Ration Scam: বালুর হাত ধরেই হাতেখড়ি! বনগাঁর ত্রাস শঙ্কর আঢ্যর উত্থান যেন সিনেমাকেও হারমানায় - Bangla Hunt

Ration Scam: বালুর হাত ধরেই হাতেখড়ি! বনগাঁর ত্রাস শঙ্কর আঢ্যর উত্থান যেন সিনেমাকেও হারমানায়

By Bangla Hunt Desk - January 07, 2024

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শঙ্কর। বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তিনি। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকে ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। স্থানীয়দের কথায়, তৃণমূল এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে শঙ্করের দাপট ক্রমশ বাড়তে থাকে।

জতিপ্রিয়র হাত ধরেই রাজনীতির ময়দানে আসেন শঙ্কর। ২০০৫ সালে তিনি প্রথমবার পুরসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই জয়ী হয়েছিলেন তিনি। এদিকে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে কার্যত আঙুল ফুলে কলাগাছ হতে শুরু করে।

বালুর ছত্রছায়াতেই উল্কার গতিতে বনগাঁ শহরে উত্থান ঘটে শঙ্করের। একের পর এক সংগঠনের শীর্ষস্থানে উঠে যান শঙ্কর। বনগাঁ রেডক্রশ সোসাইটি, বনগাঁ মহকুমার ক্রীড়া সংস্থা, ব্য়বসায়ী সংগঠনের শীর্ষপদে চলে যান তিনি। এলাকায় মানুষ ডাকু নামেই চিনতেন শঙ্করকে।

আরো পড়ুন-  আমেরিকায় হিন্দু মন্দিরে হামলা! ‘মোদি একজন জঙ্গি’ দেওয়ালে লিখলেন খালিস্তানি সন্ত্রাসীরা

জ্যোতিপ্রিয়র চিঠিতে শঙ্করের নাম! বনগাঁ জুড়ে শঙ্করের দাপট ছিল প্রশ্নাতীত। বনগাঁয় শঙ্করের একাধিক ব্যবসাও রয়েছে। কলকাতা, বনগাঁ ও পেট্রাপোল সীমান্তে তাঁর বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের অফিস রয়েছে। সেই সংস্থার মাধ্যমেই বালুর টাকা ডলারে কনভার্ট করে বিদেশে পাচার করা হয় বলে দাবি ইডির। বিরোধীদের অভিযোগ, একসময় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ধুর সিন্ডিকেট চালাতেন শঙ্কর। বনগাঁ এবং বাগদায় তাঁর সোনার দোকানও রয়েছে। বনগাঁ শহরে রয়েছে হোটেলও। এর বাইরেও বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্যর বিপুল সম্পত্তি রয়েছে।

পাশাপাশি একাধিক খুনের ঘটনাতেও নাম জড়িয়েছিল দাপুটে নেতার। বনগাঁর বেতাজ বাদশা সেই শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতেই শুক্রবার সকালে হানা দেয় ইডি। শেষে গভীর রাতে শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি। এই শঙ্কর আঢ্যর দিঘায় থ্রি স্টার হোটেল রয়েছে ৷ বনগাঁর খেদাপাড়ায় প্রায় ১০ কোটি টাকা দিয়ে শঙ্কর আঢ্য বাবা হারাধন আঢ্যের নামে হারাধন আঢ্য মেমরিয়াল ইংলিস মিডিয়াম স্কুলও গড়েছে ৷ বনগাঁর বাজার এলাকায় রয়েছে হারাধন আঢ্যর নামে মার্কেট ৷ বনগাঁ থানার সামনে রয়েছে পুল সাইড ইন হোটেল কাম রেস্টুরেন্ট যা পুরসভার ও পূর্ত দফতরের জায়গায় বলে অভিযোগ। শিমুলতলা ও মতিগঞ্জে রয়েছে তিনটি বাড়ি। এছাড়া কলকাতায় ফ্ল্যাট রয়েছে। আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে বিদেশের মাটি দুবাইতেও।

বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের একাধিক সংগঠনেরও মাথায় ছিলেন শঙ্কর। তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যও বনগাঁ পুরসভার চেয়ারপার্সন ছিলেন। বর্তমানে তিনি পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ থেকেই প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন শঙ্কর। কিন্তু দল তাঁকে প্রার্থী না করায়, ভোটের প্রচার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন শঙ্কর। যে কারণে রাজ্যজুড়ে প্রবল তৃণমূল হাওয়াতেও গোষ্ঠীকোন্দলে দীর্ণ বনগাঁয় সবকটি আসনে হারতে হয় দলকে। এরপরই দলের ভিতরে ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়েন শঙ্কর। দলের সব পদ থেকেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


প্রাসঙ্গিক খবর