকে দেখে এগিয়ে আসেন মোদি। প্রশ্ন করেন, “দু’মাস তো হয়ে গেল পায়ে আঘাত লেগেছিল। এখন কেমন আছে আপনার পা?” উত্তরে মমতা বলেন, “আমি ভাল আছি, আপনি ভাল তো?”

১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন মমতা। বকেয়ার দাবিতে মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, জমা দেন মেমোরেন্ডামও।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে মমতা জানান, ১০০ দিনের কাজ, প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, ন্য়াশনাল হেলথ মিশন-সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের থেকে রাজ্যের পাওনা প্রায় ১ কোটি ১৬ লক্ষ কোটি টাকা।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এদিনই তৃণমূল সরকারের বিরুদধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

শুধু তাই নয়, মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর মমতা যখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন, প্রায় ওই একই সময়ে নবান্নে হাজির হন শুভেন্দু। সেখানে মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করেন। কেন্দ্রের দেওয়া টাকা রাজ্য নয়ছয় করেছে, বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে লেখা পোস্টারও ছিল শুভেন্দুর হাতে।

নবান্ন থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এই নাটুকে, মিথ্যাবাদী, পরিবাবাদী, তোষণবাদী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের কোনও অধিকার নেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বঞ্চনার দাবি তোলার।” কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে নবান্নে ঢোকার প্রশ্নে শুভেন্দু জানান, ১৪৪ ধারা জারি থাকে সব সময়। আগে জানালে ঘেঁষতে দেওয়া হতো না তাঁদের।

Ram Temple: রাম মন্দির উদ্বোধনের প্রস্তুতি তুঙ্গে! সাজ সাজ রব অযোধ্যা জুড়ে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। সাজ সাজ রব অযোধ্যা জুড়ে। আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের (Ram Temple) উদ্বোধনের কথা। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেশ ও বিদেশ থেকে প্রায় ৪ হাজার সাধুকে আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছে, আড়াই থেকে তিন হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তি। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। থাকবেন দেশের শীর্ষস্তরের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তরা।

তালিকায় কারা রয়েছেন?

শোনা যাচ্ছে, রাম মন্দিরের উদ্বোধনে আমন্ত্রিত কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলিরা। পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি, গৌতম আদানি, রতন টাটাদের ও। সেই তালিকা থেকে বাদ যাবেন না বলিউডের কিংবদন্তিরাও। ২২ তারিখ অযোধ্যায় উপস্থিত থাকার কথা বলিউডের একঝাঁক তারকারও। সেই তালিকায় থাকছেন কে কে?

শোনা যাচ্ছে, বলিউডের প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন, রামানন্দ সাগরের ‘রামায়ণে’ রামের চরিত্রে অভিনয় করা অরুণ গোভিল এবং সীতা দীপিকা চিখিলিয়াদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই অনুষ্ঠানে। এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন, মাধুরী দিক্ষীত, অক্ষয় কুমার, অনুপম খের, রাজকুমার হিরানি, সঞ্জয় লীলা ভনশালী, রোহিত শেট্টি। দক্ষিণী তারকাদের মধ্যে থাকছেন, রজনীকান্ত , চিরঞ্জিবী , ধনুশ, মোহনলাল, ঋষভ শেট্টি-ও। সুতরাং আশা করাই যায়… ২২ জানুয়ারি চাঁদের হাট বসবে অযোধ্যায়। উপলক্ষ্য রাম মন্দিরে উদ্বোধন।

এছড়াও ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার নবনির্মিত মন্দিরে উপস্থিত থাকবেন সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত, যোগগুরু রামদেব, ভিন্ন গোষ্ঠীর ৪ হাজার সন্ন্যাসী, লেখক, সাংবাদিক, বিজ্ঞানী-সহ বিশিষ্টজনেরা।

আমন্ত্রণ পত্রের প্রোটোকল-

শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের প্রধান সম্পাদক চম্পত রাই বলেছেন, আমন্ত্রণ পত্রগুলিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট যোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, পবিক্রকরণ কর্মসূচিতে প্রবেশের জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রোটোকলের উপর জোর দিয়েছেন। অনুষ্ঠান পর্ব যাতে মসৃণভাবে চলে তার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমন্ত্রিতরাও যাতে সমস্ত প্রোটোকল মেনে চলেন তারও আহ্বান জানিয়েছেন।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নির্দেশিকা

ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই উপস্থিতদের অসুবিধে এড়াতে প্রোটোকল মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেন। আমন্ত্রণপত্রেই বলা হয়েছে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের আধার কার্ড সঙ্গে আনতে হবে। তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে ঢুকতে দেওয়া হবে। ক্যামেরা নিয়েও অনুষ্ঠান স্থলে ঢোকা যাবে না।

আমন্ত্রণপত্রের নির্দেশিকা

উপাদানের বিধিনিষেধ- দর্শনার্থীরা মন্দির প্রাঙ্গনে মোবাইল ফোন, ক্যামেরার মত গেজেট নিয়ে যেতে পারেবে না। স্পষ্ট করে তার নির্দেশ জারি করা রয়েছে।

ভক্তিমূলক পথ-অংশগ্রহণকারীদের একটি ভক্তিমূলক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। তাদের সফরের সময় একাধিক আধ্যাত্মিক বার্তা গ্রহণ করতে হবে।

লজিস্টিক বিষয়-আমন্ত্রণপত্রে লজিস্টিক বিশদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যেমন অযোধ্যায় প্রস্তাবিত আগমনের সময়, মসৃণ প্রবেশ এবং ব্যবস্থার সুবিধার্থে তাড়াতাড়ি আগমনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া।

মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনুষ্ঠানমঞ্চে বেলা ১১টার মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। এই সময়ই প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই অনুষ্ঠান চলবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। তাঁর অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগের পরই বাকিরা সেখানে প্রবেশের অধিকার পাবেন। তবে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষ ও আমন্ত্রিত অতিথিদের একটি বিশেষ ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছে। আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে একটি লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই আমন্ত্রিতরা নিজের তথ্য দিয়ে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পত্র পাওয়া যাবে।

সংসদে হানার ঘটনায় মোদি সরকারই দায়ী, তোপ রাহুল গান্ধীর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সংসদে হানা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী! এই ঘটনায় তিনি মোদি সরকারকেই সরাসরি দায়ী করেছেন।

শনিবার রাহুল দাবি করেন, মোদীর নীতির জন্য দেশের মানুষ কাজ পাচ্ছেন না। দেশে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে। এই বেকারত্বের জন্যই সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের মতো ঘটেছে। ঘটনাচক্রে, দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসদে হানা দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, বেকারত্ব, মণিপুর হিংসা, কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তাঁরা ক্যানিস্টার বা রংবোমা নিয়ে সংসদে গিয়েছিলেন।

অন্য দিকে, সংসদে রংবোমা নিয়ে হানা দেওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুক্রবারও বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের সাংসদেরা। বিক্ষোভরত সাংসদেরা এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করেন। দফায় দফায় অশান্তির জেরে সোমবার পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে গেছে লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন।

গত ২৮ মে বিপুল সমারোহে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেপ্টেম্বরে গণেশ চতুর্থী তিথিতে অধিবেশন শুরু হয়েছিল নতুন ভবনে। কিন্তু তার তিন মাসের মধ্যেই সুরক্ষার গুরুতর গাফিলতি দেখা গেল সেখানে। বুধবার তিন স্তরের সুরক্ষা বলয় টপকে কী ভাবে চার বিক্ষোভকারী গ্যাস-ক্যানিস্টার নিয়ে ভবনের সংরক্ষিত এলাকায় পৌঁছে গেলেন, এমনকি তাঁদের মধ্যে দু’জন লোকসভার অধিবেশনে ঢুকে দর্শক আসন থেকে ফ্লোরে ঝাঁপ মারার সুযোগ পেলেন, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সরব হন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সাংসদেরা।

Ram Temple: ভূমিকম্পেও নড়বে না মন্দির! আগামী ১০০০ বছরেও মন্দির সংস্কারের প্রয়োজন হবেনা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের দোরগোড়ায় গোটা দেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে উদ্বোধনীর অপেক্ষায় রাম মন্দির (Ram Temple)। আগামী ২২শে জানুয়ারি উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মন্দিরের। নাগারা স্টাইলে গোলাপি স্যান্ড দিয়ে তৈরি হয়েছে এই ঐতিহাসিক মন্দিরটি। খোদাই করা হয়েছে রাজস্থানের মির্জাপুর ও বাঁশি-পাহাড়পুর থেকে আনা মার্বেল পাথর। ১৭ হাজার গ্রানাইট পাথরও ব্যবহার করা হয়েছে মন্দির নির্মাণে। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই বলেন, “এ পর্যন্ত ২১ লক্ষ কিউবিক ফিট গ্রানাইট, স্যান্ডস্টোন এবং মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হয়েছে মন্দির নির্মাণে।”

জানা গিয়েছে ১০০০ বছরেও এই মন্দিরের গায়ে কোন আঁচড় লাগবে না। কারন মন্দির নির্মাণে স্টিল এবং সাধারণ সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়নি। চেন্নাই আইআইটির পরামর্শে মন্দিরের ভিত ১২ মিটার গভীর। ভিত ভরতে যে মাটি ব্যবহার করা হয়েছে, আঠাশ দিনের মধ্যেই তা পাথরে পরিণত হতে পারে। রাই জানান, যেভাবে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে, তাতে অন্ততপক্ষে হাজার বছর মন্দির সংস্কারের প্রয়োজন হবে না। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.৫ হলেও, ভিত নড়বে না মন্দিরের।

ট্রাস্ট-এর তরফে চম্পত রায় দাবি করেন, আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে মন্দিরের ভিত নির্মাণ করা হচ্ছে যাতে তা কমপক্ষে ১,৫০০ বছর টিকে থাকে এবং মন্দিরের কাঠামো যাতে অন্তত ১,০০০ বছর অটুট থাকে, সে ভাবেই নির্মাণ করা হচ্ছে।

ঋতুস্রাবে মহিলাদের ছুটির প্রয়োজন নেই! ঋতুকালীন ছুটির ঘোর বিরোধি স্মৃতি ইরানি

বাংহাহান্ট ডেক্সঃ ঋতুস্রাব সাধারণ বিষয়, তাই ঋতুকালীন মহিলাদের ছুটির কোন প্রয়োজন নেই এমনটাই মনে করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। বুধবার রাজ্যসভায় সাংসদ মনোজ কুমার ঝায়ের একটি প্রশ্নের জবাবে স্মৃতি বলেন, ঋতুস্রাব মহিলাদের জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ, এটি কোনও প্রতিবন্ধকতা নয়। ঋতুস্রাবের জন্য বিশেষ ছুটি মঞ্জুর করার করা উচিত নয়।

মহিলাদের ঋতুস্রাব নিয়ে সংসদে অকপট স্মৃতি। তাঁর মতে, ঋতুস্রাবের সময় মহিলাদের সবেতন ছুটি তাঁদের প্রতি বৈষম্য হতে পারে। এই বিষয়ে সংসদে সকলকে সতর্ক করেন স্মৃতি। বলেন, ‘সংসদে এমন কোনও প্রস্তাব রাখা উচিত নয় যেখানে মহিলাদের সমান সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে হয়। যে সকল মহিলার ঋতুস্রাব হয় না মাসিকের প্রতি তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিতে এক্ষেত্রে আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়ার কোনও অর্থ হয় না।’

নিজের বক্তব্যে স্মৃতি ঋতুস্রাবকালীন স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত সচেতনতার গুরুত্বের কথাও বলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কর্তৃক এই বিষয়ে একটি খসড়া জাতীয় নীতি প্রনয়ণের কথাও বলেন। স্মৃতির কথায়, ‘কিছু সামাজিক নিষেধাজ্ঞা জড়িয়ে রয়েছে মহিলাদের ঋতুস্রাবের সঙ্গে। মহিলার স্বাধীন ঘোরাফেরাও বন্ধ করা হয়। বহু ক্ষেত্রে মহিলারা ঋতুস্রাবের সময় হেনস্থার শিকারও হন। সামাজিক ছুৎমার্গের কারণে স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয় তাঁদের। যখন কোনও কিশোরী শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় এবং এই পরিবর্তন সম্পর্কে অবগতই না হয়, তখন বিষয়টি আরও স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে।’

প্রসঙ্গত, কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর গত ৮ ডিসেম্বর ঋতুস্রাবকালীন সবেতন ছুটির প্রসঙ্গে তুলেছিলেন সংসদে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বুধবার এই বিষযে জানান, ভারত সরকার এখনও পর্যন্ত ঋতুস্রাবকালীন সবেতন ছুটির কোনও প্রস্তাব করেনি। সংসদে সোমবার একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় যেখানে মহিলাদের ঋতুস্রাবের সমস্যাকে গুরুতর স্বাস্থ্যসমস্যা হিসাবে বিবেচনা করে সেই সময় ছুটির অধিকারের দাবি করা হয়। বুধবার সংসদে সেই দাবি ঘিরেই সংসদে সওয়াল-জবাব পর্ব চলে।

ছত্তিশগড়ের কুর্সিতে নতুন মুখ! আদিবাসী নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিরাট চমক বিজেপির

সব জল্পনার অবসান। রবিবার সামনে এল ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর নাম। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাইকে বেছে নিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিষ্ণুদেও সাই হতে চলেছেন ছত্তিশগড়ের প্রথম আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রী।

সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থাকলেও মূলত বয়সের কারণে এবং রাজনৈতিক ভারসাম্যের অভাবে পিছিয়ে পড়তে হয়েছে ছত্তীসগঢ়ের তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহকে। বিষ্ণুর নাম চূড়ান্ত হওয়ার পরে স্পষ্ট যে, আদিবাসী অধ্যুষিত এই রাজ্যে প্রথম বারের জন্য কোনও আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন।

নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণেও দেখা গিয়েছে, ছত্তীসগঢ়ের তফসিলি জাতি এবং তফসিলি জনজাতিদের সিংহভাগ ভোট এ বার বিজেপির অনুকূলে গিয়েছে। অথচ ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে এই ভোটই গিয়েছিল কংগ্রেসের ঝুলিতে। মনে করা হচ্ছে, লোকসভা ভোটের আগে আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক অক্ষুণ্ণ রাখতেই বিষ্ণুকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিল পদ্মশিবির। রবিবার রায়পুরে দলের নবনির্বাচিত ৫৪ জন বিধায়ককে নিয়ে বৈঠকে বসেন পর্যবেক্ষকেরা। সেই বৈঠকেই বিষ্ণুর নামে সম্মতি জানান অধিকাংশ বিধায়ক।

বিষ্ণু ছত্তীসগঢ়ের রায়গড় লোকসভা কেন্দ্রের চার বারের সাংসদ। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এক টানা ২০ বছর সাংসদ ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে প্রথম মোদী মন্ত্রিসভায় ইস্পাত প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলান তিনি। ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ছিলেন ছত্তীসগঢ়ের বিজেপি সভাপতি। এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে কুঁকুড়ি বিধানসভা আসন থেকে জয়ী হন তিনি। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত দু’দফায় বিধায়ক হিসাবেও নির্বাচিত হন বিষ্ণু।

Subroto Roy: প্রয়াত সাহারা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সুব্রত রায়! দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন মারণরোগে

বাংলাহান্ট ডেক্সঃ প্রয়াত সাহারা ইন্ডিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সুব্রত রায় (Subroto Roy) । মঙ্গলবার রাতে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন অম্বানি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৷ দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যানসার-সহ একাধিক রোগে ভুগছিলেন ৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 75 বছর ৷ সাহারা গ্রুপের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রবিবার সুব্রত রায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কোকিলাবেন ধীরুবাই অম্বানি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ এরপর, মঙ্গলবার 10.30 টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ এর সঙ্গে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও ছিল ৷

চাঁদের কক্ষপথে চন্দ্রযান-৩, গন্তব্যে পৌঁছাতে আর ক’টি ধাপ বাকি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদের কক্ষপথে সফলভাবে পৌঁছে যায় চন্দ্রযান-৩। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তরফে বিবৃতি জারি করে এই খবর জানানো হয়। মহাকাশযানটি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের টান আগেই কাটিয়ে ফেলেছিল। উৎক্ষেপণের ২২ দিন পর চাঁদের আকর্ষণবলের অধীনে প্রবেশ করেছে সেটি। তবে মূল গন্তব্যে পৌঁছতে এখনও অনেকটা ‘পথ’ পেরোনো বাকি। চাঁদের মাটি ছোঁয়ার আগে বেশ কয়েকটি কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে চন্দ্রযান-৩-কে।

শনিবার চন্দ্রযান-৩-কে চাঁদের কক্ষপথে সফল ভাবে পৌঁছে দেওয়ার পর ইসরোর তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানেই বলা হয়েছে, সন্ধ্যা ৭.১২ মিনিটে মহাকাশযানটিকে চাঁদের কক্ষপথে ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। মোট ১৮৩৫ সেকেন্ডের চেষ্টায় তা সফল ভাবে করা গিয়েছে। চাঁদের আকর্ষণবলের আওতায় বর্তমানে চন্দ্রযান-৩-এর অবস্থান ১৬৪ কিমি X ১৮০৭৪ কিমি কক্ষপথে। চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রেখেছিলেন আমেরিকার মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং। ঘটনাচক্রে, শনিবারই ছিল তাঁর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী।

চাঁদের আকর্ষণবলের সাহায্যে এ বার তার চারপাশে পাক খাবে চন্দ্রযান-৩। ধীরে ধীরে তার গতি কমবে। চাঁদের মাধ্যাকর্ষণের শক্তি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের চেয়ে ছয় গুণ কম। সেই কারণেই ধীরে ধীরে গতি কমাতে হবে চন্দ্রযান-৩-কেও।

পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের অধীনে যত দিন চন্দ্রযান-৩ ছিল, তত দিন ধাপে ধাপে তার কক্ষপথ এবং গতি বৃদ্ধি করা হচ্ছিল। পাঁচটি ধাপের কক্ষপথ পেরিয়ে পৃথিবীর টান ছাড়িয়েছে মহাকাশযান। কিন্তু চাঁদের ‘দেশে’ প্রক্রিয়াটি কিছুটা উল্টো। এ বার এক দিকে যেমন গতি কমবে, অন্য দিকে তেমন ধাপে ধাপে বৃহত্তর থেকে ক্ষুদ্রতর কক্ষপথে পৌঁছবে চন্দ্রযান-৩। এ ক্ষেত্রেও ইসরোর পরিকল্পনায় পাঁচটি কক্ষপথ পরিবর্তনের প্রক্রিয়া রয়েছে।

চন্দ্রযান-৩-এর প্রাথমিক গন্তব্য চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে। তার পরেই চন্দ্রাভিযানের ‘সবচেয়ে কঠিন পর্ব’টি অপেক্ষা করে আছে ইসরোর জন্য। সেটাই হতে চলেছে কঠিনতম পরীক্ষা। আগামী ২৩ অগস্ট বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে রোভার প্রজ্ঞানকে পেটের ভিতরে নিয়ে ‘পাখির পালকের মতো অবতরণ’ (সফট ল্যান্ডিং) করার কথা চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমের। চার বছর আগে ঠিক ওই পর্যায়ে এসে ব্যর্থ হয়েছিল ইসরোর ‘চন্দ্রযান-২’।

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার কথা চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমের। সেই অভিযান যদি সফল হয়, তবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা নিঃসন্দেহে নতুন মাত্রা পাবে। আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পরে চতুর্থ দেশ হিসাবে মহাকাশযান সফল ভাবে চাঁদে অবতরণ করানোর তালিকায় উঠে আসবে ভারত।

গত ১৪ জুলাই দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের ‘লঞ্চিং প্যাড’ থেকে সফল উৎক্ষেপণ হয়েছিল ‘চন্দ্রযান-৩’-এর। এখনও পর্যন্ত মোট যাত্রাপথের দুই তৃতীয়াংশ অতিক্রম করেছে সে। কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করে আছে বাকি পথটুকুতেই। ইসরোর চন্দ্রযান কি তৃতীয় বারের এই অভিযানে সাফল্যের স্বাদ পাবে? সে দিকেই নজর রেখেছে গোটা দুনিয়া।

উত্তরপ্রদেশে কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন! ঝুলিয়ে দেওয়া হলো দেহ

এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শুধু ধর্ষণ এবং খুনই নয়, কিশোরীর দেহ ঝুলিয়েও দেন অভিযুক্ত। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ে।

পুলিশ সূত্রে খবর, লখনউয়ের ইন্দিরানগরের বাসিন্দা ওই কিশোরী। বুধবার দুপুরে বাড়িতে একাই ছিল সে। অভিযোগ, সেই সুযোগ নিয়ে এক ব্যক্তি কিশোরীর বাড়িতে ঢোকেন। তাকে ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করেন। তার পর ঘরের মধ্যেই কিশোরীর দেহ ঝুলিয়ে দেন।

আরো পড়ুন- রাজ্যে কবে আসছে বর্ষা? কি বলছে হাওয়া অফিস, জানুন

পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর বাবা শাহিদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক শাহিদ। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। এই ঘটনার পর থেকে ইন্দিরানগরে একটা চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয়েরা।

আরও একটি ঘটনায় এক কিশোরীকে গণধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশেই। রাজ্যের বস্তি জেলায় কিশোরীকে গণধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে এক বিজেপি নেতা, নাবালক-সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে। ৩ জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

উড়ালপুল থেকে সোজা নীচে, ১২টি বিরল কৃষ্ণসার হরিণের মৃত্যু মহারাষ্ট্রে

উড়ালপুল থেকে নীচে পড়ে ১২টি বিরল কৃষ্ণসার হরিণের মৃত্যু হল মহারাষ্ট্রে। শনিবার কেগাঁও-দেগাঁও বাইপাসে ঘটেছে এই ঘটনা। বন দফতর সূত্রে খবর, একই সঙ্গে আরও তিনটি কৃষ্ণসার হরিণ আহত হয়েছে। নতুন তৈরি বাইপাস আগে ছিল কৃষ্ণসার হরিণের চারণভূমি। এর আগেও একই জায়গায় একই ভাবে মৃত্যু হয়েছিল একটি হরিণের।

পাহাড়ের ঢাল কেটে তৈরি হয়েছে বাইপাসের রাস্তাটি। যে এলাকা এক সময় ছিল কৃষ্ণসার হরিণের চারণভূমি। কিন্তু চার মাসে আগে এই বাইপাস খোলার পর থেকেই তা অতীতের পাতায় ঠাঁই পেয়েছে।

মহারাষ্ট্রের বনকর্তা ধৈর্যশীল পাটিল জানিয়েছেন, এই এলাকায় আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘‘কয়েক মাস আগে একটি কৃষ্ণসার একই ভাবে নীচে পড়ে মারা যায়। এই রাস্তাটি তৈরি হয়েছে পাহাড় কেটে। শনিবার সন্ধ্যায় একদল কৃষ্ণসার হরিণ ওই পথ দিয়ে আসছিল। কিন্তু তাদের জানা ছিল না সমতল ভূমি শেষ খানিক পরেই। বুঝতে না পেরেই হরিণের পাল উপর থেকে একেবারে নীচে আছড়ে পড়ে মারা যায়। আমরা আহত হরিণগুলির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।’’

তিনি আরও জানিয়েছে, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে এই রাস্তার দু’ধারে তারের বেড়া দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যাতে ভবিষ্যতে এ ভাবে দুর্ঘটনা আটকানো যায়। বনকর্তা বলেন, ‘‘শুধু সোলাপুর-বিজাপুর হাইওয়েই নয় সোলাপুর-পুণে এবং সোলাপুর-কোলহাপুর হাইওয়ে বরাবরও তারের জাল দেওয়ার কথা চলছে। তাহলে হরিণ আটকানো সহজ হবে।’’

তাওয়াংয়ে কেন রয়েছে চিনের লোলুপ দৃষ্টি, ওই এলাকার স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব কি? জেনে নিন

বাংলাহান্ট ডিজিটালঃ তাওয়াং ও চাম্বা উপত্যকা ভারতীয় সেনার জন্য কৌশলগত দিক থেকে বেশ প্রাসঙ্গিক। কারণ তাওয়াং থেকে ভূটান সীমান্তে নজরদারি চালায় ভারত আর চাম্বা থেকে নেপাল তিব্বত সীমান্তে নজরদারি চালায় ভারত।

৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের প্রদেশের তাওয়াংয়ের ইয়াংৎস এলাকায় চিনা আগ্রাসনের পর সেদেশের সেনা মোক্ষম জবাব পেয়েছে ভারতের তরফে। চিনা সেনার দাবি ছিল, ইয়াংৎসের ভারতীয় সেনা ছাউনি সরিয়ে দিতে হবে। আর তার জন্য ৩০০ চিনা সেনা নিয়ে তারা অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত দিয়ে আক্রমণ করে। প্রশ্ন উঠতেই পারে এই তাওয়াং এলাকার স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব ঘিরে। কেন ওই জায়গাকেই সংঘর্ষের ময়দান হিসাবে চিন বেছে নিল? কেনইবা ওই এলাকায় ভারতীয় ছাউনি ঘিরে শঙ্কা রয়েছে চিনের? দেখে নেওয়া যাক কিছু তথ্য।

তাওয়াং

আরো পড়ুন- চিনা দূতাবাস থেকে কোটি কোটি টাকা অনুদান নিয়েছে কংগ্রেস, পাল্টা আক্রমন অমিত শাহের

১৯৬২ সালের যুদ্ধে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সংলগ্ন এলাকার একটা বড় অংশ দখলে রেখেছিল চিন। ১৭ হাজার ফুট ওপরের অরুণাচল প্রদেশের এই তাওয়াংয়ের সেই দখল করা অংশ পরে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় চিন। কারণ সেই অংশগুলি ম্যাকমোহন লাইনের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। সেই অংশে ফের থাবা কষাচ্ছে চিন। এই এলাকা দখলে রাখলে চিন বেশ কিছু সুবিধা পেতে পারে।

চিন চাইছে তাওয়াং পোস্ট দখল করতে। তাহলে তারা তিব্বত ও এলএসি দুটি দিকেই নজরদারি রাখতে পারবে। এছাড়াও দালাই লামার সঙ্গে তাওয়াংয়ের যোগ রয়েছে। ১৯৫৯ সালে চিনের দখলে থাকা তিব্বত থেকে পালিয়ে এসে অরুণাচল প্রদেশে প্রথমে আশ্রয় নেন দালাই লামা। সেই সূত্র ধরে এই এলাকার সঙ্গে চিন সম্পর্কে ক্ষুব্ধ দালাই লামার যোগ রয়েছে।

তাওয়াং ও চাম্বা উপত্যকা ভারতীয় সেনার জন্য কৌশলগত দিক থেকে বেশ প্রাসঙ্গিক। কারণ তাওয়াং থেকে ভূটান সীমান্তে নজরদারি চালায় ভারত, আর চাম্বা থেকে নেপাল তিব্বত সীমান্তে নজরদারি চালায় ভারত। এদিকে, চিন দাবি করে অরুণাচলের একটা বড় অংশ তাদের। সেই জায়গা থেকে দুটি বিশেষ সেনা পোস্ট দখল করতে চায় চিন। যা পেলে অরুণাচলে নিজের দাবি জোরদার করার বার্তা দিতে আগ্রাসী বেজিং।