ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির আত্মবলিদান দিবস শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করল "শ্যামাপ্রসাদ সেবামঞ্চ" - Bangla Hunt

ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির আত্মবলিদান দিবস শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করল “শ্যামাপ্রসাদ সেবামঞ্চ”

By Bangla Hunt Desk - June 23, 2020

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাপ্পাই দত্ত ; ১৯৫৩ সালের ২৩শে জুন অর্থাৎ আজকের দিনেই কাশ্মরের শেখ আব্দুল্লা ও নেহেরুর চক্রান্তের বলি হয়েছিলেন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি। ডঃ শ্যামাাাপ্রসাদ মুখার্জির আত্মবলিদানকে স্মরণ করে তাঁর আত্মত্যাগকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে, ডঃ শ্যামাপ্রসাদ সেবামঞ্চ (পশ্চিমবঙ্গ) এর পক্ষ থেকে এই দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে উদযাপন করা হয়।

প্রসঙ্গত, পন্ডিত ও হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতা ছিলেন তিনি। তিনি ১৯০১ সালের ৬ জুলাই কলকাতায় এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা স্যার আশুতোষ মুখার্জী ও মাতা শ্রীমতী যোগমায়া দেবীর কাছ থেকে তিনি কিংবদন্তিতুল্য পান্ডিত্য ও ঐকান্তিক জাতীয়তাবাদী চেতনা উত্তরাধিকারসূত্রে লাভ করেন। তাঁরা তাঁকে পবিত্র ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপনে অনুপ্রাণিতও করেন। ১৯২১ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে সম্মান সহ বিএ ডিগ্রি লাভ করার পর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ভারতীয় ভাষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ১৯২৪ সালে বি.এল পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ স্থান লাভ করেন।

ছাত্র থাকাকালীন শ্যামাপ্রসাদ তাঁর উপাচার্য বাবাকে শিক্ষা পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করেন। ১৯২৪ সালে তাঁর বাবার মৃত্যুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেটে তাঁর উপস্থিতি অপরিহার্য বলে বিবেচিত হত। ১৯৩৪ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনিষ্ঠতম উপাচার্য হন।

এরপর ১৯৫২ সালে জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার বিপক্ষে ব্যাপক রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী।

‘এক দেশ মে দো বিধান নেহি চ্যালঙ্গে (এক দেশে দুই আইন চলবে না)’- তার এই স্লোগান তখন দক্ষিণপন্থী হিন্দুদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।

সে সময় জম্মু-কাশ্মীরে ঢুকতে বিশেষ অনুমতিপত্র লাগতো। সেই বিধান ভঙ্গ করে তার একদল অনুগত রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে সাথে নিয়ে ১৯৫৩ সালের ১১ই মে কাশ্মীরে গিয়ে হাজির হন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী। সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ও মি মুখার্জী সঙ্গী হয়েছিলেন।

আইন ভাঙ্গার দায়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শ্রীনগরেই পুলিশের হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। বিজেপি দাবি করে তাকে হত্যা করা হয়েছিল যাতে ৩৭০ ধারার আন্দোলন বন্ধ হয়ে যায়।

এদিন মধ্যমগ্রামে বিজয়নগর বন্ধন ব্যাম্কের পাশে তার এই প্রয়াণ দিবসে তার ছবিতে মাল্যদান করে দিনটি সম্মানের সাথে উদযাপন করা হয়। এই সময় উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সভাপতি শ্রী শ্যামল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পার্থ ব্যানার্জী, সুভোজিৎ দাস (রাজা), সহ সভাপতি শ্যামল দত্ত, ডাঃ প্রদীপ সাহা, কার্যকরী কমিটির সদস্য কল্লোল সিনহা, রথীন্দ্র শেখর চ্যাটর্জী, স্বপ্না বিশ্বাস, অভিজিৎ দাস রাজা, রজত মিস্ত্রি, পার্থ সরকার, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মধ্যমগ্রাম নগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্রী প্রসেনজিৎ সমাদ্দার সহ অন্যান্য কার্যকরতা।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর