Bangla Hunt Digital

Rudranil Ghosh: বিজেপিতে টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ! বেসুরো রুদ্রনীল

বিজেপিতে টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ! বেসুরো রুদ্রনীল

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এবার বিজেপিতে টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ। বেসুরো রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। অফিসিয়াল গ্রুপ ছাড়া বিজেপির বাকি সব গ্রুপ ‘লেফট’। হঠাৎ কেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে এলেন বিজেপি নেতা? তাই নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। তাহলে কি রঙ বদল করতে চলেছেন রুদ্রনীল? তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনীতিতে। যদিও কী কারণে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন তার ব্যাখ্যা নিজেই দিয়েছেন বিজেপি নেতা।

এখনও পর্যন্ত বাংলার ৩৮ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। যে ৪টি আসনে এখনও বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা হতে বাকি আছে সেগুলি হল- ডায়মন্ড হারবার, আসানসোল, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূম। তবে রুদ্রনীলকে দল প্রার্থী ঘোষণা না করায় আশাভঙ্গ হয়েছে অভিনেতার। তাঁর কণ্ঠে শোনা গিয়েছে কিছুটা অভিমানের সুর। শোনা যাচ্ছে লোকসভায় টিকিট পাওয়ার আশায় ছিলেন রুদ্রনীল। তবে টিকিট না পাওয়ায় মন খারাপ রুদ্রনীলের। কিন্তু, এরজন্য তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেননি বলেই জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন-  বরাহনগর উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী সজল ঘোষ

তাঁকে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাড করা হয়েছিল। যে যেমন পেরেছিল তাঁকে অ্যাড করেছিল। তাতে প্রচুর ভিডিয়ো থাকায় দেখতে দেখতে এক সময় ফোন ভরে যাচ্ছিল। তাই দোলের দিন বাড়িতে থাকার সুযোগ তিনি অবাঞ্ছিত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন। তবে এখনও তিনি দলের ১০ থেকে ১২ টি গুরুত্বপূর্ণ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রয়েছেন বলেই জানিয়েছেন।

টিকিট না পাওয়া নিয়ে কি সত্যিই অসন্তুষ্ট রুদ্রনীল? সেকথাও স্পষ্ট করেছেন বিজেপি নেতা। রুদ্রনীলের কথায়, তিনি দলের নির্দেশে প্রতিনিয়ত কাজ করেছেন। এমনকী ভবানীপুরের মতো কঠিন আসনেও লড়েছেন। তিনি জানান, তাঁর আশা ছিল তিনি লোকসভায় টিকিট পাবেন। কিন্তু, সেই প্রত্যাশা মতো তিনি টিকিট পাননি।

তাহলে কি দল ছেড়ে দিতে চলেছেন রুদ্রনীল? সেই জল্পনা প্রসঙ্গে রুদ্রনীল জানান, তিনি এখনই দল ছেড়ে যেতে চাইছেন না। তবে তার মধ্যে আবার জল্পনা উসকে দিয়ে তিনি জানান, তিনি নতুন কিছু ভাববেন কিনা পরে জানাবেন। তিনি জানান, তিনি বিজেপিতেই আছেন। দলের জন্য সারাদিন কাজ করেন।

একসময় তিনি রাজ্যের বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সংসদের সভাপতি ছিলেন। ২০১৪ এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি ছিলেন তৃণমূলের স্টার ক্যাম্পেনার। কিন্তু, পরবর্তীতে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষেত্রে সুর চড়াতে শোনা গিয়েছিল রুদ্রনীল ঘোষকে। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে ‘বেসুরো’ শোনা গিয়েছিল রুদ্রনীলকে। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব তৈরি হয়। পরে ঘাসফুল শিবির ত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি।

Related Post