ছত্রপতি শিবাজী খুব বিচক্ষণ রাজা ছিলেন। কিন্তু তাঁর দুই ছেলে এই গুণ পাননি - Bangla Hunt

ছত্রপতি শিবাজী খুব বিচক্ষণ রাজা ছিলেন। কিন্তু তাঁর দুই ছেলে এই গুণ পাননি

By Bangla Hunt Desk - March 29, 2023

শিবাজী বেশিদিন বাঁচেননি। কোন সালে তাঁর জন্ম, তাও ঠিক করে বলা চলেনা। ১৬২৭ হতে পারে, আবার কারও মতে ১৬৩০ সাল । ( স‍্যার যদুনাথ সরকারের মতে, প্রায় ৫৩ বছর বয়সে ছত্রপতি ইহলোক ত‍্যাগ করেন। )

ঔরঙ্গজেব আরও আঠারো বছর বেঁচে ছিলেন। শিবাজীর বড় ছেলে শম্ভাজি সাহসী যোদ্ধা ছিলেন, কিন্তু তার আর কোন গুণ ছিল না। অনেকে বলত, তার একজন বন্ধুর কুপরামর্শে তিনি অধঃপাতে যাচ্ছিলেন। বন্ধুটির উপাধি ছিল কবিকুলেশ অর্থাৎ কবিদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। তখনকার লোকেরা একটু বদল করে বলত কবিকলুষ, অর্থাত পাপের কবি।

নবছর রাজত্ব করার পর শম্ভাজি ঔরঙ্গজেবের একজন সেনাপতির হাতে ধরা পড়লেন।

ঔরঙ্গজেব তখন দাক্ষিণাত্যে l তাঁকে এবং তাঁর বন্ধুকে আওরঙ্গজেবের কাছে ধরে নিয়ে যাওয়া হল এবং সম্রাটের আদেশে তাদের মেরে ফেলা হল।
( ঔরঙ্গজেব শম্ভাজীকে খুব বীভৎস অত্যাচার করেছিলেন মৃত্যুর আগে। ধর্মান্তর করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শাহুজি রাজি হলেন না। একটু একটু করে তাঁর শরীরের চামড়া ছাড়িয়ে নেওয়া হয়, অঙ্গচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু তবু শম্ভাজী ধর্ম পরিবর্তন করতে রাজি হন না।
বাবার মত বীর না হলেও মহারাষ্ট্রে শম্ভাজীকে স্বরাজ‍্যরক্ষক ও ধর্মবীর হিসাবে খুব সম্মানের সাথে স্মরণ করা হয়। )

এরপর শিবাজীর ছোট ছেলে রাজারাম রাজ্যশাসনের ভার নিলেন। রাজারাম ঠিক রাজা নন, রাজার প্রতিনিধি।শম্ভাজির ছেলে শাহু মোগল শিবির থেকে যদি ফিরে আসেন, তিনি তিনি রাজা হবেন l

ঔরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্য থেকে আর দিল্লি ফিরে যেতে পারেননি। আহমেদনগরের কাছে তার মৃত্যু হয়। তখন ১৭০৭ সাল। ইতিমধ্যে মারাঠা অশ্বারোহীরা মোগল সাম্রাজ্যে ঢুকে খুব উৎপাত আরম্ভ করেছিল। মোগল সেনাপতি জুলফিকার খাঁ ভাবলেন, শাহুকে মুক্ত করে দিলে ফল খারাপ হবে না। মারাঠারা দুই দলে ভাগ হয়ে যাবে। নতুন সম্রাট আওরঙ্গজেবের বড় ছেলে মুয়াজ্জেম তখন প্রথম বাহাদুর শাহ নামে সিংহাসনে বসেছেন। মুক্তি পাওয়ার সময় শাহু অঙ্গীকার করেছিলেন যে, তিনি মোগলদের বশম্বদ হয়ে থাকবেন।

ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর মাস তিনেক পরে তিনি নিজের রাজ্যে ফিরে এলেন। রাজারামেরও দিন শেষ হয়ে এসেছিল। জালনা দুর্গ থেকে মোগল সৈন্যের তাড়া খেয়ে পালিয়ে তিনি সিংহগড়ে এসে পৌঁছলেন। সেখানে মাসখানেক অসুস্থ থাকার পরে তাঁর মৃত্যু হয় l

জুলফিকার খাঁ যা ভেবেছিলেন তাই হল। রাজারামের বিধবা স্ত্রী তারাবাঈ রাজ্যের উপর দাবি ছাড়লেন না। শম্ভাজির দুষ্কৃতীর ফলে সিংহাসনের উপর শাহুর দাবি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রথম পেশোয়া বালাজি বিশ্বনাথ শাহুর পক্ষে ছিলেন। প্রধানত তার সাহায‍্যে শাহু ক্ষমতাশালী হয়ে উঠলেন। তারাবাঈ নিজের জায়গা রাখতে পারলেন না। তিনি সাতারার দূর্গে প্রায় বন্দিনীর মতন থাকতে লাগলেন।

শাহুর ছেলে ছিল না। তিনি দত্তক নেওয়ার চেষ্টা করতে লাগলেন। তারাবাঈ বলে পাঠালেন যে, তার নিজের বংশেরই তো একজন আছে, সেই হবে সিংহাসনের প্রকৃত উত্তরাধিকারী। তারও নাম রাজারাম l তারাবাঈ বললেন, তাকে খুব অল্প বয়স থেকে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। সে এতদিন এক গন্ধানি পরিবারে মানুষ হয়েছে।

গন্ধানিদের পেশা হচ্ছে নাচ-গান করা। তরুণ রাজারামকে সাতারায় আনা হল। সাতারা দূর্গের নীচে তার প্রাসাদ। তারাবাঈ তো স্বামীর নাম ধরে তাকে ডাকতে পারেন না, কাজেই তার নাম বদলে তাকে বলা হতো রামরাজা l কিন্তু তাকে দিয়ে তারাবাঈয়ের ইচ্ছাপূরণ হলো না। পেশোয়ার সঙ্গে লড়াই করবার শক্তি বা ইচ্ছে কোনটাই তার ছিল না।
তারাবাঈ এতে ভীষণ রেগে গেলেন। রামরাজা ও তার স্ত্রীকে চম্পাষষ্ঠী ব্রত উপলক্ষে দুর্গে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে এলেন তিনি। খাওয়া-দাওয়া ভালোই হল, কিন্তু রামরাজা দূর্গ থেকে বিদায় নিতে গিয়ে দেখলেন যে, তারাবাঈয়ের হুকুমে প্রথ দুর্গের সব দরজা বন্ধ। বের হবার উপায় নেই। কেউ কেউ বলেছেন, রামরাজার উচিত ছিল রক্ষীদের আক্রমণ করা। তারা নিশ্চয়ই শিবাজীর বংশধরকে বাধা দিতে সাহস পেত না। দরজা খুলে দিত। এ-কথা হয়তো ঠিক।

কিন্তু রামরাজা সে- ধরনের মানুষ ছিলেন না। তার বদলে তিনি তারাবাঈকে জিজ্ঞাসা করতে গেলেন যে, তার এরকম ব্যবহারে কারণ কি? তারাবাঈ দেখা করলেন না।

রামরাজা আর নিজের প্রাসাদে ফিরে যাওয়া হল না। তিনি সস্ত্রীক সাতারায় থাকতে লাগলেন। ধীরে ধীরে এই পরিবেশের সঙ্গেই মানিয়ে নিতেও শিখলেন। তারাবাঈয়ের মৃত্যুর পরে রামরাজার অবস্থার উন্নতি হলো, কিন্তু তাকে মুক্তি দেওয়ার কথা কারও মনে হলো না। সাতারায় বন্দি অবস্থায় থাকার সময় রামরাজা ও তাঁর বংশধররা শুনতেন যে, তার সৈন্যরা সর্বত্র জয়ী হচ্ছে। তার অশ্বারোহীরা পাঞ্জাব অতিক্রম করে গিয়েছে, মারাঠারাই উত্তর ভারতবর্ষের অধীশ্বর। পেশোয়া বছরে একবার এসে তার কাছ থেকে রাজ্যশাসন ও যুদ্ধবিগ্রহের অনুমতি নিয়ে যেতেন। দুর্গের মধ্যে বসে শিবাজী বংশধর রাজ্যশাসনের খেলা খেলতেন l

রামরাজা ২৭-২৮ বছর এইরকম রাজা-রাজা খেলা খেললেন। তার ছেলে ছিল না বলে তিনি দত্তক নিয়েছিলেন। নাম রেখেছিলেন দ্বিতীয় শাহু। তার রাজত্বকাল ছিল ১৭৭৭ থেকে ১৮১০পর্যন্ত অর্থাৎ ইংরেজরা যখন দক্ষিণ ভারতে খুব প্রতিপত্তিশালী হয়ে উঠেছিল। ১৮১০ সাল পর্যন্ত তিনি বেঁচে ছিলেন। দ্বিতীয় মারাঠা যুদ্ধে পেশোয়া তখন ইংরেজদের কাছে হেরে গিয়েছেন। ১৮০২ সালে বেসিনের সন্ধির ফলে পেশোয়ার ক্ষমতা অনেক কমে যায়।

তাহলেও পেশোয়া প্রকৃতপক্ষে সাতরার রাজার প্রভু। সামান্য ব্যাপারেও রাজাকে পেশোয়ার কৃপার উপর নির্ভর করতে হতো। তার প্রার্থনা পূর্ণ হয় পেশোয়ার মর্জির উপর। দু-একটি উদাহরণ দিচ্ছি।রাজার কর্মচারীদের পেশোয়া নিয়োগ করতেন। তাদের উপর রাজার ক্ষমতা সবসময় খাটত না। এমনও হয়েছে যে রাজা তাদের অপরাধের জন্য শাস্তি দিলে পেশোয়া সেই শাস্তি মুকুব করে দিয়েছেন। একবার রাজার ইচ্ছে হল দুজন নর্তকীকে মাইনে দিয়ে রাখবেন। প্রত্যেকের মাইনে মাসে চল্লিশ টাকা। পেশোয়া সম্মতি দিয়েছিলেন। আর একবার রাজপ্রাসাদের জল আনবার ব্যবস্থা হচ্ছিল। খরচ বেশি পড়বে বলে পেশোয়া এই ব্যবস্থা নাকচ করে দেন l

১৮১০ সাল থেকে সাতারার রাজা হলেন প্রতাপ সিং।

ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে পেশোয়া দ্বিতীয় বাজিরাও ১৮১৭ সালে পুনে থেকে পালিয়ে গেলেন। পালাবার সময় সাতারা দুর্গ থেকে রাজা প্রতাপ সিং ও তার পরিবারের কাউকে কাউকে সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন। তার কারণ স্পষ্ট। ইংরেজরা যদি এই সুযোগে প্রতাপ সিং কে মারাঠাদের রাজা বলে ঘোষণা করেন, তাহলে পেশোয়া অসুবিধায় পড়ে যাবেন।

এভাবে কয়েক মাস ধরে ইংরেজদের কাছে ছুটে গিয়ে পালাতে পালাতে ১৮১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পেশোয়ার সর্বনাশ হয়ে গেল।

অষ্টির যুদ্ধের সেনাপতি বাপু গোকলা, যার উপর তার সব আশাভরসা, মারা গেলেন। প্রতাপসিংকে রেখে বাজীরাও পালিয়ে গেলেন।

তাঁর ফেলে যাওয়া এক কোটি টাকা ইংরেজদের হাতে এল। এলফিনস্টোনের কাছে সাতারার রাজাকে রেখে জেনারেল স্মিথ পেশোয়াকে আবার তাড়া করে বেড়াতে লাগলেন। প্রতাপ সিংয়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর এলফিনস্টোন লিখলেন, প্রতাপ সিংয়ের আচরণ স্বাধীন রাজার মত। এলফিনস্টোনকে দেখে আসন থেকে উঠে দাঁড়ালেন না, নিচু হয়ে অভিবাদনও করলেন না। তার ব্যবহার খুব ভদ্র, কথাবার্তা মার্জিত, তিনি দেখতে সুদর্শন নন বরং তার ভাই তার চাইতে দেখতে ভালো তবে দুজনার চেহারার মিল আছে। তাদের মাকে দেখে এলফিনস্টনে মনে হল তিনি খুব বুদ্ধিমতী। একসময় সুরূপা ছিলেন বোঝা যায়। পেশোয়ার হাত থেকে মুক্তি পেয়ে প্রতাপসিং খুব আনন্দিত হয়েছেন বোঝা গেল। এপ্রিলের ১০ তারিখে সাতারাতে প্রতাপসিংয়ের অভিষেক হল l

প্রতাপসিংয়ের সঙ্গে প্রথম দিকে ইংরেজদের সদ্ভাব ছিল। এলফিনস্টোন তাঁর গুণমুগ্ধ ছিলেন। বন্ধুর কাছে লেখা চিঠিতে থেকে তিনি তাকে সবচেয়ে যোগ্য মহারাষ্ট্রীয় বলে বর্ণনা করেছেন। ভেলভেট মোড়া টেবিলের একদিকে বসে সাতারার রাজা নিজের হাতেই চিঠি লিখছেন এবং অন্যান্য কাজ করছেন।

এলফিনস্টনের মনে হয়েছিল এ দৃশ্য দেখে শিবাজী কী ভাবতেন !

এলফিনস্টোন বলেছেন প্রতাপ সিংহ যেভাবে রাজ্য শাসন করেছেন রাজ্যে কোন ইউরোপীয়ের পক্ষেই গর্বের বিষয় হত। বিখ্যাত ঐতিহাসিক জেমস কানিংহাম গ্ৰান্ট প্রায় তিন বছর সাতারার রাজার অভিভাবকের কাজ করেছেন। তিনি এই কাজ থেকে অবসর নেওয়ার পর এলেন ক‍্যাপ্টেন ব্রিগস। তিনিও পরে ঐতিহাসিক হয়েছিলেন। প্রতাপ সিং মহাবালেশ্বরে যাবার জন‍্য একটি পথ নির্মাণ করে দিয়েছিলেন এবং ইউরোপীয়দের জন্য সেখানে একটি সুদৃশ্য গ্ৰীষ্মাবাস তৈরী করান। তার বদলে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতাপগড়ের বিখ্যাত শিবাজী মুর্তি রাজাকে ফেরত দিয়েছিলেন।

তাঁর লেখাপড়ায় উৎসাহ ছিল, কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটির সঙ্গেও তাঁর যোগ ছিল।

কিন্তু কোম্পানির সঙ্গে সদ্ভাব স্থায়ী হল না।
কেউ কেউ বলতে লাগলেন তিনি কোম্পানির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।

একবার খবর এসেছিল প্রতাপ সিং ও বিঠুরে নির্বাসিত পেশোয়া বাজিরাও ইংরেজদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তখন কিন্তু এই কথা কেউ বিশ্বাস করেনি।

কিন্তু যে কারণেই হোক অবশেষে প্রতাপসিং এর রাজত্ব গেল। ১৮৩৯ সালে তাকে সরিয়ে দিয়ে তাঁর ভাই শাহজীকে রাজা করা হল।

প্রতাপ সিংয়ের রাজ্য যখন কেড়ে নেওয়া হয়েছিল তখন তিনি প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেছিলেন। কাগজপত্র সমেত ইংল্যান্ডের দূত পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো ফল হয়নি।
দূতদের একজন দরকারি কাগজপত্র আর অনেক টাকা নিয়ে অন্তর্ধান করেছিলেন।

প্রতাপ সিংয়ের সঙ্গে কোম্পানির ভালো ব্যবহার করেনি।

যে ইংরেজ কর্মচারী তাঁকে কাশী নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি সমস্ত পথ তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। প্রতাপ সিং কিন্তু শেষ পর্যন্ত আশা ছাড়েননি।

জর্জটাউন নামে একজন ইংরেজ সাংবাদিককে বিলেতে পাঠিয়েছিলেন।

তখনকার দিনে জর্জটাউনকে অনেকেই জানত।

কিন্তু তাতে কিছু কাজ হল না। বারাণসীতে অবহেলার মধ্যে শিবাজীর বংশধরের মৃত্যু হল l

প্রতাপ সিংয়ের ভাই শাহজীর মৃত্যুর পর সম্পূর্ণ সাতারা ইংরেজদের হাতে এসে যায়। শিবাজী রাজত্বের আর কোন চিহ্ন রইল না।

ইতিহাসের গল্প
লেখক ; প্রতুলচন্দ্র গুপ্ত
প্রকাশক; আনন্দ পাবলিশার্স
প্রথম সংস্করণ ; ১৯৮৬
তৃতীয় মুদ্রণ ; ১৯৯৮
পৃষ্ঠা ; ৬৬ – ৭১

প্রতুলচন্দ্র গুপ্ত ( ১৯৬০ – ) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃতিত্বের সাথে অধ‍্যাপনা করেছেন ( ১৯৩৯ – ১৯৬১ )
১৯৬১ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ‍্যাপক। অল্পকালের জন‍্য উপাচার্যও হয়েছিলেন। উপাচার্য ছিলেন বিশ্বভারতীর ( ১৯৭০ – ৭৫ ) ও রবীন্দ্রভারতীর (১৯৭৫ – ৭৯ )। ১৯৭৫ সালে ‘পদ্মভূষণ ‘ পুরস্কার পান। ১৯৮১ – ৮৩ সাল পর্যন্ত তিনি এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ছিলেন।

রাজা বাদশার নামের ফর্দ নয়, নয় সাল তারিখের কচকচি, মানুষের ধারাবাহিক জীবনযাত্রার চলমান প্রতিচ্ছবির নামই ইতিহাস।
ইতিহাসের পৃষ্ঠা হাতড়ে এমনই কিছু কৌতুহলকর সত‍্য হাতড়ে ছোটদের জন‍্য সাজিয়ে দিয়েছিলেন লেখক। অতীতের এই সত‍্য ঘটনার মধ‍্যেই রয়েছে জাতীয়তাবোধের উপাদান।

রাজারাম ১৬৮৯ থেকে ১৭০০ সাল প্রায় এগারো বছর তৃতীয় ছত্রপতি হিসেবে রাজ্যভার চালান এবং মুঘল আক্রমন প্রতিরোধ করেন। ১৭০০ সাল থেকে ১৭০৭ এই সাত বছর আওরঙ্গজেবের সুবিশাল মোগল বাহিনীকে প্রতিরোধ করেন রাজারামের বিধবা পত্নী তারাবাঈ। তিনি মস্ত বীরাঙ্গনা ছিলেন এবং নিজে যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে সৈন্য পরিচালনা করতেন। ভদ্রকালীর অবতার বলা হত তাঁকে।

The reigning families in Mahratta are divided into two branches. The first Prince is Xaú (Shahu) Raja, with his Court at Satara ; the other, Sambagy Raja, at Calapur ( Kolhapur). Xaú (Shahu) Raja, taking advantage of the decadence of the Mughal Empire, now governs the vast territories from the kingdom of Cambay as far as Bengal.”
~ English translation of an excerpt from Goa Portuguese Governor Marquez de Alrona’s letter to the King of Portugal.

সাতারা রাজ‍্য ডালহৌসীর আমলে কোম্পানি বাহাদুর নিয়ে নিলেও কোলহাপুর রাজ‍্যে কিন্তু ছত্রপতির বংশ রয়ে গিয়েছিল। কোলহাপুরের মহারাজবাহাদুর শাহুর কীর্তির কথা কে না শুনেছে ? সে একটা অন‍্য গল্প।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


প্রাসঙ্গিক খবর