TET Scam: প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে নজরে এবার ২০১৬! ৪২ হাজর ৫০০ প্রার্থীর তথ্য চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় - Bangla Hunt

TET Scam: প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে নজরে এবার ২০১৬! ৪২ হাজর ৫০০ প্রার্থীর তথ্য চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

By Bangla Hunt Desk - May 04, 2023

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি (TET Scam) নিয়ে দুটি মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে চলে গিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন আরও মামলা কাঁর এজলাস থেকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। তবুও তিনি উদ্যম হারালেন না। সক্রিয় হয়েই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৬-য় নিযুক্ত ৪২ হাজার ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তথ্য তলব করলেন।

প্রাথমিকে নিয়োগে ইন্টারভিউয়ের দায়িত্বে থাকে আধিকারিদের তলব করে নিজে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়।

তাতেই প্রকাশ হয়ে হিয়েছে প্রার্থীদের কোনো অ্যাপটিটিউড টেস্ট না নিয়ে গড় নম্বর বসানো হয়েছে। ফলে ফের নিয়োগ বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

আরো পড়ুন – SSC Scam: ২৬ জনকে চাকরি দিতে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা তুলেছিল শান্তনু, বিস্ফোরক দাবি ইডির

এবার তিনি প্রাথমিক টেটের ভিত্তিতে নিযুক্ত ৪২ হাজার ৫০০ শিক্ষকের বিস্তারিত রিপোর্ট পর্ষদের কাছে চেয়ে পাঠালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট আকারে এই তথ্য পেশ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বুধবারই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই।

সেই রিপোর্টে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, মানিক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বেই দুর্নীতি হয়েছে। তারপর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আবার নির্দেশ দিয়েছেন, ২০১৬ সালের ইন্টারভিউয়ের ভিত্তিতে প্রাথমিকে নিযুক্ত শিক্ষকদের বিস্তারিক রিপোর্টে পাঠাতে হবে পর্ষদকে। ওই ইন্টারভিউয়ের বিত্তিতে ৪২ হাজার ৫০০ নিয়োগ হয়েছিল।

প্রাথমিক নিয়োগ হওয়া ৪২ হাজার ৫০০ প্রার্থীর প্রত্যেকের নাম, জেলা, জাতি ও শ্রেণি জানাতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। এ জন্য পর্ষদকে ২ সপ্তাহ সময়ে দিয়েছেন বিচারপতি। তার মধ্যেই বিস্তারিত তথ্য চাই তাঁর। কেননা এই নিয়োগের ক্ষেত্রেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।

বুধবার সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা রিপোর্টে সিবিআই দাবি করেছে, এই দুর্নীতি হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে। ওই নিয়োগে ইন্টারভিউয়ের ধরন দেখেই স্পষ্ট হয়েছে দুর্নীতির জাল সেথানেই বিছনো ছিল। এখনও মানিক ভট্টাচার্য এ ব্যাপারে মুখ খুলছেন না। তবে খুবহ শীঘ্রউ স্পষ্ট হয়ে যাবে সব।

এদিনই সিবিআই আবার প্রশ্ন তুলেছে, দু-দফায় মানিক ভট্টাচার্যের মেয়াদবৃদ্ধির পিছনে কী কারণ রয়েছে, তাও জানা দরকার। সেজন্য দরকার তদন্ত হওয়ার। এই মর্মে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। এখন দেখার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতের নতুন কোনো ক্লু সামনে আসে কি না।

রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিতে মন্ত্রী-বিধায়ক থেকে শিক্ষা জগতের কর্তাদের মুখোশ খুলে গিয়েছিল বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাহসী সিদ্ধান্তের ফলে। সেই নিয়োগ দুর্নীতির দুটি মামলা থেকে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপরও অকুতোভয় তিনি।

তারপরও বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তিনি পালিয়ে যাওয়ার লোক নন। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর সাক্ষাত্‍কার সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তাঁর লড়াই চলবে। তিনি জানান, লড়াইয়ে যখন নেমেছি, শেষপর্যন্ত লড়ব।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


প্রাসঙ্গিক খবর