এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতে নিয়ম বদল! নয়া নির্দেশ নবান্নের - Bangla Hunt

এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতে নিয়ম বদল! নয়া নির্দেশ নবান্নের

By Bangla Hunt Desk - January 28, 2022

বাংলাহান্ট ডেক্সঃ এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নিয়মে এল বড়সড় বদল। রাজ্য সরকারের তরফে নতুন নিয়ম সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে অর্থ পেতে এবার নিজের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। যদি কারও নিজের নামে অ্যাকাউন্ট না থাকে, তাহলে প্রথমে দুয়ারে সরকারের শিবিরে সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেবে রাজ্য সরকার। কোনওভাবেই যাতে একজন উপভোক্তা একাধিকবার টাকা না পায়, তার জন্য কড়া নজর দিতে চলেছে প্রশাসন। একইসঙ্গে যে কোনও ধরনের আর্থিক সহায়তা প্রকল্পের সুবিধা নিতে গেলে উপভোক্তার আধার কার্ডের সঙ্গে তা যোগ করা হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, সঠিক উপভোক্তা যাতে তাঁর প্রাপ্য অর্থ সাহায্য পান, সেটা কড়াভাবে দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন- হালিশহরে আচমকা বোমা ফেটে এক কিশোরের মৃত্যু, গ্রেপ্তার অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ মুল অভিযুক্ত

প্রসঙ্গত গত বছর থেকে শুরু হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। আর সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকলেও আবেদন করা যেত। কিন্তু এবার আর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকলেও আবেদন করা যাবে না। শুধুমাত্র সিঙ্গল অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। তবেই আবেদন করা যাবে। জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট নিয়ে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার জন্যই এই নির্দেশ বলে নবান্ন সূত্রে খবর। জানা যাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছিল, জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকলে মূল আবেদনকারী টাকা নেওয়া আগে পরিবারের অন্য কেউ সেই টাকা তুলে নিচ্ছে।
 

 
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু দুয়ারে সরকার। চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। একইসঙ্গে ফের শুরু করা হচ্ছে ‘পাড়ায় সমাধান’ প্রকল্পও। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। দুয়ারে সরকারে রাজ্যের ২৪টি দপ্তরের তরফে একগুচ্ছ পরিষেবা মিলবে শিবির থেকে। শিবিরের প্রস্তুতি নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যালোচনা বৈঠক মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী। সেখানে দপ্তরের শীর্ষকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। দুয়ারে সরকার ও পাড়ায় সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট সময়ভিত্তিক গাইড লাইনও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

প্রশাসনের নজরে এসেছে, বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট না হওয়ার ফলে ওই মহিলা বেশি টাকা সাহায্য পেয়ে যাচ্ছেন। এই সমস্যা দূর করতেই এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নিজের নামে অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

পাশাপাশি, আধার সংযুক্তিকরণের ওপরেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। খাদ্যসাথী বা স্বাস্থ্যসাথী সহ বিভিন্ন প্রকল্প গুলিতে আধার সংযুক্তিকরণ আরও বাড়াতে হবে, এই দিনের বৈঠকে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব। পাড়ায় সমাধানের ক্যাম্পগুলো আরও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নামক প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে কোনও মহিলাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। তবে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছিল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে গেলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড এবং অন্য জাতিভুক্ত হলে সেই জাতির শংসাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক। ২৫ থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সমস্ত মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। মূলত তপশিলি জাতি-উপজাতি মহিলাদের জন্য মাসে ১০০০ টাকা ও সাধারণ মহিলাদের জন্য মাসে ৫০০ টাকা করে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

গত বছরের অক্টোবরে দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, এক কোটির গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে টাকা। অক্টোবর পর্যন্ত এই প্রকল্পে রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ১০৮২ কোটি টাকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই বলেছিলেন, এই প্রকল্পে বাড়ির মেয়েদের একেবারে নিজেদের রোজগার। এই টাকার জন্য কারও কাছে হাত পাতার দরকার নেই। মহিলাদের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েই এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন তিনি। আর এবার সেই মহিলাদের কথা মাথায় রেখেই বদল করা হচ্ছে প্রকল্পের নিয়মে।

সব খবর পড়তে আমাদের WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হোনএখানে ক্লিক করুন


প্রাসঙ্গিক খবর