জানুন 'নাগ পঞ্চমীর' মহিমা, এই ভাবে পুজো করলে ঘরে উপচে পড়বে ধন-সম্পদ - Bangla Hunt

জানুন ‘নাগ পঞ্চমীর’ মহিমা, এই ভাবে পুজো করলে ঘরে উপচে পড়বে ধন-সম্পদ

By Bangla Hunt Desk - July 25, 2020

হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী নাগপঞ্চমী এমন একটি পূজা যা হিন্দুরা খুবই নিষ্ঠাভরে পালন করে৷ ঐশ্বরিক প্রানীদের প্রচলিত পূজাগুলির মধ্যে এটি একটি৷ যা উত্তর ভারতের বহু জায়গায় হয়ে থাকে৷

শ্রাবণ মাসের শুক্ল পঞ্চমী তিথিতে হয় এই ‘নাগ পঞ্চমী’। পুরাণ মতে, নাগ লোক বা পাতাল থেকে সর্পকুল এদিন মর্তের মানুষকে আশীর্বাদ করেন। জীবনের সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি, অভাব অনটন ঘোচাতে সাপেদের এই আশীর্বাদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন অনেকেই।

গরুড় পুরাণ’ মতে, ব্রহ্মার পুত্র মহামুনি কাশ্যপের তৃতীয় স্ত্রী কদ্রু ছিলেন নাগ বংশের কন্যা। তিনিই নাগকুলের মাতা। কাশ্যপের আরেক স্ত্রী বিনতা জন্ম দেন গরুড়ের। বিনতাকে সহ্য করতে পারতেন না কদ্রু । ছোট থেকেই গরুড় মায়ের কষ্ট দেখে প্রতিজ্ঞা করেন, তিনি সর্পকুল ধ্বংস করবেন। কিন্তু পরে তা থেকে বিরত হন। কিন্তু সর্পকুলের সঙ্গে গরুড়ের শত্রুতা থেকেই যায়। তবে এই পুণ্য জন্মের কারণে নাগকুলও পুজো পেতে থাকে।

হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব, কার্তিক, গনেশ সহ অসংখ্য দেব দেবীরা এই বিশেষ দিনে নাগেদের সঙ্গে কথা বলতে আসে৷ তাই যে সকল পূণ্যার্থীরা শ্রাবণ মাসের শুক্ল পঞ্চমীর এই তিথিতে ‘নাগপঞ্চমী’ পূজা করেন থাকে তাদের মনস্কামনা পূর্ণ হয়।

নাগ পঞ্চমীতে মোট বারোটি নাগের পূজা হয়ে৷ অনন্ত, বাসুকি, শেষ, পদ্ম, কামবালা, কারকটাকা, অশ্বতারা, ধৃতরাষ্ট্র, শঙ্খ, কালিয়া, তক্ষক ও পিংগালা নাগ বিশিষ্ট পূজা করে ভক্তগন তাদের মনস্কামনা পূর্ণলাভ করে থাকে এই তিথিতে৷ নাগদেবতার মূর্তির সামনে এদিন দুধ, চন্দন, হলুদ ও সিঁদুর রাখা হয়। মূর্তির সামনে জ্বালানো হয় কর্পূরের প্রদীপ। পাঠ করা হয় নাগপঞ্চমী ব্রতকথা।

মহাভারত থেকে জানা যায়, কুরু বংশীয় রাজা পরিক্ষিৎ তক্ষক নাগের আঘাতে মারা গেলে তাঁর পুত্র জন্মেজয় পৃথিবী সর্পশূন্য করবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেন। তিনি এক সর্পযজ্ঞ শুরু করেন, যেখানে মন্ত্রোচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে কোটি কোটি সাপ যজ্ঞানলে পড়ে মারা যেতে থাকে। এই সময়ে জরৎকারু মুনির পুত্র আস্তিক এই নিষ্ঠুর যজ্ঞ বন্ধ করতে জন্মেজয়ের কাছে পৌঁছান এবং তাঁরই হস্তক্ষেপে জন্মেজয় এই ভয়ঙ্কর কর্ম থেকে নিরস্ত হন। লৌকিক বিশ্বাস মতে, জরৎকারুর স্ত্রী মা মনসা। যে দিনটিতে সর্পযজ্ঞ বন্ধ হয়, সেই দিনটি ছিল শ্রাবণের শুক্লপঞ্চমী। সেই থেকেই এই পূজার প্রচলন। বর্তমানে মহারাষ্ট্র,গুজরীটেও এই পূজার চল বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর