বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হোলির দিন সকালে রক্তাক্ত হল পাকিস্তান। পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌবিমানঘাঁটি টুর্ব্যাট। মঙ্গলবার ভোরে অতর্কিত হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অসংখ্য পাক সেনা। লাগাতার বিস্ফোরণে বিমানঘাঁটিতে অন্তত ৪টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার ও ৩টি ড্রোন ধ্বংস হয়ে গেছে বলে খবর।
জঙ্গি হামলায় পরপরই হামলাকারীদের সঙ্গে পাক সেনার গুলির লড়াই শুরু হয়। হামলার দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি’ (BLA)। এই নিয়ে চলতি সপ্তাহে দু-বার এবং চলতি বছরে তিনবার হামলা চালাল বিএলএ!
আরো পড়ুন- কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের প্রতিবাদে, মোদীর বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি আপের, সরগরম দিল্লি
পাক সেনা সূত্রে খবর, এদিন ভোররাতে টুর্ব্যাট নৌ-বিমাঘাঁটিতে হামলা চালায় বিএলএ বিদ্রোহীরা। তারা বিমানঘাঁটিতে ঢোকার চেষ্টা করতেই বাধা দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা। শুরু হয়ে যায় গুলির লড়াই। বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুঁড়তে থাকে হামলাকারীরা। তাতেই আগুন ধরে যায় বিমানঘাঁটিতে দাঁড়িয়ে থাকা হেলিকপ্টারগুলিতে। গোলাগুলিতে বালোচ বিদ্রোহীদের চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। অন্তত ১২ জন পাক সেনার মৃত্যুর খবরও সামনে এসেছে। হামলাকারীদের কাছ থেকে হ্যান্ড গ্রেনেড-সহ অনেক স্বয়ংক্রিয় আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, গত বুধবারই বালোচ হামলার কবলে পড়েছিল পাকিস্তান। আরব সাগরের তীরে এই গোদার বন্দরটি চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের (Belt and Road) অন্তর্ভুক্ত। বন্দরের উন্নয়নেও বিপুল বিনিয়োগ করেছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। বালোচিস্তানে প্রবল অশান্তি, জঙ্গি হামলা সত্ত্বেও এই বন্দরের উন্নয়ন হয়েছে বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের মাধ্যমে। সেই হামলায় আটজন বালোচ বিদ্রোহী এবং দুই পাক সেনার মৃত্যু হয়। মাত্র ছদিনের মাথায় ফের হামলা চালাল বিএলএ।