ইসরায়েলি হমলায় ধসে পড়ল গোটা ভবন, মৃত পরিবারের ১০, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল একটি শিশু - Bangla Hunt

ইসরায়েলি হমলায় ধসে পড়ল গোটা ভবন, মৃত পরিবারের ১০, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল একটি শিশু

By Bangla Hunt Desk - May 17, 2021

ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় এক এক করে প্রাণ গেল পরিবারের ১০ জনের। তার মাঝে বেঁচে রইল কেবল ৫ মাসের ওমর। হৃদয়বিদারক ও বিস্ময়কর এই ঘটনা ঘটেছে শনিবার। এদিন সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা, বার্তা সংস্থা এপি, এএফপিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কার্যালয় ধ্বংসে যে বহুতল ভবনটিতে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল, সেখানে ঈদ উদযাপন করছিল মোহাম্মদ হাদিদির পরিবার। শনিবারের হামলায় ওই পরিবারের আটজন নিহত হয়েছে।

আরো পড়ুন- মোদিকে ‘উলঙ্গ রাজা’ বলে তোপ গুজরাতি কবির

ওমরের বাবা মোহাম্মদ হাদিদি জানান, ঈদ উপলক্ষে ভবনটিতে ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন তার স্ত্রী ও পাঁচ ছেলে। মামাতো ভাই-বোনদের সঙ্গে খেলতে সেখানেই থেকে যেতে চেয়েছিল শিশু সন্তানরা। মাও রাজি হয়েছিলেন। এই খেলতে চাওয়াই শেষ পর্যন্ত হলো কাল।

উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের ভেতরে শিশুদের খেলনা, নানা রকম খাবারের সাজানো টেবিল খুঁজে পেয়েছেন। প্রকাশ্য দিবালোকে আল জালালা টাওয়ারে এ হামলা থেকে ওমর বেঁচে গেলেও প্রাণ গেছে হাদিদির স্ত্রী-সন্তানসহ ১০ জনের।

হামলাটি সরাসরি সম্প্রচার করা সংবাদমাধ্যম এপি জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ অঞ্চলের ভেতরকার পরিস্থিতি প্রকাশ বন্ধ করতেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এ আগ্রাসন। এর ফলে গাজার প্রকৃত পরিস্থিতি আরো কম জানবে বিশ্ব।

জানা গেছে, হামলার এক ঘণ্টা আগে ভবনের মালিককে বোমা হামলার ব্যাপারে সতর্ক করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

সংবাদমাধ্যম এএফপি জানিয়েছে, ভবন খালি করার জন্য আরো ১০ মিনিট সময় বেশি দেয়ার অনুরোধ করা হলেও তা রক্ষা করেনি সেনাবাহিনী।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সাংবাদিক সাফওয়ান আল কাহালুত জানান, খবর পেয়েই তিনি ও তার সহকর্মীরা ব্যক্তিগত ও অফিসের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, বিশেষ করে ক্যামেরা নিয়ে ভবন থেকে বের হয়ে যান।

শনিবার ছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের সংঘাতের ষষ্ঠ দিন। দিনটি ছিল ফিলিস্তিনের জন্য ‘মহাদুর্যোগের দিন’ হিসেবে পরিচিত নাকবা দিবস। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থার বিলোপ এবং সাত লাখের বেশি ফিলিস্তিনির স্থায়ীভাবে রাষ্ট্রহীন হওয়ার কালো দিন এটি। প্রতিবছর ১৫ মে নাকবা দিবসকে কেন্দ্র করে উত্তাপ বাড়ে অঞ্চলটিতে।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর