দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি হলেন গৌতম দাস, সরানো হলো অর্পিতাকে - Bangla Hunt

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি হলেন গৌতম দাস, সরানো হলো অর্পিতাকে

By Bangla Hunt Desk - July 23, 2020

বালুরঘাট, ২৩ জুলাই; অবশেষে দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় বিধানসভা ভোটের আগে দলকে শক্তিশালী করতে অর্পিতা ঘোষকে সরিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতির পদে বসানো হল গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাসকে। আর এই সরানোর প্রক্রিয়ার মধ্যমে কালিঘাট থেকে ২১ জুলাই তৃনমুল নেত্রীর দল ছেড়ে যে সব নেতা কর্মী একদা বিজেপিতে গেছেন তাদের ফিরে আসার ডাক দেওয়ার একটা সম্পর্ক খুজে পাচ্ছেন জেলার তৃনমুলের একাংশ। কেননা এই অর্পিতা ঘোষকে বিগত লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা নিয়ে ততকালীন তৃনমুলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের সাথে তৃনমুল সুপ্রীমোর জোর বিবাদ হয়। ভোটে অর্পিতা ঘোষের হেরে যাওয়ার দায় চাপিয়ে তৃনমুল নেত্রী সেই সময় বিপ্লব মিত্রকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে অর্পিতাকেই জেলায় দলের সভাপতি করে পাঠিয়ে দেন। তার জেরে বিপ্লব মিত্র ভোটের পরে বিজেপি তে যোগ দেন। কিন্তু এত বছর কংগ্রেস ঘরানার লোক হয়ে বিপ্লব মিত্র বিজেপি দলে গিয়ে নিজের মানসিক ভাবে খাপ খাইয়ে নিতে না পেরে বিজেপি এক প্রকার ছেড়ে নিজের বাড়িতেই চুপ চাপ বসে পড়েন। আর তারপর থেকেই তার ফের তৃনমুলে ফেরা নিয়ে জেলায় কৌতুহল বাড়তে থাকলেও কাটা সেই অর্পিতা। এরপর শুধু সময়ের অপেক্ষা। এদিকে অর্পিতা বহিরাগত হয়ে জেলায় তৃনমুলে ও জেলা প্রশাসনের উপর ছড়ি ঘোড়ানো জেলার তৃনমুলের একাংশ তো বটেই এমনকি জেলার মানুষ তা ভাল মনে মেনে নিতে পারছিলেন না। যার ফলে তৃনমুল দলটাই যেন থমকে গেছে জেলায়।পাশাপাশি অত্যাধিক পুলিশ নির্ভরতা হওয়ায় দলকে এর চড়া দাম দিতে হচ্ছে সংঠন দুর্বল হয়ে পড়ার আশংকায়।পাশাপাশি অর্পিতার আমলে জেলায় দলের বেশ কিছু নেতা নেত্রী দুর্নীতিতেও জড়িয়ে গেছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেখবর কালিঘাটে যে যায় নি তা নয়। তবে সব কিছু সময়ের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন নেত্রী। তাই রাজ্য সভায় সাংসদ করে অর্পিতা কে দিল্লি পাঠিয়ে ও জেলার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সম্ভবত জেলার পুরনো নেতাকে ফিরে আসার বার্তাই দিতে চাইলেন দল নেত্রী। যদিও এই নিয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ জেলা তৃনমুলের। তবে অনেকএই মুখে কিছু না বললেও আকার ইংগিতে দলকে মজবুত করতে নেত্রী যে বিপ্লব মিত্রের ফিরে আসার ব্যাপারটাই প্রাধান্য দিয়েছেন সে ব্যাপারে স্বীকার করে নিচ্ছেন। তাদের কথায় এবারের দলের সভাপতি গৌতম দাস গংগারামপুরের মানুষ ও বিধায়ক। এলদা কংগ্রেস ও বাম সমর্থিত হয়ে জেতা গৌতম দাসকে তৃনমুলে নিয়ে এসেছিলেন বিপ্লব মিত্র। এখন সেই বিপ্লব মিত্রকে পুরোন দলে ফিরিয়ে নিয়ে আসার ভার নেত্রী সেই গৌতম দাসের কাধেই ন্যাস্ত করলেন। কেননা আগামী বিধানসভা ভোটে গৌতম দাস ফের দাড়াচ্ছেন সেক্ষেত্রে দলের সভাপতি সামলে তার পক্ষে নিজের ভোটের কাজ করা অন্তত কঠিন হয়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন দক্ষ হাতে জেলায় দলকে পরিচালন করবার একজন লোক। সেক্ষেত্রে বিপ্লব মিত্র ছাড়া আর কেউ এ জেলায় তৃনমুলকে পরিচালনা করার মত একজনও নেই। তাই এখন দেখার নেত্রীর এই চাল কবে কার্যকারি হয়। সেদিকেই তাকিয়ে জেলার তৃনমুলের বৃহদাংশের পাশাপাশি জেলার সাধারন মানুষ। এদিকে
বৃহস্পতিবার কলকাতায় দলীয় বৈঠকের পর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হিসেবে গৌতম দাসের নাম ঘোষণা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন একইসাথে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা শংকর চক্রবর্তীকে। সূত্রের খবর, আগামীতে চেয়ারম্যানই মূল ভূমিকা পালন করবে দলের রণকৌশল তৈরিতে। যদিও অর্পিতা ঘোষকে স্টেট কো-অর্ডিনেটর কমিটিতে রাখা হয়েছে।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর