দাম কমার সম্ভাবনা নেই , জামাইষষ্ঠীতে আরো চওড়া হবে বাজার - Bangla Hunt

দাম কমার সম্ভাবনা নেই , জামাইষষ্ঠীতে আরো চওড়া হবে বাজার

By Bangla Hunt Desk - June 07, 2021

কলকাতাঃ জোগান আছে। আছে নানারকম মাছ। সমস্যাটা যাতায়াতের। তাই খুচরো বাজারে দাম বাড়ছে। জামাইষষ্ঠীর সময় এই দামটা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কিত ব্যবসায়ীরা।
বাঙালির হেঁসেলে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাছ হল কাটাপোনা। শিশু থেকে বৃদ্ধ এই মাছটির সঙ্গে পরিচিতি আছে সকলেরই। খুচরো বাজারে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের রুই-কাতলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায়। আবার তিন, সাড়ে তিন কেজি ওজনের এই মাছই কাটা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। যেটা লকডাউনের আগে বাজারে পাওয়া যেত ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকার মধ্যে। খুচরো বাজারের ব্যবসায়ীদের দাবি, ছোট মাছ স্থানীয় পুকুর বা ভেড়ি থেকে সংগ্রহ করা হলেও বড় মাছের জন্য ভরসা পাইকারি বাজার। যেটা এই লকডাউনের মধ্যে যোগাড় করাটা মুস্কিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সমর্থন জানিয়ে পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এই মুহূর্তে খুচরো বাজার থেকে খুব কম সংখ্যক ব্যবসায়ীই মাছ নিতে আসছেন। এবিষয়ে হাওড়া পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ীদের সম্পাদক সইদ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, বর্তমান এই পরিস্থিতির আগে আমাদের কাছে প্রতিদিন আসতেন হয়তো কুড়ি জন। এখন সেখানে হয়ত আসছেন দু’জন কী তিনজন। ফলে অল্পসংখ্যক ব্যবসায়ীরাই খুচরো বাজারে মাছটা নিয়ে যাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই ওই বাজারে মাছের দাম বাড়ছে। কিন্তু সামনেইতো জামাই ষষ্ঠী। ওই দিনে কি মাছ বা বিশেষত ইলিশ বা চিংড়ির দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যেতে পারে? কারণ, জামাইয়ের পাতে তো কাটাপোনা দেওয়া যাবেনা। মাকসুদের কথায়, প্রতিবছরই উৎসব উপলক্ষে এই সমস্ত জিনিসের দাম বাড়ে। কিন্তু বেড়ে কত হতে পারে? তিনি বলেন, এককেজি ওজনের ইলিশের দাম আমাদের কাছে ১০০০ টাকা।‌ এই মাছটাই খুচরো বাজারে হয়তো বিক্রি হবে ১৩০০ বা তার থেকে বেশি। আবার গলদা চিংড়ি আমরা জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বিক্রি করব কেজি প্রতি ৫০০ বা ৫৫০ টাকা। সেটাই খুচরো ব্যবসায়ীরা বাজারের চাহিদা বুঝে দাম ঠিক করবেন। বিষয়টা কিন্তু এমন নয় যে মাছের যোগান কম। যোগান যথেষ্টই আছে। এইযে ইয়াসটা গেল তাতে ক্ষতি হয়েছে চিংড়ি মাছের। আর এই ক্ষতিটা কিন্তু সাধারণ মানুষের ওপর আদৌ বর্তাবেনা। ক্ষতি হবে তাদের যারা বিদেশে এই মাছ পাঠায়।
খাসির মাংস এই মুহূর্তে বিক্রি হচ্ছে কোথাও ৭০০ টাকায় আবার কোথাও ৭২০ টাকায়। দাম কমার যে কোনও সম্ভাবনা নেই সেটা বুঝিয়ে দিয়েই মাংস ব্যবসায়ীদের দাবি, বিহার বা উত্তরপ্রদেশ থেকে চাহিদামতো মাল ঠিকমতো আসছেনা বলেই মাংসের দাম বেড়ে গেছে।

আরো পড়ুন- দিলীপের সঙ্গে বৈঠক এড়িয়ে মুকুল রায় বাড়িতে সৌমিত্র খাঁ! গেরুয়া শিবিরে জোর জল্পনা

একদিকে যেমন বেড়েছে মাছ- মাংসের দাম, তেমনি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সর্ষের তেলের দাম। ভালো ব্র্যান্ডের সর্ষের তেলের দাম কেজিপ্রতি ২০০ টাকার ওপরে। সেইসঙ্গে কাঁচা আনাজ বিশেষত পেঁয়াজ প্রায় ৪০ টাকার কাছাকাছি। জামাইষষ্ঠীর আগে কি দাম কমার কোনও সম্ভাবনা আছে? উত্তরে রাজ্য টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, ‘এটা ঠিক সর্ষের তেল প্রায় সবই কেজিপ্রতি ১৭০ টাকার ওপরে। দু’একটি ব্র্যান্ড ২০০ টাকার ওপরেও বিক্রি হচ্ছে। বিষয়টা হল, পাঞ্জাব বা হরিয়ানায় সর্ষের চাষটা এখন প্রায় হয়না বললেই চলে। গোটাটাই চলে গেছে রাজস্থানে। যার জন্য চাহিদার সঙ্গে যোগানের ভারসাম্য থাকছেনা। আরও একটা বিষয় হল জ্বালানী তেলের দাম রকেটের গতিতে বাড়ছে। তার জন্য পরিবহন খরচও বাড়ছে এবং তার প্রভাব পড়ছে জিনিসে। তবে প্রতিবছরই জামাইষষ্ঠীর আগে যেভাবে জিনিসের দাম বাড়ে সেই হিসেবে এবছর কিন্তু এখনও আমাদের রাজ্যে জিনিসের দাম বাড়েনি। সরকার নজর রাখছে

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর