ইটালিতে জি৭ বৈঠকে জেলেনস্কি-মোদী বৈঠক, যুদ্ধ বন্ধের জন্য কী বললেন?

ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের আবহে জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে ইটালি গিয়ে শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সংঘাতে ইতি টানতে ভারতের তরফে প্রয়োজনীয় প্রয়াস নেওয়া হবে বলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন মোদী। প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছর জাপানে জি৭ বৈঠকে গিয়েও জ়েলেনস্কির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেছিলেন মোদী। বলেছিলেন, “আমি মনে করি না, এটি (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) কোনও রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক বিষয়। আমার কাছে এটি মানবিকতার বিষয়। মানবিক মূল্যবোধের ব্যাপার।”

আরো পড়ুন- রাজ্যের ৪ বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থীর নাম ঘোষনা তৃণমূলের

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পুতিনবাহিনীর হামলা শুরু ইস্তক রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে মস্কোর বিপক্ষে অবস্থান নেয়নি নয়াদিল্লি। যদিও একাধিক বার প্রকাশ্যে যুদ্ধ বন্ধের জন্য সওয়াল করেছেন মোদী। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বৈঠকের ফাঁকে পুতিনের সঙ্গে প্রথম বার মুখোমুখি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই মোদী পুতিনকে বলেছিলেন, ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়।’’

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করতে গিয়ে পুতিন যে কারণগুলির উল্লেখ করেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিল জ়েলেনস্কি সরকারের তরফে নেটোর সদস্যপদ লাভের চেষ্টা। যদিও এর আগেই ইউক্রেন বার্তা দিয়েছে, তারা সেই প্রচেষ্টা থেকে সরে আসতে রাজি। তবে এ ক্ষেত্রে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়ার থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস পেতে চায় জ়েলেনস্কি সরকার। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার জি৭ বৈঠকে ইউক্রেনকে ৫,০০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি, আমেরিকার সঙ্গে ১০ বছরের নিরাপত্তা চুক্তি সই করেছেন জ়েলেনস্কি।

পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তান, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌবিমান ঘাঁটিতে হামলা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হোলির দিন সকালে রক্তাক্ত হল পাকিস্তান। পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌবিমানঘাঁটি টুর্ব্যাট। মঙ্গলবার ভোরে অতর্কিত হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অসংখ্য পাক সেনা। লাগাতার বিস্ফোরণে বিমানঘাঁটিতে অন্তত ৪টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার ও ৩টি ড্রোন ধ্বংস হয়ে গেছে বলে খবর।

জঙ্গি হামলায় পরপরই হামলাকারীদের সঙ্গে পাক সেনার গুলির লড়াই শুরু হয়। হামলার দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি’ (BLA)। এই নিয়ে চলতি সপ্তাহে দু-বার এবং চলতি বছরে তিনবার হামলা চালাল বিএলএ!

আরো পড়ুন- কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের প্রতিবাদে, মোদীর বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি আপের, সরগরম দিল্লি

পাক সেনা সূত্রে খবর, এদিন ভোররাতে টুর্ব্যাট নৌ-বিমাঘাঁটিতে হামলা চালায় বিএলএ বিদ্রোহীরা। তারা বিমানঘাঁটিতে ঢোকার চেষ্টা করতেই বাধা দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা। শুরু হয়ে যায় গুলির লড়াই। বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুঁড়তে থাকে হামলাকারীরা। তাতেই আগুন ধরে যায় বিমানঘাঁটিতে দাঁড়িয়ে থাকা হেলিকপ্টারগুলিতে। গোলাগুলিতে বালোচ বিদ্রোহীদের চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। অন্তত ১২ জন পাক সেনার মৃত্যুর খবরও সামনে এসেছে। হামলাকারীদের কাছ থেকে হ্যান্ড গ্রেনেড-সহ অনেক স্বয়ংক্রিয় আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে খবর।

প্রসঙ্গত, গত বুধবারই বালোচ হামলার কবলে পড়েছিল পাকিস্তান। আরব সাগরের তীরে এই গোদার বন্দরটি চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের (Belt and Road) অন্তর্ভুক্ত। বন্দরের উন্নয়নেও বিপুল বিনিয়োগ করেছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। বালোচিস্তানে প্রবল অশান্তি, জঙ্গি হামলা সত্ত্বেও এই বন্দরের উন্নয়ন হয়েছে বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের মাধ্যমে। সেই হামলায় আটজন বালোচ বিদ্রোহী এবং দুই পাক সেনার মৃত্যু হয়। মাত্র ছদিনের মাথায় ফের হামলা চালাল বিএলএ।

নাইট ক্লাবে ঢুকতে বাধা, আমেরিকায় ঠান্ডায় জমে মৃত্যু ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্রের

নাইট ক্লাবে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তার পরে প্রবল ঠান্ডার কবলে পড়ে মৃত্যু হয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্রের। মৃত্যুর একমাস পরে প্রকাশ্যে এল তাঁর মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অকূল ধাওয়ান। গত ২০ জানুয়ারি বন্ধুদের সঙ্গে একটি নাইট ক্লাবে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে প্রবেশের অনুমতি দেননি নাইট ক্লাবের কর্তৃপক্ষ। তার পরেই নিখোঁজ হয়ে যান অকূল। দীর্ঘক্ষণ ধরে ফোন করেও অকূলের খোঁজ পাননি বন্ধুরা। বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকেই উদ্ধার হয় অকূলের মৃতদেহ।

আরো পড়ুন- রণবীর কোলেপিঠে করে মানুষ করেছেন, কাপুর খানদানের এই সুন্দরী কন্যের পরিচয় জানেন?

প্রাথমিকভাবে পুলিশের তরফে বলা হয়, স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ওই ভারতীয় বংশোদ্ভূত পড়ুয়ার। কিন্তু মাসখানেক পরে প্রকাশ্যে আসা পুলিশি রিপোর্টে উঠে আসছে অন্য় তথ্য। মৃত্যুর কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, প্রচুর অ্যালকোহল মিলেছে অকূলের দেহে। তার পর অনেকটা সময় প্রবল ঠান্ডার মধ্যে ছিলেন তিনি। দুই কারণ মিলিয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই পড়ুয়ার।

উল্লেখ্য, বারবার মার্কিন মুলুকে হামলার মুখে পড়ছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। মাত্র এক মাসে চার পড়ুয়ার মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠেছে সেদেশে। স্বভাবতই আঙুল উঠেছে প্রশাসনের দিকেও। বিতর্কের আবহেই গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হোয়াইট হাউসের অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক জন কিরবি। জানান, “প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর প্রশাসন কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন। সমস্ত রকম হিংসা রুখতে চেষ্টা করছি।” তার পরেই প্রকাশ্যে এল ভারতীয় বংশোদ্ভূত পড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট।

মুইজ্জুর ‘ভারত-বিরোধী’ অবস্থানে নিজের ঘরেই কোনঠাসা মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারত-বিরোধী অবস্থানের জন্য নিজের ঘরেই প্রবল সমালোচনা মুখে পড়ল মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। মলদ্বীপের ‘ভারত-বিরোধী অবস্থান’ দ্বীপরাষ্ট্রের জন্য ‘অত্যন্ত ক্ষতিকর’ বলে মুইজ্জুকে আক্রমণ করলেন সে দেশের প্রধান দুই বিরোধী দলের নেতারা।

ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে সম্প্রতি মুইজ্জু সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, মলদ্বীপে ঘাঁটি গাড়তে চলেছে চিনা গুপ্তচর জাহাজ। ‘শিয়াং ইয়াং হং-৩’ নামে ওই জাহাজটি ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চিন সাগর থেকে মলাক্কা প্রণালী পেরিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাভা এবং সুমাত্রা দ্বীপপুঞ্জের মধ্যবর্তী সুন্দা প্রণালীতে পৌঁছেছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সেটি ভারত মহাসাগরে ঢুকে পড়তে পারে। ৮ ফেব্রুয়ারি ওই চিনা জাহাজ মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে পৌঁছতে পারে।

মলদ্বীপের তরফে চিনা জাহাজের নোঙর করার কথা প্রকাশ্যে আনার পরেই মুইজ্জু সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সে দেশের বিরোধী নেতারা। জনগণের একাংশও সরকারের সমালোচনা শুরু করেছেন।

আরো পড়ুন- মমতাকে লাগাতার নিশানা! অধীরের কারনে তৃণমূল ছাড়ছে INDIA জোট

‘মালদ্বীভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি)’ এবং ‘দ্য ডেমোক্র্যাট’ দলের নেতাদের মতে, মুইজ্জুর ‘ভারত-বিরোধী অবস্থান’ দেশকে বড়সড় বিপদের মধ্যে ফেলতে পারে।

এমডিপি এবং ডেমোক্রেট দলের পক্ষে একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এমডিপি এবং ডেমোক্রেট, উভয় দলই বিশ্বাস করে যে উন্নয়নে সাহায্য করে এমন বন্ধুকে দূরে সরিয়ে দেওয়া এবং বিশেষ করে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুকে দূরে ঠেলে দেওয়া আমাদের দেশের জন্য ক্ষতিকর হবে।’’

মলদ্বীপের বিরোধী দলগুলির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের দাবি, মলদ্বীপের বিদেশ নীতি অনুয়ায়ী, সে দেশের সরকারের উচিত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে, এমন বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে পথ চলা।

ভারত মহাসাগরে স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা মালদ্বীপের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার জন্যও অত্যাবশ্যক বলে বিরোধী দুই দল যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে।

Maldives: ভারতীয়দের ‘বয়কট মালদ্বীপে’র ডাক! চিনের কাছে পর্যটক চেয়ে কাতর আর্জি বিপন্ন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অবমাননার জেরে নেটদুনিয়ায় ট্রেন্ডিং ‘বয়কট মালদ্বীপ’ (Maldives)। বলিউড তারকা থেকে ক্রিকেটার- সকলেই একবাক্যে বলছেন, ছুটি কাটাতে মালদ্বীপ নয়, গন্তব্য হোক ভারতের লাক্ষাদ্বীপ। একমত দেশের আমজনতাও। মালদ্বীপের টিকিট কাটা থাকলেও তা বাতিল করে দিচ্ছেন অনেকে। এমনকী মালদ্বীপে যাওয়ার কোনও বুকিং করতে রাজি নয় বলেও জানিয়েছে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি। এই পরিস্থিতিতে বেজিং সফরে গিয়ে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকারের কাছে পর্যটক চেয়ে ‘দরবার’ করলেন!

পাঁচ দিনের চিন সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার ফুজিয়ান প্রদেশের মলদ্বীপ বিজনেস ফোরামে বক্তৃতা করেন মুইজ্জু। সেখানে চিনা বণিকসভাগুলির প্রতিনিধিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘প্রাক অতিমারি পর্বে চিন আমাদের প্রধান বাণিজ্য সহযোগী ছিল। আমরা আবার সেই পরিস্থিতিতে ফিরতে চাই।’’ মলদ্বীপে চিনা পর্যটকদের আরও বেশি করে যাওয়ার আবেদন জানান মুইজ্জু। জানান, মলদ্বীপে বিশেষ পর্যটন অঞ্চল গড়ার জন্য চিনের সঙ্গে ৫ কোটি ডলারের (প্রায় ৪১৫ কোটি টাকা) একটি চুক্তি সই করেছেন তিনি।

আরো পড়ুন- রাশিয়াতে মৃত্যু উপত্যকা! ডিয়াটলোভ পাস রহস্য

গত সেপ্টেম্বরে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘চিনপন্থী’ নেতা তথা ‘পিপল্‌স ন্যাশনাল কংগ্রেস’-এর প্রধান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে একের পর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। যা নিয়ে নয়াদিল্লি-মালে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। এই আবহে সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লক্ষদ্বীপে গিয়েছিলেন মোদী। সেই সফরের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। অভিযোগ, মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী, মরিয়ম শিউনা, মালশা শরিফ এবং মাহজ়ুম মাজিদ কিছু ছবিতে মোদীকে ‘পুতুল’ এবং ‘জোকার’ বলে মন্তব্য করেন। ভারত-ইজ়রায়েল সম্পর্ক নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়। পরে অবশ্য বিতর্কের মুখে পোস্টগুলি মুছে দেওয়া হয়।

ঘটনার পরেই মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি (যাঁকে পরাজিত করে মুইজ়ু সম্প্রতি ক্ষমতায় এসেছেন) এবং আর এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদ মোদীর সমালোচনা করা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি তোলেন। তাঁরা জানান, ভারত মলদ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ ‘মিত্র’। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন মন্তব্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এর পরই ঘরে-বাইরে চাপের মুখে রবিবার মুইজ্জু সরকার তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়।

কয়েকমাস আগে ‘চিনপন্থী’ মুইজু মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করেছে ভারতের সঙ্গে সেদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। এহেন পরিস্থিতিতেই চিনে লম্বা সফরে গিয়েছেন মালদ্বীপ প্রেসিডেন্ট। যদিও দীর্ঘদিন ধরে মালদ্বীপের নানা প্রকল্পে প্রচুর সাহায্য করেছে ভারত। তা সত্ত্বেও চিনের প্রতি বেশি আস্থা রাখতে চাইছে মালদ্বীপ, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

ঘটনাচক্রে, মুইজ্জু চিন সফরের গোড়াতেই সোমবার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় বেজিং। কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত একদলীয় চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ভারতের বিরোধিতা করার জন্য মালেকে কোনও উস্কানি দেয়নি বেজিং। লেখা হয়, ‘‘আমরা মলদ্বীপকে সমান স্তরের সহযোগী ভাবি এবং তাদের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি।’’

Khalistani Attack: আমেরিকায় হিন্দু মন্দিরে হামলা! ‘মোদি একজন জঙ্গি’ দেওয়ালে লিখলেন খালিস্তানি সন্ত্রাসীরা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আমেরিকায় হিন্দু মন্দিরে হামলা! ক্যালিফোর্নিয়ায় মন্দিরের গায়ে লিখে দেওয়া হল ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ এবং ‘মোদি ইজ টেররিস্ট’ (মোদি হলেন জঙ্গি)। উল্লেখ্য, গত মাসেই আক্রান্ত হয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ার স্বামীনারায়ণ মন্দির এবং এবং শিব দুর্গা মন্দির। আমেরিকায় পরপর এমন হামলায় উদ্বিগ্ন সেদেশের হিন্দুরা।

৫ জানুয়ারি, শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়ার হেওয়ার্ডে অবস্থিত শেরাওয়ালি মন্দিরে হামলা চালিয়েছে খালিস্তানিরা (Khalistan)। মন্দিরের সামনের দেওয়ালে কালো রঙে একাধিক স্লোগান ও গ্রাফিটি এঁকে এবং লিখে দেওয়া হয়েছে। ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ লেখার পাশাপাশি স্লোগান লেখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেও। ‘জঙ্গি’ তকমা দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

আরো পড়ুন- ডিভোর্স দিতে না চাওয়ায় নিজেদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার চাপ স্বামীর

ছবিটি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে আমেরিকার হিন্দু ফাউন্ডেশন। তাদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে, মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই ক্যালিফোর্নিয়ার স্বামীনারায়ণ মন্দির এবং শিব দুর্গা মন্দিরে হামলা করা হয়েছিল। আবারও আক্রান্ত হল আরেকটি হিন্দু মন্দির। খালিস্তানিদের হামলা রোখার জন্য মন্দিরগুলির নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে হিন্দু সংগঠনটি।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই ভারত সরকারের বিরোধিতা করার দরুন কানাডার একাধিক হিন্দু মন্দির লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে খলিস্তানপন্থীরা। মন্দিরের গায়ে বিতর্কিত স্লোগান লেখা থেকে শুরু করে হামলা বিষয়ক একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে চিন্তা বাড়ছে কানাডার প্রতিবেশী দেশ আমেরিকার ।

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চিনের বিস্তীর্ণ এলাকা, আহত অন্তত ১০

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রবিবার ভোরে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চিনের বিস্তীর্ণ এলাকা।রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৫। ভূমিকম্পের জেরে ভেঙে পড়েছে বহু ঘরবাড়ি। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। রাজধানী বেজিং থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ডেজহোউ সিটি। ‘চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক সেন্টার’ সূত্রে খবর, রবিবার ভোরে ওই এলাকা কাঁপতে শুরু করে। সরকারি টিভি ‘চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশন’ (সিসিটিভি)-এ দাবি করা হয়েছে ভূমিকম্পের জেরে ভেঙে পড়েছে অন্তত ৭৪টি বাড়ি। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তবে এখনও পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

অন্য দিকে, শনিবার রাতে আচমকাই কেঁপে ওঠে ভারতের রাজধানী দিল্লিও। জানা যায়, আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বত ছিল সেই কম্পনের উৎসস্থল। আচমকা ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দিল্লিবাসী। দৌড়ে খোলা জায়গায় বেরিয়ে আসেন তাঁরা। এ ক্ষেত্রেও ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির কোনও খবর নেই।

অপারেশন ঘোস্ট স্টোরিস। আমেরিকার ইতিহাসে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় স্পাই নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করে এফবিআই

দিনটা ২৬ জুন, ২০১০, অন্যান্য দিনের মতোই কর্মব্যাস্ত নিউইয়র্ক শহরের এক রেস্তোরাঁয় কালো চশমা পড়ে লাল চুলের এক মেয়ে প্রবেশ করে। সেখানে অনেকক্ষন ধরেই তার জন্য অপেক্ষা করছিল কালো জামা পড়া এক ব্যাক্তি। তবে মেয়েটি রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করার অনেক আগে থেকেই চারপাশ খুব ভালো ভাবে লক্ষ্য করছিল। মেয়টির নাম অ্যানা চ্যাপমান যে একজন রাশিয়ান গুপ্তচর। কালো জামা পড়া ওই ব্যাক্তিটির নাম রোমান যে একজন রাশিয়ান কর্মকর্তা। অ্যানা তার ব্যাগ থেকে একটি ল্যাপটপ বের করে রোমানের হাতে দেয়। আসলে রোমান নামে যে ব্যাক্তিটিকে অ্যানা রাশিয়ান কর্মকর্তা ভাবছিল বাস্তবে সে আমেরিকার ইনটেলিজেন্স সংস্থা এফবিআই এর এজেন্ট। তাদের এই পুরো ঘটনা একটি গোপন ক্যামেরায় রেকর্ড হচ্ছিল।

এফবিআই এই পুরো মিশনের পরিকল্পনা বহুদিন ধরেই করছিল। এফবিআই এর এই মিশনের নাম অপারেশন ঘোস্ট স্টোরিস। বহুদিন ধরেই আমেরিকার বিভিন্ন শহরে বেশ কয়েকজন রাশিয়ান এজেন্ট গোপনে কাজ করছিল। তারা আমেরিকান পরিচয় নিয়ে সাধারন আমেরিকানদের ছদ্মবেশে আমেরিকায় বসবাস করে পরিবারও তৈরি করেছিল। তাদের পরিবার তাদের এই গোপন জীবন সম্পর্কে জানত না। কিন্তু এফবিআই বহুদিন ধরেই তাদের ধরবার পরিকল্পনা করছিল। এক অসাধারন অপারেশনের মাধ্যমে এফবিআই একই দিনে সব রাশিয়ান এজেন্টদের গ্রেফতারের পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলে।

অ্যানা চ্যাপমান নামের এই রাশিয়ান মহিলা দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা ও ব্রিটেনে রাশিয়ান এজেন্ট হিসাবে কাজ করছিল। লন্ডনে রাশিয়ার একটি মিশনে কাজ করার সময় অ্যানার সাথে পরিচত হয় আলেকজান্ডার চ্যাপমান নামে এক ধনী যুবকের, এবং উভয়ে খুব তাড়াতাড়ি বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হয়। কিন্তু চার বছর পর উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। অ্যানা তখন লন্ডন থেকে ম্যানহ্যাটেন চলে আসে ২০০৯ সালে। পরে সেখান থেকে পরে নিউইয়র্ক আসে, কিন্তু তখনও সে তার প্রাক্তন সাথীর চাপম্যান টাইটেল ব্যবহার করছিল। নিউইয়র্কে এসে অ্যানা রাশিয়ান ইনটেলিজেন্স সংস্থা কেজিবির কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ শুরু করে নিউইয়র্কে তার কাজ শুরু করে। লাল চুলের সুন্দরী অ্যানা খুব দ্রুত রাজনৈতিক মহলে তার বন্ধু তৈরি করতে শুরু করে এবং সে সফলও হয় তার কাজে। সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন কফিশপে, মলে, রেস্তোরাঁয় গোপন ভাবে কেজিবি এজেন্টদের সাথে দেখা করত অ্যানা। কিন্তু অ্যানা জানতো না এফবিআই তাকে নজর রাখা শুরু করেছে, আসলে বহু দিন থেকেই এই অপারেশন ঘোস্টস্টোরিস শুরু করেছিল এফবিআই। ২০০০ সালের শুরু থেকেই এফবিআই এই অপারেশন শুরু করে। প্রায় দশ বছর ধরে চলা এই অপারেশনে রাশিয়ান এজেন্টদের উপর এফবিআই বহু ধরে নজর রেখেছিল। কয়েক হাজার ঘন্টা ধরে তাদের সমস্ত বক্তব্য বিশ্লেষন করতে হয় এফবিআই এজেন্টদের।

অ্যানা সহ আমেরিকায় থাকা রাশিয়ান এজেন্টরা প্রাইভেট ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে যোগাযোগ করত যার লিংক ও গোপনীয় ছিল। এইসব এজেন্টরা রেডিওগ্রাম ও স্টেগানোগ্রাফি ব্যাবহার করত যোগাযোগের জন্য। স্টেগানোগ্রাফি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে একটি কম্পিউটারে রঙিন ছবির মধ্যে একটি বিশেষ সফটওয়্যারে কিছু ডিজিট্যাল সাংকেতিক মেসেজ ইনস্টল করা থাকত। সবাই দেখে সেটা সাধারন ছবি ভাবত, কিন্তু এই ছবির মধ্যে থাকা সফটওয়্যার ওপেন করতে হলে একটি বিশেষ কোডের দরকার হতো। প্রথমে কম্পিউটারে কন্ট্রোল, অল্ট ই টিপে তারপর ২৭ সংখ্যার একটি পাসওয়ার্ড দিতে হত তবে সেই মেসেজ দেখা যেত। এফবিআই এই প্রাইভেট নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করে এবং অ্যানার কম্পিউটার হ্যাক করে তাতে নিজেদের সফটওয়্যার ইনস্টল করে দেয়। এভাবে অ্যানা সহ আমেরিকায় গোটা কেজিবি নেটওয়ার্ককে ট্র্যাক করে ফেলে এফবিআই। অ্যানা যেখানে যেত, যাদের সাথে গোপনে দেখা করতো সব তথ্যই এফবিআই পেতে থাকে। এফবিআই বহুদিন ধরেই সন্দেহ করছিল বেশ কিছু সংখ্যায় রাশিয়ান আমেরিকায় ছদ্মবেশে বসবাস করছে। এইসব এজেন্টদের দেখে কেউ সন্দেহও করবে না, এরা এমনই পরিচয় তৈরি করেছিল। এদের মধ্যে কেউ নিজের নাম বদলে ফেলেছিল, কেউ মরে যাওয়া ব্যাক্তির নাম ব্যবহার করেছিল। সাধারন স্বামী স্ত্রীর মতোই প্রতিবেশীদের সাথে শান্তিপূর্ন বসবাস করতো এরা, সন্তান ছিল, কাজ করত, কেউ কেউ কলেজেও পড়তো অর্থাৎ পুরো একদম সাধারন জীবন যাপন, সন্দেহর কোন জায়গায় ছিলনা।

রাশিয়া এভাবে আমেরিকায় পুরো তাদের কেজিবির একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে ফেলেছিল। এফবিআই এই অপারেশনের নাম ঘোস্ট স্টোরিস দেয় কারন এফবিআই প্রাথমিক ভাবে দশজনকে রাশিয়ান এজেন্ট হিসাবে সন্দেহ করেছিল তাদের মধ্যে ছয়জনই মরে যাওয়া আমরিকান নাগরিকদের পরিচয় ব্যাবহার করতো। আমেরিকায় কেজিবির এই নেটওয়ার্ক পুরো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্রিটেনে সোভিয়েত ইউনিয়নের কেমব্রিজ ফাইভ নেটওয়ার্কের মতো ছিল যা ১৯৫০ সাল পর্যন্ত ছিল। যদিও ব্রিটেনের ইনটেলিজেন্স সংস্থা এমআই ৬ এবং এমআই ৫ সফল ভাবে এই নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে দিয়েছিল। কেমব্রিজ ৫ এর সবচেয়ে ধুরন্ধর এজেন্ট ছিল কিম ফিলবি যে এমআই ৬ এর সোভিয়েত ইউনিয়ন বিভাগের প্রধান হিসাবেও নিযুক্ত হয়েছিল। এফবিআই প্রায় একবছর ধরে অ্যানার উপর নজর রাখে। অ্যানা অন্তত ছয়টি জায়গা থেকে সাংকেতিক ভাবে মেসেজ পাঠাতো ও পেতো। সব কটি মেসেজই এফবিআই বুঝতে পারতো। এফবিআই রোমানকে রাশিয়ান কর্মকর্তা সাজিয়ে অ্যানার সাথে দেখা করতে পাঠায়। রোমানের সাথে দেখা করতে রাজিও হয়ে যায় অ্যানা। রোমান অ্যানাকে একটি নকল আমেরিকান পাসপোর্ট দিয়ে তা একজন এজেন্টকে দিয়ে আসতে বলে। কিন্তু অ্যানার রোমানের উপর সন্দেহ দেখা দেয় সেজন্য রেস্তোরাঁ থেকে বেড়িয়েই সে প্রথমেই তার ফোন নষ্ট করে ফেলে। একটি নতুন ফোন ও সিম কার্ড কেনে। কিন্তু এফবিআই অ্যনার গতিবিধির উপর নজর রাখছিল। পরের দিন অর্থাৎ ২৭ জুন অ্যানাকে গ্রেফতার করে এফবিআই। তবে ২৭ জুন শুধু অ্যানা একা গ্রেফতার হয়নি তার সাথে বোস্টন, উত্তর ভার্জিনিয়া, মন্টক্লেয়ার এবং ইয়াঙ্কাীসে অভিয়ান চালিয়ে আরও নয়জন রাশিয়ান এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ৮ জুলাই দশজন এজেন্টকে রাশিয়া ফেরত পাঠানো হয়, বদলে রাশিয়াও গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া চারজন ইউরোপীয়ান ব্যাক্তিকে ছেড়ে দেয়। তবে আরও তিনজন রাশিয়ান এজেন্ট গ্রেফতারের আগেই আমেরিকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই সমস্ত এজেন্ট রাশিয়ার এসভিআর ইনটেলিজেন্স অ্যাকডেমি থেকে প্রশিক্ষিত ছিল। এফবিআই এর ইতিহাসে এরকম অপারেশন প্রথমবারের মতোন হয় যেখানে একই দিনে দশজন রাশিয়ান এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়। এই দশ এজেন্টকে রাশিয়া আমেরিকায় পাঠিয়েছিল যাতে তারা সাধারন আমেরিকান হিসাবে বসবাস করে আমেরিকার রাজনৈতিক জগতে প্রভাব খাটিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। গ্রেফতার হওয়া দশজন রাশিয়ান এজেন্টদের মধ্যে আটজন স্বামী স্ত্রী এবং দুজন একা ছিল।

** ভিকি পেলায়েজ এবং জুয়ান লাজারো:–

ভিকি পেলায়েজের আসল নাম ছিল মিখাইল অ্যান্টোলিভিচ ভাসেনকভ। পেরুতে জন্মানো এই ব্যাক্তি আমেরিকায় ল্যাটিন ও আমেরিকান ও ক্যারিবিয়ান রাজনীতির অধ্যাপক হিসাবে কাজ করতো। তার স্ত্রী জুয়ান লাজারো নামটাও ছদ্মনাম ছিল। আসল জুয়ান লাজারো একজন আমেরিকান বাচ্চা ছিল যে ১৯৪৭ সালে উরুগুয়েতেই মারা গিয়েছিল। জুয়ান লাজারো এল ডিয়ারিও নামে একটি আমেরিকান স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে কাজ করতো।

** ডোনাল্ড হেতফিল্ড এবং ট্রাসি লি অ্যান ফলি:– এদের আসল নাম ছিল অ্যান্দ্রে বেজ্রোকোভ এবং ইয়েলিনা ভ্যাভিলোভা। এরা ম্যাসাচুসেটসে থাকত। ডোনাল্ড হেতফিল্ড নামটা একজন কানাডিয়ান মৃত ব্যাক্তির। ট্রাসি রিয়েল এস্টেট এজেন্ট এবং ডোনাল্ড ভবিষ্যত প্রযুক্তির উপরে কাজ করত, সাথে সেলসম্যান হিসাবেও কাজ করতো।

** রিচার্ড এবং সিন্থিয়া মার্ফি:— এদের আসল নাম ভ্লাদিমির গুরিয়েভ এবং লিদিয়া গুরিয়েভা। এরা নিউ জার্সির মন্টকেয়ারে থাকতো। সিন্থিয়া বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রজেক্টে কাজ করতো নিউইয়র্কে।

** মিখাইল জটোলি এবং প্যাটরিসিয়া মিলস:– এদের আসল নাম ছিল মিখাইল কুটসিক এবং নাটালিয়া পেরেভারজেভা। প্রথমে এরা ওয়াশিংটনে থাকতো পরে ভার্জিনিয়ায় চলে আসে। এরা ২০০১ ও ২০০৩ সালে আমেরিকায় আসে। জটোলি নিজেকে ইটালিয়ান ব্যাঙ্কার হিসাবে পরিচয় দিয়েছিল এবং মিলসের পরিচয় ছিল একজন কানাডিয়ান ছাত্র।

** অ্যানা চ্যাপম্যান :– আসল নাম অ্যানা কুশচেঙ্কো। লন্ডন থেকে নিউইয়র্কে এসে রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হিসাবে কাজ করতো।

** মিখাইল সেমেঙ্কো :– এই ব্যক্তি তার নিজের নামেই আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। রাশিয়ান, ইংরেজি, স্প্যানিশ ও চাইনিজ ভাষায় পারদর্শী মিখাইল ট্রাভেল অল রাশিয়া নামে একটি ভ্রমন সংস্থায় কাজ করতো। তার মালিক সালাভা শিরোকোভ একজন বিশ্বরাজনীতির বিশ্লেষক ছিল যার থেকে অনেক গোপন তথ্য পেত মিখাইল।

পরে সাইপ্রাসে ক্রিস্টোফার মেসটস নামে আর একজন ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে এফবিআই যে আমেরিকা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। মেসটস আমেরিকায় রাশিয়ান এজেন্টদের পয়সা দেবার দায়িত্বে ছিল। মেসটস নিজেকে কানাডিয়ান দাবি করলেও তার আসল পরিচয় এফবিআই খুঁজে বের করে। তার আসল নাম পাভেল কাপুস্টিন যে একজন ধুরন্ধর রাশিয়ান এজেন্ট।

পাকিস্তানে চরম খাদ্য সংকট, মোদিকে পাশে চান পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ

পাকিস্তানে চরম খাদ্য সংকট, বহু জায়গায় দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চাল-গমের গাড়ি দেখলে পিছু নিচ্ছে বুভুক্ষু মানুষ। বেশিরভাগ রেশন দোকান বন্ধ। বিদ্যুতের অভাবে জলের পাম্প চালানো যাচ্ছে না অনেক জায়গায়। ফলে পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। দেশের এই পরিস্থিতির জন্য লজ্জিত পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। সাহায্য চাইতে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করছেন।

গতকাল গিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমির শাহী। সেখানে গিয়ে বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও। স্থানীয় টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্‍কারে পাক প্রধানমন্ত্রী খোলাখুলি বলেন, আমি ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বেরিয়েছি। আমার এইটা ভেবে খারাপ লাগছে যে আমাদের দেশের হাতে পরমাণু বোমা আছে। অথচ ভাঁড়ারে চাল-গম নেই। এই পরিস্থিতির জন্য আমি লজ্জিত (Pakistan Crisis) ।

আরো পড়ুন- ফের বিয়ে করেছে দাউদ ইব্রাহিম! জামাই আদরেই পাকিস্তানে রয়েছে ডন

সামরিক খাতে খরচ এবং যুদ্ধ যে পাকিস্তানের আর্থিক মেরুদণ্ডকে চুরমার করে দিয়েছে তাও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমরা তিনবার যুদ্ধ করেছি। হার-জিৎ প্রসঙ্গ এড়িয়ে তিনি বলেন, আমাদের যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহী। আমাদের দুই দেশের মধ্যে কথা শুরু হওয়া দরকার। তার কথায়, আমরা যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আছি, আমাদেরই ঠিক করতে হবে আমরা কী দেশকে ফের যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেব নাকি মুখোমুখি বসে কথা বলে একে অপরকে সহায়তা করব।

প্রসঙ্গত, ২০১৯-এ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে হামলা জেরে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা বন্ধ রয়েছে। বন্ধ বাণিজ্যও। আফগানিস্তানে ভারত খাদ্য পাঠাতে পাকিস্তানের ভূখণ্ডকে ব্যবহার করলেও তা ছিল ত্রাণ। বাণিজ্যিক সরবরাহ নয়। গত বছর পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিপুল ত্রাণ সামগ্রী পাঠান সে দেশে। কিন্তু কূটনৈতিক আলোচনা শুরু হয়নি। লক্ষণীয় হল, কাশ্মীরের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলও চাইছে ভারত আলোচনার দরজা খুলুক। কিন্তু সেখানে বিধানসভার ভোট না হওয়া পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা কম বলেই মনে করা হচ্ছে।

ফের বিয়ে করেছে দাউদ ইব্রাহিম! জামাই আদরেই পাকিস্তানে রয়েছে ডন

নয়াদিল্লিঃ ফের বিয়ে করেছে দাউদ ইব্রাহিম! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA-র জেরায় চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ডনের ভাগ্নে আলি শাহের। সেপ্টেম্বরে ভারতে মোস্ট ওয়ান্ডেড আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের ভাগ্নেকে জেরা করে NIA। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমন সূত্রে খবর, জেরায় আলি শাহ জানিয়েছে, পাকিস্তানেই দ্বিতীয়বার সংসার পেতেছে দাউদ ইব্রাহম (Dawood Ibrahim)। জামাই আদরেই পাকিস্তানের রয়েছে ডন। করাচি থেকেই চলছে তার অন্ধকার সাম্রাজ্যের কারবার। দাউদের বোন হাসিনা পার্কার (Haseena Parkar) ছেলের NIA-কে দেওয়া বয়ানের রেকর্ড হাতে পেয়েছে একটি সর্ব ভারতীয় সংবাদ সংস্থা। ওই রেকর্ড সামনে রেখেই তাঁদের দাবি, পাকিস্তানের এক মহিলাকে এবার বিয়ে করেছে দাউদ ইব্রাহিম। তবে প্রথম পক্ষের স্ত্রী মেহজাবিন শেখের সঙ্গেও বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি তার। প্রথম স্ত্রী মেহজাবিন বহু সময়ই দুবাইতে থাকে। সেখানেই ভাগ্নে আলি শাহ পার্কারের সঙ্গে দেখা হয় তার।

দাউদের পাকিস্তানি বউ

মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড দাউদ ইব্রাহিমকে কয়েক দশক ধরে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ। তবে, দাউদের ভাগ্নে আলি শাহ পার্কারের বয়ানে ফের একবার সন্ত্রাসে মদতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় প্রমাণ হাতে এসেছে ভারতের। সূত্রের খবর সেপ্টেম্বরে NIA তদন্তকারীদের জেরায় দাউদের ভাগ্নে জানায়, ২০২২ সালের জুলাইতে দুবাইয়ে দাউদের প্রথম স্ত্রী মেহজাবিন শেখের সঙ্গে দেখা হয় হয় আলি শাহ পার্কারের। তখনই মেহজাবিন তাকে জানায়, এক পাকিস্তানি মহিলাকে ফের বিয়ে করেছএ দাউদ! করাচিতেই নতুন সংসার ডনের। হোয়াটঅ্যাপ কলের মাধ্যমে ভারতে থাকা আত্মীয়দের সঙ্গে মেহজাবিন নিয়মিত যোগাযোগ রাখে বলেও জেরায় জানিয়েছে আলি শাহ পার্কার।

কেন দ্বিতীয় বিয়ে দাউদের

দাউদের প্রথম স্ত্রী মেহজাবিন শেখ ডনের বহু দিনের সঙ্গী। পাকিস্তানের বাইরেও তারা যাতায়াত। ভাগ্নে আলি শাহ পার্কারের দাবি, প্রথম স্ত্রী মেহজাবিনের উপর থেকে তদন্তকারীদের নজর ঘোরাতেই দ্বিতীয় বিয়ে করেছে দাউদ। তবে, ডনের পাকিস্তানি স্ত্রীর সম্পর্কে বিশেষ কোনও তথ্য এখনও সামনে আসেনি। এর আগেও পাকিস্তানের একাধিক প্রভাবশালী পরিবারের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক তৈরি করেছে দাউদের পরিবার। ক্রিকেটার থেকে পাকিস্তানি সেনা কর্তা, ISI এজেন্টরা এখন সেই সূত্রে দাউদের আত্মীয়। দাউদের মেয়ে মাহরুখ কাসকারের বিয়ে হয়েছে প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদের ছেলের সঙ্গে। ভাইপো রাজ্জাকের সঙ্গে ISI-এর এক সিনিয়র কর্তার মেয়ের বিয়ে দিয়েছে দাউদ। পাক সেনা বা ISI-কর্তাদের পরিবারে বিয়ে হয়েছে দাউদের পরবর্তী প্রজন্মের অনেকেরই।

আরো পড়ুন- নেপালের পোখারার বিমান দুর্ঘটনাস্থল থেকে আরও ২ দেহ উদ্ধার, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০

তদন্তকারীদের একাংশের মতে পাকিস্তানের কাছের লোক হতেই সেই দেশের সঙ্গে বারবার বৈবাহিক সম্পর্ক বাড়াচ্ছে দাউদ আর তার পরিবার। ভাইপো, ভাইজিদের পর এবার সেই তালিকায় নাম খোদ দাউদের। পাকিস্তানকে পাশে পেতে সরাসরি সে দেশের জামাই হয়ে বসেছেন ডন।

নেপালের পোখারার বিমান দুর্ঘটনাস্থল থেকে আরও ২ দেহ উদ্ধার, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০

কাঠমান্ডুঃ নেপালের পোখারার বিমান দুর্ঘটনাস্থল থেকে আরও ২ দেহ উদ্ধার। রবিবার নেপালের কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় (Pokhara International Airport) নামার পথে ইয়েতি এয়ারলায়ন্সের বিমানটি অবতরণের প্রায় ২০ মিনিট আগে ভেঙে পড়ে ৷ দুর্ঘটনাস্থল থেকে এখনও পর্যন্ত 70টি দেহ পাওয়া গেল, জানিয়েছে নেপাল পুলিশ ৷ বিমানটিতে যাত্রী ছিলেন ৭২ জন ৷

আরো পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড় ধাক্কা! বিজেপি কংগ্রেস ছেড়ে ১০০০ কর্মী যোগ দিলেন ঘাসফুলে

মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলাকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা জানায়, এটিআর ৭২ ইয়েতি এয়ারলায়ন্স এয়ারক্রাফ্ট (Yeti Airlines flight ATR 72) পুরনো বিমানবন্দর এবং পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাঝে ভেঙে পড়ে ৷ সোমবার ইয়েতি এয়ারলায়ন্সের ভেঙে পড়া বিমানটির ব্ল্যাক বক্স ও ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার খুঁজে পাওয়া যায় ৷ নেপালের সেনাবাহিনী এই ব্ল্যাক বক্স ও রেকর্ডারটি অসামরিক বিমান পরিষেবা কর্তৃপক্ষের (Nepal’s Civil Aviation Authority) হাতে তুলে দেয় ৷

বিশ্বের প্রথম ১৪টি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের মধ্যে 8টি নেপালে ৷ ছোট্ট এই পাহাড়ি দেশে বারে বারেই এমন ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে ৷ সেফটি ম্যাটার্স ফাউন্ডেশনের (Safety Matters Foundation) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৬ সাল থেকে ৪২টি ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে নেপালে ৷ অন্নপূর্ণা পর্বতশৃঙ্গের (Annapurna mountain range) প্রবেশপথ পোখারা ৷ তাই পর্যটকদের কাছে এই জায়গাটি জনপ্রিয়৷ এটি ২ হাজার ৭০০ ফুট বা ৮২০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ৷ মাত্র দু’সপ্তাহ আগে এই পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন হয়৷ সেই সময় এই এলাকায় পাখির সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এক বিশেষজ্ঞ৷ এর কাছে দু’টি নদী রয়েছে৷ তাই এখানে বিমানবন্দর তৈরির ফলে বিপদের আশঙ্কা করেছিল বিশেষজ্ঞ মহল ৷

প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে ফাঁসি দিল ইরান

তেহরান: ব্রিটেনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরানের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলিরেজা আকবরিকে ফাঁসি দিল ইরানের সুপ্রিম কোর্ট। ব্রিটেন ও ইরানের দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল তাঁর। আগেই তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল। শনিবার তা কার্যকর করা হল।

আরো পড়ুন- নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা, ৭২ যাত্রী নিয়ে পোখরায় ভেঙে পড়ল বিমান

ইরানের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, ব্রিটেনের গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে গোপনে কাজ করে রাষ্ট্র বিরোধিতা করেছেন আকবরি। ইরানের অভ্যন্তরীণ খবর তিনি পাচার করছিলেন। দেশের নিরাপত্তার ক্ষতি করার অপরাধে ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। ২০০০ সাল থেকে আট বছর ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ ওঠে। যদিও তিনি তা অস্বীকার করেন। এ সংক্রান্ত একটি অডিও টেপও প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে আকবরিকে বলতে শোনা গিয়েছে, অভিযোগ মেনে নেওয়ার জন্য ভয়ানক অত্যাচার চালানো হচ্ছে। ওরা যেটা চাইছে, সেটা আমাকে দিয়ে বলানোর জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল জানিয়েছেন, আকবরির মৃত্যুদণ্ড অযৌক্তিক। তাঁকে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছে। তাঁর মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করেছে ব্রিটেন সরকারও।