এবার ১৫১ টি প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছে কেন্দ্র! - Bangla Hunt

এবার ১৫১ টি প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছে কেন্দ্র!

By Bangla Hunt Desk - July 02, 2020

প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালাবে বেসরকারি সংস্থা। এবার বেসরকারি সংস্থার জন্য দরজা খুলে দিল রেল মন্ত্রক। রেল মন্ত্রক সূত্রে খবর বেসরকারি সংস্থা এবার থেকে ৫ শতাংশ প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালাতে পারবে। তার জন্য বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছে রিকোয়েস্ট ফর কোয়ালিফিকেশন (RFQ) এর আবেদন জালানো রেল মন্ত্রক।

বেসরকারি হাতে যাচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন। ১০৯ টি রুটে মোট ১৫১ টি ট্রেন চালাবে বেসরকারি সংস্থা। তার জন্য বুধবার বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছে RFQ এর আবেদন জানাল রেলমন্ত্রক। ট্রেন চালানোর জন্য রেলকে ভাড়া দেবে বেসরকারি সংস্থা। রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর আরো বেশি কর্মসংস্থান তৈরি ও যাত্রার সময় কমানোর লক্ষ্যে রেলের এই উদ্যোগ। বেসরকারি হাতে গেলে রেলের যাত্রী নিরাপত্তা আরো আঁটোসাঁটো করা যাবে পাশাপাশি যাত্রী সাচ্ছন্দও আরো বেশি দেওয়া যাবে। অন্যদিকে রেলেরও আয় বাড়বে বলে জানিয়েছে রেলমন্ত্রক।

তবে বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছে বেশ কয়েকটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে রেলমন্ত্রক। বেসরকারি সংস্থাগুলো যে ট্রেন চালাবে তা ভারতের তৈরি হতে হবে। কমপক্ষে ১৬ টি বগি হবে। গতি হবে ঘন্টায় ১০৭ কিলোমিটার। তবে রক্ষনাবেক্ষণ বেসরকারি সংস্থার হাতে থাকলও ট্রেন চালাবে রেলের চালক এবং গার্ড। সূত্রে খবর পুরো পদ্ধতি সম্পন্ন হবে দুই দফায়। প্রথম দফায় বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হবে। দ্বিতীয় দফায় কোন রুটে ট্রেন চলবে আর তাতে কত রোজগার হবে তা ঠিক হবে। প্রাথমিক ভাবে রেলমন্ত্রক মনে করছে বেসরকারিকরণের ফলে রেলের প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আসবে।

এরমধ্যে বাংলার ১৮ টি ট্রেন বেসরকারিকরণ করা হবে বলে জানা গেছে। তারমধ্যে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি, হাওড়া-পাটনা, শিয়ালদা-গুয়াহাটি, পুরী-শালিমার, টাটানগর-শালিমার, শালিমার-পুনে, হাওড়া-চেন্নাই, শালিমার-টিসিটিবি, হাওড়া-আনন্দবিহার, হাওড়া-মালদা, ছাপরা- আনন্দবিহার সহ একাধিক ট্রেনের নাম রয়েছে।

রেলের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিরোধিতা শুরু হয়েছে। বিরোধীদের যুক্তি পার্লামেন্টকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন “ভারতীয় রেল সাধারণ মানুষের লাইফ লাইন। লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষ নির্ভর করে থাকে এই রেলের ওপর। যদি রেল বেসরকারি হাতে চলে যায় তাহলে সাধারণ মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়বে। যাত্রীভাড়া অনেক বেড়ে যাবে”। পাশাপাশি প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী ও অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও এই বেসরকারীকরণ এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন।

অন্যদিকে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেছেন রেলের বেসরকারিকরণ ছাড়া আর অন্য কোন পথ নেই।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর