গত অক্টোবরে ঢাকঢোল পিটিয়ে ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। কালীঘাটের মন্দির এসে মাথা ন্যাড়া করে বলেছিলেন, ‘বিজেপির পাপ ধুতে প্রায়শ্চিত্ত করেত এসেছি’! কিন্তু এবার ছয় মাসের মধ্যেই মোহভঙ্গ। দলের কাজকর্মে বিরক্ত হয়ে শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের ডেকে আশিস জানিয়ে দিলেন, তিনি তৃণমূলটাও করতে পারছেন না।
আরো পড়ুন- বাংলাদেশে ছাত্রকে ধর্ষন! অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে গনপিটুনি জনতার
কেন?
“বিজেপিতে পুরনোদের মূল্য দেওয়া হচ্ছিল না বলেই আমি ওই পার্টি ছেড়েছিলাম। এখন দেখলাম তৃণমূলও একই। এখানে পুরনোদের কোনও গুরুত্ব নেই।” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে কড়া ভাষায় বললেন, ‘বিজেপির সঙ্গে পরকীয়া করছে তৃণমূল।’
এ ব্যাপারে সুরমার প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, “আমি নতুন হিসেবে তৃণমূলে গেলেও তৃণমূলে পুরনোদের সঙ্গে নিয়েই আমি চলছিলাম। কিন্তু এটা দলের নেতাদের পছন্দ হচ্ছিল না।” তাঁর কথায়, “তৃণমূলে এত গ্রুপইজম, এত গ্রুপইজম যে থাকা যায় না।”
শুধু কি তাই? এদিন আশিস আরও বলেন, “তৃণমূল বাংলার পার্টি। এরা ত্রিপুরার মানুষকে গুরুত্ব দেয় না। সম্মান দেয় না। একজন ত্রিপুরাবাসী হিসেবে আমি সেটা মানতে পারব না।” সেইসঙ্গে আশিস আরও বলেন, কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের দুর্বল করে তৃণমূল আসলে বিজেপিকেই সুবিধা করে দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার আমার বিধানসভা সুরমায় তৃণমূলের কর্মসূচি ছিল। অথচ আমিই আমন্ত্রণ পেলাম না। সুস্মিতা দেব ফোন করে আমাকে বললেন ওই কর্মসূচি সেরে সন্ধ্যায় বাড়ি আসবেন। এলেন না। ওনাকে ফোন করতে নয়-রিচেবেল বলল। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি যে তৃণমূল ছাড়ব। যেখানে আমার গুরুত্ব নেই সেই দল করে কীহবে?’
আশিসবাবুর ভবিষ্যত রাজনৈতিক পরিকল্পনা কী?
তিনি জানিয়েছেন, আপাতত কোনও দলে যোগ দেবেন না। বা নতুন দল গঠন করবেন না। কর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করেই তিনি যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন।
তৃণমূল কোন কমিটির সদস্য করেছিল আশিস দাসকে। দল ছাড়া প্রসঙ্গে সেরাজ্যে তৃমূলের দলীয় পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগামী ২৩ জুন ত্রিপুরার চারটি বিধানসভায় উপনির্বাচন। তারমধ্যে সুরমাও রয়েছে। উনি হয়তো ভেবেছেন দল তাঁকে প্রার্থী করবে না বা উনি জিততে পারবেন না। তাই কোনও উস্কানিতে দল ছেড়েছেন।’
কেন তাঁকে অবহেলা করা হচ্ছে?
আগেই এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আশিস দাস আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘আমি গ্রাম থেকে এসেছি। বিজেপিতে থেকেও দু’বছরের মধ্যে প্রতিবাদী মুখ হয়েছি। সারা রাজ্যের মানুষ আমাকে চেনে। আমার কোনও কালিমা নেই। আমাকে দায়িত্ব দিলে আমি আগরতলায় থাকব। সেখানে থাকলে অল্পদিনে রাজনীতিতে এসে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে গেলে বিভিন্ন নেতৃত্বের কেরিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে। তাই সমস্ত পরিকল্পনা করে আমাকে আটকে রাখা হয়েছে।’
তৃণমূলের লোকসভার প্রাক্তন প্রার্থী ভৃগুরাম রিয়াং, দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিংও বেসুরো। নিষ্ক্রিয় হয়েই রয়েছেন তাঁরা। রাজ্য রাজনীতিতে গুঞ্জন যে, সুরমার বিধায়কের পথেই হাঁটতে পারেন এই দুই তৃণমূল শীর্ষ নেতাও। আদিবাসীদের দল তিপ্রা মথা-র সভাপতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে আগেই জানিয়েছিলেন যে, তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
বাংলার বাইরে মমতা-অভিষেকের পাখির চোখ বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরা। কিন্তু, সে পথ যেন ক্রমশ বন্ধর হচ্ছে তৃণমূলের কাছে। এর আগে এক কাউন্সিলর দল ছেড়ে বিজেপিতে ভিড়েছে। এবার দল ছাড়লেন আশিস দাস। আগামিতে কারা কারা একই পথ অবলম্বন করবেন? পার্বত্য রাজ্যে যেন প্রমাদ গুনছে বাংলার শাসককূল।
কল্যাণীতে দুঃসাহসিক ছিনতাই! কাঁচরাপাড়ার ব্যবসায়ীকে মারধর করে টাকা লুঠ
Durga Puja 2024: অভিনব উদ্যোগ! মহালয়ার দিন অঙ্কন প্রতিযোগিতা করল কাঁচরাপাড়া আমরা সবাই ক্লাব
কাঁচরাপাড়ায় ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ২৫ লক্ষ টাকার মাল চুরি, মুল পান্ডা সুমন রায় গ্রেফতার
Durga Puja 2024: খুঁটি পুজো দিয়ে শুরু হল কাঁচরাপাড়া আমরা সবাই ক্লাবের এ বছরের পুজো
ইটালিতে জি৭ বৈঠকে জেলেনস্কি-মোদী বৈঠক, যুদ্ধ বন্ধের জন্য কী বললেন?
নিয়োগ মামলার তদন্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আরও জমি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
রাজ্যের ৪ বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থীর নাম ঘোষনা তৃণমূলের
চন্দবাবুর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কেনো এলেন না নীতিশ? খোঁচা বিরোধীদের, নীতিশকে ঘিরে জল্পনা
উত্তরের চা বলয়ে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে ধস! রাশ ধরুক আরএসএস, জোর চর্চা দলের অন্দরে
একী কাণ্ড? বাংলায় ৩ বিজেপি সাংসদ যোগাযোগ করছেন তৃণমূলের সঙ্গে!