বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তাল বিহারের রাজ্য রাজনীতি। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে, রবিবারই ইস্তফা দিতে পারেন নীতীশ কুমার। শুধু তাই নয় আরজেডির সঙ্গে ছেড়ে সরকার গড়বেন বিজেপির সমর্থনে। অন্যদিকে পাল্টা ছক কষছে আরজেডিও। সূত্রের খবর, রাজ্যের সব বিজেপি বিধায়ক নীতীশ কুমারকে সমর্থন জানিয়ে চিঠিও দিয়ে দিয়েছেন। ফলে বিহারের রাজনীতিতে আগামিকাল মেগা সান ডে।
আরো পড়ুন- ভারতীয় পুরতত্ত্বের পাল্লা কি হিন্দু পক্ষের দিকে ঝুঁকছে? জ্ঞানবাপীতে এএসআই সমীক্ষার রির্পোট প্রকাশ
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে পাটনায় চলে এসেছেন জেডিইউ বিধায়করা। সূত্রের খবর, রবিবারই এনডিএ শিবিরে যোগ দেবেন নীতীশ কুমার। আগামিকালই বিধায়কদের একটি বৈঠকে ডেকেছে বিজেপি। সকাল দশটায় তাদের বিধায়ক ও সাংসদদের একটি বৈঠকে ডেকেছে নীতীশ কুমারের জেডিইউ। তার পরেই সকাল বারোটা নাগাদ রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফা দিয়ে আসবেন নীতীশ। এরপরই বিকেলে রাজ্যপালের কাছে নতুন সরকার গড়ার প্রস্তাব নিয়ে যাবেন।
এদিকে, আরজেডি, কংগ্রেস ও বামপন্থী দলগুলিও বসে নেই। তারাও তাদের মতো করে সরকার গঠন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আড়ালে আবড়ালে তাদের দাবি তাদের হাতে যে বিধায়ক সংখ্যা রয়েছে তা দিয়ে তারা সরকার গঠন করতে পারে। সবে মিলিয়ে বিহারে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে নীতীশ কুমার যদি বিজেপির হাত ধরেন তাহলে বিহারের রাশ তার হাতেই থাকবে। বিহারে যদি ওই বদল হয় তার প্রভাব জাতীয় রাজনীতিতে পড়বে। ফলে ধাক্কা খাবে ইন্ডিয়া জোট। যে নীতীশ ইন্ডিয়া জোট গঠনের প্রধান তিনিই যদি বেরিয়ে যান তাহলে ইন্ডিয়া জোটের আর কোনও অর্থই থাকবে না।
সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রী ঘনিষ্ঠমহলে এনিয়ে তাঁর মতামত দিয়েছেন। তাঁর মতে, ইন্ডিয়া জোট থেকে নীতীশ কুমার যদি সরে যান তবেও ইন্ডিয়া জোটের কোনও অসুবিধা হবে না।
সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে তৃণমূল নেত্রী দাবি করেছেন,জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও বিশেষ কোনও ক্ষতি হবে না। তবে তিনি বেরিয়ে গেলে আগামী দিনে আরজেডি ও লালু পুত্র তেজস্বীর কাজ করতে সুবিধা হবে।
এদিকে, শুক্রবার অখিলেশ যাদব একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘যদি নীতীশ কুমার INDIA জোটে থেকে যেতেন তবে তিনি প্রধানমন্ত্রীও হতে পারতেন।’ তবে ইন্ডিয়া জোটে এই ভাঙনের জন্য নীতীশ নয় কংগ্রেসকেই দায়ী করেছেন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো।