Rajib Banerjee : 'বিকেলে ফোন করে বলেছিল 'হেরে গিয়েছি', তারপর কোন জাদুবলে জয়'! নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে বিস্ফোরক রাজীব-জয়প্রকাশ - Bangla Hunt

Rajib Banerjee : ‘বিকেলে ফোন করে বলেছিল ‘হেরে গিয়েছি’, তারপর কোন জাদুবলে জয়’! নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে বিস্ফোরক রাজীব-জয়প্রকাশ

By Bangla Hunt Desk - March 12, 2022

বাংলাহান্ট ডেক্সঃ একুশে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের (Nandigram) ফলাফল নিয়ে ফের তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এবার নন্দীগ্রামের নির্বাচন নিয়ে বোমা ফাটালেন ঘর ওয়াপসি করা দুই তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) ও জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumder)। নন্দীগ্রামের ভোট স্বচ্ছ হয়নি। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে ভোটে কারচুপির বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন এই দুই তৃণমূল নেতা। রাজীবের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নাকি তাঁকে গণনার দিন বিকেলেই জানিয়েছিলেন, তিনি হেরে গিয়েছেন । তারপরও জিতলেন কী করে? প্রশ্ন তুলে দিলেন হাওড়ার দাপুটে নেতা। এবার নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে একেবারে ‘নতুন কথা’ রাজীবের গলায়। নন্দীগ্রামে ফের ভোট করানোর দাবিতে সরব হলেন তিনি।

শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে বসে রাজীব অভিযোগ করেন, ”বিরোধী দলনেতা ব্যক্তি কুৎসার জায়গায় নিয়ে গেছেন। গড়াপেটা ম্যাচ। রাজ্যপাল আর বিরোধী দলনেতা একসঙ্গে নাটক করে একটা পরিস্থিতি তৈরি করে সাংবিধানিক সংকট তৈরি করার চেষ্টা। বিলো দ্য বেল্ট আক্রমণ করেছেন তিনি। আমি সেসময় বিজেপিতে ছিলাম, বলেছিলাম ওঁকে।” এরপরই তিনি নন্দীগ্রাম (Nandigram) প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ”আমি চ্যালেঞ্জ করছি, আবার ভোট হোক। বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, স্বচ্ছ ভোট হয়েছে নন্দীগ্রামে? উনি ভোটের দিন বলেছিলেন, আমায় নন্দীগ্রামে হেরে গেছি। কোন জাদুবলে আবার পালটাল? এই বিরোধী দলনেতার দর বাড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তিনি মুখোমুখি দাঁড়াতে পারেন না। কথা বলতে পারেন না।”

 

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর জয়প্রকাশ মজুমদারও নন্দীগ্রাম নির্বাচন নিয়ে বিস্ফোরক দাবি তুললেন। গেরুয়া শিবিরের দীর্ঘদিনের সদস্য বিদ্রোহের জেরে শিবির বদলে তৃণমূলে এসেছেন। তাঁর কথায়, ”২০২১-এর ফলের পর আমি হেস্টিংস থেকে প্রেস কনফারেন্স করে বলেছিলাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে জিতছেন, তখন ৫টা হবে। পরে জানলাম, জিতলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে জিজ্ঞাসাও করেছিলাম। রহস্যময় হেসে বলেছিলেন, ‘জয়প্রকাশদা, অনেক কায়দা করতে হয়েছে।’ যখন শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন বলে জানলাম, আমি মিটিংয়ে ছিলাম। দিলীপবাবুর অনীহা ছিল শুভেন্দুবাবুর যোগদানে। ওই সময় শুভেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে নানা কেস অন্তরালে পাঠিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হল। আমি দেখিয়েছিলাম, নারদা নিয়ে শুভেন্দুর ভিডিও। জিজ্ঞাসা করেছিলাম বিজেপিতে আসার কারণ। তখন বলা হয়, নিজেকে বাঁচাতে বিজেপিতে আসতে হচ্ছে। তারপর উনি সনাতনী বিজেপি হয়ে উঠলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তের হাত থেকে বাঁচব – এটাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল।”

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর