Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিতে বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাসকে থানায় তলব পুলিশের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালিতে ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই এবার থানায় তলব করা হল সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পিকে। তাঁর বিরুদ্ধে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন সন্দেখালির এক মহিলা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার পিয়ালিকে থানায় তলব করেছে সন্দেশখালি থানার পুলিশ। (Sandeshkhali Case)

সন্দেশখালিতে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয় মহিলাদের একাংশ এই বিষয়ে আঙুল তুলেছিলেন শাহজাহান শেখ এবং তাঁর সঙ্গীদের দিকে। সম্প্রতি দাবি উঠেছে, সন্দেশখালিতে ধর্ষণের ‘মিথ্যে’ অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই বিষয়ে এক মহিলার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। বাংলাহান্ট ডিজিটাল সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। সেই ভিডিয়োয় মহিলার দাবি, তাঁকেও ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল থানায়। না জানিয়ে সাদা কাগজে সই করানো হয়েছিল। এক সপ্তাহ পর তিনি সবটা জানতে পারেন। মহিলার আরও দাবি, পরে যখন তিনি মামলা তুলতে চান, ‘হুমকি’ দেওয়া হয়। ভিডিয়োয় অভিযোগকারিণীর দাবি, এ সবের নেপথ্যে ছিলেন পিয়ালি। সেই পিয়ালিকে এবার থানা তলব করল পুলিশ।

সন্দেশখালি স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ৩২ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের সেই ভিডিয়োর সত্যতা বাংলাহান্ট ডিজিটাল যাচাই করেনি। সেই ভিডিয়োয় স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে যে, সন্দেশখালিতে টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ‘মিথ্যে’ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। বসিরহাট আসনে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রও দু’হাজার টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ‘মিথ্যে’ অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন ওই পদ্মনেতা। বিজেপি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে ওই ভিডিয়োকে ‘সাজানো ও বিকৃত’ বলেছে। গঙ্গাধরও কণ্ঠস্বর বিকৃতির অভিযোগ তুলেছেন। এই আবহে আরও এক মহিলা দাবি করেছেন, তিনিও ‘ধর্ষণের শিকার’ বলে থানায় ‘মিথ্যে’ অভিযোগ জানানো হয়েছিল। মহিলার বক্তব্য, তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁকে রান্নার কাজের টাকা দেওয়া হয়নি। সেই অভিযোগকেই ধর্ষণের অভিযোগের রূপ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে না জানিয়ে।

মহিলার দাবি, ‘‘আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার শাশুড়িকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল পিয়ালি দাস। দিল্লি থেকে মহিলা কমিশন এসেছে বলে থানায় নিয়ে গিয়েছিল। থানায় ঢুকিয়ে দিয়ে গেট ফেলে দিয়েছিল। উনি আর বেরোতে পারেননি। অভিযোগ কী জানতে চেয়েছিল। উনি জানিয়েছিলেন যে, রান্নার কাজের টাকা পাইনি। এর পর সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিল। এর পর ওখান থেকে চলে যেতে বলেছিল। আমি বাড়ি ফিরে পিয়ালিকে ফোন করে জানতে চেয়েছি। পিয়ালি আমায় বলেছে, ‘ও কোনও ব্যাপার নয়। অভিযোগ ছিল, তাই সই করিয়েছি। তোমরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারো।’ এক সপ্তাহ পরে জানতে পারলাম, তিন-চার জনকে দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করানো হয়েছে। অভিযোগ ছিল, রাতে আমাদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে।

ওই ভিডিয়োয় যে বিজেপি নেতার বয়ান ঘিরে এত শোরগোল, সেই গঙ্গাধর দাবি করেছেন, সন্দেশখালিতে টাকা নিয়ে ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ পুলিশে দায়ের করানোর বিষয়টি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘মস্তিষ্কপ্রসূত’! শুভেন্দু অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দাবি করেছেন, ভিডিয়োটি সম্পূর্ণ ‘ভুয়ো’ এবং ‘সাজানো’। এর নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। এই পরিস্থিতিতে আরও এক ‘নির্যাতিতা’ ‘ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যে’ ছিল দাবি করেছেন। যাঁর বিরুদ্ধে তাঁর আঙুল, সেই পিয়ালিকে থানায় তলব করল পুলিশ।

সন্দেশখালিতে টাকার বিনিময়ে নারী নির্যাতনের ভুঁয়ো অভিযোগ, মামলায় ফাঁসলেন শুভেন্দু-রেখা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালিতে ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ সাজানো! টাকার বিনবময়ে নারী নির্যাতনের ভুয়ো অভিযোগ সাজানো হয়েছে। এবার এই মর্মে পুলিশের কাছে মামলার রুজু করলেন বেরমজুরের বাসিন্দা এক তৃণমূল কর্মী। গঙ্গাধর কয়াল, বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র, ব্লক ১ সভাপতি শান্তি দলুই, পীযুষ, শুভঙ্কর গিরি, বীণা মাইতিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযোগপত্রে নাম রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীরও।এফআইআর-এ শুভেন্দু অধিকারীর নাম যুক্ত করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে পুলিস।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালদের স্বীকার করতে দেখা গিয়েছে যে কীভাবে টাকার বিনিময়ে নারী নির্যাতনের ভুয়ো অভিযোগ করানো হয়েছে। ভোটের আগে রাজনৈতিক ফায়দা পেতেই তা করানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৯ ও ১৭১ সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। ইতিমধ্যেই গঙ্গাধর কয়ালকে তলব করে নোটিসও পাঠানো হয়েছে বলে খবর পুলিস সূত্রে। ওদিকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, গঙ্গাধর কয়াল এবং শান্তি দলুইয়ের বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানালেন তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ।

ভাইরাল ভিডিয়ো ফুটেজ সহ একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে কমিশনকে। যার মূল দাবি, শুভেন্দু অধিকারী সহ ৩ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করুক নির্বাচন কমিশন। এপ্রসঙ্গে সাগরিকা ঘোষ বলেন, “যাদের বিরুদ্ধে ‘রেপ কেস’ করা হয়েছে, সেই ‘রেপ কেসগুলো’ একদম মিথ্যে। বিজেপির সন্দেশখালির ব্লক-২ এর মণ্ডল সভাপতি স্পষ্ট করে বলছেন যে, মহিলাদের টাকা দিয়ে, ট্রেনিং দিয়ে মহিলাদের দিয়ে মিথ্যে কথা বলানো হয়েছে। এক মহিলা নিজেই আজকে স্বীকার করে নিয়েছেন যে, উনি ভুল বিবৃতিতে সই করেছেন। ওনার যে অভিযোগটা ছিল সেটা ভুল। সেটা মিথ্যে। গঙ্গাধর কয়াল ভিডিয়োতে বলছেন যে, মহিলাদের ৩০০০ টাকা দিয়ে মিথ্যে করে ‘রেপ কেস’ দাখিল করানো হয়েছে।”

সাগরিকা ঘোষ দাবি করেন, “শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা হোক আর যাদের ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।” তোপ দাগেন, “ভারতীয় জনতা পার্টি সন্দেশখালির মহিলাদের অসম্মানিত করেছেন। ওনাদের সাথে অন্যায় করেছেন।” একইসঙ্গে তাঁর দাবি, “আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রী মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যখন পশ্চিমবঙ্গে আসবেন, তখন ওনারা যেন ক্ষমা চান। ওনাদের ক্ষমা চাইতে হবে। যেভাবে ওনারা মিথ্যে প্রচার করেছেন আর যেভাবে মহিলাদের অসম্মানিত করেছেন তার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।”

বাবা CPM-এর হোলটাইমার! ভাতায় চলে সংসার, মাধ্যমিকে তৃতীয় উদয়ন হতে চায় ডাক্তার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাবা সিপিআইএমের হোলটাইমার। ভাতায় চলে সংসার, সেই উদয়ন প্রসাদ এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় তৃতীয় হয়েছে। ৭০০-র মধ্যে পেয়েছে ৬৯১ নম্বর। আর তারপর বালুরঘাট হাইস্কুলের ছাত্রকে সিপিআইএমের তরফে অভিনন্দন জানানো হল। সিপিআইএমের তরফে বলা হয়েছে, ‘মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় তৃতীয় হয়েছে উদয়ন প্রসাদ। উদয়নের ডাক নাম লেনিন। বালুরঘাটে বাড়ি। অভিনন্দন উদয়নকে।

উদয়নের বাবা, উমেশ প্রসাদ বালুরঘাট পার্টি অফিসের সিপিআই (এম)-র সর্বক্ষণের কর্মী। মা বিন্দু বারুই প্রসাদ গৃহবধু। জানা যায়, ডাক্তার হতে চান উদয়ন। উদয়ন বলেন ‘এতটা সাফল্য পাবো আশা করিনি। তবে এই ফলাফল ভালো লাগছে। দিনে ৮ থেকে ৯ ঘন্টা পড়তাম আমি। আর টেস্ট পরীক্ষার পরে পড়াশোনাটা আরো বাড়িয়ে দিয়েছিলাম’।

উদয়ন জানান, অনেক কষ্টে সংসার চলে আমাদের। বাবা পার্টির হোলটাইমার। পার্টি যা ভাতা দেয় তাতেই চলে সংসার।

আর ছেলে যে সেই কষ্টের দাম দিয়েছে, তাতে গর্বে বুকে ফুলে যাচ্ছে বাবা উমেশ। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম যে ছেলে ভালো রেজাল্ট করবে। ছোট থেকেই ও ভালো রেজাল্ট করে আসে। (মাধ্যমিকের তৃতীয় হয়েছে) জানার পরে খুবই ভালো লাগছে।’

দেশে ১৫টি আসনও পাবেনা তৃণমূল! কংগ্রেস কত পাবে? তেহট্টের সভা থেকে বললেন মোদী

বাংলাহান্ট ডেক্সঃ লোকসভা ভোটের প্রচারে বাংলায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক দিনে তিনটি সভা রয়েছে তাঁর। বর্ধমানে জনসভা শেষ করে কৃষ্ণনগরে পৌঁছন মোদী। তেহট্টের শ্যামনগর ফুটবল মাঠে তাঁর সভা হয়। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ পরিবারের সদস্য অমৃতা রায়, রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার এবং বহরমপুরের বিজেপি প্রার্থী নির্মাল সাহার সমর্থনে সভা করেছেন তিনি।

তেহট্টের সভা থেকে মোদী বললেন, সারা দেশে ১৫টা আসনও পাবে না তৃণমূল। সরকার গড়বে কী ভাবে? কংগ্রেস তো এ বার ‘হাফসেঞ্চুরি’ও করতে পারবে না। ৫০-এরও কম আসন পাবে। এরা সরকার কী ভাবে গড়বে? সরকার একমাত্র গড়তে পারে বিজেপি।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘‘গরিবের রেশনকেও ছাড়েনি তৃণমূল। সর্বত্র দুর্নীতি। তৃণমূল এবং ‘ইন্ডি’ জোটের উপর থেকে মানুষ আস্থা হারিয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার তেহট্টেই সভা করে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ছিলেন বিদায়ী সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। তেহট্টের সভা থেকে একাধিক ইস্যুতে মমতা আক্রমণ করেছেন মোদীকে।

ছিল না গৃহশিক্ষক, মাধ্যমিকে তৃতীয় বীরভূমের কন্যা, কেমন ছিল পুষ্পিতার লড়াই

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পুষ্পিতা বাঁশুড়ি। মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে সে আর মেয়েদের মধ্যে প্রথম পুষ্পিতা। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১ । বীরভূমের ইলামবাজার থানার কামারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পুষ্পিতার এই সাফল্যে গর্বিত তাঁর আত্মীয়স্বজন। গ্রামের বাসিন্দারা।

দারোন্দা হাই স্কুলের বাংলার পার্শ্বশিক্ষক মা তনুশ্রী ঘোষ এবং বিজ্ঞান শাখার গৃহশিক্ষক বাবা সত্যনারায়ণ বাঁশুরি মেয়ের সাফল্যে আপ্লুত। সংবাদমাধ্যমকে পুষ্পিতা বলে, “গৃহশিক্ষক ছাড়াই এত ভাল ফল করব এটা আশা করিনি। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং মা-বাবাকে ছাড়া এই ফল মিলত না।”

পুষ্পিতার কথায়, “খুব ভালো লাগছে এই সাফল্যে। তৃতীয় হব এটা ভাবতে পারিনি। আমার সাফল্যর নেপথ্যে আমার মা-বাবা। স্কুলের শিক্ষকদের অবদান রয়েছে অনেকটাই। আমি প্রতিদিনই স্কুলে যেতাম। আর স্কুলের সময় বাদ দিয়ে প্রায় ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করার চেষ্টা করতাম। ভবিষ্যতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই।”

এবার যারা মাধ্যমিক দিতে চায় তাদের জন্য টিপস দিয়েছে পুষ্পিতা। সে জানিয়েছেন, ভালো করে পড়াশোনা করতে হবে।

পুষ্পিতার মা তনুশ্রী ঘোষ জানিয়েছেন, আমরা আশা করেছিলাম যে ও মাধ্যমিকে একটা ভালো জায়গায় থাকবে। কিন্তু এতটা ভালো করবে এটা ভাবতে পারিনি। ছোট থেকে ওর মধ্য়ে একটা চেষ্টা ছিল যে আমায় কিছু একটা ভালো করতে হবে। ওর চেষ্টার কোনও ত্রুটি ছিল না। একজন প্রাইভেট টিউশনও ছিল না। নিজের চেষ্টাতে করেছে। আমরা যতটা পেরেছি ততটা করেছি। আমার স্কুলের সহকর্মীরাও খুব সহায়তা করেছে। খুব লড়াই করেছে মেয়েটা। মেয়ে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়। তারপর দেখা যাক কী হয়। ইঞ্জিনিরায়িং নিয়ে পড়তে চায়।

প্রথম দফার ভোট মিটতেই উত্তরের ৩ আসনে বিজয় মিছিল তৃণমূলের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তিন কেন্দ্রেই গতবার জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। উত্তরবঙ্গকে কার্যত গড় বলা হয় গেরুয়া শিবিরের। সেই উত্তরবঙ্গের তিনটি কেন্দ্রে আজ নির্বাচন সংগঠিত হয়। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোটের উপর শান্তিতেই ভোট হয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনই। ভোট মেটার পর দেখা গেল, তিন কেন্দ্রেই পালা করে ‘আনন্দ মিছিল’ বা আক্ষরিক অর্থে আগাম বিজয় মিছিলের আয়োজন করা হল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।

অন্যদিকে কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এদিন লাড্ডু খাওয়ালেন দলের কর্মীরা। তাঁরা নিশীথের জয় নিয়ে আশাবাদী। বলেন, “নিশীথ প্রামাণিক এবার জিতছেনই। বিভিন্ন মণ্ডল থেকে যে সমস্ত ইতিবাচক খবর এসেছে, তাতে আমাদের জয় নিশ্চিত।”

সব মিলিয়ে, গণনার আগেই জয়ের দাবি করে ‘বিজয় মিছিলে’ মেতে উঠল কোচবিহার। যদিও কে কার আগে মিছিল বার করবে, তা নিয়ে চাপা চাপানউতর ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোচবিহারের জেলা সভাপতি ঘোষণা করেন, জয় তাঁদেরই হচ্ছে। তাই জয়ের আগাম মিছিল হবে। সন্ধ্যায় মিছিলও করেন তাঁরা। কোচবিহার তৃণমূল জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের কথায়, ‘‘মানুষের রায় আমাদের কাছে পরিষ্কার। প্রতিটি বুথ থেকে আসা রিপোর্ট খুবই ভাল। বিজেপি দেওয়ালের লিখন পড়তে পারছে না। আমরা লিখে দিচ্ছি, কোচবিহারে বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক লক্ষাধিক ভোটে হারছেন। বিজেপি কোনও বিধানসভাতেই লিড পাচ্ছে না। এমনকি কোচবিহার শহরেও আমরা অপ্রত্যাশিত ফলাফল করতে চলেছি।’’

কোচবিহারের বিজেপির সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে কোচবিহারে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল। এ বার তার জবাব দিলেন মানুষ। জয়ের ব্যাপারে আমরা ১০০ শতাংশ আশাবাদী। এ জন্য আমরা মিষ্টিমুখ করলাম, বাজি পোড়ালাম। তৃণমূল বিজয় মিছিল করছে, না পরাজয় মিছিল করছে, সেটা ৪ তারিখে পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’

Rudranil Ghosh: বিজেপিতে টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ! বেসুরো রুদ্রনীল

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এবার বিজেপিতে টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ। বেসুরো রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। অফিসিয়াল গ্রুপ ছাড়া বিজেপির বাকি সব গ্রুপ ‘লেফট’। হঠাৎ কেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে এলেন বিজেপি নেতা? তাই নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। তাহলে কি রঙ বদল করতে চলেছেন রুদ্রনীল? তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনীতিতে। যদিও কী কারণে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন তার ব্যাখ্যা নিজেই দিয়েছেন বিজেপি নেতা।

এখনও পর্যন্ত বাংলার ৩৮ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। যে ৪টি আসনে এখনও বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা হতে বাকি আছে সেগুলি হল- ডায়মন্ড হারবার, আসানসোল, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূম। তবে রুদ্রনীলকে দল প্রার্থী ঘোষণা না করায় আশাভঙ্গ হয়েছে অভিনেতার। তাঁর কণ্ঠে শোনা গিয়েছে কিছুটা অভিমানের সুর। শোনা যাচ্ছে লোকসভায় টিকিট পাওয়ার আশায় ছিলেন রুদ্রনীল। তবে টিকিট না পাওয়ায় মন খারাপ রুদ্রনীলের। কিন্তু, এরজন্য তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেননি বলেই জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন-  বরাহনগর উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী সজল ঘোষ

তাঁকে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাড করা হয়েছিল। যে যেমন পেরেছিল তাঁকে অ্যাড করেছিল। তাতে প্রচুর ভিডিয়ো থাকায় দেখতে দেখতে এক সময় ফোন ভরে যাচ্ছিল। তাই দোলের দিন বাড়িতে থাকার সুযোগ তিনি অবাঞ্ছিত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন। তবে এখনও তিনি দলের ১০ থেকে ১২ টি গুরুত্বপূর্ণ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রয়েছেন বলেই জানিয়েছেন।

টিকিট না পাওয়া নিয়ে কি সত্যিই অসন্তুষ্ট রুদ্রনীল? সেকথাও স্পষ্ট করেছেন বিজেপি নেতা। রুদ্রনীলের কথায়, তিনি দলের নির্দেশে প্রতিনিয়ত কাজ করেছেন। এমনকী ভবানীপুরের মতো কঠিন আসনেও লড়েছেন। তিনি জানান, তাঁর আশা ছিল তিনি লোকসভায় টিকিট পাবেন। কিন্তু, সেই প্রত্যাশা মতো তিনি টিকিট পাননি।

তাহলে কি দল ছেড়ে দিতে চলেছেন রুদ্রনীল? সেই জল্পনা প্রসঙ্গে রুদ্রনীল জানান, তিনি এখনই দল ছেড়ে যেতে চাইছেন না। তবে তার মধ্যে আবার জল্পনা উসকে দিয়ে তিনি জানান, তিনি নতুন কিছু ভাববেন কিনা পরে জানাবেন। তিনি জানান, তিনি বিজেপিতেই আছেন। দলের জন্য সারাদিন কাজ করেন।

একসময় তিনি রাজ্যের বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সংসদের সভাপতি ছিলেন। ২০১৪ এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি ছিলেন তৃণমূলের স্টার ক্যাম্পেনার। কিন্তু, পরবর্তীতে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষেত্রে সুর চড়াতে শোনা গিয়েছিল রুদ্রনীল ঘোষকে। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে ‘বেসুরো’ শোনা গিয়েছিল রুদ্রনীলকে। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব তৈরি হয়। পরে ঘাসফুল শিবির ত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি।

Sajal Ghosh: বরাহনগর উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী সজল ঘোষ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের দুই বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি। বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)। একইসঙ্গে ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনেও প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। ওই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ভাস্কর সরকার।

কিছু দিন আগেই বরানগরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তাপস রায়৷ এর পর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি৷ এবার কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে তাঁকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে বিজেপি৷ অন্যদিকে, বিধায়ক ইদ্রিশ আলির মৃত্যু হওয়ায় মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা আসনটি খালি হয়৷ এই দুই আসনেই আগামী ১ জুন উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন৷

আরো পড়ুন- পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তান, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌবিমান ঘাঁটিতে হামলা

সজল ঘোষ গত পুরভোটে কলকাতা পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন৷ রাজ্য বিজেপির অন্যতম পরিচিত এবং জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি৷ লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা উত্তর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়ার অন্যতম দাবিদারও ছিলেন সজল৷ তবে লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না দিলেও উপনির্বাচনে তরুণ এই নেতাকে সুযোগ দিল দল৷

প্রার্থী হওয়ার পর সজল ঘোষ বলেন, ‘আমার উপরে আস্থা রাখায় দলকে ধন্যবাদ৷ আমার রাজনৈতিক গুরু তাপস রায়৷ তাঁর আশীর্বাদ নিয়েই আমি এগোব৷ উত্তর কলকাতায় আমাদের সংগঠন শক্তিশালী৷ আশা করছি দলকে আমি নিরাশ করব না৷’

ওদিকে বিধায়ক তথা আইনজীবী ইদ্রিশ আলির মৃত্যুতে খালি হয় মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা আসনটি। দীর্ঘ রোগভোগের পর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় তাঁর। ইদ্রিশের প্রয়াণে শূন্য আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছে ভাস্কর সরকারকে।

লোকসভার হিসাবে বরাহনগর আসনটি দমদম কেন্দ্রের অন্তর্গত। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় ও বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত। রয়েছেন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীও।

গোসাবায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, আহত তিন

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের আগে উত্তপ্ত সুন্দরবনের গোসাবা, তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। পাল্টা বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূলের হামলার অভিযোগ পদ্মশিবিরের। ঘটনায় তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। ইতিমধ্যেই দুই বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, দোলের দিন গোসাবা ব্লকের কুমিরমারিতে বুবাই মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে বুবাইয়ের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় ছোট মোল্লাখালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

আরো পড়ুন- কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের প্রতিবাদে, মোদীর বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি আপের, সরগরম দিল্লি

তৃণমূলের অভিযোগ, ছোট মোল্লাখালি অঞ্চলে তৃণমূলের সভাপতি অঙ্কন মণ্ডলকে খুনের চক্রান্ত করে হামলা চালিয়েছে বিজেপি। বিজেপির বিরুদ্ধে সুন্দরবন কোস্টাল থানায় বিজেপির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপ।

বিজেপির অভিযোগ, দোলের দিন, সোমবার বিকেলে বিজেপি কর্মীরা এলাকায় পতাকা, পোস্টার লাগাচ্ছিলেন। সেই সময় তৃণমূলের লোকজন গিয়ে তাঁদের উপর হামলা করে। তৃণমূলের মারে দুই বিজেপি কর্মী জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

Arjun Singh: বিশ্বাসঘাতকতা করেছে দল! ব্যারাকপুরে টিকিট না পেয়ে বিস্ফোরক অর্জুন

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে পার্থ ভৌমিককে প্রার্থী করেছে তৃণমুল। টিকিট না পেয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। ১০ ই মার্চ ব্রিগেডে জনগর্জন সভায় সামনের সারিতে বসে থাকা অর্জুন রীতিমতো অপমানিত বোধ করছেন। তাঁর সাফ কথা, টিকিট পাবেন না জানলে, তিনি তৃণমূলে ফিরতেনই না। তার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে দল।

অর্জুন জানান, তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব৷ ঘনিষ্ঠ মহলে অর্জুন দাবি করেছেন, তাঁকে প্রার্থী করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে৷ শুক্রবার পর্যন্ত তাঁর নামই ব্যারাকপুরের প্রার্থী হিসেবে পাকা হয়েছিল বলেও দাবি করছেন অর্জুন ঘনিষ্ঠরা৷ শেষ পর্যন্ত তাকে টিকিট দেওয়া হয়নি। পার্থ ভোমিককে প্রার্থী করেছে তৃণমুল।

অর্জুন সিং আরও বলেন, ‘আমি মরশুমী ফল নয়, বারো মাসের ফল। সবসময় রাজনীতিতে থাকি,মানুষের সঙ্গে থাকি। মনে আক্ষেপ তো থাকবেই। আমি ব্যারাকপুরের মানুষকে ঠকাইনি। ব্যারাকপুরকে ছেড়ে যাব না, এখানে জন্মেছি, এখানে মরব।’

বিজেপি সূত্রে খবর, অর্জুনের জন্য দলের দরজা খোলা রয়েছে। রবিবার তেমনই এক মৃদু ইঙ্গিত দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, বিজেপি মনে করে না, অর্জুন তৃণমূলে গেছেন! কারণ তার পরিবার তার পুত্র এখনো বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন। তাই তাকে দলে নিতে বিজেপির কোনো বাধা নেই। কিন্তু ব্যারাকপুরে বিজেপি তাকে প্রার্থী করবে কিনা সেটা ঠিক করবে দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে।

তবে দলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, ব্যারাকপুরে তৃণমূল পার্থকে প্রার্থী করায় ‘খুশি’ বিজেপি নেতারা। কারণ, বিজেপি এখনও পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে অর্জুনের ‘বিকল্প’ খুঁজে পায়নি।

কিন্তু অর্জুন সিং কি বিজেপি ডাকলে সাড়া দেবেন? না কি নিজে থেকেই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন? অর্জুনের স্পষ্ট জবাব, ‘‘সবার আগে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলব। তাঁরা যা সিদ্ধান্ত জানাবেন, সেটাই আমার সিদ্ধান্ত।’’

এদিকে অর্জুনের কর্মী-সমর্থকরা যদি তাঁকে বিজেপিতে যেতে বলেন, তাতে অবাক হওয়ার খুব বেশি কিছু থাকবে না। মনে করা হচ্ছে দু’এক দিনের মধ্যেই অর্জুনের পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ জানা যাবে। অর্জুন যে বিজেপিতেই যাবেন, তাও স্পষ্ট করে বলেননি। যদিও তাঁর ঘনিষ্ঠেরা বলছেন, ‘‘তৃণমূল কথা দিয়ে কথা রাখেনি। দাদা তাই বিজেপিতে যেতে তৈরি।’’

রাজনৈতিক মহলের মতে, অর্জুনের বিজেপিতে যাওয়ার কেবল সময়ের অপেক্ষা। দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সবুজ সিগন্যাল এলেই দুই এক দিনের মধ্যেই অর্জুন বিজেপিতে যোগ দেবেন। তখন ব্যারাকপুরে পার্থ বনাম অর্জুনের লড়াই আরো একবার জমে উঠবে। এখন দেখার লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের কোনও বড় পদক্ষেপ করেন কি না, ভাটপাড়ার তথা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।

প্রসঙ্গত গত লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন অর্জুন সিং। ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে অর্জুনকে প্রার্থীও করে বিজেপি। কড়া টক্করের মধ্যে দিয়ে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে ১৪,৮৫৭ ভোটে জয়ী হন অর্জুন সিং। যদিও বিজেপিতে থেকেই নিজের সাংসদ পদের পাঁচ বছর শেষ করেননি তিনি। ২০২২ সালের মে মাসেই ফের তৃণমূলে’ঘর ওয়াপসি’ হয়। তারপর থেকে তৃণমূলেই রয়েছেন তিনি। যদিও খাতায়কলমে তিনি বিজেপি সাংসদই রয়ে গিয়েছেন।

কাঁচরাপাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডে রমরমিয়ে চলছে পুকুর ভরাট, হেলদোল নেই প্রশাসনের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কাঁচরাপাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রকাশ্য দিবালোকে রমরমিয়ে চলছে পুকুর ভরাট। কাউন্সিলারের বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে চলছে পুকুর ভরাট। স্থানীয়দের অভিযোগ, কাউন্সিলার এবং পৌরপ্রধানকে বারবার জানিয়েও তারা কোন ব্যাবস্থা নেননি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যখন বারবার পুকুর ভরাটের (Pond Filling) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলছেন, প্রশাসনিক আধিকারিকদের, ঠিক তখন মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়েই কাঁচরাপাড়া পৌর অঞ্চলের মধ্যে কাউন্সিলারের বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে চলছে পুকুর ভরাট।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কাঁচরাপাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এটি একটি বহু পুরনো পুকুর। এলাকায় এটি সূর্যপুকুর নামে পরিচিত। এক সময় বহু মানুষ এখানে স্নান করতে আসতেন। কিন্তু সিপিএমের রাজত্বকালের পরে নতুন সরকার আসার পরেই জমি মাফিয়াদের দৌরাত্মে পুকুরটি ভরাট হতে থাকে। এখন যদি এই পুকুরটি পুরো ভরাট হয়ে যায় তাহলে এলাকার জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা পুরো বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। এখানে সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু পর্যন্ত জল দাঁড়িয়ে যায়। এখন যদি এই পুকুরটি ভরাট হয়ে যায় তাহলে সেই জল কোথায় যাবে? পৌর প্রশাসন কেন এদিকে নজর দিচ্ছে না? কোন স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে কি?

এদিকে বারবার চিঠি দিয়ে জানানোর পরে পৌরপ্রধান কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। রীতিমত তারা অপমানিত বোধ করছেন।

স্থানীয়রা জানান, এই পুকুরটির ব্যাপারে জানাতে কোথায় না গিয়েছি? থানা, পৌর প্রশাসন, বি এল আরও অফিস কিন্তু কোন সুরাও হচ্ছে না। প্রকাশ্য দিবালোকে কিছু লোক মুখ ঢেকে এসে পুকুর ভরাট করে চলেছে। প্রশাসনের কোন হেল দোল নেই।

এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলার শর্মিষ্ঠা মজুমদারকে প্রশ্ন করা হল, তিনি বলেন বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। স্থানীয় মানুষ লিখিতভাবে আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। পুরো বিষয়টি আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে জানিয়েছি।

আইন কি বলছে?

সম্প্রতি, একটি মামলায় বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট রুখতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তার পরেই এবার জলাভূমি ভরাট নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের মৎস্য দফতর।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জলাভূমি ভরাটের কোনও অভিযোগ পেলেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে। শুধু তাই নয়, এই সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পরেও দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিকরাও কোনও পদক্ষেপ না করলে তাদেরকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া অন্যায়ভাবে কেউ জমির চরিত্র বদল করলেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সম্প্রতি এনিয়ে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জলাভূমির চরিত্র কোনভাবেই বদল করা যাবে না, জলাভূমির চরিত্র বদলের কোনও অভিযোগ পেলেই সেই মুহূর্তে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর ব্যবস্থা না নিলেই ওই সমস্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে রাজ্য সরকার।

কিন্তু, এখন প্রশ্ন হল প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে এই পুকুর ভরাটের কাজ চলছে বহাল তবিয়তে ! কীভাবেই বা এত সাহস পাচ্ছেন আইনভঙ্গকারীরা? তাহলে কি পিছনে প্রভাবশালী কারোর মদত রয়েছে? যে কারণে আইনকে তোয়াক্কা না করে পুকুর ভরাট করতেও হাত কাঁপছে না তাঁদের? এমনই সব প্রশ্ন উঁকি মারতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে । যদিও, পুকুর ভরাটের অভিযোগ সামনে আসতেই চাপে পড়ে শেষ বেআইনি সেই কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ প্রশাসন ।

কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি রেলসফর কমে যাবে ৩ ঘণ্টা, শনিবার নশিপুর সেতুর উদ্বোধন করবেন মোদি

এবার কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি রেলসফর কমে যাবে ৩ ঘণ্টা, ভারতীয় রেল সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদে আজিমগঞ্জ-নশিপুর রেল সেতুর কজা শেষ, শনিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই বহুপ্রতীক্ষিত নশিপুর সেতুর উদ্বোধন করতে চলেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার সকালে নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে নবনির্মিত আজিমগঞ্জ-মুর্শিদাবাদ লাইনের উদ্বোধন করবেন মোদী। যে লাইনের মধ্যেই পড়ছে নশিপুর রেলসেতু। আর ওই সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হলে হাওড়া এবং শিয়ালদা থেকে উত্তরবঙ্গে যেতে আরও কম সময় লাগবে। এখন যা সময় লাগে, তার থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা কমেই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে পৌঁছানো যাবে। সেইসঙ্গে উত্তর ভারতের (দিল্লির মতো) সঙ্গে রেল যোগাযোগ আরও ভালো হয়ে উঠবে। মুর্শিদাবাদের মানুষ সহজেই দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন। তাঁদের ঘুরে-ঘুরে যেতে হবে না। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, নশিপুর সেতুর হাত ধরে মুর্শিদাবাদের আর্থিক উন্নতির পথ প্রশস্ত হবে। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে লাখ-লাখ মানুষের জীবনের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

আর সেই সুফল পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে মুর্শিদাবাদের মানুষকে। তাই যত কাজ এগোচ্ছিল, তত উত্তেজনা বাড়ছিল তাঁদের। শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার নশিপুর রেলসেতু পরিদর্শনে আসেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (ইস্টার্ন সার্কেল) শুভময় মিত্র। সার্বিকভাবে নবনির্মিত আজিমগঞ্জ-মুর্শিদাবাদ লাইনের পরিদর্শনের পাশাপাশি রেলের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে নশিপুর সেতুর খুঁটিনাটি বিষয় খতিয়ে দেখেন। নবনির্মিত লাইনে কেমন কাজ হয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা,তা ভালোভাবে দেখে নেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (ইস্টার্ন সার্কেল)।

তারপর আজিমগঞ্জ-মুর্শিদাবাদ লাইনে ট্রায়াল রানও হয়। ১৪ কোচের প্যাসেঞ্জার ট্রেন নিয়ে সেই ট্রায়াল চালায় রেল। নশিপুর সেতুও দিয়ে ছুটে যায় সেই ট্রেন। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ট্রায়াল রানের সময় ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিবেগ ছুঁয়ে ফেলা হয়। যাত্রীবাহী ট্রেনের ভার সামলাতে কতটা সক্ষম নশিপুর সেতু, ঝাঁকুনি সামলাতে কতটা সক্ষম, তা পরীক্ষা করে দেখেন রেলের কর্তারা। তারপর কয়েকটি পর্যবেক্ষণ যোগ করে নশিপুর রেলসেতুতে যাত্রী পরিবহণ শুরু করার ছাড়পত্র দেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (ইস্টার্ন সার্কেল)।

তারইমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে শনিবার সকালে নশিপুর সেতু গিয়ে ট্রেন চালানোর জন্য সবুজ পতাকা দেখাবেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন করবেন আজিমগঞ্জ-মুর্শিদাবাদ লাইনের। যে লাইন ‘রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা, পণ্য পরিবহণ এবং অর্থনৈতিক ও শিল্পের উন্নতির ক্ষেত্রে সেই লাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে’ বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।