প্রবীণের পা ছুঁয়ে যাত্রা শুরু Abhishek-এর, রবিবারটা কাটল অন্য ভাবে - Bangla Hunt

প্রবীণের পা ছুঁয়ে যাত্রা শুরু Abhishek-এর, রবিবারটা কাটল অন্য ভাবে

By Bangla Hunt Desk - June 07, 2021

কলকাতাঃ নির্বাচনী প্রচারের দিনগুলিতে আলাদা করে কোন শনি-রবি ছিল না। আপাতত নির্বাচন শেষ। এখন শ্রমের ফসল ঘরে তোলার দিন। শনিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee:)। আজ রবিবারটা কাটালেন সম্পূর্ণ অন্য রকম ভাবে। নতুন পদাধিকারী হয়েই অভিষেক গোটা দিন ঘুরলেন প্রবীণের দ্বারে দ্বারে। বুঝে নিলেন আগামী দিনে তাঁর থেকে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতাদের কী প্রত্যাশা করছেন। একই সঙ্গে তাঁদেরও বুঝিয়ে দিলেন, যে পদেই থাকুন না কেন সৌজন্য ও শিষ্টাচারের অভাব কখনও হবে না। একে একে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের পা ছুঁলেন তিনি। রাতে ট্যুইটারে নিজেই জানালেন অভিজ্ঞতার কথা।

আরো পড়ুন-  ‘যা আছে সব উজাড় করে দেব’, Abhishek-কে দেখে চোখে জল বক্সির; দিল্লিই লক্ষ্য, পরামর্শ সুব্রতর

অভিষেক লিখেছন, “গতকাল তৃণমূল ভবনে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশনে দলের পক্ষ থেকে আমাকে এক নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করতে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। দলের বর্ষীয়ান নেতা, নেত্রীদের আশীর্বাদ ও পরামর্শ আমাকে এই নতুন যাত্রাপথে অগ্রসর হতে উদ্বুদ্ধ করবে। আমার এই নতুন ভূমিকার সূচনালগ্নে দলের তিন অভিজ্ঞ নেতা তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সংগ্রামের দীর্ঘদিনের শরিক শ্রী সুব্রত বক্সি, শ্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শ্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সাথে সাক্ষাৎ করলাম। তাঁদের সুচিন্তিত পরামর্শ আগামীর লড়াইয়ে পথ দেখাবে।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন অভিষেকের এই শিষ্টাচারও আসলে পারিবারিক। এটা তিনি পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকেই। অতীতেও নির্বাচনের দামামা বাজতেই বারংবার বাংলার মানুষ রণাঙ্গনে অবতীর্ণ হতে দেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন ভোটের আগে। কিন্তু সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নির্বাচিত হয়ে জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আশীর্বাদ নিয়েছেন। প্রতিটি আপদে-বিপদে তাঁদের খোঁজ নিয়েছেন। অভিষেক যেন অনেকটা তাঁর পথই অনুসরণ করছেন। এক্ষেত্রে অবশ্য প্রবীণরা তাঁর দলেরই বিশিষ্টজন, তাঁর আত্মার আত্মীয়।

তাঁর এই শিষ্টাচারে খুশি দলীয় প্রবীণরাও। সুব্রত বক্সী তো আজ তাঁকে জড়িয়ে ধরে রীতিমতো কেঁদেই ফেললেন। বললেন, “যেটুকু আমার রয়েছে সবটা উজাড় করে দিয়ে দেব।” সব মিলিয়ে এ এক অন্য রবিবার। কোন্দল-কাদা ছোঁড়ার রাজনীতি থেকে অনেকটা দূরে এক সৌজন্যের ফ্রেম।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর